পাঠকের মন্তব্য- মানুষের চোখেমুখে এত আনন্দ আগে কখনো দেখিনি
অনলাইনে প্রথম আলো (prothom-alo.com) পড়া হয় ১৯০টি দেশ থেকে। পাঠকেরা প্রতিদিন রাজনীতি, অর্থনীতি, সমাজ, খেলাসহ বিভিন্ন বিষয়ে তাঁদের মতামত দেন।
তাঁদের এ মতামত চিন্তার খোরাক জোগায় অন্যদের। গত কয়েক দিনে বিভিন্ন বিষয়ে পাঠকদের কিছু মন্তব্য ঈষৎ সংক্ষেপিত আকারে ছাপা হলো।
মাইনাস টু-র কথা শুনে কৌতুক করলেন হাসিনা
২০০৭ সালের এক-এগারোর আগের নানা ঘটনা-সম্পর্কিত গোপন মার্কিন নথি প্রকাশ করেছে উইকিলিকস। এরই ভিত্তিতে মশিউল আলম তাঁর নিবন্ধে শেখ হাসিনার প্রসঙ্গ উত্থাপন করেছেন। এ বিষয়ে মো. জব্বার খান মন্তব্য করেছেন: আজ আবার চারদিকে দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি, রাজনৈতিক নেতাদের অনুসারীদের অনৈতিক দাপটের জয়জয়কার। সেই ঘুষ, দুর্নীতি, অসৎ মানুষদের দাপটবিহীন বাংলাদেশের একমাত্র সোনালি সময় ১/১১-এর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়কাল আবার ফিরে পেতে চাই। যারা দুর্নীতিবাজ, অসৎ, কেবল তারাই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়কালকে খারাপ বলে।
শফিকুর রহমান: বিএনপির একগুঁয়েমি এবং সব ক্ষেত্রে দলীয়করণের ফলে ১/১১ হয়েছিল। যদিও সাধারণ জনগণের অনেক কিছু দেখার সৌভাগ্য হয়েছিল। যেমন—রাস্তায় মালিকবিহীন কোটি টাকার গাড়ি, প্রবাসীরা বিমানবন্দরে যে সুন্দর পরিবেশ পেয়েছিলাম, তা ভোলার নয়। বর্তমান সরকারের আচরণে মনে হচ্ছে তারাও সে পথে এগোচ্ছে।
রিপন সমাদ্দার: জানি না মইনউদ্দিন ও ফখরুদ্দীনের মতো দেশপ্রেমিকেরা আমাদের এই নোংরা রাজনীতিতে আসবেন কি না। তাঁদের মতো মানুষের সত্যি বড় অভাব। আমাদের এই হতভাগা দেশকে বাঁচাতে হলে তাঁদের মতো কিছু দেশপ্রেমিক খুবই দরকার। আমরা আবার হারিয়ে যেতে বসেছি। জানি না, কী আছে এ দেশের ভাগ্যে!
আবুল কালাম আজাদ: বন্ধুদের কেউ কেউ ভাবছেন, শেখ হাসিনা আরেকটা ১/১১-এর ব্যাপারে শঙ্কিত। কিন্তু ব্যাপারটা কী আসলেই তাই? অনেকে তো মনে করেন, শেখ হাসিনা বুঝে গেছেন, নিরপেক্ষ নির্বাচনে তাঁর আবার ক্ষমতায় ফিরে আসার সম্ভাবনা নেই। তাই প্রতিপক্ষের ক্ষমতারোহণ ঠেকাতে তিনিই আরেকটা ১/১১ ডেকে আনতে চাইছেন।
রাষ্ট্রদূতের কথায় রেগে গেলেন খালেদা
এক-এগারোর আগে নানা ঘটনা সম্পর্কে গোপন মার্কিন নথিতে কী বলা হয়েছিল, তা ফাঁস করে দেয় উইকিলিকস। সেখান থেকেই জানা যায় খালেদা জিয়ার সে সময়ের মনোভাব। এ ব্যাপারে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে এস এম বিল্লাহ লিখেছেন: খালেদা আশ্বাস দেন, ‘বিএনপি নির্বাচিত হলে আওয়ামী লীগের দাবি অনুযায়ী পরিচয়পত্র, ভোটার তালিকা তৈরিসহ নির্বাচনী সংস্কার বাস্তবায়ন করবে এবং ১২ থেকে ১৫ মাসের মধ্যে আবার নির্বাচন দেবে।’ নেতারা বিদেশি কূটনীতিকদের আশ্বাস দিতে পারেন কিন্তু দেশের জনগণকে আশ্বস্ত করার মতো কাজ করতে পারেন না। নেতারা বিদেশিদের মাধ্যমে পরস্পরের সঙ্গে কথা বলেন, নিজেরা মুখোমুখি হতে পারেন না। তাঁরা জনগণকে গোষ্ঠী-গোত্রে ভাগ করে পরস্পরবিরোধী বৈরী অবস্থানে নিয়ে গেছেন। তারবার্তাটি আরও একটি বিষয় পরিষ্কার করে দেয় যে, দেশের রাজনৈতিক বিষয়াদির ওপর বিদেশিদের প্রভাব খুবই স্পষ্ট। নেতারা জবাবদিহি করেন বিদেশিদের কাছে; কিন্তু দেশের মালিক যে জনগণ, তাদের কাছে তাঁরা জবাবদিহির ধার ধারেন না।
শফিকুর রহমান: খালেদা জিয়া ক্ষমতায় থাকাকালে যে মনোভাব নিয়ে কথাবার্তা বলতেন, শেখ হাসিনা এখন ঠিক একইভাবে কথাবার্তা বলছেন।
আতিকুর রহমান সবুজ: এই প্রতিবেদনে প্রতীয়মান হয় যে, খালেদা জিয়ার সেই সময় রাজনৈতিক প্রজ্ঞা কত কম ছিল? দেশ যখন অনিশ্চয়তার দিকে ধাবিত হচ্ছিল, খালেদা জিয়া তখন দেশের মানুষের কথা, বিদেশি কূটনীতিকদের উপদেশের তোয়াক্কা না করে দেশকে এক অন্ধকারের দিকে ঠেলে দেন। আর তারই প্রতিফলন ঘটে সামরিক হস্তক্ষেপ; যা দেশকে অনেক পেছনে ঠেলে দেয়। আর এগুলোর দায়ভার কি খালেদা জিয়া নেবেন?
অপরাজেয় সাবরিনা
হুইলচেয়ারে বসে একজন নিজেকে কোথায় নিয়ে যেতে পারেন, তার প্রমাণ সাবরিনা। প্রথম আলোয় ‘আমিই বাংলাদেশ’ শিরোনামের ধারাবাহিক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে সেই কাহিনি। আর এই কাহিনি পড়ে আপ্লুত পাঠকেরা। আল আমিন লিখেছেন: আপনার কাজই আপনাকে আরও বড় করে তুলবে। ‘বদলে দাও বদলে যাও’ প্রথম আলোর স্লোগানের সঙ্গে আপনার জীবন মিলে যাক। সমাজ হোক সবার, রাষ্ট্র হোক সবার।
ইসমাইল হোসেন ভুইয়া: তারা যে দেশের বোঝা নয়, তা আবারও প্রমাণিত হলো। সুযোগ পেলে তারাও দেশের জন্য সুনাম বয়ে আনতে পারে।
ডিএনএ-বৃত্তান্ত কারও সঙ্গেই মিলছে না
সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের পূর্ণাঙ্গ ডিএনএ-বৃত্তান্ত পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে র্যাব। কিন্তু সেই ডিএনএর সঙ্গে মিল আছে এমন কাউকে খুঁজে পায়নি তারা। পুরো বিষয়টি নিয়ে এখনো তারা অন্ধকারেই আছে। প্রথম আলোর এই প্রধান প্রতিবেদন সম্পর্কে আবদুল্লাহ আল মামুন লিখেছেন: আগে থেকেই ধারণা ছিল সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত অপরাধী কারা, তা অজানাই থাকবে। কারণ, এটি ছিল সুপরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। আর যারা হত্যার সঙ্গে জড়িত, তারা অবশ্যই চুনোপুঁটি নয়। সর্বশেষ যা বুঝতে পারলাম, আলোচিত এই হত্যাকাণ্ডটি চিরকাল অন্ধকারেই থেকে যাবে।
মো. শাহ আলম: যেন কোনো অদৃশ্য হনুমান এসে তাঁদের হত্যা করে গেছে। আমাদের করের টাকায় চলা এই গোয়েন্দা, পুলিশ আর আইনশৃঙ্খলা বাহিনী! তবে তো প্রশ্ন করাই যায়, এদের আদৌ প্রয়োজন আছে কী? নাটক যতই হোক, জনগণ বিষয়টা ভালোই পর্যবেক্ষণ করছে।
লক্ষাধিক শিক্ষক পরিবারে আনন্দ
বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক লাখের বেশি শিক্ষকের চাকরি জাতীয়করণের ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এ সম্পর্কে আনোয়ারুল আজিম লিখেছেন: ভালো কাজ, ধন্যবাদ প্রধানমন্ত্রী। অচিরেই বেসরকারি স্কুল ও কলেজের শিক্ষক-কর্মচারীদের চাকরি জাতীয়করণের ঘোষণা দেবেন—এই আশা করছি।
আবদুল মজিদ কাজী: আগামী নির্বাচন সামনে রেখে জনসমর্থন আদায়ের অংশ হিসেবে ঘোষণাটা এসেছে। আমরা জনগণ চাই, সরকার ভালো কাজের ঘোষণা করুক আর তা বাস্তবায়ন করুক। নির্বাচন সামনে রেখে তা করার প্রয়োজন ছিল না। আগে করলেও জনগণ সরকারের প্রশংসা করত, জনসমর্থনও পেত। শেখ হাসিনা দুটি কাজ বাস্তবায়ন করলে আজীবন নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে প্রধানমন্ত্রী হতে পারতেন। (১) ছাত্রলীগসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর মাস্তানি [সন্ত্রাস] রোধ ও (২) দুর্নীতি দমন কমিশনকে শক্তিশালী করে নিরপেক্ষভাবে কাজ করার সুবিধা দেওয়া। এটা করলে দেশে সন্ত্রাস, দুর্নীতি, ঘুষ একেবারে বন্ধ না হলেও ৯৮ শতাংশ হ্রাস পেত। জনগণের জীবন নিরাপদ হতো। সব প্রকল্প সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়িত হতো। দিকে দিকে শেখ হাসিনার জয়গান হতো। এখন বিরোধী দলের চেয়ে তাঁর নিজের দলের লোকই সব প্রকল্প [লুটপাটের মাধ্যমে] ধূলিসাৎ করছে, জনমত বিগড়ে দিচ্ছে তাঁর সরকারের বিপক্ষে।
আব্দুল্লাহেল মাসুম: বাংলাদেশের প্রাথমিক শিক্ষার জন্য একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ। মানসম্মত শিক্ষার জন্য মানসম্মত শিক্ষক প্রয়োজন। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার জন্য শিক্ষকদের মেধার সঙ্গে মননশীল, কোমল, মানবিক মন থাকাটা জরুরি। কারণ, মানুষের জীবনের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বয়স নিয়ে কাজ করতে হয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের। এ পেশায় মেধাবীদের আকৃষ্ট করতে এবং ধরে রাখতে পেশার জন্য আরও কিছু্ ইতিবাচক সিদ্ধান্ত নেওয়া অত্যন্ত জরুরি। চীন নিজেদের বিকাশ অব্যাহত রাখতে এবং তাৎপর্যপূর্ণ করতে ২০১৮ সালের মধ্যে মেধাবীদের দেশের শিক্ষাব্যবস্থায় নিয়োজিত করার নীতি গ্রহণ করেছে। আমরাও সেই পদক্ষেপ নিতে পারি।
তারেক আজিজ: মানুষের চোখেমুখে এত আনন্দ আমি আগে কখনো দেখিনি। রাতের বেলা না ঘুমানো, দীর্ঘ সময় না খেয়ে থাকা, তীব্র শৈত্যপ্রবাহে বাইরে রাত কাটানো মানুষগুলোর চোখেমুখে এত আনন্দ দেখেছি আমি, যা আর কোনো কিছুর সঙ্গেই তুলনা করা যায় না। হাজার হাজার মানুষের মুখে মুখে শুনলাম, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য হূদয়ের গহিন থেকে প্রশংসা ও দোয়া। আজ লক্ষাধিক পরিবার একটা সুন্দর জীবনের নিশ্চয়তা পেল। ১৯৭৩ সালের পর এই প্রথম একসঙ্গে এত স্কুল জাতীয়করণ করা হলো। দেশে আর কোনো বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থাকল না।
