বাকি দুজনের পরিচয় মেলেনি- ১১ বাংলাদেশির লাশ দেশে আনতে সপ্তাহ খানেক লাগবে
বাহরাইনের রাজধানী মানামায় আগুনে পুড়ে যাওয়া ১৩ জনের মধ্যে দুজনের পরিচয় এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। অন্যদিকে ১১ বাংলাদেশির মরদেহ দেশে ফিরিয়ে আনতে সপ্তাহ খানেক বা তার কিছু বেশি সময় লাগতে পারে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীপু মনি গতকাল রোববার দুপুরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের জানান, নিহত, আহত এবং সর্বস্ব খোয়ানো বাংলাদেশি শ্রমিকদের পক্ষে ক্ষতিপূরণ আদায়ে বাহরাইনের সঙ্গে সরকারের আলোচনা শুরু হয়েছে। এ ছাড়া আহত দুই বাংলাদেশি শ্রমিকের চিকিৎসা চলছে। অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিকদের থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা দূতাবাসের পক্ষ থেকে করা হচ্ছে।
প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সরকার নিহত শ্রমিকদের প্রতিটি পরিবারকে দুই লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেবে। আর মরদেহ দাফনের জন্য দেবে আরও ৩৫ হাজার টাকা। প্রবাসীকল্যাণ তহবিল থেকে এই অর্থ দেওয়া হবে।
বাহরাইনে বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রথম সচিব (শ্রম) মহিদুল ইসলাম গতকাল রোববার প্রথম আলোকে বলেন, প্রবাসী বাংলাদেশিদের মাধ্যমে বাকি দুজনের মরদেহ চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে। ১৩ জনের মরদেহই মানামার কিং হামাদ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের হিমঘরে রাখা আছে।
আগুন লাগার কারণ সম্পর্কে মহিদুল ইসলাম বলেন, ‘পুলিশসহ বিভিন্ন বিভাগ ঘটনার তদন্ত করছে। দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, খুব দ্রুত ঘটনার তদন্ত হবে।’
নিহত ১১ জন প্রবাসী বৈধ ছিলেন কি না—জানতে চাইলে মহিদুল বলেন, ‘আমরা প্রথমে ভেবেছিলাম তাঁরা হয়তো বৈধভাবে কাজ করছেন না। কিন্তু আমরা ১১ জনের মধ্যে ছয়জনের তথ্য পেয়েছি যাঁরা বৈধভাবেই চাকরি করতেন।’
শুক্রবার বিকেলে রাজধানী মানামার মুখারকা এলাকার তিনতলা একটি ভবনে আগুন লেগে ১৩ প্রবাসী মারা যান। তাঁদের মধ্যে পরিচয় নিশ্চিত হওয়া ১১ জনের সবাই বাংলাদেশি। ওই ভবনে প্রায় ৯০ জন শ্রমিক থাকতেন বলে জানা গেছে।
নিহত ব্যক্তিরা হলেন চট্টগ্রামের বোয়ালখালীর চরখিজিপুর এলাকার শাকির আহমেদের ছেলে নাজির আহমেদ, পটিয়ার পাথুয়া গ্রামের মাহবুব আলমের ছেলে রশিদ আহমেদ, মারিয়া এলাকার আবদুল আজিজের ছেলে জামাল, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার গোয়ালী গ্রামের আবু নাসির মিয়ার ছেলে জসিম, কাইতলার শহীদ মিয়ার ছেলে সাইফুল ইসলাম ওরফে সুজন ও স্বপন, গুড়িগ্রামের আবুল বাশারের ছেলে আনোয়ার হোসেন ও খড়িয়ালা গ্রামের চান মিয়ার ছেলে জারু মিয়া, চাঁদপুরের কচুয়ার নওয়াপাড়ার আলমের দুই ছেলে শাহাদাত ও টিটো মিয়া এবং নোয়াখালীর সোনাইমুড়ির কাশীপুর এলাকার আবদুর রহিমের ছেলে ওসমান গনি।
প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সরকার নিহত শ্রমিকদের প্রতিটি পরিবারকে দুই লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেবে। আর মরদেহ দাফনের জন্য দেবে আরও ৩৫ হাজার টাকা। প্রবাসীকল্যাণ তহবিল থেকে এই অর্থ দেওয়া হবে।
বাহরাইনে বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রথম সচিব (শ্রম) মহিদুল ইসলাম গতকাল রোববার প্রথম আলোকে বলেন, প্রবাসী বাংলাদেশিদের মাধ্যমে বাকি দুজনের মরদেহ চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে। ১৩ জনের মরদেহই মানামার কিং হামাদ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের হিমঘরে রাখা আছে।
আগুন লাগার কারণ সম্পর্কে মহিদুল ইসলাম বলেন, ‘পুলিশসহ বিভিন্ন বিভাগ ঘটনার তদন্ত করছে। দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, খুব দ্রুত ঘটনার তদন্ত হবে।’
নিহত ১১ জন প্রবাসী বৈধ ছিলেন কি না—জানতে চাইলে মহিদুল বলেন, ‘আমরা প্রথমে ভেবেছিলাম তাঁরা হয়তো বৈধভাবে কাজ করছেন না। কিন্তু আমরা ১১ জনের মধ্যে ছয়জনের তথ্য পেয়েছি যাঁরা বৈধভাবেই চাকরি করতেন।’
শুক্রবার বিকেলে রাজধানী মানামার মুখারকা এলাকার তিনতলা একটি ভবনে আগুন লেগে ১৩ প্রবাসী মারা যান। তাঁদের মধ্যে পরিচয় নিশ্চিত হওয়া ১১ জনের সবাই বাংলাদেশি। ওই ভবনে প্রায় ৯০ জন শ্রমিক থাকতেন বলে জানা গেছে।
নিহত ব্যক্তিরা হলেন চট্টগ্রামের বোয়ালখালীর চরখিজিপুর এলাকার শাকির আহমেদের ছেলে নাজির আহমেদ, পটিয়ার পাথুয়া গ্রামের মাহবুব আলমের ছেলে রশিদ আহমেদ, মারিয়া এলাকার আবদুল আজিজের ছেলে জামাল, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার গোয়ালী গ্রামের আবু নাসির মিয়ার ছেলে জসিম, কাইতলার শহীদ মিয়ার ছেলে সাইফুল ইসলাম ওরফে সুজন ও স্বপন, গুড়িগ্রামের আবুল বাশারের ছেলে আনোয়ার হোসেন ও খড়িয়ালা গ্রামের চান মিয়ার ছেলে জারু মিয়া, চাঁদপুরের কচুয়ার নওয়াপাড়ার আলমের দুই ছেলে শাহাদাত ও টিটো মিয়া এবং নোয়াখালীর সোনাইমুড়ির কাশীপুর এলাকার আবদুর রহিমের ছেলে ওসমান গনি।
No comments