নিত্যজাতম্-সরকারি চাকরির মেয়াদ ও আবেদনের বয়সসীমা প্রসঙ্গে by মহসীন হাবিব
চারদিকে এত করপোরেট হাউস, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান, বিদেশি সংস্থার চাকরিতে লোভনীয় বেতন-ভাতার অফার সত্ত্বেও বাংলাদেশে এখনো সরকারি চাকরির প্রতিই ঝোঁক সর্বাধিক।
এর প্রথম ও প্রধান কারণ দীর্ঘকাল চাকরির নিশ্চয়তা, আমৃত্যু অবসরভাতা প্রাপ্তি ও নিয়মিত পদোন্নতি লাভ (যদিও রাজনৈতিক কারণে এর ব্যত্যয় ঘটে থাকে। সে অন্য আলোচনা)। ফিসফিস করে বলে রাখি, এর বাইরেও অনেকের কাছে সরকারি চাকরি লোভনীয় হওয়ার বেশ কয়েকটি কারণ আছে। ভালো কথা বলতে গিয়ে সেসব প্রসঙ্গ আর টেনে আনার দরকার নেই।
এই লোভনীয় সরকারি চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ও অবসরকালীন সময় কত হওয়া উচিত, তা নিয়ে একটি বিতর্ক আছে। জানা গেছে, মন্ত্রিপরিষদের এক বৈঠকে এ বিতর্কে খোদ প্রধানমন্ত্রী দ্বিধান্বিত হয়েছেন। যদিও এ বিষয়ে সঠিক যুক্তির দিকে তাকিয়ে ভোট দিলে কোনো বিতর্ক থাকার কথা নয়। আর সে যুক্তিটাই একটু আলোচনা করা এখন জরুরি হয়ে পড়েছে। কারণ বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও পাস করে বের হওয়া বেকার সম্প্রদায় বর্তমানে আন্দোলন করছে সরকারি চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩০ থেকে বাড়িয়ে ৩২ বছর করার দাবিতে।
বাংলাদেশের পাবলিক সার্ভেন্ট রিটায়ারমেন্ট অ্যাক্ট ১৯৭৪-এ সংশোধন এনে সম্প্রতি অবসরকালীন সময়সীমা ৫৭ বছর থেকে ৫৯ বছর করা হয়েছে। এ অবসর সময়সীমা নিয়ে রয়েছে আরো বড় বিতর্ক। কেউ যুক্তি দিচ্ছেন, মানুষের গড় আয়ু বেড়েছে, ৫৭ বছরে কেউ এমন বৃদ্ধ হন না যে কাজ চালাতে পারবেন না। মন্ত্রিত্বের মতো গুরুদায়িত্ব যদি সত্তরোর্ধ্ব বয়সেও পালন করা যায়, তাহলে ৫৭ বা ৫৯ বছর এমন কী! এ জন্য কেউ কেউ দাবি করছেন, চাকরি থেকে অবসর নেওয়ার বয়স কমপক্ষে ৬২ বছর হওয়া প্রয়োজন। অন্য পক্ষ বলছে, দেশে প্রচুরসংখ্যক শিক্ষিত যুবক বের হচ্ছে। সরকারি চাকরির বয়সসীমা বাড়ানো হলে অবসরে যাওয়ায় দেরি হবে, ফলে এসব যুবকের চাকরি পেতে বিলম্ব হবে।
কিন্তু কয়েকটি বিষয় এখানে বিবেচনায় রাখা প্রয়োজন। যে মানুষটি দীর্ঘ ২৫ থেকে ২৭ বছর চাকরি করে থাকেন, তাঁর প্রশাসনিক কাজে অভিজ্ঞতার কোনো তুলনা নেই। এই মানুষটি দেশের মূল্যবান সম্পদ হয়ে উঠেছেন তাঁর চাকরিজীবনের অভিজ্ঞতা দিয়ে। অফিসের কাগজপত্র ডিল করা থেকে শুরু করে দেশের বিভিন্ন এলাকায় চাকরি করার সুবাদে আঞ্চলিক মানসিকতার সঙ্গেও পরিচিত হয়ে ওঠেন। তাঁকে নতুন করে কিছু বোঝানো বা শেখানোর দরকার হয় না। নির্বাহী প্রশাসনই হোক, আর সরকারের অন্য কোনো বিভাগই হোক, সেখানে কাজের ক্ষেত্রে অভিজ্ঞতার কোনো বিকল্প নেই। অথচ এই চাকরিজীবন থেকে একজন মানুষ যখন অভিজ্ঞতার ভাণ্ডার পূর্ণ করেছেন, ঠিক তখনই তাঁকে কিছু টাকা ধরিয়ে দিয়ে