সাঈদীর বিরুদ্ধে আবার যুক্তি দিচ্ছে রাষ্ট্রপক্ষ
জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আবার যুক্তি উপস্থাপন শুরু করেছে রাষ্ট্রপক্ষ। এর মধ্য দিয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন মামলাগুলোর মধ্যে কার্যক্রম শেষ হওয়া প্রথম মামলাটির যুক্তি উপস্থাপন নতুন করে শুরু হলো।
বিচারপতি এ টি এম ফজলে কবীরের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-১-এ গতকাল যুক্তি উপস্থাপন করেন রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি সৈয়দ হায়দার আলী। প্রথম দিনে তিনি সাঈদীর বিরুদ্ধে গঠিত ২০টি অভিযোগের মধ্যে ১১টির পক্ষে যুক্তি দেন। প্রতিটি ঘটনার সমর্থনে তিনি রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষীদের সাক্ষ্য তুলে ধরেন এবং এর সঙ্গে সম্পর্কিত নথি বা আলামত হিসেবে দাখিল করা প্রদর্শনী উল্লেখ করেন। সাঈদীর বিরুদ্ধে প্রদর্শনীর সংখ্যা ২৫৯টি। আজ সোমবার বাকি নয়টি অভিযোগের বিষয়ে যুক্তি তুলে ধরবেন সৈয়দ হায়দার আলী।
গত বছরের ৬ ডিসেম্বর এই মামলা কার্যক্রম শেষে রায়ের অপেক্ষায় ছিল। কিন্তু ১১ ডিসেম্বর ট্রাইব্যুনাল-১-এর চেয়ারম্যানের পদ থেকে বিচারপতি নিজামুল হক সরে দাঁড়ান। বিচারপতি এ টি এম ফজলে কবীরকে চেয়ারম্যান করে ট্রাইব্যুনাল পুনর্গঠন করা হলে আসামিপক্ষ মামলাটি পুনর্বিচারের আবেদন করে। ৩ জানুয়ারি ট্রাইব্যুনাল পুনর্বিচারের আবেদন খারিজ করলেও নতুন করে যুক্তি উপস্থাপনের নির্দেশ দেন। ওই আদেশে বলা হয়, যেহেতু ট্রাইব্যুনাল পুনর্গঠিত হয়েছে, সে জন্য সাঈদীর বিরুদ্ধে মামলায় আবার যুক্তি উপস্থাপন করতে হবে। ১৩ ও ১৪ জানুয়ারি রাষ্ট্রপক্ষ যুক্তি দেবে, ১৫ থেকে ১৭ জানুয়ারি যুক্তি দেবে আসামিপক্ষ। দুই পক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে রাষ্ট্রপক্ষ আইনি বিষয়ে যুক্তি উপস্থাপনের জন্য এক ঘণ্টা সময় পাবে। ওই আদেশ অনুসারে রাষ্ট্রপক্ষ গতকাল যুক্তি উপস্থাপন শুরু করেছে।
২০১১ সালের ৭ ডিসেম্বর সাঈদীর বিরুদ্ধে মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়। রাষ্ট্রপক্ষের ২৮ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আসামিপক্ষের ১৭ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য নেওয়া হয়। গত বছরের ২৩ অক্টোবর দুই পক্ষের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়। ৫ নভেম্বর থেকে ৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত দুই পক্ষ যুক্তি উপস্থাপন করেছিল।
পুনর্বিচারসংক্রান্ত আদেশ পুনর্বিবেচনার আবেদন: জামায়াতের সাবেক আমির গোলাম আযম, বর্তমান আমির মতিউর রহমান নিজামী ও সাঈদীর বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলা পুনর্বিচারসংক্রান্ত আদেশ পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) জন্য গতকাল আবেদন করেছে আসামিপক্ষ। এসব আবেদন শুনানির জন্য আজ সোমবার দিন ধার্য করা হয়েছে। ৩ জানুয়ারি এই মামলা তিনটি পুনর্বিচারের আবেদন খারিজ করে আদেশ দিয়েছিলেন ট্রাইব্যুনাল-১।