(পাঠকের মতামত বিস্তারিত পড়তে ও আপনার মতামত জানাতে ভিজিট করুন prothom-alo.com)
মাইনাস টু-র কথা শুনে কৌতুক করলেন হাসিনা
২০০৭ সালের এক-এগারোর আগের নানা ঘটনা-সম্পর্কিত গোপন মার্কিন নথি প্রকাশ করেছে উইকিলিকস। এরই ভিত্তিতে মশিউল আলম তাঁর নিবন্ধে শেখ হাসিনার প্রসঙ্গ উত্থাপন করেছেন। এ বিষয়ে মো. জব্বার খান মন্তব্য করেছেন: আজ আবার চারদিকে দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি, রাজনৈতিক নেতাদের অনুসারীদের অনৈতিক দাপটের জয়জয়কার। সেই ঘুষ, দুর্নীতি, অসৎ মানুষদের দাপটবিহীন বাংলাদেশের একমাত্র সোনালি সময় ১/১১-এর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়কাল আবার ফিরে পেতে চাই। যারা দুর্নীতিবাজ, অসৎ, কেবল তারাই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়কালকে খারাপ বলে।
শফিকুর রহমান: বিএনপির একগুঁয়েমি এবং সব ক্ষেত্রে দলীয়করণের ফলে ১/১১ হয়েছিল। যদিও সাধারণ জনগণের অনেক কিছু দেখার সৌভাগ্য হয়েছিল। যেমন—রাস্তায় মালিকবিহীন কোটি টাকার গাড়ি, প্রবাসীরা বিমানবন্দরে যে সুন্দর পরিবেশ পেয়েছিলাম, তা ভোলার নয়। বর্তমান সরকারের আচরণে মনে হচ্ছে তারাও সে পথে এগোচ্ছে।
রিপন সমাদ্দার: জানি না মইনউদ্দিন ও ফখরুদ্দীনের মতো দেশপ্রেমিকেরা আমাদের এই নোংরা রাজনীতিতে আসবেন কি না। তাঁদের মতো মানুষের সত্যি বড় অভাব। আমাদের এই হতভাগা দেশকে বাঁচাতে হলে তাঁদের মতো কিছু দেশপ্রেমিক খুবই দরকার। আমরা আবার হারিয়ে যেতে বসেছি। জানি না, কী আছে এ দেশের ভাগ্যে!
আবুল কালাম আজাদ: বন্ধুদের কেউ কেউ ভাবছেন, শেখ হাসিনা আরেকটা ১/১১-এর ব্যাপারে শঙ্কিত। কিন্তু ব্যাপারটা কী আসলেই তাই? অনেকে তো মনে করেন, শেখ হাসিনা বুঝে গেছেন, নিরপেক্ষ নির্বাচনে তাঁর আবার ক্ষমতায় ফিরে আসার সম্ভাবনা নেই। তাই প্রতিপক্ষের ক্ষমতারোহণ ঠেকাতে তিনিই আরেকটা ১/১১ ডেকে আনতে চাইছেন।
রাষ্ট্রদূতের কথায় রেগে গেলেন খালেদা
এক-এগারোর আগে নানা ঘটনা সম্পর্কে গোপন মার্কিন নথিতে কী বলা হয়েছিল, তা ফাঁস করে দেয় উইকিলিকস। সেখান থেকেই জানা যায় খালেদা জিয়ার সে সময়ের মনোভাব। এ ব্যাপারে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে এস এম বিল্লাহ লিখেছেন: খালেদা আশ্বাস দেন, ‘বিএনপি নির্বাচিত হলে আওয়ামী লীগের দাবি অনুযায়ী পরিচয়পত্র, ভোটার তালিকা তৈরিসহ নির্বাচনী সংস্কার বাস্তবায়ন করবে এবং ১২ থেকে ১৫ মাসের মধ্যে আবার নির্বাচন দেবে।’ নেতারা বিদেশি কূটনীতিকদের আশ্বাস দিতে পারেন কিন্তু দেশের জনগণকে আশ্বস্ত করার মতো কাজ করতে পারেন না। নেতারা বিদেশিদের মাধ্যমে পরস্পরের সঙ্গে কথা বলেন, নিজেরা মুখোমুখি হতে পারেন না। তাঁরা জনগণকে গোষ্ঠী-গোত্রে ভাগ করে পরস্পরবিরোধী বৈরী অবস্থানে নিয়ে গেছেন। তারবার্তাটি আরও একটি বিষয় পরিষ্কার করে দেয় যে, দেশের রাজনৈতিক বিষয়াদির ওপর বিদেশিদের প্রভাব খুবই স্পষ্ট। নেতারা জবাবদিহি করেন বিদেশিদের কাছে; কিন্তু দেশের মালিক যে জনগণ, তাদের কাছে তাঁরা জবাবদিহির ধার ধারেন না।
