ছাত্রদল ক্যাডার পাশা তিন দিনের রিমান্ডে- অস্ত্র উদ্ধার
ছাত্রদল ক্যাডার পাশাকে ৩ দিনের রিমান্ডে নিয়েছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদলের দু'গ্রম্নপের সংঘর্ষে অনত্মত ১০ অস্ত্রধারী ছাত্রদল ক্যাডার অংশ নিয়েছিল। হামলাকারী ক্যাডারদের হাতে মারাত্মক ধরনের শক্তিশালী আগ্নেয়াস্ত্র ছিল।
ছাত্রদলের শীর্ষ নেতাদের নির্দেশেই ক্যাডাররা মারাত্মক অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে হামলা চালিয়েছিল। সময়মতো শৃঙ্খলা বাহিনী ঘটনাস্থলে উপস্থিত না হতে পারলে দু' চারটা লাশ পড়ে যাওয়া বিচিত্র ছিল না। পরে খুনের দায়টি ৰমতাসীন দলের ঘাড়ে চাপানোর কথা ছিল। এদিকে পাশার বিরম্নদ্ধে অস্ত্র আইনে পৃথক মামলা হয়েছে। এনিয়ে পাশার বিরম্নদ্ধে ২টি মামলা হলো।গোয়েন্দা সূত্র জানায়, জোট সরকারের সাবেক শিৰা উপমন্ত্রী এ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম পিন্টু ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় গ্রেফতার হওয়ায় তার ভাই সুলতান সালাউদ্দিন মাহমুদ টুকুকে ছাত্রদলের সভাপতি করা হয়। এ নিয়ে ছাত্রদলের ভিতরে দীর্ঘদিন ধরেই দ্বন্দ্ব চলছিল। তার জের ধরেই গত ১৮ জানুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদলের দু'গ্রম্নপের মধ্যে রক্তৰয়ী সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে ছাত্রদল ক্যাডার শহিদুজ্জামান পরশ ওরফে পাশাকে অস্ত্র হাতে দেখা যায়।
গত বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী কমিশনার মোঃ শহীদুলস্নাহর নেতৃত্বে একদল চৌকষ গোয়েন্দা পাশাকে মাতুয়াইল এলাকা থেকে গ্রেফতার করে। পরে পাশার তথ্যমতে রাজধানীর কদমতলী থানাধীন দৰিণ ধনিয়ার ১৪৭৪ নম্বর বাড়ি থেকে সংঘর্ষে ব্যবহৃত ৭ রাউন্ড গুলিভর্তি রিভলবারটি উদ্ধার করা হয়। এ ব্যাপারে পাশার বিরম্নদ্ধে রাজধানীর কদমতলী থানায় অস্ত্র আইনে একটি মামলা হয়েছে। এই নিয়ে পাশার বিরম্নদ্ধে ২টি মামলা হলো। সংঘর্ষের দিন শাহবাগ থানায় দায়েরকৃত মামলায়ও পাশাকে আসামি করা হয়েছে। এছাড়া সংঘর্ষের সময় ব্যবহৃত একটি মোবাইল ফোন উদ্ধার হয়েছে। মোবাইল ফোনের কললিস্ট যাচাই বাছাই চলছে। গোয়েন্দারা হন্যে হয়ে খুঁজছে সংঘর্ষের মূল কারিগরদের। পাশাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য শুক্রবার ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করে সিএমএম আদালতের বিচারক একেএম এমদাদুল হকের এজলাসে সোপর্দ করা হয়। শুনানি শেষে বিচারক ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
গোয়েন্দা সূত্র জানায়, রক্তৰয়ী সংঘর্ষের পর পাশা ওই বাড়িতে আশ্রয় নেয়। এতদিন ছদ্মনামে আশপাশের বাড়িতে আত্মগোপনে ছিল সে। যে বাড়ি থেকে পাশাকে গ্রেফতার করা হয় সে বাড়ির মালিক সবজি ব্যবসায়ী। ওই বাড়িতে পাশা আশ্রয়ে ছিল, না কারো পরিচয়ে আত্মগোপনে ছিল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। রক্তৰয়ী সংঘর্ষে অনত্মত ১০ জন ছাত্রদল ক্যাডার অংশ নেয়। সবাই ছাত্রদলের অস্ত্রধারী ক্যাডার। ওই দিন ছাত্রদলের ক্যাডারদের কাছে মারাত্মক ধরনের আগ্নেয়াস্ত্র ছিল। সময়মতো শৃঙ্খলা বাহিনী উপস্থিত না হলে দু' চারটা লাশ পড়ে যাওয়া বিচিত্র ছিল না। ছাত্রদলের শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের এমনই নির্দেশ ছিল। পরবর্তীতে খুনের দায়টি ৰমতাসীন দলের ঘাড়ে চাপানোর কথা ছিল। তবে সংঘর্ষের পেছনে অন্য আরও কোন উদ্দেশ্য ছিল কি-না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী কমিশনার মোঃ শহীদুলস্নাহ জনকণ্ঠকে জানান।
No comments