বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব শেষ-লাখো কণ্ঠে শান্তির জন্য প্রার্থনা by মো. মাহবুবুল আলম
'আল্লাহুম্মা আমিন, আল্লাহুম্মা আমিন' ধ্বনিতে বিশাল জনসমুদ্রে ভাবগম্ভীর পরিবেশে আখেরি মোনাজাতে মুসলিম উম্মাহর ঐক্য, শান্তি, অগ্রগতি, সমৃদ্ধি ও দ্বীনের দাওয়াত সারা বিশ্বে পৌঁছে দেওয়ার তৌফিক কামনা করার মধ্য দিয়ে গতকাল রবিবার বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব শেষ হয়েছে।
দুপুর ১টা ১ মিনিট থেকে ১টা ১৮ মিনিট পর্যন্ত ১৭ মিনিটের এই আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করেন বিশ্ব তাবলিগ মারকাজের শীর্ষ মুরবি্ব মাওলানা যোবায়রুল হাসান।
আখেরি মোনাজাতের আগে তাবলিগ জামাতের রেওয়াজ অনুসারে দীর্ঘ হেদায়েতি বয়ান পেশ করেন মজলিশে শুরা সদস্য, মুরবি্ব মাওলানা সা'য়দ আহমাদ। আগামী এক বছরের কর্মসূচি ও পরবর্তী করণীয় সম্পর্কে দিকনির্দেশনামূলক হেদায়েতি বয়ানের পর মোনাজাত শুরু হয়। এ সময় গোটা ইজতেমা মাঠে নেমে আসে নীরবতা। এই নীরবতা ভেঙে কেবল ভেসে আসে লাখো কণ্ঠে করুণ কান্নার আওয়াজ আর 'আমিন, আমিন' ধ্বনি। এ ধর্মীয় মহাসমাবেশে লাখ লাখ মুসলাম হাজির হন স্রষ্টার করুণা কামনায়। অন্যান্য ধর্মের অনুসারীরাও মিশে গিয়েছিলেন ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে।
রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য টঙ্গীতে মোনাজাতে অংশগ্রহণের সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়। তবে রাষ্ট্রপতি বঙ্গভবন এবং প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে মোনাজাতে শরিক হন। বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়া ইজতেমা ময়দানসংলগ্ন এটলাস মোটরসাইকেল কারখানায় তৈরি বিশেষ প্যান্ডেলে বসে মোনাজাতে অংশ নেন। এ সময় বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা তাঁর সঙ্গে ছিলেন।
ইজতেমার প্রথম পর্বে বিশ্বের ৮৬ দেশের প্রায় ১০ হাজার প্রতিনিধিসহ আনুমানিক ৪০ লাখ ধর্মপ্রাণ মুসল্লি অংশ নেন বলে ধারণা করা হয়। ১৮ জানুয়ারি শুরু হবে দ্বিতীয় পর্বের বিশ্ব ইজতেমা। দ্বিতীয় পর্বে ঢাকার কিছু অঞ্চলসহ ৩৩ জেলার অবশিষ্ট মুসল্লি অংশ নেবেন। দ্বিতীয় পর্বেও বিভিন্ন দেশের তিন হাজার অতিথি অংশ নেবেন। ইজতেমায় আগতদের স্থান সংকুলান না হওয়ার কারণে দুই পর্বে আয়োজনের ব্যবস্থা নিলেও আগতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। এখনো প্যান্ডেলে অনেকের ঠাঁই হচ্ছে না।
মানুষের ঢল : কনকনে শীতের মধ্যে আখেরি মোনাজাতে অংশ নিতে ভোর থেকেই রাজধানী ঢাকাসহ টঙ্গী-গাজীপুর ও আশপাশের এলাকাগুলো থেকে লাখ লাখ ধর্মপ্রাণ মানুষ ইজতেমা মাঠের দিকে যেতে থাকেন। সকাল ৭টার পর উত্তরা থেকে গাজীপুরের বোর্ডবাজার ও চৌরাস্তা পর্যন্ত ১০-১২ কিলোমিটার এলাকা জনসমুদ্রে পরিণত হয়। ইজতেমার আশপাশের মাঠ, কলকারখানা, হাসপাতাল, দোকানপাট, যানবাহনের ছাদ ও ভবনের ছাদ মানুষে পূর্ণ হয়ে যায়। মাঠের পশ্চিমে আশুলিয়া সড়ক ও পূর্বে মাজু খান ব্রিজ পর্যন্ত গোটা এলাকায় মানুষের ঢল নামে। মোনাজাতে শরিক হতে আসা অসংখ্য মানুষ ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক, টঙ্গী-আশুলিয়া সড়ক এবং নদীতে নৌকা ও লঞ্চে ঠাঁই নেন।
