মিয়ানমারের ৫০ সেনা সদস্যকে হত্যার দাবি আরাকান আর্মির
উত্তর
রাখাইনের দুর্গম মিনবায়া ও মারুক অঞ্চলে আরাকান আর্মি’র অবস্থানে হামলা
চালিয়েছে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। দুটি সামরিক হেলিকপ্টার ও গোলন্দাজ বাহিনী
এই হামলায় অংশ নেয়। বৃহস্পতি ও শুক্রবার দুই দিন ধরে এই হামলা চালানো
হয়েছে। আরাকান আর্মির তরফে দাবি করা হয়েছে, এসব হামলার পাল্টা জবাব দেওয়া
হলে মিয়ানমারের ৫০ জন সেনা সদস্য ও তাদের তিন সদস্য নিহত হয়েছে। এছাড়া আরও
অনেকে আহত হয়েছে। মিয়ানমারের সংবাদমাধ্যম দ্য ইরাবতি জানিয়েছে, আরাকান
আর্মির দাবি করা হতাহতের সংখ্যা স্বাধীনভাবে যাচাই করা সম্ভব হয়নি। আর
হতাহতের সংখ্যা প্রকাশ করতে অস্বীকার করেছে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী।
সংবাদমাধ্যমটির খবরে বলা হয়েছে, দুই পক্ষের লড়াইয়ে নিরাপদ জায়গার সন্ধানে
নিজেদের বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছে অন্তত তিনটি গ্রামের বাসিন্দারা।
জাতিগত সংঘাত ও দারিদ্র্য-জর্জরিত রাখাইনে কেবল রোহিঙ্গারাই একমাত্র নিপীড়িত জাতিগোষ্ঠী নয়। রাখাইন বৌদ্ধরা (আরাকান জাতিভূক্ত) সহ সেখানকার বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠী সেনাপ্রাধান্যশীল কেন্দ্রীয় সরকারের নিপীড়নের শিকার হয়। কেবল রোহিঙ্গা ছাড়া বাদবাকি সব জনগোষ্ঠীর স্বীকৃতির প্রশ্নকে সামনে রেখেই নিজেদের কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছে আরাকান আর্মি। আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার প্রতিষ্ঠার পক্ষে এই সরব ভূমিকা বিশেষত রাখাইন বৌদ্ধদের মধ্যে তাদের গ্রহণযোগ্যতার ভিত্তি তৈরি করেছে।
রাখাইনের পার্লামেন্টে মিনবায়া অঞ্চলের আইন প্রণেতা উ হ্লা থেইন অং জানান বৃহস্পতিবার দিনভর সেনাবাহিনী ও আরাকান আর্মির মধ্যে লড়াই চলে। সেনাবাহিনীর দুই থেকে তিনটি হেলিকপ্টার থেকে ক্ষেপণাস্ত্র ও গোলাবর্ষণ করা হয় বলে জানান আরাকান ন্যাশনাল পার্টির এই আইন প্রণেতা। তিনি জানান, মিনবায়ার পান মিয়াং মডেল গ্রাম থেকে ৩ মাইল উত্তরপূর্বে ওই যুদ্ধ সংগঠিত হয়েছে।
রাখাইনের নৃতাত্ত্বিক কংগ্রেসের সেক্রেটারি কো জাউ জাউ বলেন, ‘বিমান হামলার কারণে সুয়ে কিয়ান, দাই থা এবং কিয়াং টং গ্রামের মতো আশেপাশের গ্রামগুলো থেকে বাসিন্দারা নিরাপদ জায়গার স্থানে সরে গেছেন’। তিনি জানান, স্থানীয়রা তাদের জানিয়েছেন বৃহস্পতিবারের লড়াই ছিল তীব্র আর প্রায় পুরো দিনভর চলে।
আরাকান আর্মি’র তরফে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা নাগাদ মিয়ানমার সেনাবাহিনীর দুই শতাধিক পদাতিক সেনা তাদের নিয়ন্ত্রিত দাই থা গ্রামের দিকে অগ্রসর হলে যুদ্ধ শুরু হয়। সন্ধ্যা সাতটা পর্যন্ত ওই গ্রামের দক্ষিণপূর্ব এলাকায় যুদ্ধ চলে বলে জানায় সশস্ত্র গোষ্ঠীটি।
আরাকান আর্মির দাবি তারা সেনাবাহিনীর ৫০ সদস্যকে হত্যা করেছে আর নিজেদের তিন সদস্য মারা গেছে। গোষ্ঠীটির দাবি, মারাত্মক ক্ষয়ক্ষতির মুখে সেনাবাহিনী হেলিকপ্টার ডেকে পাঠায়। এসব হেলিকপ্টার ক্ষেপণাস্ত্র ও মেশিনগান ব্যবহার করে বনাঞ্চলে হামলা চালায়।
আরাকান আর্মির দাবি করা হতাহতের সংখ্যা স্বাধীনভাবে যাচাই করা সম্ভব হয়নি। মিয়ানমার সেনাবাহিনীর পশ্চিমাঞ্চলীয় কমান্ডের ব্রিগেডিয়ার জেনারেল উইন জাও উ বলেন, যুদ্ধ ক্ষেত্রের পরিস্থিতি বিবেচনায় হেলিকপ্টার ব্যবহার করেছে সেনাবাহিনী। হতাহতের সংখ্যা প্রকাশ করতে অস্বীকার করেন তিনি।