অবসরে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এসব পুরনো মানুষ বিদায় করে দেওয়া কি এক ধরনের সাবসিডি প্রদানের মতোই মনে হয় না? বিবেচনা করি, চাকরির বয়সসীমা এখন ৬৫ বছর হওয়া উচিত। খুব দুর্ভাগ্য না হলে, অথবা কোনো অসুস্থতার কারণে স্বাস্থ্যহানি না ঘটলে ৬৫ বছর বয়সের মানুষ এখন আর অক্ষম থাকেন না। তবে হ্যাঁ, এ সুযোগ হওয়া উচিত কেবল যাঁরা মেধা ও অভিজ্ঞতার আলোকে চাকরি করেন, তাঁদের বেলায়, কায়িক পরিশ্রমের বেলায় নয়।
অবশ্যই এর সঙ্গে নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে চাকরির আবেদন করার বয়সসীমার। যিনি ৬০ বছর বয়স পার করবেন চাকরিতে, তাঁকে ৩০ বছর বয়সের মধ্যেই চাকরিতে প্রবেশ করতে হবে, এটি সঠিক নয় বলেই মনে হয়। এ ছাড়া সেশনজটসহ নানা বিড়ম্বনার মধ্য দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাস করে বের হতে এখন একজন শিক্ষার্থীর বয়স হয়ে যায় ২৭-২৮ বছর। এরপর মাত্র দুই বছরের মধ্যে কখনো কখনো দুটি বা তিনটি চাকরিতে আবেদন করার সুযোগও আসে না।
এমন নানা কারণে চাকরির আবেদনের বয়সসীমা হওয়া উচিত ৩২ নয়, ৩৫ বছর। সেটাই হবে দরিদ্র শিক্ষার্থীবান্ধব নীতি। একজন দরিদ্র শিক্ষার্থী পাঁচ থেকে সাত বছর চাকরির জন্য সংগ্রাম করতে করতে নিজেকে প্রস্তুত করতে পারবেন। এ সংগ্রামের মধ্য দিয়ে তাদের চাকরি পাওয়ার সম্ভাবনাও বাড়বে অনেক। এ সুযোগ ধনী বা সামর্থ্যবান মানুষদেরই বরং কোনো কাজে আসবে না। বাংলাদেশের কোনো ধনাঢ্য পরিবারের সন্তানই পাঁচ-সাত বছর চাকরির পেছনে লেগে থাকবে না। এই আলোকে সরকার একটি নিয়ম করতে পারে যে যাদের চাকরি সন্ধানের সময় দীর্ঘ হয়েছে এবং যারা সর্বাধিকসংখ্যক চাকরির জন্য পরীক্ষা দিয়েছে, তাদের অগ্রাধিকার
দেওয়া হবে।
আমরা আমাদের চারদিকে কী দেখতে পাচ্ছি? কোনো ধনী ঘরের সন্তান লেখাপড়া শিখে খুব জোর দিয়ে সরকারি চাকরি খোঁজে না। কিন্তু মামা-খালুর জোরে, অথবা অর্থের শক্তিতে চাকরিটা তারই হয়। আর যে লেখাপড়া শিখে মনে-প্রাণে চাকরি খুঁজে বেড়াচ্ছে, নিজের বিষয়ে ভালো পড়াশোনা করার পরও একটি চাকরির আশায় 'বাংলাদেশের ডায়েরি' মুখস্থ করছে, তার চাকরি হওয়া লটারি পাওয়ার মতো দুষ্কর হয়ে উঠেছে।
ব্রিটেন সভ্য দেশ। এক সময়ের ব্রিটেনের করা আইনকানুনেই আমরা এখনো চলছি, যদিও ব্রিটেন নিজে সেসব আইন এখন অমানবিক বলে মনে করে। তাই ব্রিটেনের উদাহরণ দেওয়াই ভালো। ব্রিটেনের সরকারি চাকরি থেকে অবসরের মেয়াদ খুবই ইন্টারেস্টিং। সাধারণত ৬১ থেকে ৬৮ বছরের মধ্যে অবসরে যেতে হয়। সেখানে জন্ম-সাল ভাগ করা আছে। সেই জন্ম-সাল অনুসারে অবসরকাল বিচার করা হয়। তবে ব্রিটেন ২০৫০ সালে চাকরির বয়সসীমা ৬৮ বছর করবে বলে পরিকল্পনা রয়েছে।
