মরুর দেশে মাছের চাষ by রুহিনা তাসকিন
ই-মেইলে ছিল একটা লাইন, ‘কাউকে মাছ ধরা শিখিয়ে দাও, সে এক দিনের খাবার পাবে। আর মাছের চাষ করা শিখিয়ে দাও, সে সারাজীবনের খাবার পাবে।’ মোহাম্মদ গোলাম কিবরিয়ার ই-মেইল সিগনেচারের লাইন এটি।
পরের কাজটাই করছেন মোহাম্মদ গোলাম কিবরিয়া। তবে তা সুজলা-সুফলা এই বাংলাদেশে নয়, মরুর দেশ নামিবিয়ায়। সেখানকার মৎস্য ও সামুদ্রিক সম্পদ মন্ত্রণালয়ের বিশেষ উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করছেন তিনি। ২০০৮ সাল থেকে এই পদে আছেন।
‘ছোট পরিসরে একটু একটু করে মাছের খামার করে বড় সামাজিক পরিবর্তন আনা সম্ভব। নামিবিয়ার সরকার ব্যাপারটি বুঝেই এ ক্ষেত্রে খুব গুরুত্ব দিচ্ছে।’ বললেন কিবরিয়া।
নামিবিয়াজুড়ে মাছের চাষ হচ্ছে। আর এর জন্য প্রয়োজনীয় কাঠামো তৈরি ও গবেষণার সার্বিক দায়িত্বে আছেন গোলাম কিবরিয়া। নামিবিয়ার উত্তরাঞ্চলের জলাশয়ে এমনিতেই মাছের চাষ করা হয়। দক্ষিণাঞ্চলে মরুভূমি, এখানে মাছের চাষ হয় সিমেন্টের চৌবাচ্চায়। এখানে দুই প্রজাতির মাছ উৎপাদন করা হয়—আফ্রিকান মাগুর আর তেলাপিয়া। বাংলাদেশের পাঙাশ, চিংড়ি, কার্পজাতীয় মাছেরও ভালো উৎপাদন করা সম্ভব এখানে। আর এখানকার মাছের বৈচিত্র্য বাড়াতে বাংলাদেশ থেকে নতুন প্রজাতির মাছ এনে চাষ করতে সরকারও আগ্রহী। এ নিয়ে কাজ করার ইচ্চ্ছা আছে বলেও জানালেন কিবরিয়া।
একটা সময় এখানে বছরে ২০০ থেকে ৩০০ মেট্রিক টন মাছ উৎপাদন করা হতো। গোলাম কিবরিয়া দায়িত্ব নেওয়ার পর পরিমাণটা বেড়ে দাঁড়িয়েছে এক হাজার মেট্রিক টন। দেশের চাহিদা মিটিয়ে এগুলো পাশের দেশগুলো, এমনকি ইউরোপের বাজারেও রপ্তানির চেষ্টা চলছে।
শুধু মাঠপর্যায়ে মাছ চাষের তত্ত্বাবধানই নয়, গোলাম কিবরিয়ার কাজের একটা গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো, এ ক্ষেত্রে নানা দেশের সঙ্গে নামিবিয়ার সহযোগিতা আদান-প্রদান, দ্বিপক্ষীয় চুক্তির ব্যবস্থা করা, তহবিল জোগাড় ইত্যাদি। সরকারের মৎস্যবিষয়ক নানা পরিকল্পনা তৈরি এবং এর বাস্তবায়নের দায়িত্বও তিনি পালন করেন।
গোলাম কিবরিয়া এক ই-মেইল বার্তায় প্রথম আলোকে জানালেন, ‘নামিবিয়া সরকার বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করতে বেশ আগ্রহী। সে ক্ষেত্রে বাংলাদেশি মাছচাষি ও বিনিয়োগকারীরা নামিবিয়ায়ও কাজ করতে পারবেন। আমি চেষ্টা করছি তাঁরা যাতে নামিবিয়ায় শুল্কের ক্ষেত্রে বিশেষ সুবিধা পান। এখানকার জনসংখ্যা খুবই কম। বাংলাদেশ থেকে এখানে এসে কাজের সুবিধাও পাওয়া যাবে। অন্যান্য অনেক দেশের তুলনায় পারিশ্রমিকও ভালো। বাংলাদেশের গ্রামগঞ্জে প্রচুর দক্ষ মাছচাষি আছেন। তাঁরা যাতে এখানে এসে কাজ বা বিনিয়োগের সুবিধা পান, সে ব্যাপারে আমি চেষ্টা করছি। এ ছাড়া বাংলাদেশের মতোই এখানকার চাষিদের জন্য ক্ষুদ্রঋণ চালু করারও চেষ্টা করছি।’
