খাল ও কালভার্ট ভরাট করে আ.লীগ কার্যালয়, দোকান by সুমন মোল্লা
কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলার রসুলপুর গ্রামে চলছে কালভার্ট ও খাল ভরাট। ছবি -প্রথম আলো |
কিশোরগঞ্জের
ভৈরব উপজেলার সাকেদপুর ইউনিয়নের রসুলপুর গ্রামের এক পাশে কালী নদী ও অপর
পাশে মেঘনা। গ্রামের বুক চিড়ে বয়ে চলা একটি খালের দুই পাড় মিলেছে দুই
নদীতে। একটি কালভার্টের মাধ্যমে পানিপ্রবাহ ঠিক রেখে করা হয়েছে সড়ক। এখন
ওই খাল ও কালভার্ট ভরাট করে নির্মাণ করা হচ্ছে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের
কার্যালয় ও দোকানপাট।
এলাকাবাসী বলেন, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ফজলুল হক, কর্মী মো. নুরুজ্জামান ও ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান তোফাজ্জাল হোসেনের নেতৃত্বে এক বছর আগ থেকে ধীরে ধীরে খালটি ভরাট করে ফেলা হয়। এরই মধ্যে ভরাট করা জায়গায় ১৩টি আধপাকা দোকানঘর তৈরি করে পজেশন বিক্রি করা হয়ে গেছে।
জানতে চাইলে ভৈরবের সহকারী কমিশনার (ভূমি) চিত্রা শিকারি প্রথম আলোকে বলেন, কোনোভাবেই খাল ভরাটের সুযোগ নেই। প্রশাসনকে না জানিয়ে এটা করা হয়েছে। যত দ্রুত সম্ভব দোকানপাট উচ্ছেদ করে খালের স্বাভাবিকতা ফিরিয়ে আনা হবে।
এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এক যুগ আগেও এই খাল দিয়ে বড় নৌকা চলত। খালের কল্যাণেই সেটি ঘেঁষে চকবাজার প্রতিষ্ঠা হয়। প্রায় এক বছর আগে খালটি ভরাটের পরিকল্পনা করেন ওই তিন নেতা। পরে তাঁরা গ্রামবাসীকে নিয়ে সভা করেন। সভা থেকে গ্রামবাসীকে বোঝানো হয়, এখন সড়কপথ উন্নত হয়েছে। নৌকার প্রয়োজন নেই। তা ছাড়া গ্রামঘেঁষা গভীর খালটি বাড়িঘর ভাঙনের কারণ হতে পারে। লাগোয়া ঈদগাহটির সম্প্রসারণের জন্য খাল ভরাট জরুরি। গ্রামবাসী তাঁদের কথায় সায় দেন।
কথা হয় ভরাটে নেতৃত্ব দেওয়া মো. নুরুজ্জামানের সঙ্গে। কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ‘না বুনজাইয়া করুম কী। এমনিতেই বুইনজা গেছিল।’
গত বুধবার সেরজমিেন দেখা যায়, আওয়ামী লীগ নেতা ফজলুল হক, কর্মী আ. মালেক, ছেতু মোল্লা, আ. হামিদ, নুরু মিয়া, মো. হানিফ, হেলিম মিয়া, শিরু মিয়া, সাজিদ মিয়া, নুরুল হক, ছিদ্দিক মিয়া; বিএনপির কর্মী নুরুল হক মৌলভি ও ইউসুফ আলী দোকানের পজেশন কিনেছেন। প্রথম পজেশনটি-ই রাখা হয়েছে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের জন্য। নির্মাণকাজ চলছে।
জানা গেছে, রসুলপুর চকবাজার পরিচালনা কমিটির মাধ্যমে পজেশন বিক্রি করা হয়। ফজলুল হক পরিচালনা কমিটির সভাপতি। প্রাপ্ত আয়ের একটি অংশ দিয়ে খাল ভরাটের ব্যয় নির্বাহ করা হয়। আর বড় অংশ যায় নেতাদের পকেটে।
ভরাটস্থলের মুদি দোকানি জামাল ভূঁইয়া জানান, তিনি ভাড়া নিয়েছেন শিরু মিয়ার কাছ থেকে। তিনি স্বীকার করেন, ভরাট হওয়ার কারণে কয়েকজনের লাভ হলেও পুরো গ্রামের লোকজনেরই ক্ষতি হয়েছে। বিশেষ করে কৃষি ও পরিবেশের।
দলীয় কার্যালয় নির্মাণের কথা স্বীকার করেন ফজলুল হক। ‘খালটি কোনো কাজে আসছিল না। লোকজন মলমূত্র ফেলত।’ —ভরাটের পক্ষে এই ছিল ওই নেতার যুক্তি। পজেশন বিক্রির টাকা নেননি বলে তিনি দাবি করেন। নিয়ম অনুযায়ী খাল ভরাট করতে পারেন কি না, এমন প্রশ্নে ফজলুল হক বিব্রতবোধ করেন।
