ভারতে নারী নির্যাতন- এবার পাঞ্জাবে গৃহবধূ গণধর্ষণের শিকার
এবার ভারতের পাঞ্জাব প্রদেশে এক গৃহবধূ গণধর্ষণের শিকার হলেন। গত শুক্রবার সন্ধ্যায় বাসে করে ওই গৃহবধূ শ্বশুরবাড়ি যাওয়ার পথে বাসচালক তাঁকে অপহরণ করেন। পরে অজ্ঞাত স্থানে রাতভর আটকে রেখে বাসচালকসহ সাতজন ওই নারীকে ধর্ষণ করেন।
এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
এর আগে গত ১৬ ডিসেম্বর রাতে নয়াদিল্লিতে চলন্ত বাসে এক মেডিকেলের ছাত্রী গণধর্ষণের শিকার হন। পরে সিঙ্গাপুরের হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। এ ঘটনার প্রতিবাদে পুরো ভারত প্রতিবাদ-বিক্ষোভে ফুঁসে ওঠে। এখনো সেই রেশ কাটেনি। এর মধ্যেই পাঞ্জাব প্রদেশে ২৯ বছরের ওই গৃহবধূ গণধর্ষণের শিকার হলেন।
ওই গৃহবধূর বরাত দিয়ে পুলিশ কর্মকর্তা রাজজিত সিংহ গতকাল রোববার এএফপিকে জানান, শুক্রবার সন্ধ্যায় ওই গৃহবধূ বাসে চড়ে শ্বশুরবাড়ি ফিরছিলেন। একপর্যায়ে বাসচালক ও তাঁর সহকারী তাঁকে জোর করে একটি মোটরসাইকেলে তুলে নেন। পরে অমৃতসরের একটি অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে গিয়ে আটকে রেখে রাতভর বাসচালক ও তাঁর সহকারী ছাড়াও অন্য পাঁচজন ওই গৃহবধূকে পালাক্রমে ধর্ষণ করেন। পরদিন সকালে ধর্ষকদের একজন গৃহবধূর শ্বশুরবাড়ির গ্রামের কাছে তাঁকে রেখে যান। গৃহবধূ বিষয়টি প্রথমে তাঁর দুই ননদিনীকে জানান। পরে খানুওয়ান শহরে পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ দেন তিনি।
পুলিশ কর্মকর্তা আরও বলেন, মেডিকেল পরীক্ষায় গণধর্ষণের প্রমাণ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ছয়জনকে ইতিমধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সপ্তম ব্যক্তিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
নয়াদিল্লিতে বাসে সেই মেডিকেলছাত্রীকে গণধর্ষণ ও পরে ওই ছাত্রী ও তাঁর বন্ধুকে রড দিয়ে পিটিয়ে রাস্তায় ছুড়ে মারেন বাসচালক ও তাঁর সঙ্গীরা। ওই ছাত্রীকে সময়মতো হাসপাতালে নিতে পুলিশ বিলম্ব করে বলে অভিযোগ রয়েছে। এ ছাড়া সারা দেশে নারীদের নিরাপত্তা দিতে পুলিশের ব্যর্থতার কড়া সমালোচনা করা হয়। সে দেশের সুপ্রিম কোর্ট বলেছেন, নয়াদিল্লিতে নারীরা নিরাপদ নন।
এবার পাঞ্জাবে গণধর্ষণের ঘটনার পর আবারও পুলিশের ভূমিকার সমালোচনা শুরু হয়েছে। ক্ষমতাসীন কংগ্রেস দলের স্থানীয় রাজনীতিবিদ প্রতাব সিং বাজওয়া বলেন, পুলিশের গাফিলতির কারণেই এমন একটি বীভৎস ঘটনা ঘটল। বিশেষ করে রাতে, মহাসড়কে চলাচলকারী বাসগুলোতে তল্লাশি চালায় না পুলিশ। অথচ স্থানে স্থানে তল্লাশিচৌকি আছে।