মোনাজাতের পর : আখেরি মোনাজাতের পর প্যান্ডেলের বাইরে মুসল্লিদের কাফেলা ঘরে ফেরার উদ্দেশ্যে ছুটতে শুরু করে। মুহূর্তের মধ্যে গোটা জনসমুদ্র সচল হয়ে ওঠে। প্যান্ডেলের ভেতরের জামাতবদ্ধ মুসল্লিরা জোহরের নামাজ আদায় করে বাড়ির উদ্দেশে যাত্রা করেন। তুরাগ নদ দিয়ে লঞ্চ, ট্রলার, কার্গো ও নৌকায়, হেঁটে এবং বাস, ট্রাক, ট্রেনে যে যেভাবে পেরেছেন বাড়ির পথে ছুটেছেন। সন্ধ্যার পরও বাড়ি ফেরা মানুষের ঢল অব্যাহত ছিল।
যাতায়াতের বিড়ম্বনা : আখেরি মোনাজাতের পর ঘরমুখো মুসল্লিদের পড়তে হয় বিড়ম্বনায়। বাস, ট্রেন, নৌকায় 'ঠাঁই নেই, ঠাঁই নেই' অবস্থা। এ সুযোগে যানবাহনে ভাড়া আদায় করা হয় অধিক হারে। টঙ্গী থেকে মহাখালী অথবা চৌরাস্তা পর্যন্ত ১৪-১৫ টাকা ভাড়ার স্থলে ট্রাক ও বাসে ভাড়া আদায় করা হয় ৩০ টাকা। টেম্পো-রিকশা ৫০ টাকা ভাড়ায় চৌরাস্তা পর্যন্ত যাত্রী বহন করেছে। দূর গন্তব্যের ভাড়া মাথাপিছু ৫০ টাকা বেশি আদায় করা হয়েছে।
পাঁচ হাজার নতুন জামাত :
বিশ্ব ইজতেমা ময়দান থেকে প্রথম পর্বের পর পাঁচ হাজার নতুন জামাত দেশ-বিদেশে পাঠানো হবে। এবারের ইজতেমা থেকে মধ্যপ্রাচ্য এবং বেশ কিছু অমুসলিম দেশে চিল্লার জামাত পাঠানো হবে। তবে ইজতেমায় শরিক হওয়া বিদেশি মুসল্লিদের অনেকেই তাবলিগের কাজে বাংলাদেশে থেকে যাবেন। এ ছাড়া প্রতিবন্ধী মুসল্লিদের বেশ কয়েকটি জামাত বাংলাদেশের বাইরে বিভিন্ন দেশে পাঠানো হবে।
পাঁচ মুসল্লির মৃত্যু :
শনিবার মধ্য ও শেষরাতে পাঁচ মুসল্লির মৃত্যু হয়েছে। তাঁরা হলেন ফরিদপুরের বোয়ালমারী এলাকার আলাউদ্দিন শেখ (৫০), চাঁদপুরের উত্তর দাসদী এলাকার আবুল খায়ের পাটোয়ারী (৬০), যশোরের মনিরামপুর উপজেলার সৈয়দ আলী খান (৬৫) ও সিরাজগঞ্জের বেলকুচি এলাকার জামাল উদ্দিন (৬৫)। অপর মুসল্লির পরিচয় পাওয়া যায়নি। সবার লাশ জানাজা শেষে নিজ নিজ খেত্তার সঙ্গীরা বাড়ি নিয়ে গেছেন।
মহাসড়কে মেলা : আখেরি মোনাজাত উপলক্ষে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের দুই পাশে সকাল থেকেই অন্যরকম 'মেলা' বসেছে। হাজার হাজার ভিক্ষুক এবং নানারকম পণ্য নিয়ে ব্যবসায়ীরা মহাসড়কের দুই পাশ দখল করে নেন। এ ছাড়া ইজতেমা মাঠের আশপাশে জমে উঠেছে অস্থায়ী বাজার। তাতে বিরাট মূল্যহ্রাস শুরু হয় মোনাজাতের পর। সব জিনিসের দাম অর্ধেক- এ খবর ছড়িয়ে পড়লে আশপাশের গ্রাম ও টঙ্গী শিল্পাঞ্চল থেকে অসংখ্য নারী-পুরুষ দল বেঁধে ছুটে আসতে থাকেন। এখানে কম্বল, চাদর, শাড়ি, চিঁড়া, মুড়ি, ডেকচি, বাটি, বদনা, জগ, স্যুট, কোট, টাই, সোয়েটার, জায়নামাজ, তসবিহ, কলম, বই, চশমা, ডিম, পাটি, পলিথিন, সিমেন্টের খালি বস্তা, সিনেমোর নায়ক-নায়িকার ছবি থেকে শুরু করে জিলাপি, মোয়া ও বাতের ওষুধ পর্যন্ত বেচাকেনা হয়েছে।
