মঙ্গলে সিলিকাসমৃদ্ধ পাথরের সন্ধান
মঙ্গলগ্রহের মাউন্ট শার্প এলাকায় ভূতাত্ত্বিক স্তর নিয়ে গবেষণা করছে কিউরিওসিটি নামের একটি রোবট। |
মঙ্গলগ্রহে
যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা—নাসার পাঠানো রোবটযান কিউরিওসিটি
সিলিকাসমৃদ্ধ রহস্যময় পাথরের সন্ধান পেয়েছে। নাসার গবেষকেরা বলছেন,
এগুলোতে পাথর গঠনের উপাদান সিলিকন ও অক্সিজেন রয়েছে। পৃথিবীতে যা সচরাচর
এটা কোয়ার্টজে দেখা যায়।
মঙ্গলগ্রহে ৪০ মাস ধরে ভূতাত্ত্বিক বিভিন্ন স্তর নিয়ে গবেষণা করছে কিউরিওসিটি। এর মধ্যে গত সাত মাসে যে এলাকার মাটি পর্যবেক্ষণ করছে, সেখানেই কিছু জায়গায় বেশি ঘনত্বের সিলিকার সন্ধান পেয়েছে কিউরিওসিটি।
যুক্তরাষ্ট্রে নাসার জেট প্রপালশন ল্যাবরেটরির কিউরিওসিটি গবেষণা দলের সদস্য অ্যালবার্ট ইয়েন দাবি করেছেন, সিলিকাসমৃদ্ধ পাথরগুলো ধাঁ ধাঁর মতো। এই অবস্থা দেখে মনে হয়েছে এগুলো হয়তো পানির কারণে হয়েছে। অ্যাসিডযুক্ত পানি সিলিকা রেখে অন্য উপাদান নিয়ে সরে গেছে। ইয়েন বলেন, আমরা নিশ্চিত তথ্যটি জানতে পারলে মঙ্গলের আদি পরিবেশ সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যাবে।
এর আগে কিউরিওসিটি একটি পাথর খুঁড়ে বাকস্কিন নামে এক ধরনের সিলিকার সন্ধান পেয়েছিল। ট্রাইডিমাইট নামের এক ধরনের খনিজে এই সিলিকা থাকে যা পৃথিবীতে দুর্লভ। আগ্নেয় শিলায় অতি উচ্চ তাপমাত্রায় ট্রাইডিমাইটের উৎপত্তি হতে পারে। বাকস্কিনে ট্রাইডিমাইটের সন্ধান পাওয়ার বিষয়টিকে মঙ্গলগ্রহে ম্যাগমাটিক বিবর্তনের ইতিহাস বহন করছে বলে গবেষকেরা মনে করেন।
কিউরিওসিটি বর্তমানে মঙ্গলগ্রহের হ্রদ, নদী এলাকার প্রাচীন পরিবেশ কেমন ছিল তা বের করতে কাজ করছে। কিউরিওসিটির প্রকল্প পরিচালক অশ্বিন ভাসাভাদা বলেন, ‘মাউন্ট শার্পে আমরা এখন যা দেখছি তা গত দুই বছরের চেয়ে অনেক আলাদা। খুব স্বল্প দূরত্বের মধ্যেও বিশাল পার্থক্য দেখা যায়। মঙ্গলের রসায়ন যেভাবে পরিবর্তন হয়েছে,এখনকার খোঁজ পাওয়া সিলিকা তারই নিদর্শন।’ তথ্যসূত্র: এনডিটিভি।
মঙ্গলগ্রহে ৪০ মাস ধরে ভূতাত্ত্বিক বিভিন্ন স্তর নিয়ে গবেষণা করছে কিউরিওসিটি। এর মধ্যে গত সাত মাসে যে এলাকার মাটি পর্যবেক্ষণ করছে, সেখানেই কিছু জায়গায় বেশি ঘনত্বের সিলিকার সন্ধান পেয়েছে কিউরিওসিটি।
যুক্তরাষ্ট্রে নাসার জেট প্রপালশন ল্যাবরেটরির কিউরিওসিটি গবেষণা দলের সদস্য অ্যালবার্ট ইয়েন দাবি করেছেন, সিলিকাসমৃদ্ধ পাথরগুলো ধাঁ ধাঁর মতো। এই অবস্থা দেখে মনে হয়েছে এগুলো হয়তো পানির কারণে হয়েছে। অ্যাসিডযুক্ত পানি সিলিকা রেখে অন্য উপাদান নিয়ে সরে গেছে। ইয়েন বলেন, আমরা নিশ্চিত তথ্যটি জানতে পারলে মঙ্গলের আদি পরিবেশ সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যাবে।
এর আগে কিউরিওসিটি একটি পাথর খুঁড়ে বাকস্কিন নামে এক ধরনের সিলিকার সন্ধান পেয়েছিল। ট্রাইডিমাইট নামের এক ধরনের খনিজে এই সিলিকা থাকে যা পৃথিবীতে দুর্লভ। আগ্নেয় শিলায় অতি উচ্চ তাপমাত্রায় ট্রাইডিমাইটের উৎপত্তি হতে পারে। বাকস্কিনে ট্রাইডিমাইটের সন্ধান পাওয়ার বিষয়টিকে মঙ্গলগ্রহে ম্যাগমাটিক বিবর্তনের ইতিহাস বহন করছে বলে গবেষকেরা মনে করেন।
কিউরিওসিটি বর্তমানে মঙ্গলগ্রহের হ্রদ, নদী এলাকার প্রাচীন পরিবেশ কেমন ছিল তা বের করতে কাজ করছে। কিউরিওসিটির প্রকল্প পরিচালক অশ্বিন ভাসাভাদা বলেন, ‘মাউন্ট শার্পে আমরা এখন যা দেখছি তা গত দুই বছরের চেয়ে অনেক আলাদা। খুব স্বল্প দূরত্বের মধ্যেও বিশাল পার্থক্য দেখা যায়। মঙ্গলের রসায়ন যেভাবে পরিবর্তন হয়েছে,এখনকার খোঁজ পাওয়া সিলিকা তারই নিদর্শন।’ তথ্যসূত্র: এনডিটিভি।
No comments