কাশ্মীর: ভারত সরকার বনাম মাঠের বাস্তবতা
৫
আগস্ট ভারত সরকার কাশ্মীরের স্বায়ত্তশাসন মর্যাদা বাতিল করার পর এ
ব্যাপারে কাশ্মীরবাসীর প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে পরস্পরবিরোধী খবর প্রকাশিত
হচ্ছে। নয়া দিল্লি সরকার ও কাশ্মীর রাজ্যের পুলিশ বলছে যে পরিস্থিতি শান্ত
এবং তারা কোন ধরনের প্রতিবাদ বিক্ষোভ হওয়ার কথা অস্বীকার করে। কিন্তু মাঠ
থেকে তোলা ভিডিওচিত্র এবং প্রত্যক্ষদর্শীদের বিবরণ ভিন্ন কথা বলে।
সত্যিকারের কাহিনী
পাকিস্তান ও ভারতের সীমান্ত এলাকায় কাশ্মীর অঞ্চলটি দীর্ঘদিন ধরে প্রতিবেশী দুই দেশের মধ্যে বিরোধের কারণ হয়ে আছে। ১৯৪৭ সালে ব্রিটিশদের কাছ থেকে ভারতবর্ষ স্বাধীন হওয়ার সময় মুসলিম সংখ্যাগুরু পাকিস্তান ও হিন্দু সংখ্যাগুরু ভারত রাষ্ট্রের সৃষ্টি হয়। কাশ্মীর প্রাথমিকভাবে স্বাধীন থাকতে চেয়েছিলো। কিন্তু এর হিন্দু শাসক ভূখণ্ডটি ভারতের সঙ্গে যুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেয়। তখন থেকে এ নিয়ে পাকিস্তানের সঙ্গে তিনবার যুদ্ধ করেছে ভারত। পুরো অঞ্চলের উপর এখানো নিয়ন্ত্রণ দাবি করে দুই দেশ।
রাজ্যটি ভারতের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার সিদ্ধান্ত নিলে ভারতীয় সংবিধানে ৩৭০ নং ধারা যুক্ত করা হয়। এতে কাশ্মীরকে তার নিজের আইন প্রণয়নের স্বাধীনতা দেয়া হয়। ভারত সরকারের সাম্প্রতিক সিদ্ধান্ত প্রায় সাত দশকের ইতিহাস পাল্টে দিয়েছে। কাশ্মীরের আধা-স্বায়ত্তশাসন একে নিজস্ব আইন প্রণয়নের সুযোগ এবং সেখানে বহিরাগতদের ভূসম্পত্তি কিনতে বাধা দিয়েছে। কাশ্মীরের রাজ্য মর্যাদাও কেড়ে নিয়েছে নয়া দিল্লি, একে কেন্দ্রশাসিত ভূখণ্ডে পরিণত করা হয়েছে।
এই সিদ্ধান্তের তীব্র প্রতিক্রিয়া হবে বলে আগে থেকেই ধারাণা করা হচ্ছিল। তাই ভারত সরকার কাশ্মীরের সঙ্গে যোগাযোগের সব ধরনের ব্যবস্থা তথা টেলিফোন, ইন্টারনেট, ল্যান্ডফোন, ক্যাবল টিভি লাইন বিচ্ছিন্ন করে দেয়। রাজ্যের রাস্তায় রাস্তায় হাজার হাজার নিরাপত্তা সদস্য টহল দিচ্ছে। অনেক উঁচুমাপের রাজনীতিককে গ্রেফতার করে কারাগারে রাখা হয়েছে। দুই সপ্তাহ পর কর্তৃপক্ষ কড়াকড়ি কিছুটা শিথিল করার দাবি করলেও ইন্টারনেট ও মোবাইল ফোন সার্ভিস কখন চালু হবে তা জানাতে অস্বীকার করেছে।
ভারত সরকার পরিস্থিতি শান্ত থাকার কথা বললেও ভিডিও ও অন্যান্য প্রত্যক্ষদর্শী ও মিডিয়ার বিবরণে এর উল্টোটাই দাবি করা হচ্ছে।
শুক্রবার (৯ আগস্ট) জুমা নামাজের পর সেখানে বড় ধরনের বিক্ষোভ হয়েছে কিনা সেটা বিতর্কের একটি বড় কারণ। প্রথম দিকে ভারত সরকার এ ধরনের বিক্ষোভ আদৌ হয়নি বলে দাবি করে।
কিন্তু বিবিসি যে ভিডিও প্রকাশ করে সেখানে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে গুলি ও টিয়ারগ্যাস শেল ছোঁড়ার শব্দ রয়েছে। কর্মকর্তারা পরে স্বীকার করতে বাধ্য হন যে ছররা গুলি ছোড়া হয়েছে এবং তাতে কিছু আহত হয়েছে। তারা তাজাগুলির বদলে ছররা গুলি ছোড়াকে যৌক্তিক করতে চেয়েছে।
১৮ আগস্ট এবং পরদিনও বিক্ষোভ অব্যাহত থাকে। বিক্ষোভগুলো পুরনো বলে কর্তৃপক্ষ যেন চালিয়ে দেয়ার চেষ্টা না করে সেজন্য বিক্ষোভকারীরা ইশারা ইংগিতে তারিখ লিখে রাখতে শুরু করেছে।
যোগাযোগ ব্যবস্থা সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন করে দেয়ায় কাশ্মীরের মাঠ পর্যায় থেকে ছবি ও ভিডিও বাইরে আসা খুবই কঠিন ব্যাপার। কিন্তু ৯ আগস্ট সত্যিকারে কি ঘটেছে তা জানতে ফ্যাক্ট চেকার টিম মাঠ থেকে তোলা ভিডিওর অনুসন্ধান করে এবং কাশ্মীরে সত্যিকারে কি ঘটছে তার বিস্তারিত তুলে ধরে। সরকার যদিও বিক্ষোভ হওয়ার কথা অস্বীকার করছে এবং দাবি করছে যে সেখানে শান্তি বজায় রয়েছে কিন্তু ভিডিও ফুটেজ বলছে সেই দাবি সত্য নয়।