গত এপ্রিলে পুলিশের একটি রেজিমেন্ট ও সেনা অবস্থানে হামলার পর মারুক উ এলাকায় বিমান হামলা চালায় মিয়ানমার সেনাবাহিনী। জুলাইয়েও বুথিডং এলাকায় একই ধরণের হামলা চালানো হয়। বৃষ্টির মওসুম শুরু হলেও আরাকান আর্মি ও সেনাবাহিনীর মধ্যে বিচ্ছিন্ন লড়াইয়ের ঘটনা কমেনি। চলতি বছরে শুরু হওয়া দুই পক্ষের লড়াইয়ে এখন পর্যন্ত প্রায় ৬০ হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে।
জাতিগত সংঘাত ও দারিদ্র্য-জর্জরিত রাখাইনে কেবল রোহিঙ্গারাই একমাত্র নিপীড়িত জাতিগোষ্ঠী নয়। রাখাইন বৌদ্ধরা (আরাকান জাতিভূক্ত) সহ সেখানকার বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠী সেনাপ্রাধান্যশীল কেন্দ্রীয় সরকারের নিপীড়নের শিকার হয়। কেবল রোহিঙ্গা ছাড়া বাদবাকি সব জনগোষ্ঠীর স্বীকৃতির প্রশ্নকে সামনে রেখেই নিজেদের কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছে আরাকান আর্মি। আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার প্রতিষ্ঠার পক্ষে এই সরব ভূমিকা বিশেষত রাখাইন বৌদ্ধদের মধ্যে তাদের গ্রহণযোগ্যতার ভিত্তি তৈরি করেছে।
রাখাইনের পার্লামেন্টে মিনবায়া অঞ্চলের আইন প্রণেতা উ হ্লা থেইন অং জানান বৃহস্পতিবার দিনভর সেনাবাহিনী ও আরাকান আর্মির মধ্যে লড়াই চলে। সেনাবাহিনীর দুই থেকে তিনটি হেলিকপ্টার থেকে ক্ষেপণাস্ত্র ও গোলাবর্ষণ করা হয় বলে জানান আরাকান ন্যাশনাল পার্টির এই আইন প্রণেতা। তিনি জানান, মিনবায়ার পান মিয়াং মডেল গ্রাম থেকে ৩ মাইল উত্তরপূর্বে ওই যুদ্ধ সংগঠিত হয়েছে।
রাখাইনের নৃতাত্ত্বিক কংগ্রেসের সেক্রেটারি কো জাউ জাউ বলেন, ‘বিমান হামলার কারণে সুয়ে কিয়ান, দাই থা এবং কিয়াং টং গ্রামের মতো আশেপাশের গ্রামগুলো থেকে বাসিন্দারা নিরাপদ জায়গার স্থানে সরে গেছেন’। তিনি জানান, স্থানীয়রা তাদের জানিয়েছেন বৃহস্পতিবারের লড়াই ছিল তীব্র আর প্রায় পুরো দিনভর চলে।
আরাকান আর্মি’র তরফে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা নাগাদ মিয়ানমার সেনাবাহিনীর দুই শতাধিক পদাতিক সেনা তাদের নিয়ন্ত্রিত দাই থা গ্রামের দিকে অগ্রসর হলে যুদ্ধ শুরু হয়। সন্ধ্যা সাতটা পর্যন্ত ওই গ্রামের দক্ষিণপূর্ব এলাকায় যুদ্ধ চলে বলে জানায় সশস্ত্র গোষ্ঠীটি।
আরাকান আর্মির দাবি তারা সেনাবাহিনীর ৫০ সদস্যকে হত্যা করেছে আর নিজেদের তিন সদস্য মারা গেছে। গোষ্ঠীটির দাবি, মারাত্মক ক্ষয়ক্ষতির মুখে সেনাবাহিনী হেলিকপ্টার ডেকে পাঠায়। এসব হেলিকপ্টার ক্ষেপণাস্ত্র ও মেশিনগান ব্যবহার করে বনাঞ্চলে হামলা চালায়।
আরাকান আর্মির দাবি করা হতাহতের সংখ্যা স্বাধীনভাবে যাচাই করা সম্ভব হয়নি। মিয়ানমার সেনাবাহিনীর পশ্চিমাঞ্চলীয় কমান্ডের ব্রিগেডিয়ার জেনারেল উইন জাও উ বলেন, যুদ্ধ ক্ষেত্রের পরিস্থিতি বিবেচনায় হেলিকপ্টার ব্যবহার করেছে সেনাবাহিনী। হতাহতের সংখ্যা প্রকাশ করতে অস্বীকার করেন তিনি।
গত এপ্রিলে পুলিশের একটি রেজিমেন্ট ও সেনা অবস্থানে হামলার পর মারুক উ এলাকায় বিমান হামলা চালায় মিয়ানমার সেনাবাহিনী। জুলাইয়েও বুথিডং এলাকায় একই ধরণের হামলা চালানো হয়। বৃষ্টির মওসুম শুরু হলেও আরাকান আর্মি ও সেনাবাহিনীর মধ্যে বিচ্ছিন্ন লড়াইয়ের ঘটনা কমেনি। চলতি বছরে শুরু হওয়া দুই পক্ষের লড়াইয়ে এখন পর্যন্ত প্রায় ৬০ হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে।
No comments