সংঘর্ষের রেশ কাটেনি চট্টগ্রামের রেয়াজুদ্দিন বাজারে ১৪৪ ধারা অব্যাহত
চট্টগ্রাম অফিস চট্টগ্রামে হকার ও ব্যবসায়ীদের সংঘর্ষের পর সিএমপি কমিশনার কর্তৃক মেট্রো আইনে জারিকৃত ১৪৪ ধারা এখনও অব্যাহত রয়েছে। শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যনত্ম দেখা গেছে অর্ধশতাধিক পুলিশ রেয়াজুদ্দিন বাজার এলাকা ঘিরে কড়া পাহারায় রয়েছে।
এদিকে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে র্যাব সদস্যরাও ঘন ঘন এ এলাকা টহল দিচ্ছে। ব্যবসায়ীদের একটি সূত্রে অভিযোগ পাওয়া গেছে, জামায়াতী সংশিস্নষ্টতা থাকার কারণে ব্যবসায়ীদের সমিতি থেকে হকার উচ্ছেদের উস্কানি এ ধরনের ঘটনার উৎস। অপরদিকে, হকাররা শুক্রবার সকালে চট্টগ্রাম প্রেসকাব চত্বরে সাংবাদিক সম্মেলনসহ প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করেছে।বুধবার বিকেলে নগরীর রেয়াজুদ্দিন বাজারে পণ্যবাহী একটি ট্রাক প্রবেশের ঘটনাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনা শুরম্ন হয়। সংঘর্ষটি প্রথমে ব্যবসায়ী ও হকারদের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলেও পরবতর্ীতে পুলিশ নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে এ সংঘর্ষের শিকার হয়। দফায় দফায় পুলিশ বিষয়টি নিয়ন্ত্রণে আনলেও পরবতর্ীতে থেমে থেমে আবারও সংঘর্ষে জড়ায় দু'টি পৰ। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যনত্ম ধাওয়া পাল্টাধাওয়ার ঘটনাসহ সংঘর্ষ বেড়ে গেলে ব্যবসায়ী ও হকারদের তা-ব বন্ধ করতে পুলিশী হসত্মৰেপ জোরদার করা হয়। এরই সূত্র ধরে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টায় মেট্রো আইনে সিএমপি কমিশনার রেয়াজুদ্দিন বাজার বণিক সমিতি ও হকার সমিতির সদস্যদের দমাতে ১৪৪ ধারা জারি করেন। এরপর থেকে বিপুল পরিমাণ পুলিশ বিশাল এ মার্কেট এলাকাকে ঘিরে কড়া পাহারায় রয়েছে। এদিকে র্যাবের পৃথক টিম ঘন ঘন এলাকায় টহল দিচ্ছে। তবে শুক্রবার মার্কেট বন্ধের নির্ধারিত দিন থাকায় ১৪৪ ধারা কতটুকু বাসত্মবায়ন হয়েছে তা বোঝা না গেলেও শনিবার মার্কেট খোলার দিনে বিষয়টি খোলাসা হবে। এ ব্যাপারে সিএমপির এক পুলিশ কর্মকর্তা জানান, ১৪৪ ধারা জারির পর আর কোন সংঘর্ষ হয়নি। শুধু তাই নয়, রেয়াজুদ্দিন বাজারের কাঁচা বাজার ছাড়া অন্য সকল দোকানপাট বন্ধ রাখতে বাধ্য করা হয়েছে। অন্যথায় সংঘর্ষ আবারও শুরম্ন হলে লুটতরাজের ঘটনাও ঘটতে পারে।
এদিকে হকারদের একটি পৰ জানিয়েছে, জামায়াতের উস্কানিতে এ ধরনের ঘটনার উদ্ভব। দীর্ঘ প্রায় দুই যুগ ধরে ফুটপাথকেন্দ্রিক হতদরিদ্র ব্যবসায়ীরা ব্যবসা করে আসছিল। একটি নির্দিষ্ট দিনকে কেন্দ্র করে রেয়াজুদ্দিন বাজার বণিক সমিতির জামায়াতপন্থী নেতারা এ ধরনের ঘটনা ঘটতে উস্কানি দিয়েছে। শুক্রবার সকালে চট্টগ্রাম প্রেসকাব চত্বরে হকারদের পৰ থেকে সংবাদ সম্মেলনসহ ব্যবসায়ীদের বিরম্নদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার দাবি জানানো হয়। সে সঙ্গে হকারদের ২০ লাখ টাকার মালামাল লুট ও ৫০ লাখ টাকার পণ্য আগুনে পুড়িয়ে দেয়ায় ৰতিপূরণ দাবি করা হয়।
No comments