বাংলাদেশে ইয়াবা পাচার করছে ভারতীয় গ্যাং
বাংলাদেশ
আলোচিত মাদক ইয়াবার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেও তা বন্ধ করতে না পারায়
ধারণা করা হচ্ছিল, অভিযানের মুখে টেকনাফে ইয়াবার চিহ্নিত রুট বদলে ফেলেছে
মাদক কারবারিরা। শেষ পর্যন্ত আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সেই অনুমানই
সত্যি হচ্ছে। সম্প্রতি ঢাকায় বিপুল সংখ্যক ইয়াবাসহ ভারতীয় এক নাগরিককে
গ্রেফতারের পর এর নতুন রুট নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছেন গোয়েন্দারা।
চলতি মাসে ঢাকার রামপুরা এলাকা থেকে গ্রেফতার হওয়া আসামের স্থায়ী বাসিন্দা আব্দুস ছবুর মিয়া গোয়েন্দা জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন, তিনি আসামের একটি মাদক সিন্ডিকেট থেকে ইয়াবা কেনেন। পরে তা বাংলাদেশের কুড়িগ্রামের রৌমারী সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে নিয়ে আসেন। এরপর কুড়িগ্রামের সহযোগীদের মাধ্যমে তা ঢাকার পাইকারি কারবারিদের হাতে তুলে দেন। তিনি তো বেশ কয়েকটি চালান এনেছেনই, তার মতো আরও অনেকেই নতুন রুটে ইয়াবা পাচার করছে।
ছবুর জানিয়েছেন, আসামের ওই গ্রুপটি মিয়ানমার থেকে ইয়াবা নিয়ে আসে। তিনি তাদের কাছ থেকে প্রতি পিস ইয়াবা ৪৫ থেকে ৫০ টাকায় কেনেন। পরে তা বাংলাদেশের সিন্ডিকেটের কাছে ৬৫ টাকা দরে বিক্রি করেন। সবুরের দুই সহযোগী জাকির হোসেন এবং শামসুল আলমও গ্রেফতার হয়েছে। গত ৯ আগস্ট ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) উত্তর বিভাগ এই অভিযান চালায়।
আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তারা ইয়াবা পাচারের এই নতুন রুটের সন্ধান পেয়ে কিছুটা চিন্তায় পড়েছেন। তারা বলছেন, ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের বিশাল সীমান্ত এলাকা রয়েছে। এসব সীমান্ত দিয়ে ইয়াবা পাচার হতে থাকলে ঠেকানো কঠিন হয়ে পড়বে। এ জন্য সীমান্ত এলাকাগুলোতে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ছাড়াও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অন্য সংস্থাগুলো কঠোর নজরদারি করছে।
পুলিশের দায়িত্বশীল একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, বাংলাদেশ ও ভারত সীমান্ত পার হয়ে আসা মাদক ঠেকাতে দুই দেশ যৌথভাবে কাজ করছে। এর ফলে ফেনসিডিলের পাচার প্রায় বন্ধ হয়েছে। তবে ভারতের সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে ইয়াবা প্রবেশের তথ্য পেয়ে তারা উদ্বিগ্ন। শিগগিরই বিষয়টি ভারতের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সীমান্ত বাহিনীর দৃষ্টিতে আনা হবে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গঠিত জাতীয় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ বোর্ডের উপদেষ্টা কমিটির প্রধান উপদেষ্টা ও মাদকবিরোধী সংগঠন মানসের প্রতিষ্ঠাতা ড. অরূপ রতন চৌধুরী সমকালকে বলেন, বিভিন্ন সময়েই তথ্য পাওয়া যাচ্ছিল ভারতীয় সীমান্ত দিয়ে ইয়াবা পাচার হচ্ছে। তবে গ্রেফতারের পর ভারতীয় নাগরিক যে তথ্য দিয়েছেন, তা খুবই উদ্বেগের। এখনই বিষয়টি নিয়ে ভারতের সঙ্গে বৈঠক করা উচিত। মাদক ব্যবসায়ীদের নতুন রুট বন্ধ করতে না পারলে ইয়াবা আরও মহামারি আকার ধারণ করবে।