ইউক্রেনে শান্তি প্রতিষ্ঠায় বৃটেন ও ইউরোপীয়ান নেতাদের আরও পদক্ষেপের প্রয়োজন -সাবেক বৃটিশ সেনাপ্রধান
সম্প্রতি ইউক্রেনকে আমন্ত্রণ না জানিয়ে রাশিয়ার সঙ্গে ইউক্রেন ইস্যুতে বৈঠক করেছে যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তারা। এতে বেশ ক্ষোভ জানিয়েছে কিয়েভ এবং তাদের মিত্র ইউরোপীয়ান ইউনিয়নের নেতারা। উদ্ভূত এমন পরিস্থিতিতে বৃটেনের প্রধানমন্ত্রী ইউক্রেনে শান্তি প্রতিষ্ঠায় তাদের সৈন্য মোতায়েনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তবে ইউক্রেনের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা বেশ গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু ইতিমধ্যেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প এবং তার প্রশাসন রাশিয়ার সঙ্গে পূর্ব বিরোধ কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করছেন। যা অনেকটাই বিদায়ী প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং যুক্তরাষ্ট্রের নীতি বিরুদ্ধে বলে মনে করেন অনেকে।
অনলাইন বিবিসি বলছে, অবসরপ্রাপ্ত জেনারেল নিক কার্টার বলেছেন- তিনি বিশ্বাস করেন যে, রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধের ন্যায্য নিষ্পত্তি বলতে যা বোঝায় তা ইউক্রেনেরই ঠিক করা উচিত। তবে যুক্তরাষ্ট্র যদি ইউক্রেনের জন্য তা করতে প্রস্তুত না থাকে তাহলে বৃটেন এবং ইউরোপীয়ান দেশগুলোকেই কিয়েভের সার্বভৌমত্ব নিশ্চিত করতে হবে। আগামী বৃহস্পতিবার ওয়াশিংটনে মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন বৃটেনের প্রধানমন্ত্রী স্যার কিয়ের স্টারমার। তিনি ইউক্রেন ইস্যুতে মার্কিন নিরাপত্তা সহায়তা নিশ্চিত করার ওপর জোর দিয়েছেন। বলেছেন, রাশিয়াকে কার্যকরভাবে প্রতিরোধ করতে হলে ‘মার্কিন নিরাপত্তা সহায়তা নিশ্চিত’ করাই একমাত্র উপায়।
বৃটেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ল্যামি বলেছেন, বৃটেন মস্কোর শান্তি প্রস্তাব আন্তরিকতার সঙ্গে মেনে নিতে প্রস্তুত, যদি তারা ‘জারবাদী সাম্রাজ্যবাদ’ প্রত্যাখান করে ইউক্রেনের কথা শুনতে আগ্রহী হয়।
এদিকে সম্প্রতি সৌদি আরবে মস্কো-ওয়াশিংটনের দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের পর ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট এবং মার্কিন প্রেসিডেন্টের মধ্যকার দ্বন্দ্ব আরও গভীর হতে দেখা যাচ্ছে। ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের পাম বিচে অবস্থিত নিজের মালিকানাধীন মার-এ-লাগো রিসোর্টে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ভলোদিমির জেলেনস্কিকে ‘ডিকটেটর’ বলে অভিহিত করেছেন ট্রাম্প। এছাড়া ট্রাম্পের বক্তব্যে এটি স্পষ্ট যে, জেলেনস্কির কারণেই ইউক্রেন এই ভয়াবহ যুদ্ধের মধ্যে জড়িয়েছে। তিনি বলেছেন, জেলেনস্কি চাইলেই যুদ্ধ বন্ধ করতে পারতেন।
কিয়েভকে বাদ দিয়ে মস্কোর সঙ্গে ওয়াশিংটনের বৈঠকের পরই ইউরোপীয়ান ইউনিয়নের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বৃটেনের প্রধানমন্ত্রী। সেখানে তিনি ইউক্রেনে স্থায়ীভাবে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য প্রয়োজন অনুযায়ী তার দেশের সৈন্য মোতায়েনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তবে এক্ষেত্রে কিয়েভের শান্তি বজায় রাখতে এবং পুনরায় রাশিয়ার হামলা না চালানোর নিশ্চয়তায় যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন প্রয়োজন।
No comments