নিউ ইয়র্কে জরুরি অবস্থা
যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্ক অঙ্গরাজ্যে জনস্বাস্থ্য বিষয়ে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। ইনফ্লুয়েঞ্জা মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়ায় অঙ্গরাজ্যের গভর্নর এন্ড্রু কোয়ামো গত শনিবার জরুরি অবস্থার ঘোষণা দেন।
সপ্তাহখানেক আগে যুক্তরাষ্ট্রের ৪১টি অঙ্গরাজ্যে ইনফ্লুয়েঞ্জার সংক্রমণ দেখা দেয়। বর্তমানে তা ৪৭টি অঙ্গরাজ্যে ছড়িয়ে পড়েছে। এ পর্যন্ত ২০ শিশুসহ শতাধিক মানুষের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
ইনফ্লুয়েঞ্জার টিকা সহজলভ্য করতেও বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এর অংশ হিসেবে শিশুদের ইনফ্লুয়েঞ্জার টিকা দেওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে ফার্মাসিস্টদের। আইন অনুযায়ী, ১৮ বছরের কম বয়সীদের টিকা দিতে পারেন না ফার্মাসিস্টরা। প্রাণঘাতী এএইচ৩এন২ ভাইরাসজনিত এ রোগের প্রকোপ মোকাবিলায় আপাতত আইনটি স্থগিতের নির্দেশ দিয়েছেন গভর্নর। টিকা নিতে জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। জনস্বাস্থ্যবিশেষজ্ঞরাও জনসাধারণকে টিকা নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।
গত বুধবার ম্যাসাচুসেটস অঙ্গরাজ্যের রাজধানী বোস্টনের মেয়র থমাস মেনিনো সেখানে জনস্বাস্থ্য বিষয়ে জরুরি অবস্থা ঘোষণা দেন। চলতি মৌসুমে শহরটিতে ইনফ্লুয়েঞ্জায় আক্রান্তের সংখ্যা ৭০০ বলে নিশ্চিত করা হয়েছে, যা গত বছরের তুলনায় ১০ গুণ বেশি।
নিউ ইয়র্কে চলতি শীত মৌসুমে এরই মধ্যে ইনফ্লুয়েঞ্জায় আক্রান্ত হয়েছেন ১৯ হাজার ১২৮ জন, যা গত বছরের তুলনায় চার গুণেরও বেশি। গত শীত মৌসুমে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল চার হাজার ৪০৪ জন। নিউ ইয়র্কসহ দেশজুড়ে এ বছর আক্রান্তের সংখ্যা ২৮ হাজার ৭৪৭ জন।
ইনফ্লুয়েঞ্জায় আক্রান্ত রোগীদের জ্বর, সর্দি-কাশি, কফ, নাক দিয়ে পানি ঝরা এবং শরীরে ব্যথা হয়। যাদের অবস্থা বেশি আশঙ্কাজনক, তাদের বমি, ডায়রিয়া দেখা দিতে পারে। অথবা তা নিউমোনিয়ায় রূপ নিতে পারে।
রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধবিষয়ক সংস্থা (সিডিসি) জানিয়েছে, গত সপ্তাহে দেশজুড়ে মারা যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে ৭ দশমিক ৩ শতাংশই ছিল নিউমোনিয়া ও ইনফ্লুয়েঞ্জায় আক্রান্ত। এ হার ৭ দশমিক ২ হলে তা মহামারি ধরা হয়। এ অবস্থায় বৃহস্পতিবার ইনফ্লুয়েঞ্জার সংক্রমণকে নিউ ইয়র্কে মহামারি হিসেবে ঘোষণা দেওয়া হয়।
নিউ ইয়র্কবাসীকে টিকা নেওয়ার ব্যাপারে উৎসাহী করতে ব্যাপক প্রচার শুরু করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ। গণমাধ্যমসহ সামাজিক যোগাযোগের নেটওয়ার্কগুলোতে এ ব্যাপারে মানুষকে তাগাদা দেওয়া হচ্ছে। নিজেদের ওয়েবসাইটকেও বিশেষভাবে সাজিয়েছে কর্তৃপক্ষ। বর্তমানে কেবল ক্যালিফোর্নিয়া, হোওয়াই ও মিসিসিপি অঙ্গরাজ্যে ইনফ্লুয়েঞ্জার সংক্রমণের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
