পাঁচ মিনিটেই সোনিয়া-রাহুলের জামিন by সৌম্য বন্দ্যোপাধ্যায়
পাঁচ মিনিটেই জামিন পেলেন সোনিয়া ও রাহুল গান্ধী। তাঁদের সঙ্গে জামিন পেলেন ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় অভিযুক্ত অন্যরাও।
জামিন পাওয়ার পরেই রাহুল বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মিথ্যা অভিযোগ এনে ভাবছেন আমরা মাথা ঝোঁকাব। কিন্তু আমরা এক ইঞ্চি পিছু হটব না। আমাদের লড়াই জারি থাকবে।’ সোনিয়া বলেন, ‘সরকারি সংস্থাগুলি দিয়ে আমাদের ভয় দেখানো হচ্ছে। আমরা কিন্তু ভীত নই। সত্য ঠিক প্রকাশিত হবে।’
জামিনের বিরোধিতা করে মামলাকারী বিজেপি নেতা সুব্রক্ষ্মন্যম স্বামী বলেছিলেন, অভিযুক্তরা যেন আদালতের অনুমতি নিয়ে বিদেশ যাত্রা করেন। মেট্রোপলিটান ম্যাজিস্ট্রেট লাভলিন সেই আবেদন অগ্রাহ্য করেন। প্রত্যেক অভিযুক্তকে ব্যক্তিগত ৫০ হাজার রুপির জামিন দিয়ে বিচারপতি জানান, পরবর্তী শুনানি ২০ ফেব্রুয়ারি। তবে অভিযুক্তরা কেউই ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে অব্যাহতি পাওয়ার আবেদন জানাননি।
সুব্রক্ষ্মন্যম স্বামী সংবাদমাধ্যমকে বলেন, আগামী বছরের মধ্যেই তিনি এই মামলা জিতবেন। সোনিয়া ও রাহুলসহ সব অভিযুক্তকেই ন্যাশনাল হেরাল্ড সংবাদপত্রের সম্পত্তি হাতানো ও জালিয়াতির অভিযোগে জেলে যেতে হবে।
অন্যদিকে এই মামলাকে বিজেপির রাজনৈতিক চক্রান্ত ও প্রতিহিংসাপরায়ণতা বলে অভিহিত করেছে কংগ্রেস। ফলে, আইনি লড়াইয়ের পাশাপাশি তারা রাজনৈতিক লড়াইও চালিয়ে যাচ্ছে। শনিবার সকাল থেকেই তাই দলে দলে হাজারো মানুষকে কংগ্রেস সদর দপ্তরে জড়ো হতে দেখা গেছে। রাজ্যে রাজ্যেও কংগ্রেস বিক্ষোভ সমাবেশ করে। তবে কংগ্রেস কর্মীদের স্পষ্ট বলে দেওয়া হয়েছিল তারা যেন আদালতের সামনে জড়ো না হন, আদালতের বিরুদ্ধে কোনো বিক্ষোভ না দেখান। বেলা তিনটার একটু আগেই সোনিয়া ও রাহুলের সঙ্গে অন্য তিন অভিযুক্ত কংগ্রেসের কোষাধ্যক্ষ মোতিলাল ভোরা, অস্কার ফার্নান্ডেজ ও সুমন দুবে পাটিয়ালা হাউস কোর্টে হাজির হন। ষষ্ঠ অভিযুক্ত শ্যাম পিত্রোদা অসুস্থতাজনিত কারণে হাজিরা দিতে পারেননি।
সোনিয়াদের সঙ্গেই আদালতে যান শীর্ষ কংগ্রেস নেতারা। সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং, প্রিয়াঙ্কা ভডেরা, গুলাম নবি আজাদ, শীলা দীক্ষিত, অম্বিকা সোনি, এ কে অ্যান্টনিদের দেখা যায় সোনিয়া-রাহুলের মতোই আদালতের বাইরে গাড়ি থেকে নেমে হেঁটে ঢুকতে। আদালতের ভেতর ও বাইরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল জোরদার। আদালত কক্ষে বাইরের লোকজনের প্রবেশ নিষিদ্ধ ছিল। এমনকি কোর্ট সাংবাদিক ছাড়া অন্যদের প্রবেশও ছিল নিষিদ্ধ। সোনিয়ার হয়ে জামিনের বন্ডে সই করেন এ কে অ্যান্টনি, রাহুলের জন্য প্রিয়াঙ্কা।
জামিন পাওয়ার পর কংগ্রেস নেতারা সবাই চলে যান আকবর রোডে কংগ্রেস সদর দপ্তরে। সেখানে সোনিয়া বলেন, ‘কংগ্রেসের ওপর আক্রমণ বহু বছর ধরে চলে আসছে। বিরোধীদের বিরুদ্ধে এই সরকার সব সরকারি সংস্থাকে লেলিয়ে দিয়েছে। কিন্তু আমরা ভয় পাই না। আমাদের লড়াই চলবে।’