২০০ হকার আটক :
ইজতেমার তিন দিনে ময়দানের আশপাশের রাস্তা দখল করে থাকা প্রায় ২০০ হকারকে আটক করে ট্রাকে তুলে পুলিশ দূরে কোথাও ফেলে রেখে আসে। তবে দুই ঘণ্টা পর হকাররা আবার ফিরে এসে পসরা সাজিয়ে আগের জায়গায় ব্যবসা চালিয়েছেন।
আখেরি মোনাজাতের আগে তাবলিগ জামাতের রেওয়াজ অনুসারে দীর্ঘ হেদায়েতি বয়ান পেশ করেন মজলিশে শুরা সদস্য, মুরবি্ব মাওলানা সা'য়দ আহমাদ। আগামী এক বছরের কর্মসূচি ও পরবর্তী করণীয় সম্পর্কে দিকনির্দেশনামূলক হেদায়েতি বয়ানের পর মোনাজাত শুরু হয়। এ সময় গোটা ইজতেমা মাঠে নেমে আসে নীরবতা। এই নীরবতা ভেঙে কেবল ভেসে আসে লাখো কণ্ঠে করুণ কান্নার আওয়াজ আর 'আমিন, আমিন' ধ্বনি। এ ধর্মীয় মহাসমাবেশে লাখ লাখ মুসলাম হাজির হন স্রষ্টার করুণা কামনায়। অন্যান্য ধর্মের অনুসারীরাও মিশে গিয়েছিলেন ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে।
রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য টঙ্গীতে মোনাজাতে অংশগ্রহণের সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়। তবে রাষ্ট্রপতি বঙ্গভবন এবং প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে মোনাজাতে শরিক হন। বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়া ইজতেমা ময়দানসংলগ্ন এটলাস মোটরসাইকেল কারখানায় তৈরি বিশেষ প্যান্ডেলে বসে মোনাজাতে অংশ নেন। এ সময় বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা তাঁর সঙ্গে ছিলেন।
ইজতেমার প্রথম পর্বে বিশ্বের ৮৬ দেশের প্রায় ১০ হাজার প্রতিনিধিসহ আনুমানিক ৪০ লাখ ধর্মপ্রাণ মুসল্লি অংশ নেন বলে ধারণা করা হয়। ১৮ জানুয়ারি শুরু হবে দ্বিতীয় পর্বের বিশ্ব ইজতেমা। দ্বিতীয় পর্বে ঢাকার কিছু অঞ্চলসহ ৩৩ জেলার অবশিষ্ট মুসল্লি অংশ নেবেন। দ্বিতীয় পর্বেও বিভিন্ন দেশের তিন হাজার অতিথি অংশ নেবেন। ইজতেমায় আগতদের স্থান সংকুলান না হওয়ার কারণে দুই পর্বে আয়োজনের ব্যবস্থা নিলেও আগতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। এখনো প্যান্ডেলে অনেকের ঠাঁই হচ্ছে না।
মানুষের ঢল : কনকনে শীতের মধ্যে আখেরি মোনাজাতে অংশ নিতে ভোর থেকেই রাজধানী ঢাকাসহ টঙ্গী-গাজীপুর ও আশপাশের এলাকাগুলো থেকে লাখ লাখ ধর্মপ্রাণ মানুষ ইজতেমা মাঠের দিকে যেতে থাকেন। সকাল ৭টার পর উত্তরা থেকে গাজীপুরের বোর্ডবাজার ও চৌরাস্তা পর্যন্ত ১০-১২ কিলোমিটার এলাকা জনসমুদ্রে পরিণত হয়। ইজতেমার আশপাশের মাঠ, কলকারখানা, হাসপাতাল, দোকানপাট, যানবাহনের ছাদ ও ভবনের ছাদ মানুষে পূর্ণ হয়ে যায়। মাঠের পশ্চিমে আশুলিয়া সড়ক ও পূর্বে মাজু খান ব্রিজ পর্যন্ত গোটা এলাকায় মানুষের ঢল নামে। মোনাজাতে শরিক হতে আসা অসংখ্য মানুষ ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক, টঙ্গী-আশুলিয়া সড়ক এবং নদীতে নৌকা ও লঞ্চে ঠাঁই নেন।