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উত্তর বিভাগের ডিসি মশিউর রহমান সমকালকে বলেন, ইয়াবা সাধারণত মিয়ানমার থেকে টেকনাফ হয়ে ঢাকায় প্রবেশ করে। এ জন্য সবার চোখ ওই দিকেই থাকে। তবে তাদের কাছে তথ্য ছিল, ইয়াবার নতুন বাজার খুঁজতে ভারতীয় একজন নাগরিক ঢাকায় অবস্থান করছেন। সেই তথ্য নিশ্চিত হয়ে ভারতীয় পাসপোর্টসহ আব্দুস ছবুরকে গ্রেফতার করা হয়। তাকে জিজ্ঞাসাবাদে ইয়াবা পাচারের নতুন রুট সম্পর্কে চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া গেছে।
তিনি বলেন, ভারতীয় নাগরিক জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন, টেকনাফ সীমান্তে কড়াকড়ি থাকায় মিয়ানমার থেকে আসাম হয়ে কুড়িগ্রামের রৌমারী সীমান্ত দিয়ে তারা ইয়াবা পাচার করছিলেন। তার মতো আরও অনেকেই আসামের সিন্ডিকেট থেকে ইয়াবা কিনে একই পথে বাংলাদেশে পাচার করছে।
ডিবি পুলিশ জানায়, গত ৯ আগস্ট রাজধানীর রামপুরার উলন রোডে একটি বাড়ির পঞ্চমতলার ফ্ল্যাটে অভিযান চালিয়ে আব্দুস ছবুর মিয়া, জাকির হোসেন ও শামসুল আলমকে ১০ হাজার পিস ইয়াবাসহ গ্রেফতার করা হয়। পরে তাদের তিন দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে ইয়াবা পাচারের নতুন রুটের বিষয়ে তথ্য মেলে। ওই ফ্ল্যাটটির ভাড়াটিয়া জাকির হোসেন। তার বাড়ি কুড়িগ্রামের রৌমারী থানার তেকানী এলাকায়। পূর্বপরিচিত এই জাকিরের কাছেই উঠেছিলেন ভারতীয় নাগরিক ছবুর।
এ অভিযানে নেতৃত্ব দেন ডিবি-উত্তর বিভাগের এডিসি জুনায়েদ আলম সরকার। তিনি বলেন, ছবুর জানিয়েছেন, জুন ও জুলাই মাসে তিনি আসাম থেকে ইয়াবার তিনটি চালান রৌমারী হয়ে ঢাকায় পাঠিয়েছিলেন। সর্বশেষ চালানটি নিয়ে তিনি নিজেই গত মাসের ২৬ তারিখ বাংলাদেশে আসেন। ছবুর মিয়া বাংলাদেশে ইয়াবা পাইকারদের সঙ্গে সরাসরি পরিচিত হতে, বাজার যাচাই ও নতুন ক্রেতা খুঁজতে এসেছিলেন বলে জানিয়েছেন।
এই কর্মকর্তা বলেন, রৌমারীর জাকির হোসেন এক সময়ে সীমান্ত এলাকায় গরুসহ বিভিন্ন চোরাচালান করত। তার বিরুদ্ধে রৌমারী থানায় মামলাও রয়েছে। ভারতীয় নাগরিক ছবুর মিয়াও আসামে কাঁচামালের ব্যবসার আড়ালে চোরাচালানে জড়িত ছিলেন। সেখান থেকেই তাদের দু’জনের সঙ্গে পরিচয়। জাকির এখন ঢাকায় বাসা নিয়ে বসবাস করলেও রৌমারী সীমান্তে চোরাচালানের বড় একটি অংশ নিয়ন্ত্রণ করে। তার হয়ে শামসুল আলম ভারতীয় নাগরিককে ইয়াবাসহ ঢাকায় নিয়ে আসে।