নামিবিয়ায় আসার আগে ভিয়েতনামে কমনওয়েলথের হয়ে কাজ করতেন গোলাম কিবরিয়া। এর আগে কাজ করেছেন থাইল্যান্ডে। ১৯৯৪ সালে বাংলাদেশে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স করেন। এরপর ডানিডা ও ডিএফআইডির হয়ে বাংলাদেশে কিছুদিন কাজ করেন। ১৯৯৯ সালে থাইল্যান্ডে এশিয়ান ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজিতে মাস্টার্স করেন।
২০১০ সালে গোলাম কিবরিয়া ‘বেস্ট কমনওয়েলথ অ্যাডভাইজরস’-এর একজন নির্বাচিত হন। একই বছর জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংগঠন (ফাও) তাঁকে তাদের গ্লোবাল প্যানেল মেম্বার মনোনীত করে।
গোলাম কিবরিয়ার কর্মকালে ২০০৯ সালে নামিবিয়া সরকারের মৎস্য মন্ত্রণালয় পায় গুরুত্বপূর্ণ নানা পুরস্কার। ফাও, সুইডিশ সি ফুড অ্যাওয়ার্ড, অ্যাকুয়া কালচার অ্যাসোসিয়েশন অব সাউদার্ন আফ্রিকা থেকে এসব পুরস্কার দেওয়া হয়।
১৯৬৮ সালে ঢাকার ওয়ারীতে জন্ম গোলাম কিবরিয়ার। আর পৈতৃক বাড়ি চট্টগ্রামের সন্দ্বীপে। বরিশাল ক্যাডেট কলেজ ও কুমিল্লা ক্যাডেট কলেজে পড়াশোনা করেছেন। বাবা মোহাম্মদ গোলাম মওলা ছিলেন অধ্যাপক।
প্রায় ১৫ বছর ধরে দেশের বাইরে কাজ করছেন গোলাম কিবরিয়া। এবার দেশের হয়ে কাজ করার সুযোগ চান তিনি।
‘ছোট পরিসরে একটু একটু করে মাছের খামার করে বড় সামাজিক পরিবর্তন আনা সম্ভব। নামিবিয়ার সরকার ব্যাপারটি বুঝেই এ ক্ষেত্রে খুব গুরুত্ব দিচ্ছে।’ বললেন কিবরিয়া।
নামিবিয়াজুড়ে মাছের চাষ হচ্ছে। আর এর জন্য প্রয়োজনীয় কাঠামো তৈরি ও গবেষণার সার্বিক দায়িত্বে আছেন গোলাম কিবরিয়া। নামিবিয়ার উত্তরাঞ্চলের জলাশয়ে এমনিতেই মাছের চাষ করা হয়। দক্ষিণাঞ্চলে মরুভূমি, এখানে মাছের চাষ হয় সিমেন্টের চৌবাচ্চায়। এখানে দুই প্রজাতির মাছ উৎপাদন করা হয়—আফ্রিকান মাগুর আর তেলাপিয়া। বাংলাদেশের পাঙাশ, চিংড়ি, কার্পজাতীয় মাছেরও ভালো উৎপাদন করা সম্ভব এখানে। আর এখানকার মাছের বৈচিত্র্য বাড়াতে বাংলাদেশ থেকে নতুন প্রজাতির মাছ এনে চাষ করতে সরকারও আগ্রহী। এ নিয়ে কাজ করার ইচ্চ্ছা আছে বলেও জানালেন কিবরিয়া।
একটা সময় এখানে বছরে ২০০ থেকে ৩০০ মেট্রিক টন মাছ উৎপাদন করা হতো। গোলাম কিবরিয়া দায়িত্ব নেওয়ার পর পরিমাণটা বেড়ে দাঁড়িয়েছে এক হাজার মেট্রিক টন। দেশের চাহিদা মিটিয়ে এগুলো পাশের দেশগুলো, এমনকি ইউরোপের বাজারেও রপ্তানির চেষ্টা চলছে।