খাল ভরাটে নেতৃত্বে থাকার কথা সরাসরি অস্বীকার করেছেন চেয়ারম্যান তোফাজ্জল হোসেন। জনপ্রতিনিধি হিসেবে ভরাট বন্ধে কোনো উদ্যোগ নিয়েছিলেন কি না, এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘আমি ক্ষমতাসীন দলের কেউ না। আমার কথা কে শুনে? নীরব থাকতে বাধ্য হয়েছি।’ চেয়ারম্যান হিসেবে তাঁকে একটি দোকান বরাদ্দ দিলেও তিনি তা গ্রহণ করেননি বলে দাবি করেন।
এলাকাবাসী বলেন, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ফজলুল হক, কর্মী মো. নুরুজ্জামান ও ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান তোফাজ্জাল হোসেনের নেতৃত্বে এক বছর আগ থেকে ধীরে ধীরে খালটি ভরাট করে ফেলা হয়। এরই মধ্যে ভরাট করা জায়গায় ১৩টি আধপাকা দোকানঘর তৈরি করে পজেশন বিক্রি করা হয়ে গেছে।
জানতে চাইলে ভৈরবের সহকারী কমিশনার (ভূমি) চিত্রা শিকারি প্রথম আলোকে বলেন, কোনোভাবেই খাল ভরাটের সুযোগ নেই। প্রশাসনকে না জানিয়ে এটা করা হয়েছে। যত দ্রুত সম্ভব দোকানপাট উচ্ছেদ করে খালের স্বাভাবিকতা ফিরিয়ে আনা হবে।
এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এক যুগ আগেও এই খাল দিয়ে বড় নৌকা চলত। খালের কল্যাণেই সেটি ঘেঁষে চকবাজার প্রতিষ্ঠা হয়। প্রায় এক বছর আগে খালটি ভরাটের পরিকল্পনা করেন ওই তিন নেতা। পরে তাঁরা গ্রামবাসীকে নিয়ে সভা করেন। সভা থেকে গ্রামবাসীকে বোঝানো হয়, এখন সড়কপথ উন্নত হয়েছে। নৌকার প্রয়োজন নেই। তা ছাড়া গ্রামঘেঁষা গভীর খালটি বাড়িঘর ভাঙনের কারণ হতে পারে। লাগোয়া ঈদগাহটির সম্প্রসারণের জন্য খাল ভরাট জরুরি। গ্রামবাসী তাঁদের কথায় সায় দেন।
কথা হয় ভরাটে নেতৃত্ব দেওয়া মো. নুরুজ্জামানের সঙ্গে। কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ‘না বুনজাইয়া করুম কী। এমনিতেই বুইনজা গেছিল।’
গত বুধবার সেরজমিেন দেখা যায়, আওয়ামী লীগ নেতা ফজলুল হক, কর্মী আ. মালেক, ছেতু মোল্লা, আ. হামিদ, নুরু মিয়া, মো. হানিফ, হেলিম মিয়া, শিরু মিয়া, সাজিদ মিয়া, নুরুল হক, ছিদ্দিক মিয়া; বিএনপির কর্মী নুরুল হক মৌলভি ও ইউসুফ আলী দোকানের পজেশন কিনেছেন। প্রথম পজেশনটি-ই রাখা হয়েছে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের জন্য। নির্মাণকাজ চলছে।
জানা গেছে, রসুলপুর চকবাজার পরিচালনা কমিটির মাধ্যমে পজেশন বিক্রি করা হয়। ফজলুল হক পরিচালনা কমিটির সভাপতি। প্রাপ্ত আয়ের একটি অংশ দিয়ে খাল ভরাটের ব্যয় নির্বাহ করা হয়। আর বড় অংশ যায় নেতাদের পকেটে।
ভরাটস্থলের মুদি দোকানি জামাল ভূঁইয়া জানান, তিনি ভাড়া নিয়েছেন শিরু মিয়ার কাছ থেকে। তিনি স্বীকার করেন, ভরাট হওয়ার কারণে কয়েকজনের লাভ হলেও পুরো গ্রামের লোকজনেরই ক্ষতি হয়েছে। বিশেষ করে কৃষি ও পরিবেশের।
দলীয় কার্যালয় নির্মাণের কথা স্বীকার করেন ফজলুল হক। ‘খালটি কোনো কাজে আসছিল না। লোকজন মলমূত্র ফেলত।’ —ভরাটের পক্ষে এই ছিল ওই নেতার যুক্তি। পজেশন বিক্রির টাকা নেননি বলে তিনি দাবি করেন। নিয়ম অনুযায়ী খাল ভরাট করতে পারেন কি না, এমন প্রশ্নে ফজলুল হক বিব্রতবোধ করেন।
খাল ভরাটে নেতৃত্বে থাকার কথা সরাসরি অস্বীকার করেছেন চেয়ারম্যান তোফাজ্জল হোসেন। জনপ্রতিনিধি হিসেবে ভরাট বন্ধে কোনো উদ্যোগ নিয়েছিলেন কি না, এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘আমি ক্ষমতাসীন দলের কেউ না। আমার কথা কে শুনে? নীরব থাকতে বাধ্য হয়েছি।’ চেয়ারম্যান হিসেবে তাঁকে একটি দোকান বরাদ্দ দিলেও তিনি তা গ্রহণ করেননি বলে দাবি করেন।
No comments