শফিকুর রহমান: খালেদা জিয়া ক্ষমতায় থাকাকালে যে মনোভাব নিয়ে কথাবার্তা বলতেন, শেখ হাসিনা এখন ঠিক একইভাবে কথাবার্তা বলছেন।
আতিকুর রহমান সবুজ: এই প্রতিবেদনে প্রতীয়মান হয় যে, খালেদা জিয়ার সেই সময় রাজনৈতিক প্রজ্ঞা কত কম ছিল? দেশ যখন অনিশ্চয়তার দিকে ধাবিত হচ্ছিল, খালেদা জিয়া তখন দেশের মানুষের কথা, বিদেশি কূটনীতিকদের উপদেশের তোয়াক্কা না করে দেশকে এক অন্ধকারের দিকে ঠেলে দেন। আর তারই প্রতিফলন ঘটে সামরিক হস্তক্ষেপ; যা দেশকে অনেক পেছনে ঠেলে দেয়। আর এগুলোর দায়ভার কি খালেদা জিয়া নেবেন?
অপরাজেয় সাবরিনা
হুইলচেয়ারে বসে একজন নিজেকে কোথায় নিয়ে যেতে পারেন, তার প্রমাণ সাবরিনা। প্রথম আলোয় ‘আমিই বাংলাদেশ’ শিরোনামের ধারাবাহিক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে সেই কাহিনি। আর এই কাহিনি পড়ে আপ্লুত পাঠকেরা। আল আমিন লিখেছেন: আপনার কাজই আপনাকে আরও বড় করে তুলবে। ‘বদলে দাও বদলে যাও’ প্রথম আলোর স্লোগানের সঙ্গে আপনার জীবন মিলে যাক। সমাজ হোক সবার, রাষ্ট্র হোক সবার।
ইসমাইল হোসেন ভুইয়া: তারা যে দেশের বোঝা নয়, তা আবারও প্রমাণিত হলো। সুযোগ পেলে তারাও দেশের জন্য সুনাম বয়ে আনতে পারে।
ডিএনএ-বৃত্তান্ত কারও সঙ্গেই মিলছে না
সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের পূর্ণাঙ্গ ডিএনএ-বৃত্তান্ত পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে র্যাব। কিন্তু সেই ডিএনএর সঙ্গে মিল আছে এমন কাউকে খুঁজে পায়নি তারা। পুরো বিষয়টি নিয়ে এখনো তারা অন্ধকারেই আছে। প্রথম আলোর এই প্রধান প্রতিবেদন সম্পর্কে আবদুল্লাহ আল মামুন লিখেছেন: আগে থেকেই ধারণা ছিল সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত অপরাধী কারা, তা অজানাই থাকবে। কারণ, এটি ছিল সুপরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। আর যারা হত্যার সঙ্গে জড়িত, তারা অবশ্যই চুনোপুঁটি নয়। সর্বশেষ যা বুঝতে পারলাম, আলোচিত এই হত্যাকাণ্ডটি চিরকাল অন্ধকারেই থেকে যাবে।
মো. শাহ আলম: যেন কোনো অদৃশ্য হনুমান এসে তাঁদের হত্যা করে গেছে। আমাদের করের টাকায় চলা এই গোয়েন্দা, পুলিশ আর আইনশৃঙ্খলা বাহিনী! তবে তো প্রশ্ন করাই যায়, এদের আদৌ প্রয়োজন আছে কী? নাটক যতই হোক, জনগণ বিষয়টা ভালোই পর্যবেক্ষণ করছে।
লক্ষাধিক শিক্ষক পরিবারে আনন্দ
বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক লাখের বেশি শিক্ষকের চাকরি জাতীয়করণের ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এ সম্পর্কে আনোয়ারুল আজিম লিখেছেন: ভালো কাজ, ধন্যবাদ প্রধানমন্ত্রী। অচিরেই বেসরকারি স্কুল ও কলেজের শিক্ষক-কর্মচারীদের চাকরি জাতীয়করণের ঘোষণা দেবেন—এই আশা করছি।