শুধু মাঠপর্যায়ে মাছ চাষের তত্ত্বাবধানই নয়, গোলাম কিবরিয়ার কাজের একটা গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো, এ ক্ষেত্রে নানা দেশের সঙ্গে নামিবিয়ার সহযোগিতা আদান-প্রদান, দ্বিপক্ষীয় চুক্তির ব্যবস্থা করা, তহবিল জোগাড় ইত্যাদি। সরকারের মৎস্যবিষয়ক নানা পরিকল্পনা তৈরি এবং এর বাস্তবায়নের দায়িত্বও তিনি পালন করেন।
গোলাম কিবরিয়া এক ই-মেইল বার্তায় প্রথম আলোকে জানালেন, ‘নামিবিয়া সরকার বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করতে বেশ আগ্রহী। সে ক্ষেত্রে বাংলাদেশি মাছচাষি ও বিনিয়োগকারীরা নামিবিয়ায়ও কাজ করতে পারবেন। আমি চেষ্টা করছি তাঁরা যাতে নামিবিয়ায় শুল্কের ক্ষেত্রে বিশেষ সুবিধা পান। এখানকার জনসংখ্যা খুবই কম। বাংলাদেশ থেকে এখানে এসে কাজের সুবিধাও পাওয়া যাবে। অন্যান্য অনেক দেশের তুলনায় পারিশ্রমিকও ভালো। বাংলাদেশের গ্রামগঞ্জে প্রচুর দক্ষ মাছচাষি আছেন। তাঁরা যাতে এখানে এসে কাজ বা বিনিয়োগের সুবিধা পান, সে ব্যাপারে আমি চেষ্টা করছি। এ ছাড়া বাংলাদেশের মতোই এখানকার চাষিদের জন্য ক্ষুদ্রঋণ চালু করারও চেষ্টা করছি।’
নামিবিয়ায় আসার আগে ভিয়েতনামে কমনওয়েলথের হয়ে কাজ করতেন গোলাম কিবরিয়া। এর আগে কাজ করেছেন থাইল্যান্ডে। ১৯৯৪ সালে বাংলাদেশে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স করেন। এরপর ডানিডা ও ডিএফআইডির হয়ে বাংলাদেশে কিছুদিন কাজ করেন। ১৯৯৯ সালে থাইল্যান্ডে এশিয়ান ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজিতে মাস্টার্স করেন।
২০১০ সালে গোলাম কিবরিয়া ‘বেস্ট কমনওয়েলথ অ্যাডভাইজরস’-এর একজন নির্বাচিত হন। একই বছর জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংগঠন (ফাও) তাঁকে তাদের গ্লোবাল প্যানেল মেম্বার মনোনীত করে।
গোলাম কিবরিয়ার কর্মকালে ২০০৯ সালে নামিবিয়া সরকারের মৎস্য মন্ত্রণালয় পায় গুরুত্বপূর্ণ নানা পুরস্কার। ফাও, সুইডিশ সি ফুড অ্যাওয়ার্ড, অ্যাকুয়া কালচার অ্যাসোসিয়েশন অব সাউদার্ন আফ্রিকা থেকে এসব পুরস্কার দেওয়া হয়।
১৯৬৮ সালে ঢাকার ওয়ারীতে জন্ম গোলাম কিবরিয়ার। আর পৈতৃক বাড়ি চট্টগ্রামের সন্দ্বীপে। বরিশাল ক্যাডেট কলেজ ও কুমিল্লা ক্যাডেট কলেজে পড়াশোনা করেছেন। বাবা মোহাম্মদ গোলাম মওলা ছিলেন অধ্যাপক।
প্রায় ১৫ বছর ধরে দেশের বাইরে কাজ করছেন গোলাম কিবরিয়া। এবার দেশের হয়ে কাজ করার সুযোগ চান তিনি।
No comments