কাশ্মীর সফরে যাবেন রাহুল গান্ধীরা, নিষেধ করল সরকার
জম্মু-কাশ্মীরের
বাসিন্দাদের জন্য বিশেষ সুবিধা সম্বলিত ৩৭০ ধারা বাতিলের পরে উদ্ভূত
পরিস্থিতির মধ্যে আজ (শনিবার) সেরাজ্য সফরে যাবেন রাহুল গান্ধীসহ অন্য
বিরোধীদলীয় নেতারা। তবে এ কর্মসূচি প্রকাশ্যে আসতেই জম্মু-কাশ্মীর প্রশাসন
তাঁদেরকে সেখানে না যাওয়ার আবেদন জানিয়েছে।
গতকাল (শুক্রবার) দিবাগত রাতে রাজ্যের তথ্য ও জনসংযোগ দফতরের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ‘সীমান্তের ওপারের সন্ত্রাসবাদী ও বিচ্ছিন্নতাবাদীদের থেকে জম্মু-কাশ্মীরের মানুষকে নিরাপত্তা দেয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ফেরানোর প্রক্রিয়া চলছে। স্বাভাবিক জীবনযাত্রার ফেরানোর প্রক্রিয়া ব্যাঘাত ঘটানোর চেষ্টা করা উচিত নয় প্রবীণ নেতাদের। প্রশাসনের সঙ্গে সহযোগিতা করার অনুরোধ করা হচ্ছে। শ্রীনগরে এসে মানুষকে সমস্যায় ফেলবেন না। কাশ্মীরে নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘিত করা উচিত নয়। শান্তিরক্ষা ও মানুষের জীবন বাঁচানোই এখন অগ্রাধিকার। এটা বোঝার চেষ্টা করুন।’
কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর সঙ্গে আজ জম্মু-কাশ্মীরের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ও রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা গুলাম নবী আজাদ, কংগ্রেসের সিনিয়র নেতা আনন্দ শর্মা, সিপিআই মহাসচিব ডি রাজা, সিপিএম মহাসচিব সীতারাম ইয়েচুরি, ডিএমকে নেতা তিরুচি সিবা, আরজেডি’র মনোজ ঝা, তৃণমূল নেতা দীনেশ ত্রিবেদী এবং এনসিপি নেতা মজিদ মেমনের যাওয়ার কথা রয়েছে। তাঁরা রাজ্যটির বর্তমান পরিস্থিতির খোঁজখবর নেয়ার পাশপাশি স্থানীয় নেতা ও সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলবেন।
এর আগে কাশ্মীরে বিভিন্ন বিধিনিষেধ ও অনির্দিষ্টকালীন কারফিউ চলাকালীন সাধারণ মানুষের উপর নির্যাতন হচ্ছে বলে সোচ্চার হয়েছিলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। সেসময় প্রতিবাদ জানিয়ে জম্মু-কাশ্মীরের গভর্নর সত্যপাল মালিক বলেছিলেন, ‘রাহুল প্রকৃত সত্য জানেন না। আমি বিমান পাঠাচ্ছি। রাহুল এসে দেখে যান কাশ্মীরের অবস্থা।’
সঙ্গে সঙ্গে গভর্নরের সেই প্রস্তাব বা চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করে রাহুল বলেছিলেন, পরিস্থিতি একটু স্বাভাবিক হলেই তিনি যাবেন। অন্য নেতাদেরও সঙ্গে নিয়ে যাবেন। কাউকে বিমান পাঠাতে হবে না।
কংগ্রেস নেতাদের কটাক্ষ, ‘গভর্নর সত্যপাল মালিক তো নিজেই আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন রাহুলকে। সেই আমন্ত্রণ গ্রহণ করেই তিনি সেখানে যাচ্ছেন। আশাকরি গভর্নর খুশি মনেই রাহুলকে শ্রীনগরে ঢোকার অনুমতি দেবেন!’