মোনাজাতের পর : আখেরি মোনাজাতের পর প্যান্ডেলের বাইরে মুসল্লিদের কাফেলা ঘরে ফেরার উদ্দেশ্যে ছুটতে শুরু করে। মুহূর্তের মধ্যে গোটা জনসমুদ্র সচল হয়ে ওঠে। প্যান্ডেলের ভেতরের জামাতবদ্ধ মুসল্লিরা জোহরের নামাজ আদায় করে বাড়ির উদ্দেশে যাত্রা করেন। তুরাগ নদ দিয়ে লঞ্চ, ট্রলার, কার্গো ও নৌকায়, হেঁটে এবং বাস, ট্রাক, ট্রেনে যে যেভাবে পেরেছেন বাড়ির পথে ছুটেছেন। সন্ধ্যার পরও বাড়ি ফেরা মানুষের ঢল অব্যাহত ছিল।
যাতায়াতের বিড়ম্বনা : আখেরি মোনাজাতের পর ঘরমুখো মুসল্লিদের পড়তে হয় বিড়ম্বনায়। বাস, ট্রেন, নৌকায় 'ঠাঁই নেই, ঠাঁই নেই' অবস্থা। এ সুযোগে যানবাহনে ভাড়া আদায় করা হয় অধিক হারে। টঙ্গী থেকে মহাখালী অথবা চৌরাস্তা পর্যন্ত ১৪-১৫ টাকা ভাড়ার স্থলে ট্রাক ও বাসে ভাড়া আদায় করা হয় ৩০ টাকা। টেম্পো-রিকশা ৫০ টাকা ভাড়ায় চৌরাস্তা পর্যন্ত যাত্রী বহন করেছে। দূর গন্তব্যের ভাড়া মাথাপিছু ৫০ টাকা বেশি আদায় করা হয়েছে।
পাঁচ হাজার নতুন জামাত :
বিশ্ব ইজতেমা ময়দান থেকে প্রথম পর্বের পর পাঁচ হাজার নতুন জামাত দেশ-বিদেশে পাঠানো হবে। এবারের ইজতেমা থেকে মধ্যপ্রাচ্য এবং বেশ কিছু অমুসলিম দেশে চিল্লার জামাত পাঠানো হবে। তবে ইজতেমায় শরিক হওয়া বিদেশি মুসল্লিদের অনেকেই তাবলিগের কাজে বাংলাদেশে থেকে যাবেন। এ ছাড়া প্রতিবন্ধী মুসল্লিদের বেশ কয়েকটি জামাত বাংলাদেশের বাইরে বিভিন্ন দেশে পাঠানো হবে।
পাঁচ মুসল্লির মৃত্যু :
শনিবার মধ্য ও শেষরাতে পাঁচ মুসল্লির মৃত্যু হয়েছে। তাঁরা হলেন ফরিদপুরের বোয়ালমারী এলাকার আলাউদ্দিন শেখ (৫০), চাঁদপুরের উত্তর দাসদী এলাকার আবুল খায়ের পাটোয়ারী (৬০), যশোরের মনিরামপুর উপজেলার সৈয়দ আলী খান (৬৫) ও সিরাজগঞ্জের বেলকুচি এলাকার জামাল উদ্দিন (৬৫)। অপর মুসল্লির পরিচয় পাওয়া যায়নি। সবার লাশ জানাজা শেষে নিজ নিজ খেত্তার সঙ্গীরা বাড়ি নিয়ে গেছেন।
মহাসড়কে মেলা : আখেরি মোনাজাত উপলক্ষে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের দুই পাশে সকাল থেকেই অন্যরকম 'মেলা' বসেছে। হাজার হাজার ভিক্ষুক এবং নানারকম পণ্য নিয়ে ব্যবসায়ীরা মহাসড়কের দুই পাশ দখল করে নেন। এ ছাড়া ইজতেমা মাঠের আশপাশে জমে উঠেছে অস্থায়ী বাজার। তাতে বিরাট মূল্যহ্রাস শুরু হয় মোনাজাতের পর। সব জিনিসের দাম অর্ধেক- এ খবর ছড়িয়ে পড়লে আশপাশের গ্রাম ও টঙ্গী শিল্পাঞ্চল থেকে অসংখ্য নারী-পুরুষ দল বেঁধে ছুটে আসতে থাকেন। এখানে কম্বল, চাদর, শাড়ি, চিঁড়া, মুড়ি, ডেকচি, বাটি, বদনা, জগ, স্যুট, কোট, টাই, সোয়েটার, জায়নামাজ, তসবিহ, কলম, বই, চশমা, ডিম, পাটি, পলিথিন, সিমেন্টের খালি বস্তা, সিনেমোর নায়ক-নায়িকার ছবি থেকে শুরু করে জিলাপি, মোয়া ও বাতের ওষুধ পর্যন্ত বেচাকেনা হয়েছে।
২০০ হকার আটক :
ইজতেমার তিন দিনে ময়দানের আশপাশের রাস্তা দখল করে থাকা প্রায় ২০০ হকারকে আটক করে ট্রাকে তুলে পুলিশ দূরে কোথাও ফেলে রেখে আসে। তবে দুই ঘণ্টা পর হকাররা আবার ফিরে এসে পসরা সাজিয়ে আগের জায়গায় ব্যবসা চালিয়েছেন।
No comments