সিলেটে কিং রতনের ‘ইয়াবাকন্যা’ নূপুর গ্রেপ্তার
বছর
খানেক আগে কারান্তরীণ ছিলেন রতন লাল। সিলেটের কাস্টঘরের ইয়াবা ‘কিং’ নামে
পরিচিত সে। মরণ নেশা ইয়াবার পাইকারি আড়তদার। ডিলাররা ইয়াবা সংগ্রহ করে তার
কাছ থেকেই। কোটি কোটি টাকার মাদক ব্যবসা। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি রতনের। ধরা
পড়ে। মামলায় আটক হয়ে কারান্তরীণ।
কিন্তু ব্যবসা জমজমাট। কারান্তরীণ রতনের ব্যবসার হাল ধরবে কে- এমন প্রশ্ন তখন রতনের মাদকের হাটে। এগিয়ে এলেন নূপুর। রতনের মেয়ে। বয়স ৩০ কিংবা ৩২। স্বামীর সংসারে আছেন। পিতার সাম্রাজ্যের হাল ধরে নূপুর। ধীরে ধীরে নূপুরও হয়ে ওঠে ইয়াবা সম্রাজ্ঞী। কাস্টঘরে এক নামেই চিনে সবাই। পিতার মতোও শেষ রক্ষা হলো না নূপুরের। গ্রেপ্তার হতে হয়েছে র্যাবের হাতে। বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে র্যাব সদস্যরা তাকে কাস্টঘর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে। আর এই অভিযানের পর ফের আতঙ্ক নেমে এসেছে রতনের মাদক হাটে। গতকাল র্যাব-৯ এর মিডিয়া অফিসার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মনিরুজ্জামান স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে নূপুরকে গ্রেপ্তারের কথা জানিয়েছেন। জানানো হয়। বলা হয় বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে র্যাবের আভিযানিক দল অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মনিরুজ্জামানের নেতৃত্বে এসএমপির কোতোয়ালি থানা এলাকায় মাদক উদ্ধার ও গ্রেপ্তার অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযানে এসএমপির কোতোয়ালি থানাধীন কাস্টঘর এলাকার রাজু স্টোর’র উত্তর পার্শ্বে সিটি করপোরেশন বিল্ডিংয়ের নিচ তলায় মেইন গেটের সামনে থেকে নূপুরকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তার কাছ থেকে ৩৬০ পিস ইয়াবা, ৩৫০ পিস পুড়িয়া ও ৩শ’ গ্রাম গাঁজা উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত আলামত ও গ্রেপ্তার আসামিকে সিলেটের কোতোয়ালি থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। নূপুরের পুরো নাম নূপুর লাল। স্বামী শুক্রা লাল। পিতা রতন লাল। পিতার সাম্রাজ্য আকড়ে ধরা নূপুর সম্পর্কে স্থানীয়রা জানিয়েছেন নানা তথ্য। কাস্টঘরের নিচ তলার এক পাশে স্বামীসহ নূপুর বসবাস করে। পাশেই তার পিতার ঘর। তারা জানান, নূপুর লালের পুরো পরিবার অনেক আগে থেকেই মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। তাদের ঘর কাস্টঘরের মাদকসেবীদের কাছে পরিচিত। সন্ধ্যা নামলেই ঘরে বসে চোলাই মদের আসর। এই আসনের মধ্যমনি নূপুর লাল। নিজে বিক্রি করেন চোলাই মদ। বিয়ের আগে পিতার ঘরে থাকা অবস্থায়ও একইভাবে পিতা রতনের চোলাই মদের আসর আগলে রাখতো নূপুর। বিয়ে হওয়ার পর স্বামীর ঘরে এসে নিজে ব্যবসা শুরু করে। তবে, পিতার ব্যবসার দেখভাল করতো নূপুর নিজেই। এর মধ্যে গাঁজা ও হেরোইন ব্যবসায় জড়িয়ে পড়ে রতন লাল। কয়েক বছর রতন পাইকারি হারে হেরোইন ও গাঁজা বিক্রি করতো। এই ব্যবসায় নূপুরের তেমন হস্তক্ষেপ ছিল না। সে সংসার ও চোলাই মদের ব্যবসা চালিয়ে যেতে থাকে। মরণ নেশা ইয়াবার যুগে প্রবেশের পর রতন হেরোইন ব্যবসা ছেড়ে দেয়। প্রথম থেকেই শুরু করে