ব্রিটেনে কোনো ব্যক্তিকে কোনো প্রতিষ্ঠানের মালিক ৬৫ বছর বয়স হলেই ছাঁটাই করে দিতে পারে না। সে নিয়ম উঠে গেছে ২০১১ সালে। সুতরাং আমাদেরও এসব মানবিক দিক বিবেচনা করতে হবে, পাশাপাশি সরকারের লাভ-ক্ষতির দিকেও তাকাতে হবে। সরকার যত বেশি অবসরভাতাপ্রাপ্ত লোকদের পেনশনভাতা টেনে যাবে, তত অর্থনীতির ওপর চাপ পড়বে, যে অবস্থা এখন দাঁড়িয়েছে ফ্রান্সের বেলায়। সুতরাং সক্ষম লোকদের কাজে রাখাই যথোপযুক্ত।
লেখক : সাংবাদিক, mohshinhabib@yahoo.com
এই লোভনীয় সরকারি চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ও অবসরকালীন সময় কত হওয়া উচিত, তা নিয়ে একটি বিতর্ক আছে। জানা গেছে, মন্ত্রিপরিষদের এক বৈঠকে এ বিতর্কে খোদ প্রধানমন্ত্রী দ্বিধান্বিত হয়েছেন। যদিও এ বিষয়ে সঠিক যুক্তির দিকে তাকিয়ে ভোট দিলে কোনো বিতর্ক থাকার কথা নয়। আর সে যুক্তিটাই একটু আলোচনা করা এখন জরুরি হয়ে পড়েছে। কারণ বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও পাস করে বের হওয়া বেকার সম্প্রদায় বর্তমানে আন্দোলন করছে সরকারি চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩০ থেকে বাড়িয়ে ৩২ বছর করার দাবিতে।
বাংলাদেশের পাবলিক সার্ভেন্ট রিটায়ারমেন্ট অ্যাক্ট ১৯৭৪-এ সংশোধন এনে সম্প্রতি অবসরকালীন সময়সীমা ৫৭ বছর থেকে ৫৯ বছর করা হয়েছে। এ অবসর সময়সীমা নিয়ে রয়েছে আরো বড় বিতর্ক। কেউ যুক্তি দিচ্ছেন, মানুষের গড় আয়ু বেড়েছে, ৫৭ বছরে কেউ এমন বৃদ্ধ হন না যে কাজ চালাতে পারবেন না। মন্ত্রিত্বের মতো গুরুদায়িত্ব যদি সত্তরোর্ধ্ব বয়সেও পালন করা যায়, তাহলে ৫৭ বা ৫৯ বছর এমন কী! এ জন্য কেউ কেউ দাবি করছেন, চাকরি থেকে অবসর নেওয়ার বয়স কমপক্ষে ৬২ বছর হওয়া প্রয়োজন। অন্য পক্ষ বলছে, দেশে প্রচুরসংখ্যক শিক্ষিত যুবক বের হচ্ছে। সরকারি চাকরির বয়সসীমা বাড়ানো হলে অবসরে যাওয়ায় দেরি হবে, ফলে এসব যুবকের চাকরি পেতে বিলম্ব হবে।
কিন্তু কয়েকটি বিষয় এখানে বিবেচনায় রাখা প্রয়োজন। যে মানুষটি দীর্ঘ ২৫ থেকে ২৭ বছর চাকরি করে থাকেন, তাঁর প্রশাসনিক কাজে অভিজ্ঞতার কোনো তুলনা নেই। এই মানুষটি দেশের মূল্যবান সম্পদ হয়ে উঠেছেন তাঁর চাকরিজীবনের অভিজ্ঞতা দিয়ে। অফিসের কাগজপত্র ডিল করা থেকে শুরু করে দেশের বিভিন্ন এলাকায় চাকরি করার সুবাদে আঞ্চলিক মানসিকতার সঙ্গেও পরিচিত হয়ে ওঠেন। তাঁকে নতুন করে কিছু বোঝানো বা শেখানোর দরকার হয় না। নির্বাহী প্রশাসনই হোক, আর সরকারের অন্য কোনো বিভাগই হোক, সেখানে কাজের ক্ষেত্রে অভিজ্ঞতার কোনো বিকল্প নেই। অথচ এই চাকরিজীবন থেকে একজন মানুষ যখন অভিজ্ঞতার ভাণ্ডার পূর্ণ করেছেন, ঠিক তখনই তাঁকে কিছু টাকা ধরিয়ে দিয়ে অবসরে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এসব পুরনো মানুষ বিদায় করে দেওয়া কি এক ধরনের সাবসিডি প্রদানের মতোই মনে হয় না? বিবেচনা করি, চাকরির বয়সসীমা এখন ৬৫ বছর হওয়া উচিত। খুব দুর্ভাগ্য না হলে, অথবা কোনো অসুস্থতার কারণে স্বাস্থ্যহানি না ঘটলে ৬৫ বছর বয়সের মানুষ এখন আর অক্ষম থাকেন না। তবে হ্যাঁ, এ সুযোগ হওয়া উচিত কেবল যাঁরা মেধা ও অভিজ্ঞতার আলোকে চাকরি করেন, তাঁদের বেলায়, কায়িক পরিশ্রমের বেলায় নয়।