আবদুল মজিদ কাজী: আগামী নির্বাচন সামনে রেখে জনসমর্থন আদায়ের অংশ হিসেবে ঘোষণাটা এসেছে। আমরা জনগণ চাই, সরকার ভালো কাজের ঘোষণা করুক আর তা বাস্তবায়ন করুক। নির্বাচন সামনে রেখে তা করার প্রয়োজন ছিল না। আগে করলেও জনগণ সরকারের প্রশংসা করত, জনসমর্থনও পেত। শেখ হাসিনা দুটি কাজ বাস্তবায়ন করলে আজীবন নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে প্রধানমন্ত্রী হতে পারতেন। (১) ছাত্রলীগসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর মাস্তানি [সন্ত্রাস] রোধ ও (২) দুর্নীতি দমন কমিশনকে শক্তিশালী করে নিরপেক্ষভাবে কাজ করার সুবিধা দেওয়া। এটা করলে দেশে সন্ত্রাস, দুর্নীতি, ঘুষ একেবারে বন্ধ না হলেও ৯৮ শতাংশ হ্রাস পেত। জনগণের জীবন নিরাপদ হতো। সব প্রকল্প সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়িত হতো। দিকে দিকে শেখ হাসিনার জয়গান হতো। এখন বিরোধী দলের চেয়ে তাঁর নিজের দলের লোকই সব প্রকল্প [লুটপাটের মাধ্যমে] ধূলিসাৎ করছে, জনমত বিগড়ে দিচ্ছে তাঁর সরকারের বিপক্ষে।
আব্দুল্লাহেল মাসুম: বাংলাদেশের প্রাথমিক শিক্ষার জন্য একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ। মানসম্মত শিক্ষার জন্য মানসম্মত শিক্ষক প্রয়োজন। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার জন্য শিক্ষকদের মেধার সঙ্গে মননশীল, কোমল, মানবিক মন থাকাটা জরুরি। কারণ, মানুষের জীবনের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বয়স নিয়ে কাজ করতে হয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের। এ পেশায় মেধাবীদের আকৃষ্ট করতে এবং ধরে রাখতে পেশার জন্য আরও কিছু্ ইতিবাচক সিদ্ধান্ত নেওয়া অত্যন্ত জরুরি। চীন নিজেদের বিকাশ অব্যাহত রাখতে এবং তাৎপর্যপূর্ণ করতে ২০১৮ সালের মধ্যে মেধাবীদের দেশের শিক্ষাব্যবস্থায় নিয়োজিত করার নীতি গ্রহণ করেছে। আমরাও সেই পদক্ষেপ নিতে পারি।
তারেক আজিজ: মানুষের চোখেমুখে এত আনন্দ আমি আগে কখনো দেখিনি। রাতের বেলা না ঘুমানো, দীর্ঘ সময় না খেয়ে থাকা, তীব্র শৈত্যপ্রবাহে বাইরে রাত কাটানো মানুষগুলোর চোখেমুখে এত আনন্দ দেখেছি আমি, যা আর কোনো কিছুর সঙ্গেই তুলনা করা যায় না। হাজার হাজার মানুষের মুখে মুখে শুনলাম, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য হূদয়ের গহিন থেকে প্রশংসা ও দোয়া। আজ লক্ষাধিক পরিবার একটা সুন্দর জীবনের নিশ্চয়তা পেল। ১৯৭৩ সালের পর এই প্রথম একসঙ্গে এত স্কুল জাতীয়করণ করা হলো। দেশে আর কোনো বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থাকল না।
(পাঠকের মতামত বিস্তারিত পড়তে ও আপনার মতামত জানাতে ভিজিট করুন prothom-alo.com)
No comments