সত্যিকারের কাহিনী
পাকিস্তান ও ভারতের সীমান্ত এলাকায় কাশ্মীর অঞ্চলটি দীর্ঘদিন ধরে প্রতিবেশী দুই দেশের মধ্যে বিরোধের কারণ হয়ে আছে। ১৯৪৭ সালে ব্রিটিশদের কাছ থেকে ভারতবর্ষ স্বাধীন হওয়ার সময় মুসলিম সংখ্যাগুরু পাকিস্তান ও হিন্দু সংখ্যাগুরু ভারত রাষ্ট্রের সৃষ্টি হয়। কাশ্মীর প্রাথমিকভাবে স্বাধীন থাকতে চেয়েছিলো। কিন্তু এর হিন্দু শাসক ভূখণ্ডটি ভারতের সঙ্গে যুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেয়। তখন থেকে এ নিয়ে পাকিস্তানের সঙ্গে তিনবার যুদ্ধ করেছে ভারত। পুরো অঞ্চলের উপর এখানো নিয়ন্ত্রণ দাবি করে দুই দেশ।
রাজ্যটি ভারতের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার সিদ্ধান্ত নিলে ভারতীয় সংবিধানে ৩৭০ নং ধারা যুক্ত করা হয়। এতে কাশ্মীরকে তার নিজের আইন প্রণয়নের স্বাধীনতা দেয়া হয়। ভারত সরকারের সাম্প্রতিক সিদ্ধান্ত প্রায় সাত দশকের ইতিহাস পাল্টে দিয়েছে। কাশ্মীরের আধা-স্বায়ত্তশাসন একে নিজস্ব আইন প্রণয়নের সুযোগ এবং সেখানে বহিরাগতদের ভূসম্পত্তি কিনতে বাধা দিয়েছে। কাশ্মীরের রাজ্য মর্যাদাও কেড়ে নিয়েছে নয়া দিল্লি, একে কেন্দ্রশাসিত ভূখণ্ডে পরিণত করা হয়েছে।
এই সিদ্ধান্তের তীব্র প্রতিক্রিয়া হবে বলে আগে থেকেই ধারাণা করা হচ্ছিল। তাই ভারত সরকার কাশ্মীরের সঙ্গে যোগাযোগের সব ধরনের ব্যবস্থা তথা টেলিফোন, ইন্টারনেট, ল্যান্ডফোন, ক্যাবল টিভি লাইন বিচ্ছিন্ন করে দেয়। রাজ্যের রাস্তায় রাস্তায় হাজার হাজার নিরাপত্তা সদস্য টহল দিচ্ছে। অনেক উঁচুমাপের রাজনীতিককে গ্রেফতার করে কারাগারে রাখা হয়েছে। দুই সপ্তাহ পর কর্তৃপক্ষ কড়াকড়ি কিছুটা শিথিল করার দাবি করলেও ইন্টারনেট ও মোবাইল ফোন সার্ভিস কখন চালু হবে তা জানাতে অস্বীকার করেছে।
ভারত সরকার পরিস্থিতি শান্ত থাকার কথা বললেও ভিডিও ও অন্যান্য প্রত্যক্ষদর্শী ও মিডিয়ার বিবরণে এর উল্টোটাই দাবি করা হচ্ছে।
শুক্রবার (৯ আগস্ট) জুমা নামাজের পর সেখানে বড় ধরনের বিক্ষোভ হয়েছে কিনা সেটা বিতর্কের একটি বড় কারণ। প্রথম দিকে ভারত সরকার এ ধরনের বিক্ষোভ আদৌ হয়নি বলে দাবি করে।
কিন্তু বিবিসি যে ভিডিও প্রকাশ করে সেখানে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে গুলি ও টিয়ারগ্যাস শেল ছোঁড়ার শব্দ রয়েছে। কর্মকর্তারা পরে স্বীকার করতে বাধ্য হন যে ছররা গুলি ছোড়া হয়েছে এবং তাতে কিছু আহত হয়েছে। তারা তাজাগুলির বদলে ছররা গুলি ছোড়াকে যৌক্তিক করতে চেয়েছে।
১৮ আগস্ট এবং পরদিনও বিক্ষোভ অব্যাহত থাকে। বিক্ষোভগুলো পুরনো বলে কর্তৃপক্ষ যেন চালিয়ে দেয়ার চেষ্টা না করে সেজন্য বিক্ষোভকারীরা ইশারা ইংগিতে তারিখ লিখে রাখতে শুরু করেছে।
যোগাযোগ ব্যবস্থা সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন করে দেয়ায় কাশ্মীরের মাঠ পর্যায় থেকে ছবি ও ভিডিও বাইরে আসা খুবই কঠিন ব্যাপার। কিন্তু ৯ আগস্ট সত্যিকারে কি ঘটেছে তা জানতে ফ্যাক্ট চেকার টিম মাঠ থেকে তোলা ভিডিওর অনুসন্ধান করে এবং কাশ্মীরে সত্যিকারে কি ঘটছে তার বিস্তারিত তুলে ধরে। সরকার যদিও বিক্ষোভ হওয়ার কথা অস্বীকার করছে এবং দাবি করছে যে সেখানে শান্তি বজায় রয়েছে কিন্তু ভিডিও ফুটেজ বলছে সেই দাবি সত্য নয়।
No comments