প্রধানমন্ত্রী মস্কো যাচ্ছেন আজ-৮ হাজার কোটি টাকার অস্ত্র কিনছে সরকার
দ্বিপক্ষীয় সফরে আজ সোমবার সকালে রাশিয়ার রাজধানী মস্কো যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিন দিনের এই সফরে তিনটি চুক্তি ও ছয়টি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হওয়ার কথা রয়েছে।
এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে- রাশিয়ার ঋণে প্রায় আট হাজার কোটি টাকার (এক বিলিয়ন ডলার) সমরাস্ত্র ক্রয়সংক্রান্ত চুক্তি। এ ছাড়া প্রায় চার হাজার কোটি টাকায় (৫০০ মিলিয়ন ডলার) রূপপুর পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রস্তুতি কাজ এবং ঢাকায় পরমাণু শক্তিবিষয়ক তথ্যকেন্দ্র প্রতিষ্ঠাসংক্রান্ত আরো দুটি চুক্তি হবে। ছয়টি এমওইউ স্বাক্ষরিত হবে কৃষি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, সংস্কৃতি, আইন ও বিচার, সন্ত্রাস মোকাবিলা খাতে সহযোগিতার বিষয়ে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনি গতকাল রবিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান।
রাশিয়ার কাছ থেকে কী ধরনের সমরাস্ত্র কেনা হচ্ছে- এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বিষয়টি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানাতে পারবে বলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মন্তব্য করেন।
সমরাস্ত্র ক্রয়ে রাশিয়ার সঙ্গে এক বিলিয়ন ডলার (প্রায় আট হাজার কোটি টাকা) ঋণ চুক্তির সুদের হার কত- এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সরকারের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) এ ব্যাপারে রাশিয়ার সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা ও দরকষাকষি করেছে। নিশ্চয়ই বাংলাদেশের জন্য যেটি সর্বোত্তম হবে সেটিই ঠিক করেছে তারা। এ ব্যাপারে বিস্তারিত ইআরডি জানাতে পারবে বলে তিনি জানান।
ঋণের টাকায় অস্ত্র অতীতেও কেনা হয়েছে কি না- এ প্রশ্নের উত্তরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, 'আমার মনে হয়, অতীতেও কেনা হয়েছে।'
সংবাদ সম্মেলনে একজন সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, 'আওয়ামী লীগের আগের আমলে রাশিয়ার কাছ থেকে মিগ টোয়েন্টি নাইন জঙ্গিবিমান কেনার পর বাংলাদেশ বিপদে পড়েছে। অনেক সমালোচনা হয়েছে। এবার ওই দেশের সঙ্গেই আবার বাংলাদেশ সমরাস্ত্র ক্রয় চুক্তি স্বাক্ষর করতে যাচ্ছে। এ ব্যাপারে সরকারের অবস্থান কি?'
জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, 'মিগ টোয়েন্টি নাইন নিয়ে বাংলাদেশ বিপদে পড়েনি। বর্তমান প্রধানমন্ত্রীসহ অনেকের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করা হয়েছিল। মিগ টোয়েন্টি নাইন নিয়ে সমালোচনা যাঁরা করেছেন, তাঁরাও জানেন এত কম দামে এত আধুনিক জিনিস কখনো কেউ কিনতে পারেনি। সুসম্পর্ক ছিল বলেই তখন সেটি কেনা সম্ভব হয়েছিল। যেটিকে নিয়ে পরে দলীয়করণ করে মিথ্যা মামলার মাধ্যমে হেয় করার চেষ্টা হয়েছে। সেই চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে।'
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরো বলেন, 'এবার সমরাস্ত্র ক্রয় বিষয়ে যে চুক্তি হতে যাচ্ছে, আমি আবারও বলব, এটির বিস্তারিত তথ্য সংশ্লিষ্ট যাঁরা তাঁরাই সরাসরি দেবেন। সম্ভাব্য এ চুক্তির আওতায় ঋণের পরিমাণ এক বিলিয়ন ডলার।'
সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ১৯৭২ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রাশিয়া (তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন) সফরের পর প্রথমবারের মতো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশটিতে দ্বিপক্ষীয় সফর করছেন। বঙ্গবন্ধু রাশিয়া সফরে গিয়ে মুক্তিযুদ্ধে সহযোগিতার জন্য কৃতজ্ঞতা জানিয়েছিলেন। ১৯৭৫ সালে ক্ষমতার পালাবদলের পর থেকে রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক আগের বছরগুলোর মতো ছিল না বলে মন্ত্রী দাবি করেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ২০১০ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেন্ট পিটার্সবার্গে বাঘ রক্ষাবিষয়ক সম্মেলনে (টাইগার্স সামিট) যোগ দিতে রাশিয়া সফরে গিয়েছিলেন। তবে এবারের সফরটি দ্বিপক্ষীয়। আগামীকাল মঙ্গলবার তিনি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক বৈঠক করবেন। ওই বৈঠকের পর পরিকল্পনা অনুযায়ী চুক্তি ও সমঝোতা স্মারকগুলো স্বাক্ষরিত হবে।
সফরের অংশ হিসেবে প্রধানমন্ত্রী মস্কো স্টেট ইউনিভার্সিটিতে সমসাময়িক বাংলাদেশ ও রাশিয়ার সঙ্গে সম্পৃক্ততার সম্ভাবনার বিষয়ে বক্তব্য দেবেন। এ ছাড়া রাশিয়ার যোগাযোগমন্ত্রী, পারমাণবিক শক্তি সংস্থার প্রধান ও রাশিয়ার সিনেটের স্পিকার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন।
সংবাদ সম্মেলনের প্রশ্নোত্তর পর্বে সাংবাদিকরা রাশিয়ার জাতীয় তেল-গ্যাস কম্পানি গ্যাসপ্রমের সঙ্গে পেট্রোবাংলার চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে কি না, জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এ সফরে হয়তো হবে না। তবে এ নিয়ে কাজ চলছে। ভবিষ্যতে হয়তো হবে।
রাশিয়ার সঙ্গে সন্ত্রাস দমনে সহযোগিতাবিষয়ক এমওইউ সম্পর্কে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সন্ত্রাসবিরোধী লড়াইয়ে উভয় দেশ একযোগে কাজ করছে। এমওইউ স্বাক্ষরের মাধ্যমে দুই দেশের মধ্যে তথ্যবিনিময়ের সুযোগ সৃষ্টি হবে। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও প্রতিবেশী ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের এমন সহযোগিতা আছে বলে ডা. দীপু মনি জানান।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রীসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিরা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে রাশিয়া সফর করছেন। মস্কো থেকে বুধবার রাতে রওনা দিয়ে আগামী বৃহস্পতিবার সকালে প্রধানমন্ত্রীর ঢাকায় ফেরার কথা রয়েছে।
রাশিয়ার কাছ থেকে কী ধরনের সমরাস্ত্র কেনা হচ্ছে- এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বিষয়টি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানাতে পারবে বলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মন্তব্য করেন।
সমরাস্ত্র ক্রয়ে রাশিয়ার সঙ্গে এক বিলিয়ন ডলার (প্রায় আট হাজার কোটি টাকা) ঋণ চুক্তির সুদের হার কত- এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সরকারের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) এ ব্যাপারে রাশিয়ার সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা ও দরকষাকষি করেছে। নিশ্চয়ই বাংলাদেশের জন্য যেটি সর্বোত্তম হবে সেটিই ঠিক করেছে তারা। এ ব্যাপারে বিস্তারিত ইআরডি জানাতে পারবে বলে তিনি জানান।
ঋণের টাকায় অস্ত্র অতীতেও কেনা হয়েছে কি না- এ প্রশ্নের উত্তরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, 'আমার মনে হয়, অতীতেও কেনা হয়েছে।'
সংবাদ সম্মেলনে একজন সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, 'আওয়ামী লীগের আগের আমলে রাশিয়ার কাছ থেকে মিগ টোয়েন্টি নাইন জঙ্গিবিমান কেনার পর বাংলাদেশ বিপদে পড়েছে। অনেক সমালোচনা হয়েছে। এবার ওই দেশের সঙ্গেই আবার বাংলাদেশ সমরাস্ত্র ক্রয় চুক্তি স্বাক্ষর করতে যাচ্ছে। এ ব্যাপারে সরকারের অবস্থান কি?'
জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, 'মিগ টোয়েন্টি নাইন নিয়ে বাংলাদেশ বিপদে পড়েনি। বর্তমান প্রধানমন্ত্রীসহ অনেকের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করা হয়েছিল। মিগ টোয়েন্টি নাইন নিয়ে সমালোচনা যাঁরা করেছেন, তাঁরাও জানেন এত কম দামে এত আধুনিক জিনিস কখনো কেউ কিনতে পারেনি। সুসম্পর্ক ছিল বলেই তখন সেটি কেনা সম্ভব হয়েছিল। যেটিকে নিয়ে পরে দলীয়করণ করে মিথ্যা মামলার মাধ্যমে হেয় করার চেষ্টা হয়েছে। সেই চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে।'
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরো বলেন, 'এবার সমরাস্ত্র ক্রয় বিষয়ে যে চুক্তি হতে যাচ্ছে, আমি আবারও বলব, এটির বিস্তারিত তথ্য সংশ্লিষ্ট যাঁরা তাঁরাই সরাসরি দেবেন। সম্ভাব্য এ চুক্তির আওতায় ঋণের পরিমাণ এক বিলিয়ন ডলার।'
সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ১৯৭২ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রাশিয়া (তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন) সফরের পর প্রথমবারের মতো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশটিতে দ্বিপক্ষীয় সফর করছেন। বঙ্গবন্ধু রাশিয়া সফরে গিয়ে মুক্তিযুদ্ধে সহযোগিতার জন্য কৃতজ্ঞতা জানিয়েছিলেন। ১৯৭৫ সালে ক্ষমতার পালাবদলের পর থেকে রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক আগের বছরগুলোর মতো ছিল না বলে মন্ত্রী দাবি করেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ২০১০ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেন্ট পিটার্সবার্গে বাঘ রক্ষাবিষয়ক সম্মেলনে (টাইগার্স সামিট) যোগ দিতে রাশিয়া সফরে গিয়েছিলেন। তবে এবারের সফরটি দ্বিপক্ষীয়। আগামীকাল মঙ্গলবার তিনি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক বৈঠক করবেন। ওই বৈঠকের পর পরিকল্পনা অনুযায়ী চুক্তি ও সমঝোতা স্মারকগুলো স্বাক্ষরিত হবে।
সফরের অংশ হিসেবে প্রধানমন্ত্রী মস্কো স্টেট ইউনিভার্সিটিতে সমসাময়িক বাংলাদেশ ও রাশিয়ার সঙ্গে সম্পৃক্ততার সম্ভাবনার বিষয়ে বক্তব্য দেবেন। এ ছাড়া রাশিয়ার যোগাযোগমন্ত্রী, পারমাণবিক শক্তি সংস্থার প্রধান ও রাশিয়ার সিনেটের স্পিকার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন।
সংবাদ সম্মেলনের প্রশ্নোত্তর পর্বে সাংবাদিকরা রাশিয়ার জাতীয় তেল-গ্যাস কম্পানি গ্যাসপ্রমের সঙ্গে পেট্রোবাংলার চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে কি না, জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এ সফরে হয়তো হবে না। তবে এ নিয়ে কাজ চলছে। ভবিষ্যতে হয়তো হবে।
রাশিয়ার সঙ্গে সন্ত্রাস দমনে সহযোগিতাবিষয়ক এমওইউ সম্পর্কে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সন্ত্রাসবিরোধী লড়াইয়ে উভয় দেশ একযোগে কাজ করছে। এমওইউ স্বাক্ষরের মাধ্যমে দুই দেশের মধ্যে তথ্যবিনিময়ের সুযোগ সৃষ্টি হবে। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও প্রতিবেশী ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের এমন সহযোগিতা আছে বলে ডা. দীপু মনি জানান।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রীসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিরা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে রাশিয়া সফর করছেন। মস্কো থেকে বুধবার রাতে রওনা দিয়ে আগামী বৃহস্পতিবার সকালে প্রধানমন্ত্রীর ঢাকায় ফেরার কথা রয়েছে।
No comments