পাচারের আসামিই পার্কের পাখি-রক্ষক by কমল জোহা খান @প্রথম আলো
প্রাণী পাচারের মামলার এক আসামিকে গাজীপুরের বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কের পশুপাখি দেখভালের দায়িত্ব দিয়েছে বন বিভাগ। বন সংরক্ষক তপন কুমার দের দাবি, ওই ব্যক্তি পশুপাখি পালনে 'নিবেদিতপ্রাণ' ও 'অভিজ্ঞ'। দায়িত্ব পাওয়া ওই ব্যক্তি হলেন নাজমুল হুদা। জানা গেছে, ২০১৩ সালের ৩ জানয়ারি ঢাকায় শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ১৭০টি বন্যপ্রাণী ও পাখি আটক করেছিল আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন)। এ ঘটনায় নাজমুল হুদাকে আসামি করে বিমানবন্দর থানায় বন্যপ্রাণী আইনে একটি মামলা করেন বন পরিদর্শক সোহেল রানা। মামলার তদন্তকারী বিমানবন্দর থানার উপপরিদর্শক শফিকুল ইসলাম জানান, মামলাটির চার্জশিট গত ৩১ অক্টোবর আদালতে জমা দেওয়া হয়েছে। তবে কোনো শুনানি হয়নি। নাজমুল হুদার দাবি, মামলায় মিথ্যা অভিযোগে তাঁকে জড়ানো হয়েছে।
এদিকে ২০১৩ সালের ১৪ জানুয়ারি হাইকোর্ট থেকে জামিন নেন নাজমুল হুদা। এর পর দরপত্র ছাড়াই বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কের প্রাণী দেখভালের দায়িত্ব পায় নাজমুলের মালিকানাধীন রাজু ট্রেডার্স। সাফারি পার্কে ম্যাকাও ল্যান্ড, অ্যাকুরিয়াম, প্যাডেল বোট রাইডিং, ময়ূর শেড, শকুন, ধনেশ ও প্যারট অ্যাভিয়ারি টিকিট বিক্রি করছে প্রতিষ্ঠানটি। এ ছাড়া ফেন্সি ডাক গার্ডেনের দেখাশোনা করছে রাজু ট্রেডার্স। সাফারি পার্কের বেশ কিছু বন্যপ্রাণী সরবরাহ করেছে তারা। ময়ূর, ধনেশ ও প্যারট অ্যাভিয়ারি এবং প্যাডেল বোটের দরপত্র আহ্বান করা হয় গত ৪ নভেম্বর। তবে এর যাচাই-বাছাইপ্রক্রিয়া এখনো শেষ হয়নি। এসব প্রক্রিয়ার আগেই বন সংরক্ষক তপন কুমার দে রাজু ট্রেডার্সকে সাতটি প্রাণীর শেড তত্ত্বাবধানের দায়িত্ব দিয়েছেন। বন বিভাগের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার মতে, বন সংরক্ষক তপন কুমার দের একক সিদ্ধান্তে ছয়টি শেডের টিকিট বিক্রি করছে রাজু ট্রেডার্স।
সরেজমিনে দেখা গেছে, একেকটি শেডের প্রবেশমূল্য ১০ টাকা। তারিখ, ক্রমিক নম্বর ছাড়া টিকিট বিক্রি হচ্ছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বন বিভাগের কয়েকজন কর্মকর্তা জানান, বন্যপ্রাণী কেনাবেচার কাজ সাফারি পার্কের ভেতর থেকেই করছে রাজু ট্রেডার্স। তাই পাখির সংখ্যা বাড়ে আর কমে। এ ব্যাপারে বন সংরক্ষক ও বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কের পরিচালক তপন কুমার দের দাবি, রাজু ট্রেডার্সের বিরুদ্ধে মামলা খারিজ হয়ে গেছে। মামলার অভিযোগপত্রের প্রসঙ্গ তুলতে তিনি বলেন, 'ব্যবসা করতে গেলে তো মামলা হবেই। প্রাণীদের কত যত্ন করে ওরা (রাজু ট্রেডার্স)'। দরপত্র ছাড়া রাজু ট্রেডার্সকে প্রাণী দেখভালের দায়িত্ব দেওয়া সম্পর্কে বন সংরক্ষক তপন কুমার দে বলেন, 'চলার পথে ভুলত্রুটি হতেই পারে।' বন সংরক্ষক তপন কুমার দের