ইয়াবা ব্যবসা। স্থানীয় দোকানিরা জানিয়েছেন, কাস্টঘরে রতন ও পুন্ন লাল হচ্ছে ইয়াবার সবচেয়ে বড় ডিলার। তাদের কাছে গাড়িযোগে আসে ইয়াবার চালান। এক চালানে আসে কয়েক হাজার পিস ইয়াবা। সিলেট ও বাইরের জেলার ইয়াবা সিন্ডিকেট বিশেষ করে ভোরে তাদের কাছে ইয়াবার চালান দিয়ে যায়। কাস্টঘরে বসেই স্থানীয় ডিলারদের কাছে রতন ইয়াবা বিক্রি করে। প্রায় দেড় বছর আগে কথা। কাস্টঘরের মাদকের হাটে ‘ম্যাসিভ অপারেশন’ চালায় সিলেটের র্যাব। এই অভিযানে র্যাব সদস্যা প্রায় ৩০ জনের মতো মাদক বিক্রেতা ও সেবীকে গ্রেপ্তার করে। ওই অভিযানের পর কাস্টঘরের ইয়াবার হাট সম্পর্কে র্যাবের কাছে তথ্য আসে। এ নিয়ে মামলাও হয়। ওই সময় আটক করা হয়েছিল কাস্টঘরের ইয়াবার কিং রতনকে। প্রায় ৮ মাস কারান্তরীণ ছিল রতন। ওদিকে, রতন গ্রেপ্তারের পর তার ইয়াবা নেটওয়ার্ক পরিচালনা নিয়ে সংকট তৈরি হয়। এগিয়ে আসে নূপুর। পিতা রতনের ইয়াবার হাটের দায়িত্ব নেয় সে। সেই থেকে ইয়াবা নেটওয়ার্কে জড়িয়ে পড়ে নূপুর। এখন কাস্টঘরে নূপুরের ইয়াবা ব্যবসা একতরফা। তার প্রতিদ্বন্দ্বী কেউ নয়। রতন কয়েক মাস কারাবরণ করে বেরিয়ে আসে। সে বাইরে এলেও ইয়াবা নেটওয়ার্ক পরিচালনা করতো নূপুর নিজেই। পিতা রতনও কিছুটা ছলনার আশ্রয় নিয়েছেন। এখন দোকান খুলেছেন কাস্টঘরে। আর এই দোকানে বসেই তিনি মেয়ের ইয়াবা নেটওয়ার্কের তদারকি করে। অবশেষে বৃহস্পতিবার নূপুর লালও গ্রেপ্তার হয়েছে র্যাবের হাতে। র্যাব কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, নূপুর পেশাদার মাদক ব্যবসায়ী। সে শুধু ইয়াবা নয়, গাঁজাসহ হরেক রকমের মাদকের ব্যবসা করে। সন্ধ্যা নামলেই সে কলোনি ছেড়ে রাস্তায় নেমে আসে। প্রকাশ্যও চালাতো মাদক ব্যবসা। আর নূপুর গ্রেপ্তারের পর তার মাদক হাটে আতঙ্কও নেমে এসেছে।
কিন্তু ব্যবসা জমজমাট। কারান্তরীণ রতনের ব্যবসার হাল ধরবে কে- এমন প্রশ্ন তখন রতনের মাদকের হাটে। এগিয়ে এলেন নূপুর। রতনের মেয়ে। বয়স ৩০ কিংবা ৩২। স্বামীর সংসারে আছেন। পিতার সাম্রাজ্যের হাল ধরে নূপুর। ধীরে ধীরে নূপুরও হয়ে ওঠে ইয়াবা সম্রাজ্ঞী। কাস্টঘরে এক নামেই চিনে সবাই। পিতার মতোও শেষ রক্ষা হলো না নূপুরের। গ্রেপ্তার হতে হয়েছে র্যাবের হাতে। বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে র্যাব সদস্যরা তাকে কাস্টঘর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে। আর এই অভিযানের পর ফের আতঙ্ক নেমে এসেছে রতনের মাদক হাটে। গতকাল র্যাব-৯ এর মিডিয়া অফিসার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মনিরুজ্জামান স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে নূপুরকে গ্রেপ্তারের কথা জানিয়েছেন। জানানো হয়। বলা হয় বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে র্যাবের আভিযানিক দল অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মনিরুজ্জামানের নেতৃত্বে এসএমপির কোতোয়ালি থানা এলাকায় মাদক উদ্ধার ও গ্রেপ্তার অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযানে এসএমপির কোতোয়ালি থানাধীন কাস্টঘর এলাকার রাজু স্টোর’র উত্তর পার্শ্বে সিটি করপোরেশন বিল্ডিংয়ের নিচ তলায় মেইন গেটের সামনে থেকে নূপুরকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তার