সন্ধ্যার জয়ে অনেক বাধা
মেদেনীপুরে নির্বাচনী সমাবেশে তৃণমূলের প্রার্থী সন্ধ্যা রায় ছবি: ভাস্কর মুখার্জি |
ভারতের লোকসভা নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গে চতুর্থ দফার নির্বাচনে আগামী বুধবার ভোট হবে ছয়টি আসনে। এর মধ্যে সবার নজর থাকবে মেদিনীপুর, বাঁকুড়া ও আসানসোল আসনে। মেদিনীপুর আসনে তৃণমূলের টিকিটে লড়ছেন অভিনেত্রী সন্ধ্যা রায় এবং বাঁকুড়ায় মহানায়িকা সুচিত্রা সেনের মেয়ে অভিনেত্রী মুনমুন সেন। আসানসোলে লড়ছেন বিজেপির টিকিটে বলিউডের প্রখ্যাত সংগীতশিল্পী বাবুল সুপ্রিয়। সন্ধ্যা রায় প্রবীণ অভিনেত্রী। ৭৩ বছর বয়সী এই অভিনেত্রী এই প্রথম মমতার ডাকে রাজনীতিতে নেমেছেন। মনোনয়ন পেয়েছেন মেদেনীপুর আসনে। নির্বাচনী প্রচারণায় রোড শোতে আগ্রহ নেই তাঁর। কর্মিসভা করছেন, আর মমতার নামে ভোট চাইছেন। এই আসনে তাঁর প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ৬৮ বছর বয়সী বামফ্রন্টের প্রার্থী ও বর্তমান সাংসদ প্রবোধ পান্ডা। এ ছাড়া রয়েছেন কংগ্রেসের বিমলকুমার রাজ ও বিজেপির প্রভাকর তিওয়ারি। বামদের আসন হিসেবে পরিচিত মেদিনীপুরে সন্ধ্যা রায়কে কঠিন লড়াইয়ের মুখোমুখি হতে হচ্ছে। ২০০৯ সালের নির্বাচনে এই আসনে মাত্র ৪৮ হাজার ১৭ ভোটের ব্যবধানে জিতেছিলেন প্রবোধ পান্ডা।
প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন কংগ্রেস-তৃণমূল জোটের প্রার্থী দীপক কুমার ঘোষ। এবার এই আসনে প্রবোধ পান্ডার সঙ্গে সন্ধ্যা রায়ের তীব্র লড়াই হবে। মমতার নামে এই ভোটে সন্ধ্যা রায় পার পাবেন কি না, তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে সংশয়ও রয়েছে। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকেরা মনে করছেন, মোদি হাওয়ায় ভালো ভোট টানবে বিজেপি। কংগ্রেসও কিছু ভোট পাবে। তা ছাড়া বামদলের আগে থেকেই এখানে শক্ত অবস্থান রয়েছে। জয়ের মাপকাঠিতে সন্ধ্যা রায়কে এগিয়ে রাখা হলেও তাঁকে কঠিন লড়াই করে জিততে হবে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা বলছেন, সারদা কেলেঙ্কারি, প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগে ব্যাপক দুর্নীতি নিয়ে জেরবার হচ্ছে নির্বাচনী ময়দান। নির্বাচনী ময়দানে এর প্রভাব পড়লে সন্ধ্যা রায়ের জয়ের পথ কণ্টকাকীর্ণ হয়ে পড়তে পারে। আবার বয়সের কারণে তিনি প্রচারণায়ও ততটা যুক্ত হতে পারেননি। রয়েছে তৃণমূলের গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব। ফলে সন্ধ্যা রায়ের জয়ের পথ বারবার বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
No comments