নয়াদিল্লির গণধর্ষণের ঘটনার সঙ্গে পাঞ্জাবের এই ঘটনার মিল রয়েছে। নয়াদিল্লিতে বাসে তল্লাশি চালানোর অনেক চৌকি আছে। এএফপি ও দ্য হিন্দু অনলাইন।
এর আগে গত ১৬ ডিসেম্বর রাতে নয়াদিল্লিতে চলন্ত বাসে এক মেডিকেলের ছাত্রী গণধর্ষণের শিকার হন। পরে সিঙ্গাপুরের হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। এ ঘটনার প্রতিবাদে পুরো ভারত প্রতিবাদ-বিক্ষোভে ফুঁসে ওঠে। এখনো সেই রেশ কাটেনি। এর মধ্যেই পাঞ্জাব প্রদেশে ২৯ বছরের ওই গৃহবধূ গণধর্ষণের শিকার হলেন।
ওই গৃহবধূর বরাত দিয়ে পুলিশ কর্মকর্তা রাজজিত সিংহ গতকাল রোববার এএফপিকে জানান, শুক্রবার সন্ধ্যায় ওই গৃহবধূ বাসে চড়ে শ্বশুরবাড়ি ফিরছিলেন। একপর্যায়ে বাসচালক ও তাঁর সহকারী তাঁকে জোর করে একটি মোটরসাইকেলে তুলে নেন। পরে অমৃতসরের একটি অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে গিয়ে আটকে রেখে রাতভর বাসচালক ও তাঁর সহকারী ছাড়াও অন্য পাঁচজন ওই গৃহবধূকে পালাক্রমে ধর্ষণ করেন। পরদিন সকালে ধর্ষকদের একজন গৃহবধূর শ্বশুরবাড়ির গ্রামের কাছে তাঁকে রেখে যান। গৃহবধূ বিষয়টি প্রথমে তাঁর দুই ননদিনীকে জানান। পরে খানুওয়ান শহরে পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ দেন তিনি।
পুলিশ কর্মকর্তা আরও বলেন, মেডিকেল পরীক্ষায় গণধর্ষণের প্রমাণ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ছয়জনকে ইতিমধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সপ্তম ব্যক্তিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
নয়াদিল্লিতে বাসে সেই মেডিকেলছাত্রীকে গণধর্ষণ ও পরে ওই ছাত্রী ও তাঁর বন্ধুকে রড দিয়ে পিটিয়ে রাস্তায় ছুড়ে মারেন বাসচালক ও তাঁর সঙ্গীরা। ওই ছাত্রীকে সময়মতো হাসপাতালে নিতে পুলিশ বিলম্ব করে বলে অভিযোগ রয়েছে। এ ছাড়া সারা দেশে নারীদের নিরাপত্তা দিতে পুলিশের ব্যর্থতার কড়া সমালোচনা করা হয়। সে দেশের সুপ্রিম কোর্ট বলেছেন, নয়াদিল্লিতে নারীরা নিরাপদ নন।
এবার পাঞ্জাবে গণধর্ষণের ঘটনার পর আবারও পুলিশের ভূমিকার সমালোচনা শুরু হয়েছে। ক্ষমতাসীন কংগ্রেস দলের স্থানীয় রাজনীতিবিদ প্রতাব সিং বাজওয়া বলেন, পুলিশের গাফিলতির কারণেই এমন একটি বীভৎস ঘটনা ঘটল। বিশেষ করে রাতে, মহাসড়কে চলাচলকারী বাসগুলোতে তল্লাশি চালায় না পুলিশ। অথচ স্থানে স্থানে তল্লাশিচৌকি আছে।
নয়াদিল্লির গণধর্ষণের ঘটনার সঙ্গে পাঞ্জাবের এই ঘটনার মিল রয়েছে। নয়াদিল্লিতে বাসে তল্লাশি চালানোর অনেক চৌকি আছে। এএফপি ও দ্য হিন্দু অনলাইন।
No comments