হাঁটবেন সাত বছর, যাবেন ৩৬ দেশে
দীর্ঘ সাত বছর হাঁটবেন তিনি। ঘুরবেন ৩৬টি দেশ। ইথিওপিয়া থেকে দক্ষিণ আমেরিকা—তিন কোটিবার কদম ফেলবেন। এ সময় কথা বলবেন নানা বর্ণের মানুষের সঙ্গে। জানার চেষ্টা করবেন মানব সভ্যতার বিকাশের ইতিহাস। তিনি মার্কিন সাংবাদিক পল স্যালোপেক।
ন্যাশনাল জিওগ্রাফির পৃষ্ঠপোষকতায় চ্যালেঞ্জিং এ অভিযানে নামছেন পল। দীর্ঘ এ পদযাত্রায় তিনি নিবন্ধ লিখবেন, ভিডিও করবেন; টুইটের মাধ্যমে জানাবেন তাঁর নৃতাত্ত্বিক গবেষণার ফল।
মানব সভ্যতার উষালগ্নে আফ্রিকা থেকে মানুষ কীভাবে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়েছিল—মূলত গবেষণা করে তা বের করে আনাই হচ্ছে পলের উদ্দেশ্য। ন্যাশনাল জিওগ্রাফি প্রধান অর্থলগ্নিকারী হলেও তাঁর পুরো অভিযান যে ওয়েবসাইট রেকর্ড করবে, সে ব্যয় অবশ্য বহন করবে নাইট ফাউন্ডেশন।
ইথিওপিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় হার্টো বুরি থেকে যাত্রা শুরু করবেন পল। বিজ্ঞানীরা বলছেন, প্রস্তর যুগের দ্বিতীয় ভাগে মানুষের বসবাস ছিল এখানেই। পল জানান, বিজ্ঞানীরা এখান থেকে এক লাখ ৬০ হাজার বছর আগের মানুষের জীবাশ্ম আবিষ্কার করেন। তাঁর দীর্ঘ পথযাত্রায় সেই যুগের মানুষেরই তথ্য খোঁজা হবে। তিনি বলেন, ‘৫০ থেকে ৭০ হাজার বছর আগে আদিম মানুষ যে পথে আফ্রিকা থেকে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছিল, আমি সেই পথেই হাঁটার চেষ্টা করব।’
ইথিওপিয়ার রিফট উপত্যকা থেকে লোহিত সাগর পর্যন্ত আফার যাযাবরদের সঙ্গে হাঁটবেন পল। পরের গন্তব্য আরব বিশ্ব। মধ্যপ্রাচ্যের উত্তর উপকূল থেকে যাত্রা শুরু করে জেরুজালেম বা আম্মানে যাবেন। সেখান থেকে সাইবেরিয়া, চীন ঘুরে বেড়াবেন। শুধু চীনেই থাকবেন ১৪ মাস।
বিজ্ঞানীদের দাবি, ৪৫ হাজার বছর আগে মানুষ হেঁটে ইউরোপ ও নৌকাযোগে অস্ট্রেলিয়া গিয়েছিল। অবশ্য এখন থেকে এক লাখ বছর আগেই মানুষ আফ্রিকা থেকে বহির্বিশ্বে যাওয়ার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়।
সাত বছরের এই অভিযানে পলের একাকিত্ব দূর করতে মাঝেমধ্যে তাঁর স্ত্রী তাঁকে সঙ্গ দেবেন। এ ছাড়া তাঁর সঙ্গে দোভাষী ও বিভিন্ন দেশের সঙ্গে পরিচিত এমন কর্মকর্তারা তো থাকবেনই। হাঁটার সময় ২০ কেজির বেশি মাল বহন করবেন না পল।
দীর্ঘ এ যাত্রায় অনেক দুর্গম ও বিপজ্জনক পথ পাড়ি দিতে হবে পলকে। দস্যু, দুর্বৃত্তদের হামলার ঝুঁকি থাকলেও পল তাঁর অভিযানের সিদ্ধান্তে অটল। বিদেশি সংবাদদাতা হিসেবে কাজ করে পল ইতিমধ্যে দুবার পুলিৎজার পুরস্কার পেয়েছেন। পেশাগত জীবনে বেশির ভাগই কাটিয়েছেন আফ্রিকায়। বিবিসি।
মানব সভ্যতার উষালগ্নে আফ্রিকা থেকে মানুষ কীভাবে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়েছিল—মূলত গবেষণা করে তা বের করে আনাই হচ্ছে পলের উদ্দেশ্য। ন্যাশনাল জিওগ্রাফি প্রধান অর্থলগ্নিকারী হলেও তাঁর পুরো অভিযান যে ওয়েবসাইট রেকর্ড করবে, সে ব্যয় অবশ্য বহন করবে নাইট ফাউন্ডেশন।
ইথিওপিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় হার্টো বুরি থেকে যাত্রা শুরু করবেন পল। বিজ্ঞানীরা বলছেন, প্রস্তর যুগের দ্বিতীয় ভাগে মানুষের বসবাস ছিল এখানেই। পল জানান, বিজ্ঞানীরা এখান থেকে এক লাখ ৬০ হাজার বছর আগের মানুষের জীবাশ্ম আবিষ্কার করেন। তাঁর দীর্ঘ পথযাত্রায় সেই যুগের মানুষেরই তথ্য খোঁজা হবে। তিনি বলেন, ‘৫০ থেকে ৭০ হাজার বছর আগে আদিম মানুষ যে পথে আফ্রিকা থেকে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছিল, আমি সেই পথেই হাঁটার চেষ্টা করব।’
ইথিওপিয়ার রিফট উপত্যকা থেকে লোহিত সাগর পর্যন্ত আফার যাযাবরদের সঙ্গে হাঁটবেন পল। পরের গন্তব্য আরব বিশ্ব। মধ্যপ্রাচ্যের উত্তর উপকূল থেকে যাত্রা শুরু করে জেরুজালেম বা আম্মানে যাবেন। সেখান থেকে সাইবেরিয়া, চীন ঘুরে বেড়াবেন। শুধু চীনেই থাকবেন ১৪ মাস।
বিজ্ঞানীদের দাবি, ৪৫ হাজার বছর আগে মানুষ হেঁটে ইউরোপ ও নৌকাযোগে অস্ট্রেলিয়া গিয়েছিল। অবশ্য এখন থেকে এক লাখ বছর আগেই মানুষ আফ্রিকা থেকে বহির্বিশ্বে যাওয়ার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়।
সাত বছরের এই অভিযানে পলের একাকিত্ব দূর করতে মাঝেমধ্যে তাঁর স্ত্রী তাঁকে সঙ্গ দেবেন। এ ছাড়া তাঁর সঙ্গে দোভাষী ও বিভিন্ন দেশের সঙ্গে পরিচিত এমন কর্মকর্তারা তো থাকবেনই। হাঁটার সময় ২০ কেজির বেশি মাল বহন করবেন না পল।
দীর্ঘ এ যাত্রায় অনেক দুর্গম ও বিপজ্জনক পথ পাড়ি দিতে হবে পলকে। দস্যু, দুর্বৃত্তদের হামলার ঝুঁকি থাকলেও পল তাঁর অভিযানের সিদ্ধান্তে অটল। বিদেশি সংবাদদাতা হিসেবে কাজ করে পল ইতিমধ্যে দুবার পুলিৎজার পুরস্কার পেয়েছেন। পেশাগত জীবনে বেশির ভাগই কাটিয়েছেন আফ্রিকায়। বিবিসি।
No comments