সোনিয়া নাম না করলেও রাহুল সরাসরি নরেন্দ্র মোদির নাম করে তোপ দাগেন। বলেন, ‘এটা রাজনৈতিক প্রতিহিংসা ছাড়া আর কিছু নয়। মিথ্যা অভিযোগ এনে উনি ভাবছেন আমরা মাথা ঝোঁকাব। আমি কিংবা আমরা মাথা ঝোঁকাব না। দেশের জন্য, দেশের দরিদ্রদের জন্য আমি ও আমাদের দল সব সময় কাজ করে যাব। কেউ আমাদের আটকাতে পারবে না।’
সুব্রক্ষ্মন্যম স্বামীর অভিযোগ যে রাজনৈতিক এবং এই মামলার আসল মুখ যে নরেন্দ্র মোদি, শনিবার সকাল থেকেই কংগ্রেস তা বলতে শুরু করে। দলের শীর্ষ নেতারা স্পষ্ট বলেন, ‘স্বামী হলেন মুখোশ, মুখ হচ্ছেন মোদি।’ এ কথাও বলা হয়, সাংসদ না হলেও শুক্রবারই স্বামীকে একটা সরকারি বাংলো দেওয়া হয়েছে, তাঁকে জেড শ্রেণির নিরাপত্তাও দেওয়া হয়েছে। ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলার জন্যই এই দাক্ষিণ্য।
বিজেপি অবশ্য আগাগোড়াই এই মামলার সঙ্গে তাদের কোনো সম্পর্ক না থাকার কথা বলে আসছে। যদিও তারা এ কথাও বলছে, সোনিয়া ও রাহুল বেআইনিভাবে ন্যাশনাল হেরাল্ডের সম্পত্তি হাতিয়ে নিয়েছেন এবং সে জন্য আদালত তাঁদের দোষী সাব্যস্ত করবে। বিজেপির নেতা ও মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ দলীয় সংশ্রব না থাকার কথা জানিয়ে রাহুলকে এক হাত নেন। বলেন, ‘রাহুল ডাহা মিথ্যেবাদী।’
বিজেপি মুখপাত্র মুখতার আব্বাস নাকভি বলেন, ‘কংগ্রেস ও দুর্নীতি আজও সমার্থক। ওদের ঔদ্ধত্যই ওদের সর্বনাশ ঘটাবে।’
জামিন পাওয়ার পরেই রাহুল বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মিথ্যা অভিযোগ এনে ভাবছেন আমরা মাথা ঝোঁকাব। কিন্তু আমরা এক ইঞ্চি পিছু হটব না। আমাদের লড়াই জারি থাকবে।’ সোনিয়া বলেন, ‘সরকারি সংস্থাগুলি দিয়ে আমাদের ভয় দেখানো হচ্ছে। আমরা কিন্তু ভীত নই। সত্য ঠিক প্রকাশিত হবে।’
জামিনের বিরোধিতা করে মামলাকারী বিজেপি নেতা সুব্রক্ষ্মন্যম স্বামী বলেছিলেন, অভিযুক্তরা যেন আদালতের অনুমতি নিয়ে বিদেশ যাত্রা করেন। মেট্রোপলিটান ম্যাজিস্ট্রেট লাভলিন সেই আবেদন অগ্রাহ্য করেন। প্রত্যেক অভিযুক্তকে ব্যক্তিগত ৫০ হাজার রুপির জামিন দিয়ে বিচারপতি জানান, পরবর্তী শুনানি ২০ ফেব্রুয়ারি। তবে অভিযুক্তরা কেউই ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে অব্যাহতি পাওয়ার আবেদন জানাননি।
সুব্রক্ষ্মন্যম স্বামী সংবাদমাধ্যমকে বলেন, আগামী বছরের মধ্যেই তিনি এই মামলা জিতবেন। সোনিয়া ও রাহুলসহ সব অভিযুক্তকেই ন্যাশনাল হেরাল্ড সংবাদপত্রের সম্পত্তি হাতানো ও জালিয়াতির অভিযোগে জেলে যেতে হবে।