ওই ভারতীয় নাগরিকের পাসপোর্ট নম্বর-এস ৭৩৬৯৯৮৪. পাসপোর্টে থাকা তথ্যানুযায়ী আব্দুস ছবুরের বাড়ি আসামের গৌহাটির কুকুরমারা, পার্ট-২ এলাকায়। তার জন্ম ২৮ সেপ্টেম্বর, ১৯৮৬ সালে। চলতি বছরের জুলাই মাসে তিনি ভারতীয় পাসপোর্ট তৈরি করেন। এরপর ২৬ জুলাই ভারতের ভারতের মানিকচর স্থলবন্দর দিয়ে কুড়িগ্রামের রৌমারী স্থলবন্দর দিয়ে বৈধভাবে ইমিগ্রেশন পার হন। গোয়েন্দাদের জিজ্ঞাসাবাদে তিনি জানিয়েছেন, ওই সময় ১০ হাজার পিস ইয়াবা তার লাগেজে কয়েকটি পুঁটলিতে ছিল।
চলতি মাসে ঢাকার রামপুরা এলাকা থেকে গ্রেফতার হওয়া আসামের স্থায়ী বাসিন্দা আব্দুস ছবুর মিয়া গোয়েন্দা জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন, তিনি আসামের একটি মাদক সিন্ডিকেট থেকে ইয়াবা কেনেন। পরে তা বাংলাদেশের কুড়িগ্রামের রৌমারী সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে নিয়ে আসেন। এরপর কুড়িগ্রামের সহযোগীদের মাধ্যমে তা ঢাকার পাইকারি কারবারিদের হাতে তুলে দেন। তিনি তো বেশ কয়েকটি চালান এনেছেনই, তার মতো আরও অনেকেই নতুন রুটে ইয়াবা পাচার করছে।
ছবুর জানিয়েছেন, আসামের ওই গ্রুপটি মিয়ানমার থেকে ইয়াবা নিয়ে আসে। তিনি তাদের কাছ থেকে প্রতি পিস ইয়াবা ৪৫ থেকে ৫০ টাকায় কেনেন। পরে তা বাংলাদেশের সিন্ডিকেটের কাছে ৬৫ টাকা দরে বিক্রি করেন। সবুরের দুই সহযোগী জাকির হোসেন এবং শামসুল আলমও গ্রেফতার হয়েছে। গত ৯ আগস্ট ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) উত্তর বিভাগ এই অভিযান চালায়।
আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তারা ইয়াবা পাচারের এই নতুন রুটের সন্ধান পেয়ে কিছুটা চিন্তায় পড়েছেন। তারা বলছেন, ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের বিশাল সীমান্ত এলাকা রয়েছে। এসব সীমান্ত দিয়ে ইয়াবা পাচার হতে থাকলে ঠেকানো কঠিন হয়ে পড়বে। এ জন্য সীমান্ত এলাকাগুলোতে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ছাড়াও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অন্য সংস্থাগুলো কঠোর নজরদারি করছে।
পুলিশের দায়িত্বশীল একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, বাংলাদেশ ও ভারত সীমান্ত পার হয়ে আসা মাদক ঠেকাতে দুই দেশ যৌথভাবে কাজ করছে। এর ফলে ফেনসিডিলের পাচার প্রায় বন্ধ হয়েছে। তবে ভারতের সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে ইয়াবা প্রবেশের তথ্য পেয়ে তারা উদ্বিগ্ন। শিগগিরই বিষয়টি ভারতের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সীমান্ত বাহিনীর দৃষ্টিতে আনা হবে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গঠিত জাতীয় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ বোর্ডের উপদেষ্টা কমিটির প্রধান উপদেষ্টা ও মাদকবিরোধী সংগঠন মানসের প্রতিষ্ঠাতা ড. অরূপ রতন চৌধুরী সমকালকে বলেন, বিভিন্ন সময়েই তথ্য পাওয়া যাচ্ছিল ভারতীয় সীমান্ত দিয়ে ইয়াবা পাচার হচ্ছে। তবে গ্রেফতারের পর ভারতীয় নাগরিক যে তথ্য দিয়েছেন, তা খুবই উদ্বেগের। এখনই বিষয়টি নিয়ে ভারতের সঙ্গে বৈঠক করা উচিত। মাদক ব্যবসায়ীদের নতুন রুট বন্ধ করতে না পারলে ইয়াবা আরও মহামারি আকার ধারণ করবে।