অবশ্যই এর সঙ্গে নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে চাকরির আবেদন করার বয়সসীমার। যিনি ৬০ বছর বয়স পার করবেন চাকরিতে, তাঁকে ৩০ বছর বয়সের মধ্যেই চাকরিতে প্রবেশ করতে হবে, এটি সঠিক নয় বলেই মনে হয়। এ ছাড়া সেশনজটসহ নানা বিড়ম্বনার মধ্য দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাস করে বের হতে এখন একজন শিক্ষার্থীর বয়স হয়ে যায় ২৭-২৮ বছর। এরপর মাত্র দুই বছরের মধ্যে কখনো কখনো দুটি বা তিনটি চাকরিতে আবেদন করার সুযোগও আসে না।
এমন নানা কারণে চাকরির আবেদনের বয়সসীমা হওয়া উচিত ৩২ নয়, ৩৫ বছর। সেটাই হবে দরিদ্র শিক্ষার্থীবান্ধব নীতি। একজন দরিদ্র শিক্ষার্থী পাঁচ থেকে সাত বছর চাকরির জন্য সংগ্রাম করতে করতে নিজেকে প্রস্তুত করতে পারবেন। এ সংগ্রামের মধ্য দিয়ে তাদের চাকরি পাওয়ার সম্ভাবনাও বাড়বে অনেক। এ সুযোগ ধনী বা সামর্থ্যবান মানুষদেরই বরং কোনো কাজে আসবে না। বাংলাদেশের কোনো ধনাঢ্য পরিবারের সন্তানই পাঁচ-সাত বছর চাকরির পেছনে লেগে থাকবে না। এই আলোকে সরকার একটি নিয়ম করতে পারে যে যাদের চাকরি সন্ধানের সময় দীর্ঘ হয়েছে এবং যারা সর্বাধিকসংখ্যক চাকরির জন্য পরীক্ষা দিয়েছে, তাদের অগ্রাধিকার
দেওয়া হবে।
আমরা আমাদের চারদিকে কী দেখতে পাচ্ছি? কোনো ধনী ঘরের সন্তান লেখাপড়া শিখে খুব জোর দিয়ে সরকারি চাকরি খোঁজে না। কিন্তু মামা-খালুর জোরে, অথবা অর্থের শক্তিতে চাকরিটা তারই হয়। আর যে লেখাপড়া শিখে মনে-প্রাণে চাকরি খুঁজে বেড়াচ্ছে, নিজের বিষয়ে ভালো পড়াশোনা করার পরও একটি চাকরির আশায় 'বাংলাদেশের ডায়েরি' মুখস্থ করছে, তার চাকরি হওয়া লটারি পাওয়ার মতো দুষ্কর হয়ে উঠেছে।
ব্রিটেন সভ্য দেশ। এক সময়ের ব্রিটেনের করা আইনকানুনেই আমরা এখনো চলছি, যদিও ব্রিটেন নিজে সেসব আইন এখন অমানবিক বলে মনে করে। তাই ব্রিটেনের উদাহরণ দেওয়াই ভালো। ব্রিটেনের সরকারি চাকরি থেকে অবসরের মেয়াদ খুবই ইন্টারেস্টিং। সাধারণত ৬১ থেকে ৬৮ বছরের মধ্যে অবসরে যেতে হয়। সেখানে জন্ম-সাল ভাগ করা আছে। সেই জন্ম-সাল অনুসারে অবসরকাল বিচার করা হয়। তবে ব্রিটেন ২০৫০ সালে চাকরির বয়সসীমা ৬৮ বছর করবে বলে পরিকল্পনা রয়েছে।
ব্রিটেনে কোনো ব্যক্তিকে কোনো প্রতিষ্ঠানের মালিক ৬৫ বছর বয়স হলেই ছাঁটাই করে দিতে পারে না। সে নিয়ম উঠে গেছে ২০১১ সালে। সুতরাং আমাদেরও এসব মানবিক দিক বিবেচনা করতে হবে, পাশাপাশি সরকারের লাভ-ক্ষতির দিকেও তাকাতে হবে। সরকার যত বেশি অবসরভাতাপ্রাপ্ত লোকদের পেনশনভাতা টেনে যাবে, তত অর্থনীতির ওপর চাপ পড়বে, যে অবস্থা এখন দাঁড়িয়েছে ফ্রান্সের বেলায়। সুতরাং সক্ষম লোকদের কাজে রাখাই যথোপযুক্ত।
লেখক : সাংবাদিক, mohshinhabib@yahoo.com
No comments