শুধুই সাফল্য, কোনো ব্যর্থতা নেই?- জাতির উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী
বর্তমান সরকার মেয়াদের শেষ বছরে এসেছে। এ সময়ে সরকার কী করতে পেরেছে বা পারেনি, তার মূল্যায়ন জরুরি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর সরকারের চার বছর পূর্তি উপলক্ষে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে সরকারের নানা কর্মকাণ্ড ও সাফল্য তুলে ধরেছেন।
একই সঙ্গে উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে ভবিষ্যতেও তাঁর সরকারকে ক্ষমতায় রাখার জন্য জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। বছর খানেক বাদে যে নির্বাচন, তাকে সামনে রেখে প্রধানমন্ত্রী এ ধরনের বক্তব্য দেবেন, এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু নির্বাচনকালীন সরকারের কাঠামো নিয়ে জনগণের মধ্যে উদ্বেগ রয়েছে, সে ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য প্রত্যাশিত ছিল। অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণটি শুধু সরকারের সাফল্যের বয়ানের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল; ব্যর্থতার দিকটি স্বীকার করে ভবিষ্যতে তা দূর করার প্রত্যয় থাকলে ভাষণটি পূর্ণতা পেত।
সংবিধানে এখন তত্ত্বাবধায়ক সরকার বলে কিছু নেই। অন্যদিকে প্রধান বিরোধী দল বলছে, এ ধরনের সরকার ছাড়া তারা নির্বাচনে যাবে না। নির্বাচন করতে না দেওয়ার ঘোষণাও এসেছে তাদের তরফে। এই পরিস্থিতিতে জনগণ সংঘাত ও সহিংসতার শঙ্কায় ভীত। এ ব্যাপারে সরকার ও বিরোধী দলের মধ্যে একটি সমঝোতা হোক, সেটাই তাঁদের চাওয়া। আমরা আশা করেছিলাম, এ ধরনের একটি উদ্বেগজনক পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী তাঁর সরকারের অবস্থান, ভাবনা বা সমঝোতার ক্ষেত্রে কী করা যায়, সে ব্যাপারে দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য দেবেন। কিন্তু তিনি প্রসঙ্গটি এড়িয়ে গেছেন। ফলে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ জনগণকে কোনো স্বস্তির বার্তা দিতে পারেনি।
আর্থসামাজিক ক্ষেত্রে বাংলাদেশ যে সামনের দিকে এগিয়ে চলছে, তা সবাই মানছেন। বিভিন্ন সামাজিক সূচকে বাংলাদেশ পাশের অনেক দেশের তুলনায় বেশ অগ্রগতি অর্জন করেছে। অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে দেশ যেভাবে এগোচ্ছে, তাতে সামনে উজ্জ্বল ভবিষ্যতেরই ইঙ্গিত রয়েছে। আন্তর্জাতিকভাবেও এ ধরনের সম্ভাবনার কথা বলা হচ্ছে। এই সাফল্যের কৃতিত্ব সরকার নিশ্চয়ই নিতে পারে। তবে একই সঙ্গে এটাও মানতে হবে যে ধারাবাহিকতা ছাড়া হঠাৎ এই উন্নয়ন হয়নি, ফলে এ ক্ষেত্রে একক কৃতিত্ব দাবি করার সুযোগ নেই। রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা, দুর্নীতি, সুশাসনের অভাব, সন্ত্রাস ও দলীয়করণ—এসব যেভাবে শিকড় গেড়েছে দেশটিতে, তার কিছুই উপড়ানো যায়নি। বর্তমান সরকার গত চার বছরে এমন কিছু দেখাতে পারেনি, যাতে এসব দূর করার ক্ষেত্রে তাদের আন্তরিকতার প্রমাণ পাওয়া যাবে।
প্রধানমন্ত্রী তথ্য ও পরিসংখ্যান দিয়ে বিভিন্ন ক্ষেত্রে তাঁর সরকারের সাফল্যের নানা দিক তুলে ধরেছেন। জনগণ নিশ্চয়ই সরকারের এই সাফল্যের দিকগুলো বিবেচনায় নিয়ে সরকারের মূল্যায়ন করবেন। তবে প্রধানমন্ত্রী তাঁর ভাষণে নির্বাচনী অঙ্গীকার প্রসঙ্গে অধিকাংশ লক্ষ্যই পূরণ হয়েছে বলে যে দাবি করেছেন, তা কতটুকু বাস্তবসম্মত, তা বিচার-বিবেচনার দাবি রাখে। তিনি হল-মার্ক ও ডেসটিনির দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরকারের ভূমিকাকে দুর্নীতিবিরোধী অবস্থান হিসেবে তুলে ধরতে চাইলেও পদ্মা সেতু প্রকল্পের বিষয়টি মুখে