এ স্বপ্ন ছড়িয়ে পড়ুক সবখানে- এ সময়ের বিদ্যাসাগর ও রোকেয়াদের কথা
নিজ নিজ জীবনের স্বপ্ন নিয়েই তাঁরা ছিলেন। ছোট ও সমারোহহীন সব স্বপ্ন। স্বপ্নপূরণের সংগ্রাম শেষ পর্যন্ত তাঁদের অনন্য করেছে। একজন বৃক্ষ ভালোবাসতেন, শৈশব থেকে রোপণ করে গেছেন গাছ। আরেকজন শিক্ষার জন্য সয়েছেন নির্যাতন, তবু হাল ছাড়েননি।
আরেকজনের চোখে জ্যোতি ছিল না, কিন্তু সাফল্যের কীর্তিতে তিনি এখন সবার নয়নের মণি। নতুন বছরের ষষ্ঠ ও অষ্টম শ্রেণীর পাঠ্যবইয়ে ছাপা হয়েছে তাঁদের সংগ্রামের আর সফলতার কাহিনি। প্রথম আলোই তাঁদের গল্প দেশের সামনে হাজির করেছিল। অভিনন্দন এই জ্যোতির্ময়দের।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের কার্তিক পরামানিকের কথা জানত কেবল তাঁর গাঁয়ের মানুষ। ১০ বছর আগে বৃক্ষপাগল সেই মানুষটির কথা সবাইকে জানিয়েছিল প্রথম আলো। আজ তাঁর কীর্তির কথা স্থান পেয়েছে অষ্টম শ্রেণীর ইংরেজি বইয়ে ‘এ ম্যান হু লাভস ট্রিজ’ শিরোনামে। রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার ধোপাপাড়া গ্রামের রোজিনা খাতুনের দুর্ভাগ্যের শেষ ছিল না। পরিবার হতদরিদ্র, ষষ্ঠ শ্রেণীতে থাকতেই বিয়ে এবং যৌতুকের দাবিতে নির্যাতন, পড়ালেখা বন্ধ, পরিশেষে তালাক। কিন্তু এসবকে করুণ গল্প হতে দেননি রোজিনা। ২০১০ সালে এসএসসিতে অর্জন করেন জিপিএ-৫। এরই স্বীকৃতিতে গত বছরের ১৬ মে ‘রোজিনার জীবনে অন্য রকম পাওয়া’ শীর্ষক খবর ছাপে প্রথম আলো। সেই সূত্রেই এ বছরের ষষ্ঠ শ্রেণীর কর্ম ও জীবনমুখী শিক্ষা বইয়ে রোজিনার কাহিনিটি ছাপা হয়েছে।
রোজিনার সাফল্যের গল্পের পাশাপাশি রাব্বীর গল্পও ছাপা হয়েছিল ‘অবহেলার জবাব দিয়েছে রাব্বী’ শিরোনামে। জন্মগতভাবে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী রাব্বীকে নিয়ে ২০০৮ সালে প্রথম আলোর খোলা কলামে একটি নিবন্ধও প্রকাশিত হয়েছিল। এসএসসি ও এইচএসসি দুটিতেই জিপিএ-৫ পেয়ে রাব্বী এখন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ ও আইন অনুষদে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন। প্রথম আলোর কল্যাণে কার্তিক, রোজিনা ও রাব্বীর কথা মানুষ জেনেছে, তাঁদের দিয়েছে সহায়তা। ধারাবাহিকভাবে তাঁদের সাফল্যের প্রতিটি ধাপের খবর পৌঁছে দিয়েছে পাঠকের কাছে। রোজিনা আর রাব্বীর কাহিনি এখন ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর এবং বেগম রোকেয়ার মতো বড় মনীষীর কাহিনির পাশে পড়ানো হবে দেশের সব বিদ্যালয়ে। এঁরা দুজন যেন আজকের বিদ্যাসাগর, আজকের রোকেয়া।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও জাতীয় পাঠ্যপুস্তক প্রণয়ন বোর্ডকে ধন্যবাদ। পাঠ্যপুস্তকের মাধ্যমে আমাদের সময়ের সত্যিকার সংগ্রামী ও স্বাপ্নিকদের জীবন সবার প্রেরণা হিসেবে জাগ্রত থাকুক।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের কার্তিক পরামানিকের কথা জানত কেবল তাঁর গাঁয়ের মানুষ। ১০ বছর আগে বৃক্ষপাগল সেই মানুষটির কথা সবাইকে জানিয়েছিল প্রথম আলো। আজ তাঁর কীর্তির কথা স্থান পেয়েছে অষ্টম শ্রেণীর ইংরেজি বইয়ে ‘এ ম্যান হু লাভস ট্রিজ’ শিরোনামে। রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার ধোপাপাড়া গ্রামের রোজিনা খাতুনের দুর্ভাগ্যের শেষ ছিল না। পরিবার হতদরিদ্র, ষষ্ঠ শ্রেণীতে থাকতেই বিয়ে এবং যৌতুকের দাবিতে নির্যাতন, পড়ালেখা বন্ধ, পরিশেষে তালাক। কিন্তু এসবকে করুণ গল্প হতে দেননি রোজিনা। ২০১০ সালে এসএসসিতে অর্জন করেন জিপিএ-৫। এরই স্বীকৃতিতে গত বছরের ১৬ মে ‘রোজিনার জীবনে অন্য রকম পাওয়া’ শীর্ষক খবর ছাপে প্রথম আলো। সেই সূত্রেই এ বছরের ষষ্ঠ শ্রেণীর কর্ম ও জীবনমুখী শিক্ষা বইয়ে রোজিনার কাহিনিটি ছাপা হয়েছে।
রোজিনার সাফল্যের গল্পের পাশাপাশি রাব্বীর গল্পও ছাপা হয়েছিল ‘অবহেলার জবাব দিয়েছে রাব্বী’ শিরোনামে। জন্মগতভাবে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী রাব্বীকে নিয়ে ২০০৮ সালে প্রথম আলোর খোলা কলামে একটি নিবন্ধও প্রকাশিত হয়েছিল। এসএসসি ও এইচএসসি দুটিতেই জিপিএ-৫ পেয়ে রাব্বী এখন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ ও আইন অনুষদে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন। প্রথম আলোর কল্যাণে কার্তিক, রোজিনা ও রাব্বীর কথা মানুষ জেনেছে, তাঁদের দিয়েছে সহায়তা। ধারাবাহিকভাবে তাঁদের সাফল্যের প্রতিটি ধাপের খবর পৌঁছে দিয়েছে পাঠকের কাছে। রোজিনা আর রাব্বীর কাহিনি এখন ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর এবং বেগম রোকেয়ার মতো বড় মনীষীর কাহিনির পাশে পড়ানো হবে দেশের সব বিদ্যালয়ে। এঁরা দুজন যেন আজকের বিদ্যাসাগর, আজকের রোকেয়া।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও জাতীয় পাঠ্যপুস্তক প্রণয়ন বোর্ডকে ধন্যবাদ। পাঠ্যপুস্তকের মাধ্যমে আমাদের সময়ের সত্যিকার সংগ্রামী ও স্বাপ্নিকদের জীবন সবার প্রেরণা হিসেবে জাগ্রত থাকুক।
No comments