রাশিয়া ইউক্রেনের যুদ্ধের জেরেই সর্বস্বান্ত হয়ে মৃত্যুর পথে কলকাতার দে পরিবার? by সেবন্তী ভট্টাচার্য্য
পুলিশের কাছে খবর, প্রোমোটিংয়ে লগ্নি ছাড়াও রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধের কারণে তাদের রপ্তানির ব্যবসায় মন্দা শুরু হয়। পুলিশি তদন্তে আপাতত উঠে এসেছে, 'প্রোটেকটিভ লেদার গ্লাভস'-এর কারখানা ছিল ট্যাংরার দে পরিবারের। বাবার মৃত্যুর পর তার শুরু করা ব্যবসা বর্তমানে চালাতেন দুই ভাই। আর্থিকভাবে যথেষ্ট স্বচ্ছন্দ ছিলেন তারা। পরিবার নিয়ে বিদেশ ভ্রমণ থেকে শুরু করে, দেদার পার্টি, সবই হত। পুরনো ব্যবসার মাঝে আবার তাঁরা নাকি নতুন 'ভেঞ্চার'ও এনেছিলেন। তাতেও বিপুল টাকা বিনিয়োগ করেছিলেন দুই ভাই। কিন্তু শেষমেশ ব্যবসায় বিরাট ক্ষতি হওয়ায় দেনা হয়ে গেছিল তাঁদের। এও জানা গেছে, রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে তাদের রফতানি ব্যবসায় মন্দা হতে শুরু করে। নতুন 'ভেঞ্চার'-এর জন্য বিনিয়োগ করতে যে টাকা খরচ হয়েছিল তা উশুল করতে পারছিলেন না তারা। ফলে বিভিন্ন জায়গা থেকে ঋণ নিতেন তারা। প্রতি মাসে অনেক টাকা শোধ দিতে হত। মূলত ২০২০ সালের পর থেকেই এই অবস্থা তৈরি হয়। ফলে বাজারে লক্ষ লক্ষ টাকা দেনা হয়ে যায় তাদের। পাওনাদারদের লাখ লাখ টাকার চেকও বাউন্স হচ্ছিল। তারপর থেকে বাড়িতে ভিড় বাড়তে শুরু করেছিল পাওনাদারদের। মনে করা হচ্ছে, আর্থিক অবস্থার জন্য মানসিক অবসাদ চলে গেছিল ট্যাংরার পরিবার। তাই আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। পুলিশের তরফে অবশ্য জানানো হয়েছে, বাড়িতে কোনও সুইসাইড নোট মেলেনি। এদিকে খুনের তত্ত্ব জোরাল হচ্ছে। কিন্তু কেন?
আসলে ট্যাংরার বাড়ি থেকে যাদের মৃতদের উদ্ধার হয়েছে প্রত্যেকের হাতের শিরা কাটা। দুই নারীর গলায় ক্ষত রয়েছে, এদিকে নাবালিকার মুখে একাধিক ক্ষত চিহ্ন রয়েছে। যদি সে আত্মহত্যাই করে, তাহলে তার মুখে আঘাতের চিহ্ন কীভাবে এল, তা স্পষ্ট নয়। আপাতত ঘনীভূত হচ্ছে রহস্য।
No comments