অন্যদিকে এই মামলাকে বিজেপির রাজনৈতিক চক্রান্ত ও প্রতিহিংসাপরায়ণতা বলে অভিহিত করেছে কংগ্রেস। ফলে, আইনি লড়াইয়ের পাশাপাশি তারা রাজনৈতিক লড়াইও চালিয়ে যাচ্ছে। শনিবার সকাল থেকেই তাই দলে দলে হাজারো মানুষকে কংগ্রেস সদর দপ্তরে জড়ো হতে দেখা গেছে। রাজ্যে রাজ্যেও কংগ্রেস বিক্ষোভ সমাবেশ করে। তবে কংগ্রেস কর্মীদের স্পষ্ট বলে দেওয়া হয়েছিল তারা যেন আদালতের সামনে জড়ো না হন, আদালতের বিরুদ্ধে কোনো বিক্ষোভ না দেখান। বেলা তিনটার একটু আগেই সোনিয়া ও রাহুলের সঙ্গে অন্য তিন অভিযুক্ত কংগ্রেসের কোষাধ্যক্ষ মোতিলাল ভোরা, অস্কার ফার্নান্ডেজ ও সুমন দুবে পাটিয়ালা হাউস কোর্টে হাজির হন। ষষ্ঠ অভিযুক্ত শ্যাম পিত্রোদা অসুস্থতাজনিত কারণে হাজিরা দিতে পারেননি।
সোনিয়াদের সঙ্গেই আদালতে যান শীর্ষ কংগ্রেস নেতারা। সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং, প্রিয়াঙ্কা ভডেরা, গুলাম নবি আজাদ, শীলা দীক্ষিত, অম্বিকা সোনি, এ কে অ্যান্টনিদের দেখা যায় সোনিয়া-রাহুলের মতোই আদালতের বাইরে গাড়ি থেকে নেমে হেঁটে ঢুকতে। আদালতের ভেতর ও বাইরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল জোরদার। আদালত কক্ষে বাইরের লোকজনের প্রবেশ নিষিদ্ধ ছিল। এমনকি কোর্ট সাংবাদিক ছাড়া অন্যদের প্রবেশও ছিল নিষিদ্ধ। সোনিয়ার হয়ে জামিনের বন্ডে সই করেন এ কে অ্যান্টনি, রাহুলের জন্য প্রিয়াঙ্কা।
জামিন পাওয়ার পর কংগ্রেস নেতারা সবাই চলে যান আকবর রোডে কংগ্রেস সদর দপ্তরে। সেখানে সোনিয়া বলেন, ‘কংগ্রেসের ওপর আক্রমণ বহু বছর ধরে চলে আসছে। বিরোধীদের বিরুদ্ধে এই সরকার সব সরকারি সংস্থাকে লেলিয়ে দিয়েছে। কিন্তু আমরা ভয় পাই না। আমাদের লড়াই চলবে।’
সোনিয়া নাম না করলেও রাহুল সরাসরি নরেন্দ্র মোদির নাম করে তোপ দাগেন। বলেন, ‘এটা রাজনৈতিক প্রতিহিংসা ছাড়া আর কিছু নয়। মিথ্যা অভিযোগ এনে উনি ভাবছেন আমরা মাথা ঝোঁকাব। আমি কিংবা আমরা মাথা ঝোঁকাব না। দেশের জন্য, দেশের দরিদ্রদের জন্য আমি ও আমাদের দল সব সময় কাজ করে যাব। কেউ আমাদের আটকাতে পারবে না।’
সুব্রক্ষ্মন্যম স্বামীর অভিযোগ যে রাজনৈতিক এবং এই মামলার আসল মুখ যে নরেন্দ্র মোদি, শনিবার সকাল থেকেই কংগ্রেস তা বলতে শুরু করে। দলের শীর্ষ নেতারা স্পষ্ট বলেন, ‘স্বামী হলেন মুখোশ, মুখ হচ্ছেন মোদি।’ এ কথাও বলা হয়, সাংসদ না হলেও শুক্রবারই স্বামীকে একটা সরকারি বাংলো দেওয়া হয়েছে, তাঁকে জেড শ্রেণির নিরাপত্তাও দেওয়া হয়েছে। ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলার জন্যই এই দাক্ষিণ্য।
বিজেপি অবশ্য আগাগোড়াই এই মামলার সঙ্গে তাদের কোনো সম্পর্ক না থাকার কথা বলে আসছে। যদিও তারা এ কথাও বলছে, সোনিয়া ও রাহুল বেআইনিভাবে ন্যাশনাল হেরাল্ডের সম্পত্তি হাতিয়ে নিয়েছেন এবং সে জন্য আদালত তাঁদের দোষী সাব্যস্ত করবে। বিজেপির নেতা ও মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ দলীয় সংশ্রব না থাকার কথা জানিয়ে রাহুলকে এক হাত নেন। বলেন, ‘রাহুল ডাহা মিথ্যেবাদী।’
বিজেপি মুখপাত্র মুখতার আব্বাস নাকভি বলেন, ‘কংগ্রেস ও দুর্নীতি আজও সমার্থক। ওদের ঔদ্ধত্যই ওদের সর্বনাশ ঘটাবে।’
No comments