যুদ্ধাপরাধীসহ সব গণহত্যার বিচার প্রয়োজন প্রজন্মের চেতনার আলোচনা
সমাজ সভ্যতা ও রাষ্ট্রের স্থিতিশীলতার জন্য যুদ্ধাপরাধসহ সকল প্রকার গণহত্যার বিচার হওয়া প্রয়োজন। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করা না গেলে দেশের কারও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে না।
৩৪ বছর পর বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় রায় কার্যকরের মধ্য দিয়ে জাতি কলঙ্কমুক্ত হয়েছে। এখন সময় এসেছে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করার। যুদ্ধপরাধীদের বিচার করা হলে জাতি তার সমসত্ম দায় থেকে অব্যাহতি পাবে। এর মাধ্যমে বড় ধরনের বিজয় সূচিত হবে। যুদ্ধপরাধীরা ধর্মকে ব্যবহার করে সমাজে ফ্যাসিবাদ সৃষ্টির চেষ্টা করছে। এসব ফ্যাসিবাদী অপশক্তির বিচার না হওয়ার কারণে তারা বারবার মাথাচারা দিয়ে উঠছে। ধর্মকে রাজনীতিতে ব্যবহার করে কোন দেশেই গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা সম্ভব হয়নি। বরং তৈরি হয়েছে ডিকটেটরশিপ। ধর্মকে আর যাতে রাজনীতিতে ব্যবহার না হয় সে জন্য সংবিধান, ইতিহাস ও অপরাধের বিরম্নদ্ধে পরিমার্জন দরকার। শুধু যুদ্ধপরাধের বিচার নয়, পাশাপাশি '৭২-এর সংবিধানেও ফেরত যেতে হবে। তাহলেই হবে মুক্তিযুদ্ধের মতই দ্বিতীয় বিজয়।শনিবার শাহবাগ পাবলিক লাইব্রেরী মিলনায়তনে বর্তমান প্রেৰাপটে যুদ্ধপরাধীদের বিচার শীর্ষক এক আলোচনাসভায় বক্তারা এসব কথা বলেন। প্রজন্মের চেতনা আয়োজিত এ আলোচনাসভায় অন্যানের মধ্যে বক্তৃতা করেন বিশিষ্ট আইনজীবী ব্যারিস্টার আমিরম্নল ইসলাম, সাবেক সেনাপ্রধান এম হারম্নন অর রশিদ, জাসদ নেতা নাজমুল হক প্রধান, সাংবাদিক হারম্নন হাবিব, ভাস্কর রাশা প্রমুখ। অনুষ্ঠানে সভপতিত্ব করেন বিচারপতি গোলাম রাব্বানী। তিনি তাঁর বক্তব্যে বলেন, দেশের যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হবে এ বিষয়ে কোন সংশয় নেই। কিনুত্ম মুক্তিযুদ্ধের দ্বিতীয় বিজয় পেতে হলে অবশ্যই আমাদের '৭২ সালের সংবিধানে ফেরত যেতে হবে।
ব্যারিস্টার আমিরম্নল ইসলাম বলেন, ১৬ ডিসেম্বরে দেশের বিজয় সূচিত হলেও ষড়যন্ত্রের বিরম্নদ্ধে বিজয়লাভ করা সম্ভব হয়নি। দেশকে নেতৃত্বশূন্য করার পরিকল্পনা যুদ্ধের আগেই পাকিসত্মান সরকার নিয়েছিল। ফারম্নক রশিদের মাধ্যমে তা বাসত্মবায়ন করা হয়েছে মাত্র। তারা আগেই পরিকল্পনা করেছিল যুদ্ধে হেরে গেলে তাদের কোন পথে যেতে হবে। সেই পরিকল্পনার বাসত্মবায়ন হয়েছে '৭৫-এর হত্যাকা-ের মাধ্যমে। দেশে শত্র যে শেষ হয়ে যায়নি তা ডিসেম্বরের বিজয়ের প্রাক্কালে বোঝা যায়নি। তিনি বলেন, ধর্মের নামে ফ্যাসিবাদী শক্তি গণহত্যা চালিয়েছে। সমাজ, সভ্যতা ও রাষ্ট্রকে স্থিতিশীল রাখতে হলে এসব ফ্যাসিবাদীদের বিচার হওয়া প্রয়োজন। সাবেক সেনাপ্রধান হারম্নন অর রশিদ বলেন, যারা বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার রোধ করতে আইন করেছিল তাদেরও বিচার হওয়া প্রয়োজন। যারা দেশের মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করেছিল তাদের সামাজিক রাজনৈতিক ও ধর্মীয়ভাবে বিতাড়িত করতে হবে।
No comments