আনেননি। সন্ত্রাস, গুম বা বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড—এসব দূর করার প্রতিশ্রুতি দিয়েও সরকার তা বন্ধ করেনি বা করতে পারেনি। ঠেকানো যাচ্ছে না বেপরোয়া ছাত্রলীগকে। প্রধানমন্ত্রী শেয়ারবাজার চাঙা করতে নানা উদ্যোগের কথা বলেছেন, কিন্তু শেয়ার কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নিয়েছেন, সে ব্যাপারে নিশ্চুপ। জনগণ এই বিষয়গুলো নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর অবস্থান জানতে চেয়েছিল। শুধু সরকারের মাহাত্ম্য প্রচারে ভরপুর ভাষণটি সে কারণেই পূর্ণতা পায়নি।
সংবিধানে এখন তত্ত্বাবধায়ক সরকার বলে কিছু নেই। অন্যদিকে প্রধান বিরোধী দল বলছে, এ ধরনের সরকার ছাড়া তারা নির্বাচনে যাবে না। নির্বাচন করতে না দেওয়ার ঘোষণাও এসেছে তাদের তরফে। এই পরিস্থিতিতে জনগণ সংঘাত ও সহিংসতার শঙ্কায় ভীত। এ ব্যাপারে সরকার ও বিরোধী দলের মধ্যে একটি সমঝোতা হোক, সেটাই তাঁদের চাওয়া। আমরা আশা করেছিলাম, এ ধরনের একটি উদ্বেগজনক পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী তাঁর সরকারের অবস্থান, ভাবনা বা সমঝোতার ক্ষেত্রে কী করা যায়, সে ব্যাপারে দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য দেবেন। কিন্তু তিনি প্রসঙ্গটি এড়িয়ে গেছেন। ফলে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ জনগণকে কোনো স্বস্তির বার্তা দিতে পারেনি।
আর্থসামাজিক ক্ষেত্রে বাংলাদেশ যে সামনের দিকে এগিয়ে চলছে, তা সবাই মানছেন। বিভিন্ন সামাজিক সূচকে বাংলাদেশ পাশের অনেক দেশের তুলনায় বেশ অগ্রগতি অর্জন করেছে। অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে দেশ যেভাবে এগোচ্ছে, তাতে সামনে উজ্জ্বল ভবিষ্যতেরই ইঙ্গিত রয়েছে। আন্তর্জাতিকভাবেও এ ধরনের সম্ভাবনার কথা বলা হচ্ছে। এই সাফল্যের কৃতিত্ব সরকার নিশ্চয়ই নিতে পারে। তবে একই সঙ্গে এটাও মানতে হবে যে ধারাবাহিকতা ছাড়া হঠাৎ এই উন্নয়ন হয়নি, ফলে এ ক্ষেত্রে একক কৃতিত্ব দাবি করার সুযোগ নেই। রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা, দুর্নীতি, সুশাসনের অভাব, সন্ত্রাস ও দলীয়করণ—এসব যেভাবে শিকড় গেড়েছে দেশটিতে, তার কিছুই উপড়ানো যায়নি। বর্তমান সরকার গত চার বছরে এমন কিছু দেখাতে পারেনি, যাতে এসব দূর করার ক্ষেত্রে তাদের আন্তরিকতার প্রমাণ পাওয়া যাবে।
প্রধানমন্ত্রী তথ্য ও পরিসংখ্যান দিয়ে বিভিন্ন ক্ষেত্রে তাঁর সরকারের সাফল্যের নানা দিক তুলে ধরেছেন। জনগণ নিশ্চয়ই সরকারের এই সাফল্যের দিকগুলো বিবেচনায় নিয়ে সরকারের মূল্যায়ন করবেন। তবে প্রধানমন্ত্রী তাঁর ভাষণে নির্বাচনী অঙ্গীকার প্রসঙ্গে অধিকাংশ লক্ষ্যই পূরণ হয়েছে বলে যে দাবি করেছেন, তা কতটুকু বাস্তবসম্মত, তা বিচার-বিবেচনার দাবি রাখে। তিনি হল-মার্ক ও ডেসটিনির দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরকারের ভূমিকাকে দুর্নীতিবিরোধী অবস্থান হিসেবে তুলে ধরতে চাইলেও পদ্মা সেতু প্রকল্পের বিষয়টি মুখে আনেননি। সন্ত্রাস, গুম বা বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড—এসব দূর করার প্রতিশ্রুতি দিয়েও সরকার তা বন্ধ করেনি বা করতে পারেনি। ঠেকানো যাচ্ছে না বেপরোয়া ছাত্রলীগকে। প্রধানমন্ত্রী শেয়ারবাজার চাঙা করতে নানা উদ্যোগের কথা বলেছেন, কিন্তু শেয়ার কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নিয়েছেন, সে ব্যাপারে নিশ্চুপ। জনগণ এই বিষয়গুলো নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর অবস্থান জানতে চেয়েছিল। শুধু সরকারের মাহাত্ম্য প্রচারে ভরপুর ভাষণটি সে কারণেই পূর্ণতা পায়নি।
No comments