জনগণের সেই মালিকানা কীভাবে আসবে: ড. কামাল
গণফোরামের
সভাপতি ড. কামাল হোসেন বলেছেন, ‘জনগণই দেশের মালিক। জাতির পিতা জনগণের এই
মালিকানা দিয়ে গেছেন, স্বীকৃতি দিয়ে গেছেন। যারা যেনতেনভাবে ক্ষমতা দখল করে
আছে, ক্ষমতার অপব্যবহার করছে, লুটপাটকে প্রশ্রয় দিচ্ছে, তারা দেশের মালিক
না।’
‘বাংলাদেশ যত দিন থাকবে, তত দিন বঙ্গবন্ধু থাকবে’ উল্লেখ করে সভায় ড. কামাল হোসেন বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন, বাংলাদেশ একটি দেশ হবে যেখানে জনগণ হবে ক্ষমতার মালিক। সেটা সংবিধানে তাঁর স্বাক্ষরিত দলিলের মধ্যে লেখা আছে। অথচ, জনগণকে বাস্তবে অধিকার বা মালিকানা থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে।’ তিনি বলেন, ‘জনগণের সেই মালিকানা কীভাবে আসবে? যদি নির্বাচন সঠিক, অবাধ, নিরপেক্ষ হয়, মানুষের ভোটাধিকার নিশ্চিত হয়, তখন মালিক হিসেবে জনগণ ও আমরা সবাই সেই মালিকানার ভূমিকা পালন করতে পারি।’
আজ শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের মানিক মিয়া হলে এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে গণফোরাম এই আলোচনা সভার আয়োজন করে।
ড. কামাল হোসেন বলেন, জনগণের স্বার্থে কাজে না লাগিয়ে যারা বঙ্গবন্ধুর নাম নিয়ে উল্টো কাজ করে, বঙ্গবন্ধুর নাম, ছবি দেখিয়ে আখের গোছাচ্ছে, তারা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ১৬ আনা বিপরীত। বঙ্গবন্ধুর সারা জীবনের লড়াই ছিল— জনগণকে এ দেশের মালিক হিসেবে দেখা। এ কারণে তাঁকে জীবনও দিতে হলো। তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ভুলে গেলে চলবে না। তাঁর আদর্শ সামনে রেখে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে, সে ঐক্য অপরিহার্য। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলাদেশ আমাদের প্রতিষ্ঠা করতেই হবে।’
বঙ্গবন্ধু যে বাংলাদেশ চেয়েছিলেন সে বাংলাদেশ আজ নেই— মন্তব্য করে গণফোরাম নেতা ও আওয়ামী লীগের সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক আবু সাইয়িদ বলেন, ‘দেশে বৈষম্য এত পরিমাণ বেড়েছে, প্রতিটা মানুষ তাতে আক্রান্ত। রাষ্ট্রীয় চার মূলনীতি— জাতীয়তাবাদ, গণতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা এবং সমাজতন্ত্র। এর কোনোটাই বাস্তবে আজ প্রতিফলিত হচ্ছে না। যারা গলা দাপিয়ে বলেন, আমরা বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠা করব, তাদের বলছি, বঙ্গবন্ধু কী চেয়েছিলেন আর আপনারা কী করছেন তা আত্মবিশ্লেষণ, আত্ম অনুসন্ধান করেন।’
দেশে গোঁজামিলের রাজনীতি চলছে মন্তব্য করে অধ্যাপক আবু সাইয়িদ বলেন, ‘আজকে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে ব্র্যান্ডিং করা হচ্ছে, ব্যবসা করা হচ্ছে। কিন্তু, তাঁর নীতি, আদর্শ মানা হচ্ছে না। এই আদর্শহীন, নীতিহীন মানুষেরা রাষ্ট্র পরিচালনা করছেন এবং করবেন। তাদের দ্বারা কখনো বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাস্তবায়িত হতে পারে না এবং সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠা হতে পারে না। এই গোঁজামিলের রাজনীতি বাদ দিয়ে আদর্শের রাজনীতি করুন।’
গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক রেজা কিবরিয়া বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু এ দেশের জনগণের জন্য, সাধারণ মানুষের আর্থিক, সামাজিক উন্নতি এবং স্বার্থ রক্ষা করার জন্য যুদ্ধ করেছিলেন। অথচ এত বছর পরও আমরা অনেক কিছুই করতে পারিনি। এখনো দেশের মানুষ মনে করে না, শাসকেরা দেশের মানুষের স্বার্থে দেশ পরিচালনা করে। এটা মানুষ ভাবে না।’
সিলেট-২ আসনের সংসদ সদস্য ও গণফোরাম নেতা মোকাব্বির খান বলেন, ‘আমরা বঙ্গবন্ধুর আদর্শ স্মরণ করি। সেই আদর্শের পরিপন্থীরা লাখ লাখ কোটি টাকা বিদেশে পাচার করছে, হাজার কোটি টাকা লুটপাট করছে। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গঠন করা সেই দিনই সম্ভব হবে, যেদিন আমরা বঙ্গবন্ধুর নীতি-আদর্শকে ধারণ করে একটি সুন্দর সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তুলব। যেখানে দুর্নীতিবাজদের কোনো ভূমিকা থাকবে না। রাষ্ট্র পরিচালনায় সৎ ব্যক্তিরা থাকবে, আইনের শাসন থাকবে।’
আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন গণফোরামের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মহসিন রশিদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মেজর (অব.) আমিন আহমেদ আফসারী প্রমুখ।
‘বাংলাদেশ যত দিন থাকবে, তত দিন বঙ্গবন্ধু থাকবে’ উল্লেখ করে সভায় ড. কামাল হোসেন বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন, বাংলাদেশ একটি দেশ হবে যেখানে জনগণ হবে ক্ষমতার মালিক। সেটা সংবিধানে তাঁর স্বাক্ষরিত দলিলের মধ্যে লেখা আছে। অথচ, জনগণকে বাস্তবে অধিকার বা মালিকানা থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে।’ তিনি বলেন, ‘জনগণের সেই মালিকানা কীভাবে আসবে? যদি নির্বাচন সঠিক, অবাধ, নিরপেক্ষ হয়, মানুষের ভোটাধিকার নিশ্চিত হয়, তখন মালিক হিসেবে জনগণ ও আমরা সবাই সেই মালিকানার ভূমিকা পালন করতে পারি।’
আজ শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের মানিক মিয়া হলে এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে গণফোরাম এই আলোচনা সভার আয়োজন করে।
ড. কামাল হোসেন বলেন, জনগণের স্বার্থে কাজে না লাগিয়ে যারা বঙ্গবন্ধুর নাম নিয়ে উল্টো কাজ করে, বঙ্গবন্ধুর নাম, ছবি দেখিয়ে আখের গোছাচ্ছে, তারা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ১৬ আনা বিপরীত। বঙ্গবন্ধুর সারা জীবনের লড়াই ছিল— জনগণকে এ দেশের মালিক হিসেবে দেখা। এ কারণে তাঁকে জীবনও দিতে হলো। তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ভুলে গেলে চলবে না। তাঁর আদর্শ সামনে রেখে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে, সে ঐক্য অপরিহার্য। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলাদেশ আমাদের প্রতিষ্ঠা করতেই হবে।’
বঙ্গবন্ধু যে বাংলাদেশ চেয়েছিলেন সে বাংলাদেশ আজ নেই— মন্তব্য করে গণফোরাম নেতা ও আওয়ামী লীগের সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক আবু সাইয়িদ বলেন, ‘দেশে বৈষম্য এত পরিমাণ বেড়েছে, প্রতিটা মানুষ তাতে আক্রান্ত। রাষ্ট্রীয় চার মূলনীতি— জাতীয়তাবাদ, গণতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা এবং সমাজতন্ত্র। এর কোনোটাই বাস্তবে আজ প্রতিফলিত হচ্ছে না। যারা গলা দাপিয়ে বলেন, আমরা বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠা করব, তাদের বলছি, বঙ্গবন্ধু কী চেয়েছিলেন আর আপনারা কী করছেন তা আত্মবিশ্লেষণ, আত্ম অনুসন্ধান করেন।’
দেশে গোঁজামিলের রাজনীতি চলছে মন্তব্য করে অধ্যাপক আবু সাইয়িদ বলেন, ‘আজকে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে ব্র্যান্ডিং করা হচ্ছে, ব্যবসা করা হচ্ছে। কিন্তু, তাঁর নীতি, আদর্শ মানা হচ্ছে না। এই আদর্শহীন, নীতিহীন মানুষেরা রাষ্ট্র পরিচালনা করছেন এবং করবেন। তাদের দ্বারা কখনো বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাস্তবায়িত হতে পারে না এবং সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠা হতে পারে না। এই গোঁজামিলের রাজনীতি বাদ দিয়ে আদর্শের রাজনীতি করুন।’
গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক রেজা কিবরিয়া বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু এ দেশের জনগণের জন্য, সাধারণ মানুষের আর্থিক, সামাজিক উন্নতি এবং স্বার্থ রক্ষা করার জন্য যুদ্ধ করেছিলেন। অথচ এত বছর পরও আমরা অনেক কিছুই করতে পারিনি। এখনো দেশের মানুষ মনে করে না, শাসকেরা দেশের মানুষের স্বার্থে দেশ পরিচালনা করে। এটা মানুষ ভাবে না।’
সিলেট-২ আসনের সংসদ সদস্য ও গণফোরাম নেতা মোকাব্বির খান বলেন, ‘আমরা বঙ্গবন্ধুর আদর্শ স্মরণ করি। সেই আদর্শের পরিপন্থীরা লাখ লাখ কোটি টাকা বিদেশে পাচার করছে, হাজার কোটি টাকা লুটপাট করছে। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গঠন করা সেই দিনই সম্ভব হবে, যেদিন আমরা বঙ্গবন্ধুর নীতি-আদর্শকে ধারণ করে একটি সুন্দর সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তুলব। যেখানে দুর্নীতিবাজদের কোনো ভূমিকা থাকবে না। রাষ্ট্র পরিচালনায় সৎ ব্যক্তিরা থাকবে, আইনের শাসন থাকবে।’
আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন গণফোরামের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মহসিন রশিদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মেজর (অব.) আমিন আহমেদ আফসারী প্রমুখ।
No comments