কাছ থেকে ৩৬০ পিস ইয়াবা, ৩৫০ পিস পুড়িয়া ও ৩শ’ গ্রাম গাঁজা উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত আলামত ও গ্রেপ্তার আসামিকে সিলেটের কোতোয়ালি থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। নূপুরের পুরো নাম নূপুর লাল। স্বামী শুক্রা লাল। পিতা রতন লাল। পিতার সাম্রাজ্য আকড়ে ধরা নূপুর সম্পর্কে স্থানীয়রা জানিয়েছেন নানা তথ্য। কাস্টঘরের নিচ তলার এক পাশে স্বামীসহ নূপুর বসবাস করে। পাশেই তার পিতার ঘর। তারা জানান, নূপুর লালের পুরো পরিবার অনেক আগে থেকেই মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। তাদের ঘর কাস্টঘরের মাদকসেবীদের কাছে পরিচিত। সন্ধ্যা নামলেই ঘরে বসে চোলাই মদের আসর। এই আসনের মধ্যমনি নূপুর লাল। নিজে বিক্রি করেন চোলাই মদ। বিয়ের আগে পিতার ঘরে থাকা অবস্থায়ও একইভাবে পিতা রতনের চোলাই মদের আসর আগলে রাখতো নূপুর। বিয়ে হওয়ার পর স্বামীর ঘরে এসে নিজে ব্যবসা শুরু করে। তবে, পিতার ব্যবসার দেখভাল করতো নূপুর নিজেই। এর মধ্যে গাঁজা ও হেরোইন ব্যবসায় জড়িয়ে পড়ে রতন লাল। কয়েক বছর রতন পাইকারি হারে হেরোইন ও গাঁজা বিক্রি করতো। এই ব্যবসায় নূপুরের তেমন হস্তক্ষেপ ছিল না। সে সংসার ও চোলাই মদের ব্যবসা চালিয়ে যেতে থাকে। মরণ নেশা ইয়াবার যুগে প্রবেশের পর রতন হেরোইন ব্যবসা ছেড়ে দেয়। প্রথম থেকেই শুরু করে ইয়াবা ব্যবসা। স্থানীয় দোকানিরা জানিয়েছেন, কাস্টঘরে রতন ও পুন্ন লাল হচ্ছে ইয়াবার সবচেয়ে বড় ডিলার। তাদের কাছে গাড়িযোগে আসে ইয়াবার চালান। এক চালানে আসে কয়েক হাজার পিস ইয়াবা। সিলেট ও বাইরের জেলার ইয়াবা সিন্ডিকেট বিশেষ করে ভোরে তাদের কাছে ইয়াবার চালান দিয়ে যায়। কাস্টঘরে বসেই স্থানীয় ডিলারদের কাছে রতন ইয়াবা বিক্রি করে। প্রায় দেড় বছর আগে কথা। কাস্টঘরের মাদকের হাটে ‘ম্যাসিভ অপারেশন’ চালায় সিলেটের র্যাব। এই অভিযানে র্যাব সদস্যা প্রায় ৩০ জনের মতো মাদক বিক্রেতা ও সেবীকে গ্রেপ্তার করে। ওই অভিযানের পর কাস্টঘরের ইয়াবার হাট সম্পর্কে র্যাবের কাছে তথ্য আসে। এ নিয়ে মামলাও হয়। ওই সময় আটক করা হয়েছিল কাস্টঘরের ইয়াবার কিং রতনকে। প্রায় ৮ মাস কারান্তরীণ ছিল রতন। ওদিকে, রতন গ্রেপ্তারের পর তার ইয়াবা নেটওয়ার্ক পরিচালনা নিয়ে সংকট তৈরি হয়। এগিয়ে আসে নূপুর। পিতা রতনের ইয়াবার হাটের দায়িত্ব নেয় সে। সেই থেকে ইয়াবা নেটওয়ার্কে জড়িয়ে পড়ে নূপুর। এখন কাস্টঘরে নূপুরের ইয়াবা ব্যবসা একতরফা। তার প্রতিদ্বন্দ্বী কেউ নয়। রতন কয়েক মাস কারাবরণ করে বেরিয়ে আসে। সে বাইরে এলেও ইয়াবা নেটওয়ার্ক পরিচালনা করতো নূপুর নিজেই। পিতা রতনও কিছুটা ছলনার আশ্রয় নিয়েছেন। এখন দোকান খুলেছেন কাস্টঘরে। আর এই দোকানে বসেই তিনি মেয়ের ইয়াবা নেটওয়ার্কের তদারকি করে। অবশেষে বৃহস্পতিবার নূপুর লালও গ্রেপ্তার হয়েছে র্যাবের হাতে। র্যাব কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, নূপুর পেশাদার মাদক ব্যবসায়ী। সে শুধু ইয়াবা নয়, গাঁজাসহ হরেক রকমের মাদকের ব্যবসা করে। সন্ধ্যা নামলেই সে কলোনি ছেড়ে রাস্তায় নেমে আসে। প্রকাশ্যও চালাতো মাদক ব্যবসা। আর নূপুর গ্রেপ্তারের পর তার মাদক হাটে আতঙ্কও নেমে এসেছে।
No comments