এরআগে শ্রীনগর বিমানবন্দরে সিপিএম নেতা সীতারাম ইয়েচুরি, সিপিআই নেতা ডি রাজাদের আটকে রেখে ফেরত পাঠায় সেখানকার প্রশাসন। তাঁদেরকে শ্রীনগরের অভ্যন্তরে ঢুকতে দেয়া হয়নি। জম্মু-কাশ্মীরের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ও কংগ্রেসের সিনিয়র নেতা গুলাম নবী আজাদকেও সেখানে আটকে রেখে দিল্লিতে ফেরত পাঠানো হয়েছিল। গুলাম নবী আজাদকে গত ৮ অগস্ট শ্রীনগর বিমানবন্দর ও ২০ অগস্ট জম্মু বিমানবন্দর থেকে ফেরত পাঠানো হয়। এবার রাহুল গান্ধীদের সফরের ক্ষেত্রে সরকার কী পদক্ষেপ নেয় সেটিই দেখার।
বিরোধী নেতারা বলছেন, সরকারের দাবি সেখানকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক ও শান্ত রয়েছে। তাহলে তাঁদেরকে যেতে দিতে আপত্তি কোথায়? যদিও জম্মু-কাশ্মীর প্রশাসন রাহুল গান্ধীদের সেখানে না যাওয়ার পরামর্শ দিয়ে বিবৃতি প্রকাশ করেছে।
গতকাল (শুক্রবার) দিবাগত রাতে রাজ্যের তথ্য ও জনসংযোগ দফতরের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ‘সীমান্তের ওপারের সন্ত্রাসবাদী ও বিচ্ছিন্নতাবাদীদের থেকে জম্মু-কাশ্মীরের মানুষকে নিরাপত্তা দেয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ফেরানোর প্রক্রিয়া চলছে। স্বাভাবিক জীবনযাত্রার ফেরানোর প্রক্রিয়া ব্যাঘাত ঘটানোর চেষ্টা করা উচিত নয় প্রবীণ নেতাদের। প্রশাসনের সঙ্গে সহযোগিতা করার অনুরোধ করা হচ্ছে। শ্রীনগরে এসে মানুষকে সমস্যায় ফেলবেন না। কাশ্মীরে নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘিত করা উচিত নয়। শান্তিরক্ষা ও মানুষের জীবন বাঁচানোই এখন অগ্রাধিকার। এটা বোঝার চেষ্টা করুন।’
কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর সঙ্গে আজ জম্মু-কাশ্মীরের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ও রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা গুলাম নবী আজাদ, কংগ্রেসের সিনিয়র নেতা আনন্দ শর্মা, সিপিআই মহাসচিব ডি রাজা, সিপিএম মহাসচিব সীতারাম ইয়েচুরি, ডিএমকে নেতা তিরুচি সিবা, আরজেডি’র মনোজ ঝা, তৃণমূল নেতা দীনেশ ত্রিবেদী এবং এনসিপি নেতা মজিদ মেমনের যাওয়ার কথা রয়েছে। তাঁরা রাজ্যটির বর্তমান পরিস্থিতির খোঁজখবর নেয়ার পাশপাশি স্থানীয় নেতা ও সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলবেন।
এর আগে কাশ্মীরে বিভিন্ন বিধিনিষেধ ও অনির্দিষ্টকালীন কারফিউ চলাকালীন সাধারণ মানুষের উপর নির্যাতন হচ্ছে বলে সোচ্চার হয়েছিলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। সেসময় প্রতিবাদ জানিয়ে জম্মু-কাশ্মীরের গভর্নর সত্যপাল মালিক বলেছিলেন, ‘রাহুল প্রকৃত সত্য জানেন না। আমি বিমান পাঠাচ্ছি। রাহুল এসে দেখে যান কাশ্মীরের অবস্থা।’
সঙ্গে সঙ্গে গভর্নরের সেই প্রস্তাব বা চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করে রাহুল বলেছিলেন, পরিস্থিতি একটু স্বাভাবিক হলেই তিনি যাবেন। অন্য নেতাদেরও সঙ্গে নিয়ে যাবেন। কাউকে বিমান পাঠাতে হবে না।
কংগ্রেস নেতাদের কটাক্ষ, ‘গভর্নর সত্যপাল মালিক তো নিজেই আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন রাহুলকে। সেই আমন্ত্রণ গ্রহণ করেই তিনি সেখানে যাচ্ছেন। আশাকরি গভর্নর খুশি মনেই রাহুলকে শ্রীনগরে ঢোকার অনুমতি দেবেন!’
এরআগে শ্রীনগর বিমানবন্দরে সিপিএম নেতা সীতারাম ইয়েচুরি, সিপিআই নেতা ডি রাজাদের আটকে রেখে ফেরত পাঠায় সেখানকার প্রশাসন। তাঁদেরকে শ্রীনগরের অভ্যন্তরে ঢুকতে দেয়া হয়নি। জম্মু-কাশ্মীরের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ও কংগ্রেসের সিনিয়র নেতা গুলাম নবী আজাদকেও সেখানে আটকে রেখে দিল্লিতে ফেরত পাঠানো হয়েছিল। গুলাম নবী আজাদকে গত ৮ অগস্ট শ্রীনগর বিমানবন্দর ও ২০ অগস্ট জম্মু বিমানবন্দর থেকে ফেরত পাঠানো হয়। এবার রাহুল গান্ধীদের সফরের ক্ষেত্রে সরকার কী পদক্ষেপ নেয় সেটিই দেখার।
বিরোধী নেতারা বলছেন, সরকারের দাবি সেখানকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক ও শান্ত রয়েছে। তাহলে তাঁদেরকে যেতে দিতে আপত্তি কোথায়? যদিও জম্মু-কাশ্মীর প্রশাসন রাহুল গান্ধীদের সেখানে না যাওয়ার পরামর্শ দিয়ে বিবৃতি প্রকাশ করেছে।
গুলাম নবী আজাদ ও রাহুল গান্ধী (ফাইল ফটো) |
No comments