এদিকে সাঈদীর পক্ষে তাঁর আইনজীবীরা গতকাল আরও ছয়টি আবেদন জমা দিয়েছেন। এগুলোর মধ্যে রয়েছে: রাষ্ট্রপক্ষের ২৮তম সাক্ষী ও তদন্ত কর্মকর্তা মো. হেলালউদ্দিন এবং আসামিপক্ষের ১৩তম সাক্ষীকে আবারও জেরা করার অনুমতি, আসামিপক্ষের প্রদর্শনী-১-এ নতুন একটি নথি উপস্থাপন, সাক্ষী হাজিরের জন্য দেওয়া সমন দেখার আবেদন, আসামি সাঈদীকে বক্তব্য দেওয়ার সুযোগ, আসামিপক্ষের যুক্তি উপস্থাপনের সময় বাড়ানো প্রভৃতি।
গত বছরের ৬ ডিসেম্বর এই মামলা কার্যক্রম শেষে রায়ের অপেক্ষায় ছিল। কিন্তু ১১ ডিসেম্বর ট্রাইব্যুনাল-১-এর চেয়ারম্যানের পদ থেকে বিচারপতি নিজামুল হক সরে দাঁড়ান। বিচারপতি এ টি এম ফজলে কবীরকে চেয়ারম্যান করে ট্রাইব্যুনাল পুনর্গঠন করা হলে আসামিপক্ষ মামলাটি পুনর্বিচারের আবেদন করে। ৩ জানুয়ারি ট্রাইব্যুনাল পুনর্বিচারের আবেদন খারিজ করলেও নতুন করে যুক্তি উপস্থাপনের নির্দেশ দেন। ওই আদেশে বলা হয়, যেহেতু ট্রাইব্যুনাল পুনর্গঠিত হয়েছে, সে জন্য সাঈদীর বিরুদ্ধে মামলায় আবার যুক্তি উপস্থাপন করতে হবে। ১৩ ও ১৪ জানুয়ারি রাষ্ট্রপক্ষ যুক্তি দেবে, ১৫ থেকে ১৭ জানুয়ারি যুক্তি দেবে আসামিপক্ষ। দুই পক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে রাষ্ট্রপক্ষ আইনি বিষয়ে যুক্তি উপস্থাপনের জন্য এক ঘণ্টা সময় পাবে। ওই আদেশ অনুসারে রাষ্ট্রপক্ষ গতকাল যুক্তি উপস্থাপন শুরু করেছে।
২০১১ সালের ৭ ডিসেম্বর সাঈদীর বিরুদ্ধে মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়। রাষ্ট্রপক্ষের ২৮ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আসামিপক্ষের ১৭ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য নেওয়া হয়। গত বছরের ২৩ অক্টোবর দুই পক্ষের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়। ৫ নভেম্বর থেকে ৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত দুই পক্ষ যুক্তি উপস্থাপন করেছিল।
পুনর্বিচারসংক্রান্ত আদেশ পুনর্বিবেচনার আবেদন: জামায়াতের সাবেক আমির গোলাম আযম, বর্তমান আমির মতিউর রহমান নিজামী ও সাঈদীর বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলা পুনর্বিচারসংক্রান্ত আদেশ পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) জন্য গতকাল আবেদন করেছে আসামিপক্ষ। এসব আবেদন শুনানির জন্য আজ সোমবার দিন ধার্য করা হয়েছে। ৩ জানুয়ারি এই মামলা তিনটি পুনর্বিচারের আবেদন খারিজ করে আদেশ দিয়েছিলেন ট্রাইব্যুনাল-১।
এদিকে সাঈদীর পক্ষে তাঁর আইনজীবীরা গতকাল আরও ছয়টি আবেদন জমা দিয়েছেন। এগুলোর মধ্যে রয়েছে: রাষ্ট্রপক্ষের ২৮তম সাক্ষী ও তদন্ত কর্মকর্তা মো. হেলালউদ্দিন এবং আসামিপক্ষের ১৩তম সাক্ষীকে আবারও জেরা করার অনুমতি, আসামিপক্ষের প্রদর্শনী-১-এ নতুন একটি নথি উপস্থাপন, সাক্ষী হাজিরের জন্য দেওয়া সমন দেখার আবেদন, আসামি সাঈদীকে বক্তব্য দেওয়ার সুযোগ, আসামিপক্ষের যুক্তি উপস্থাপনের সময় বাড়ানো প্রভৃতি।
No comments