প্রাথমিক এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, এ বছর ইনফ্লুয়েঞ্জার টিকার কার্যকারিতার হার ৬২ শতাংশ। এ হার 'মধ্যম' মাত্রার। সাধারণত এই টিকা ৫০ থেকে ৭০ শতাংশ পর্যন্ত কার্যকর হয়ে থাকে। সূত্র : নিউ ইয়র্ক টাইমস, এএফপি, বিবিসি।
ইনফ্লুয়েঞ্জার টিকা সহজলভ্য করতেও বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এর অংশ হিসেবে শিশুদের ইনফ্লুয়েঞ্জার টিকা দেওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে ফার্মাসিস্টদের। আইন অনুযায়ী, ১৮ বছরের কম বয়সীদের টিকা দিতে পারেন না ফার্মাসিস্টরা। প্রাণঘাতী এএইচ৩এন২ ভাইরাসজনিত এ রোগের প্রকোপ মোকাবিলায় আপাতত আইনটি স্থগিতের নির্দেশ দিয়েছেন গভর্নর। টিকা নিতে জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। জনস্বাস্থ্যবিশেষজ্ঞরাও জনসাধারণকে টিকা নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।
গত বুধবার ম্যাসাচুসেটস অঙ্গরাজ্যের রাজধানী বোস্টনের মেয়র থমাস মেনিনো সেখানে জনস্বাস্থ্য বিষয়ে জরুরি অবস্থা ঘোষণা দেন। চলতি মৌসুমে শহরটিতে ইনফ্লুয়েঞ্জায় আক্রান্তের সংখ্যা ৭০০ বলে নিশ্চিত করা হয়েছে, যা গত বছরের তুলনায় ১০ গুণ বেশি।
নিউ ইয়র্কে চলতি শীত মৌসুমে এরই মধ্যে ইনফ্লুয়েঞ্জায় আক্রান্ত হয়েছেন ১৯ হাজার ১২৮ জন, যা গত বছরের তুলনায় চার গুণেরও বেশি। গত শীত মৌসুমে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল চার হাজার ৪০৪ জন। নিউ ইয়র্কসহ দেশজুড়ে এ বছর আক্রান্তের সংখ্যা ২৮ হাজার ৭৪৭ জন।
ইনফ্লুয়েঞ্জায় আক্রান্ত রোগীদের জ্বর, সর্দি-কাশি, কফ, নাক দিয়ে পানি ঝরা এবং শরীরে ব্যথা হয়। যাদের অবস্থা বেশি আশঙ্কাজনক, তাদের বমি, ডায়রিয়া দেখা দিতে পারে। অথবা তা নিউমোনিয়ায় রূপ নিতে পারে।
রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধবিষয়ক সংস্থা (সিডিসি) জানিয়েছে, গত সপ্তাহে দেশজুড়ে মারা যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে ৭ দশমিক ৩ শতাংশই ছিল নিউমোনিয়া ও ইনফ্লুয়েঞ্জায় আক্রান্ত। এ হার ৭ দশমিক ২ হলে তা মহামারি ধরা হয়। এ অবস্থায় বৃহস্পতিবার ইনফ্লুয়েঞ্জার সংক্রমণকে নিউ ইয়র্কে মহামারি হিসেবে ঘোষণা দেওয়া হয়।
নিউ ইয়র্কবাসীকে টিকা নেওয়ার ব্যাপারে উৎসাহী করতে ব্যাপক প্রচার শুরু করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ। গণমাধ্যমসহ সামাজিক যোগাযোগের নেটওয়ার্কগুলোতে এ ব্যাপারে মানুষকে তাগাদা দেওয়া হচ্ছে। নিজেদের ওয়েবসাইটকেও বিশেষভাবে সাজিয়েছে কর্তৃপক্ষ। বর্তমানে কেবল ক্যালিফোর্নিয়া, হোওয়াই ও মিসিসিপি অঙ্গরাজ্যে ইনফ্লুয়েঞ্জার সংক্রমণের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
প্রাথমিক এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, এ বছর ইনফ্লুয়েঞ্জার টিকার কার্যকারিতার হার ৬২ শতাংশ। এ হার 'মধ্যম' মাত্রার। সাধারণত এই টিকা ৫০ থেকে ৭০ শতাংশ পর্যন্ত কার্যকর হয়ে থাকে। সূত্র : নিউ ইয়র্ক টাইমস, এএফপি, বিবিসি।
No comments