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উত্তর বিভাগের ডিসি মশিউর রহমান সমকালকে বলেন, ইয়াবা সাধারণত মিয়ানমার থেকে টেকনাফ হয়ে ঢাকায় প্রবেশ করে। এ জন্য সবার চোখ ওই দিকেই থাকে। তবে তাদের কাছে তথ্য ছিল, ইয়াবার নতুন বাজার খুঁজতে ভারতীয় একজন নাগরিক ঢাকায় অবস্থান করছেন। সেই তথ্য নিশ্চিত হয়ে ভারতীয় পাসপোর্টসহ আব্দুস ছবুরকে গ্রেফতার করা হয়। তাকে জিজ্ঞাসাবাদে ইয়াবা পাচারের নতুন রুট সম্পর্কে চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া গেছে।
তিনি বলেন, ভারতীয় নাগরিক জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন, টেকনাফ সীমান্তে কড়াকড়ি থাকায় মিয়ানমার থেকে আসাম হয়ে কুড়িগ্রামের রৌমারী সীমান্ত দিয়ে তারা ইয়াবা পাচার করছিলেন। তার মতো আরও অনেকেই আসামের সিন্ডিকেট থেকে ইয়াবা কিনে একই পথে বাংলাদেশে পাচার করছে।
ডিবি পুলিশ জানায়, গত ৯ আগস্ট রাজধানীর রামপুরার উলন রোডে একটি বাড়ির পঞ্চমতলার ফ্ল্যাটে অভিযান চালিয়ে আব্দুস ছবুর মিয়া, জাকির হোসেন ও শামসুল আলমকে ১০ হাজার পিস ইয়াবাসহ গ্রেফতার করা হয়। পরে তাদের তিন দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে ইয়াবা পাচারের নতুন রুটের বিষয়ে তথ্য মেলে। ওই ফ্ল্যাটটির ভাড়াটিয়া জাকির হোসেন। তার বাড়ি কুড়িগ্রামের রৌমারী থানার তেকানী এলাকায়। পূর্বপরিচিত এই জাকিরের কাছেই উঠেছিলেন ভারতীয় নাগরিক ছবুর।
এ অভিযানে নেতৃত্ব দেন ডিবি-উত্তর বিভাগের এডিসি জুনায়েদ আলম সরকার। তিনি বলেন, ছবুর জানিয়েছেন, জুন ও জুলাই মাসে তিনি আসাম থেকে ইয়াবার তিনটি চালান রৌমারী হয়ে ঢাকায় পাঠিয়েছিলেন। সর্বশেষ চালানটি নিয়ে তিনি নিজেই গত মাসের ২৬ তারিখ বাংলাদেশে আসেন। ছবুর মিয়া বাংলাদেশে ইয়াবা পাইকারদের সঙ্গে সরাসরি পরিচিত হতে, বাজার যাচাই ও নতুন ক্রেতা খুঁজতে এসেছিলেন বলে জানিয়েছেন।
এই কর্মকর্তা বলেন, রৌমারীর জাকির হোসেন এক সময়ে সীমান্ত এলাকায় গরুসহ বিভিন্ন চোরাচালান করত। তার বিরুদ্ধে রৌমারী থানায় মামলাও রয়েছে। ভারতীয় নাগরিক ছবুর মিয়াও আসামে কাঁচামালের ব্যবসার আড়ালে চোরাচালানে জড়িত ছিলেন। সেখান থেকেই তাদের দু’জনের সঙ্গে পরিচয়। জাকির এখন ঢাকায় বাসা নিয়ে বসবাস করলেও রৌমারী সীমান্তে চোরাচালানের বড় একটি অংশ নিয়ন্ত্রণ করে। তার হয়ে শামসুল আলম ভারতীয় নাগরিককে ইয়াবাসহ ঢাকায় নিয়ে আসে।
ওই ভারতীয় নাগরিকের পাসপোর্ট নম্বর-এস ৭৩৬৯৯৮৪. পাসপোর্টে থাকা তথ্যানুযায়ী আব্দুস ছবুরের বাড়ি আসামের গৌহাটির কুকুরমারা, পার্ট-২ এলাকায়। তার জন্ম ২৮ সেপ্টেম্বর, ১৯৮৬ সালে। চলতি বছরের জুলাই মাসে তিনি ভারতীয় পাসপোর্ট তৈরি করেন। এরপর ২৬ জুলাই ভারতের ভারতের মানিকচর স্থলবন্দর দিয়ে কুড়িগ্রামের রৌমারী স্থলবন্দর দিয়ে বৈধভাবে ইমিগ্রেশন পার হন। গোয়েন্দাদের জিজ্ঞাসাবাদে তিনি জানিয়েছেন, ওই সময় ১০ হাজার পিস ইয়াবা তার লাগেজে কয়েকটি পুঁটলিতে ছিল।
>>>সাউথ এশিয়ান মনিটর,
No comments