প্রধান বিচারপতিকে বরখাস্ত করলেন রাজাপাকসে
শ্রীলংকার প্রধান বিচারপতি শিরানি বন্দরনায়েকেকে আনুষ্ঠানিকভাবে বরখাস্ত করেছেন প্রেসিডেন্ট রাজাপাকসে। গতকাল রবিবার প্রেসিডেন্টের সই করা বরখাস্তের চিঠি তাঁর বাসভবনে পৌঁছে দেওয়া হয়। এর মাধ্যমে গত শুক্রবার পার্লামেন্টে পাস হওয়া অভিশংসন প্রস্তাবের অনুমোদন দিলেন রাজাপাকসে।
তবে এখনো নতুন প্রধান বিচারপতির নাম ঘোষণা করেননি প্রেসিডেন্ট।
প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র মোহন সামারানায়েকে গতকাল জানান, শনিবার রাজাপাকসে সুপ্রিম কোর্টের অন্য বিচারকদের সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠক শেষে শিরানিকে বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত নেন। 'আজ (রবিবার) সকালে শিরানি বন্দরনায়েকেকে আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁর পদ থেকে অপসারণের চিঠিতে সই করেন প্রেসিডেন্ট। এরপর প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ের কর্মকর্তাদের দিয়ে চিঠিটি তাঁর (শিরানির) বাসভবনে পৌঁছে দেওয়া হয়।' তবে বৈঠকে কী কী বিষয়ে আলোচনা হয়েছে তা বিস্তারিত বলতে অস্বীকৃতি জানান মোহন।
শ্রীলংকার সানডে টাইমস পত্রিকা জানিয়েছে, শনিবার সুপ্রিম কোর্টের বিচারকদের সঙ্গে বৈঠকে প্রেসিডেন্ট রাজাপাকসে অভিশংসন এড়াতে শিরানিকে অবসরে যেতে বলেছিলেন। তবে শিরানির এক ঘনিষ্ঠ সূত্র জানিয়েছে, তিনি অবসরে যেতে আগ্রহী নন।
শিরানি বন্দরনায়েকের মুখপাত্র চিঠি পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করলেও এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
শুক্রবার প্রধান বিচারপতিকে অভিশংসিত করার একটি প্রস্তাব পার্লামেন্টে তোলা হয়। বিতর্কিত এক তদন্ত প্রতিবেদনের ওপর পার্লামেন্টে দুই দিনের বিতর্ক শেষে প্রস্তাবটি তোলা হয়। প্রস্তাবটি ১৫৫-৪৯ ভোটে পাস হয়। ২০১১ সালে ১৮ মে প্রধান বিচারপতির পদে শিরানিকে নিয়োগ দেন প্রেসিডেন্ট রাজাপাকসে। তিনি ছিলেন দেশটির প্রথম নারী বিচারপতি। সম্প্রতি তাঁর দেওয়া কিছু সিদ্ধান্ত সরকারের বিপক্ষে যায়। এর পরই তাঁকে অভিশংসিত করার কার্যক্রম শুরু করেন প্রেসিডেন্ট। গত নভেম্বরে শিরানির (৫৪) বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়ম ও অসদাচরণসহ ১৪টি অভিযোগ আনে সরকার। এসব বিষয়ে তদন্ত করতে সরকার পার্লামেন্টারি সিলেক্ট (পিএসসি) কমিটি গঠন করে। ওই কমিটি শিরানির বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়মের তিনটি অভিযোগের সত্যতা পাওয়ার দাবি করে। সূত্র : এএফপি।
প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র মোহন সামারানায়েকে গতকাল জানান, শনিবার রাজাপাকসে সুপ্রিম কোর্টের অন্য বিচারকদের সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠক শেষে শিরানিকে বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত নেন। 'আজ (রবিবার) সকালে শিরানি বন্দরনায়েকেকে আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁর পদ থেকে অপসারণের চিঠিতে সই করেন প্রেসিডেন্ট। এরপর প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ের কর্মকর্তাদের দিয়ে চিঠিটি তাঁর (শিরানির) বাসভবনে পৌঁছে দেওয়া হয়।' তবে বৈঠকে কী কী বিষয়ে আলোচনা হয়েছে তা বিস্তারিত বলতে অস্বীকৃতি জানান মোহন।
শ্রীলংকার সানডে টাইমস পত্রিকা জানিয়েছে, শনিবার সুপ্রিম কোর্টের বিচারকদের সঙ্গে বৈঠকে প্রেসিডেন্ট রাজাপাকসে অভিশংসন এড়াতে শিরানিকে অবসরে যেতে বলেছিলেন। তবে শিরানির এক ঘনিষ্ঠ সূত্র জানিয়েছে, তিনি অবসরে যেতে আগ্রহী নন।
শিরানি বন্দরনায়েকের মুখপাত্র চিঠি পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করলেও এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
শুক্রবার প্রধান বিচারপতিকে অভিশংসিত করার একটি প্রস্তাব পার্লামেন্টে তোলা হয়। বিতর্কিত এক তদন্ত প্রতিবেদনের ওপর পার্লামেন্টে দুই দিনের বিতর্ক শেষে প্রস্তাবটি তোলা হয়। প্রস্তাবটি ১৫৫-৪৯ ভোটে পাস হয়। ২০১১ সালে ১৮ মে প্রধান বিচারপতির পদে শিরানিকে নিয়োগ দেন প্রেসিডেন্ট রাজাপাকসে। তিনি ছিলেন দেশটির প্রথম নারী বিচারপতি। সম্প্রতি তাঁর দেওয়া কিছু সিদ্ধান্ত সরকারের বিপক্ষে যায়। এর পরই তাঁকে অভিশংসিত করার কার্যক্রম শুরু করেন প্রেসিডেন্ট। গত নভেম্বরে শিরানির (৫৪) বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়ম ও অসদাচরণসহ ১৪টি অভিযোগ আনে সরকার। এসব বিষয়ে তদন্ত করতে সরকার পার্লামেন্টারি সিলেক্ট (পিএসসি) কমিটি গঠন করে। ওই কমিটি শিরানির বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়মের তিনটি অভিযোগের সত্যতা পাওয়ার দাবি করে। সূত্র : এএফপি।
No comments