সঙ্গে বন্যপ্রাণী পাচারকারীদের সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ এর আগেও উঠেছিল। ২০১২ সালের ১২ জুন র্যাবের একটি ভ্রাম্যমাণ আদালত শ্যামলীর একটি বাসা তিনটি বাঘের বাচ্চা উদ্ধার করে। এর সঙ্গে জড়িত আসামি জাকির হোসেন আদালতে জানান, তপন কুমার দে (মহাখালী বন অফিসে বসে) তাঁদের কাছে লিখিত দিয়ে বাঘসহ বন্যপ্রাণী এক স্থান থেকে অন্য স্থানে পাঠাতেন। তবে তপন কুমার দে আদালতের কাছে এ অভিযোগ অস্বীকার করেছিলেন।
এদিকে ২০১৩ সালের ১৪ জানুয়ারি হাইকোর্ট থেকে জামিন নেন নাজমুল হুদা। এর পর দরপত্র ছাড়াই বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কের প্রাণী দেখভালের দায়িত্ব পায় নাজমুলের মালিকানাধীন রাজু ট্রেডার্স। সাফারি পার্কে ম্যাকাও ল্যান্ড, অ্যাকুরিয়াম, প্যাডেল বোট রাইডিং, ময়ূর শেড, শকুন, ধনেশ ও প্যারট অ্যাভিয়ারি টিকিট বিক্রি করছে প্রতিষ্ঠানটি। এ ছাড়া ফেন্সি ডাক গার্ডেনের দেখাশোনা করছে রাজু ট্রেডার্স। সাফারি পার্কের বেশ কিছু বন্যপ্রাণী সরবরাহ করেছে তারা। ময়ূর, ধনেশ ও প্যারট অ্যাভিয়ারি এবং প্যাডেল বোটের দরপত্র আহ্বান করা হয় গত ৪ নভেম্বর। তবে এর যাচাই-বাছাইপ্রক্রিয়া এখনো শেষ হয়নি। এসব প্রক্রিয়ার আগেই বন সংরক্ষক তপন কুমার দে রাজু ট্রেডার্সকে সাতটি প্রাণীর শেড তত্ত্বাবধানের দায়িত্ব দিয়েছেন। বন বিভাগের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার মতে, বন সংরক্ষক তপন কুমার দের একক সিদ্ধান্তে ছয়টি শেডের টিকিট বিক্রি করছে রাজু ট্রেডার্স।
সরেজমিনে দেখা গেছে, একেকটি শেডের প্রবেশমূল্য ১০ টাকা। তারিখ, ক্রমিক নম্বর ছাড়া টিকিট বিক্রি হচ্ছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বন বিভাগের কয়েকজন কর্মকর্তা জানান, বন্যপ্রাণী কেনাবেচার কাজ সাফারি পার্কের ভেতর থেকেই করছে রাজু ট্রেডার্স। তাই পাখির সংখ্যা বাড়ে আর কমে। এ ব্যাপারে বন সংরক্ষক ও বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কের পরিচালক তপন কুমার দের দাবি, রাজু ট্রেডার্সের বিরুদ্ধে মামলা খারিজ হয়ে গেছে। মামলার অভিযোগপত্রের প্রসঙ্গ তুলতে তিনি বলেন, 'ব্যবসা করতে গেলে তো মামলা হবেই। প্রাণীদের কত যত্ন করে ওরা (রাজু ট্রেডার্স)'। দরপত্র ছাড়া রাজু ট্রেডার্সকে প্রাণী দেখভালের দায়িত্ব দেওয়া সম্পর্কে বন সংরক্ষক তপন কুমার দে বলেন, 'চলার পথে ভুলত্রুটি হতেই পারে।' বন সংরক্ষক তপন কুমার দের সঙ্গে বন্যপ্রাণী পাচারকারীদের সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ এর আগেও উঠেছিল। ২০১২ সালের ১২ জুন র্যাবের একটি ভ্রাম্যমাণ আদালত শ্যামলীর একটি বাসা তিনটি বাঘের বাচ্চা উদ্ধার করে। এর সঙ্গে জড়িত আসামি জাকির হোসেন আদালতে জানান, তপন কুমার দে (মহাখালী বন অফিসে বসে) তাঁদের কাছে লিখিত দিয়ে বাঘসহ বন্যপ্রাণী এক স্থান থেকে অন্য স্থানে পাঠাতেন। তবে তপন কুমার দে আদালতের কাছে এ অভিযোগ অস্বীকার করেছিলেন।
No comments