ফ্যাসিবাদের জ্বালা থেকে মুক্ত হতে পারিনি: শফিকুর রহমান
শফিকুর রহমান বলেন, ফ্যাসিবাদীরা যে সমস্ত অপকর্ম করতো, সেই অপকর্ম যদি আমিও করি তাহলে আমিও একজন ফ্যাসিবাদী। আমরা বারবার অনুরোধ করে বলেছি, দয়া করে শহীদের রক্তের প্রতি সম্মান জানান। দয়া করে আহত-পঙ্গু ভাই-বোনদের প্রতি সম্মান দেখান। তাদের রক্তকে, জীবনকে, তাদের ইজ্জতকে, তাদের আবেগকে, তাদের ত্যাগকে মেহেরবানি করে অপমানিত করবেন না।
তিনি বলেন, ঘাটে-ঘাটে যে চাঁদাবাজি হয় এর কারণে প্রত্যেকটা দ্রব্যমূল্য বহুগুণ বেড়ে যায়। এর চাপ এ দেশের একজন শ্রমজীবী মানুষের ওপর পড়ে। এমনকি রাস্তার আমার একটা ভিক্ষুক ভাই অথবা বোনের ওপরেও পড়ে। তাহলে তো আমরা সবাই ক্ষতিগ্রস্ত। আমরা কেন এই অন্যায়কে প্রশ্রয় দেব, কেন আমরা নীরবে সহ্য করব? কাজেই এ ব্যাপারে আমাদেরকে সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে ইনশাআল্লাহ।
জামায়াত আমীর বলেন, বিনয়ের সঙ্গে বলি, এ কাজ বন্ধ করুন। জাতিকে স্বস্তির সঙ্গে বাঁচতে দিন, সামনে এগিয়ে যেতে দিন। আবার যাতে ফ্যাসিবাদের নতুন ধারার অধ্যায় তৈরি না হয়, তার থেকে ফিরে আসুন। ফিরে না আসলে আমাদের লড়াই অব্যাহত থাকবে ইনশাআল্লাহ। আমরা এ লড়াই বাদ দেব না। আমরা অবিরাম চলা সৈনিক। আমি দুনিয়া থেকে চলে যেতে পারি কিন্তু এই কাফেলা থাকবে ইনশাআল্লাহ।
তিনি বলেন, ভাষা আন্দোলনে অধ্যাপক গোলাম আযম সাহেবের যতটুকু অংশ ততটুকু অংশের স্বীকৃতি দিতে অসুবিধা কোথায়? বিচারপতি আব্দুর রহমান চৌধুরী, যিনি ভাষা আন্দোলনের স্মারকের কাজ করেছিলেন, তাকে কোথাও স্বীকৃতি দেয়া হচ্ছে না কেন? তমুদ্দিন মজলিস নামের যে সংগঠন এ আন্দোলনের সূচনা করল তারা ইতিহাস থেকে দূরে কেন? যার যেখানে জায়গা তাকে সেখানে জায়গা করে দিতে হবে। এ আন্দোলনের যার যতটুকু অবদান তার স্বীকৃতি দিতে হবে।
দক্ষিণের নায়েবে আমীর আব্দুস সবুর ফকিরে সভাপতিত্বে এবং সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদের সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন দক্ষিণের নায়েবে আমীর এডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিন, সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ, সহকারী সেক্রেটারি দেলাওয়ার হোসেন, কামাল হোসেন, ড. আব্দুল মান্নান, কামরুল আহসান হাসান, ড. মোবারক হোসেন, ডিইউজে সভাপতি মো. শহিদুল ইসলাম প্রমুখ।
No comments