ফেসবুক কর্নার- গ্রন্থনা: পাভেল মহিতুল আলম

ফেবু-মত জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর ফলে যে সমস্যা বা ক্ষতি হচ্ছে, সবাই শুধু তা-ই বলে হইচই করছেন। কিন্তু আমরা জানি, প্রতিটি ঘটনারই নেতিবাচক দিক যেমন আছে, তেমনি আছে ইতিবাচক দিকও।
আর তাই জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির ফলেও নিশ্চয় ইতিবাচক কিছু-না-কিছু হয়েছে। হ্যাঁ, জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার ফলে কী কী লাভ হলো, রস+আলোর ফেসবুক পেজে এবার তা-ই জানিয়েছেন পাঠকেরা

ফারহিন সোহান কবির: আগে বাসে না উঠলে ২০ টাকা বাঁচত, এখন ২৫ টাকা বাঁচে!
তনুজা বড়ুয়া: যারা এক টাকার জন্য বাসে-টেম্পোতে ঝগড়া করেন, আবার একজন দুজনের সিট নিয়ে সেঁধিয়ে যান, তারা হেঁটে যাবেন গন্তব্যে। আর পোড়াবেন শরীরের ক্যালরি। বাঁচবে টাকা, কমবে স্বাস্থ্য।
সোনিয়া জেরিন: মিছিলওয়ালারা ‘জ্বালিয়ে দাও, পুড়িয়ে দাও’-এর বদলে নতুন কোনো স্লোগান বের করবে। কারণ, এত দাম দিয়ে জ্বালানি তেল কিনে কেউ কিছু জ্বালাতে/পোড়াতে চাইবে না, ফলে মিছিলের স্লোগানে নতুনত্ব আসবে।
মর্তুজা জনি: পেট্রলের মূল্য বৃদ্ধির ফলে বখাটেদের মোটরবাইক নিয়ে অযথা ঘোরাঘুরি কমবে। ফলে ইভ টিজিংয়ের হাত থেকে অনেক মেয়ে রক্ষা পাবে।
রাশেদ আলম: মানুষ মানুষকে তেল দিয়ে বলতে পারবে, আমি আপনাকে দামি জিনিস দিছি।
ফারুক খান: তেলের দাম বাড়ায় ইঞ্জিনচালিত যানবাহনের ওপর চাপ কমবে। এর ফলে গরুর গাড়ি, ঘোড়ার গাড়ি, পালকি ইত্যাদির প্রচলন বৃদ্ধি পেয়ে বাংলার হারানো ঐতিহ্য আবার ফিরে আসবে!

কথোপকথন
জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির পর স্বামী ও স্ত্রীর মধ্যে কথা হচ্ছে:
স্ত্রী: শুনছ! ড্রাইভারকে বলো গাড়ি বের করতে। শপিং মল থেকে একটু ঘুরে আসি।
স্বামী: জ্বালানি তেলের দাম বেড়েছে, সে খবর কি রাখো? এত যখন শপিং করার শখ, তখন হেঁটে গিয়ে শপিং করলেই পারো।
স্ত্রী: কী!! তোমার এত বড় সাহস, আমাকে এই কথা বলো?
স্বামী: সাধে কি আর বলি? গত দুই দিন থেকে লোকাল বাসে চড়ে আমার শরীরের সব কলকবজা এখন আলগা হয়ে আছে।
স্ত্রী: তাহলে আমি যে সেই সকাল থেকে সাজগোজ করে রেডি হয়েছি, তার কী হবে?
স্বামী: আপাতত আমার মতো নাকে সরিষার তেল দিয়ে ঘুমাও। সরিষার তেলের দাম বাড়ল বলে! তখন এই সুযোগও আর পাবে না!
হাসান মাহমুদ

রাসায়নিক প্রেমপত্র
কেমিস্ট্রি পড়তে গিয়ে আমার এক বন্ধু কোচিংয়ের সহপাঠীর প্রেমে পড়ে গেল। তার আবদারে তাকে একটা প্রেমপত্র লিখে দিয়েছিলাম। কেমিস্ট্রি পড়তে গিয়ে প্রেম, তাই প্রেমপত্রেও ছিল কেমিস্ট্রির ছোঁয়া! আগেই বলে রাখি, বন্ধুর নামের আদ্যক্ষর A এবং মেয়েটার নামের আদ্যক্ষরও A!

A,
মেন্ডেলিফের পর্যায় সূত্রকে ভুল প্রমাণিত করে, রূপবতী মৌলদের ঈর্ষার সাগরে ভাসিয়ে তুমি যেদিন পর্যায় সারণিতে এলে, সেদিন থেকেই এই নিষ্ক্রিয় মৌলের অস্থিরতা শুরু। নিষ্ক্রিয় মৌলের ধর্ম ভুলে আমার হূদয়ের ইলেকট্রনগুলো শুধু ছোটাছুটি করা শুধু করেছে। তারা কোথায় যেন যেতে চায়! আমার হূদয়ের কিছু ইলেকট্রন গ্রহণ করে আমাকে সক্রিয় হওয়ার সুযোগ দেবে কি? আচ্ছা, তুমি আর আমি মিলে কি একটা রাসায়নিক সমীকরণ তৈরি করতে পারি না? তুমি আর আমি মিলে কি নতুন যৌগ A+A= A2 গড়তে পারি না? আমাদের বন্ধন হবে আয়নিক বন্ধন। পিতা-মাতার শাসনের উচ্চ তাপ এ বন্ধন ভাঙতে পারবে না, তোমার বড় ভাইয়ের মাইরের আঘাতও এ বন্ধন ভাঙতে পারবে না। তুমি বিশ্বাস করো, যৌগ গঠনের পরই আমি চুপচাপ হয়ে যাব। প্যারাফিনদের মতো ভালো ছেলে। আর কারও সঙ্গে বিক্রিয়া করতে চাইব না। সাড়া দেবে কি সুন্দরী মৌল? তোমার অপেক্ষায় রইলাম।
-ইতি A
আসিফ ইয়ামিন

লিখুন ফেসবুকে, ছাপা হবে ‘রস+আলো’তে
পাঠক, এখন থেকে ফেসবুকে রস+আলোর অফিশিয়াল পেজে মেসেজের মাধ্যমে [www.facebook.com/Rosh.Alo] আইডিয়া, মজার স্ট্যাটাস, ছবি, কার্টুন, প্যারোডি, গল্প ইত্যাদি পাঠাতে পারেন।

No comments

Powered by Blogger.