সীমানা পুনর্বিন্যাসে যশোর-৬ থেকেই ৩০০০ আবেদন
সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্বিন্যাস বিষয়ে এ পর্যন্ত তিন হাজার ১৮৮টি আবেদন নির্বাচন কমিশনে জমা হয়েছে। এর মধ্যে যশোর-৬ আসনের বিষয়ে আবেদন হয়েছে তিন হাজারের মতো। অন্য আবেদনগুলো করা হয়েছে ২৮ জেলার ৬২টি আসন থেকে।
আবেদনগুলোয় বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই ২০০১ সালের সীমানা পুনর্বহালের দাবি জানানো হয়েছে। কয়েকটি আবেদন এসেছে বিদ্যমান সীমানা পরিবর্তন না করার জন্য।
নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা যায়, কমিশন ঢাকা-২ ও যশোর-৬ আসনের সীমানা পুনর্বিন্যাসের পক্ষে।
আইন প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম ঢাকা-২ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য। তিনি নিজে এ আসনের সীমানা পরিবর্তনের পক্ষে। আসনটিতে কেরানীগঞ্জের আংশিক, ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকার কামরাঙ্গীরচর ও হাজারীবাগ থানার সুলতানগঞ্জ ইউনিয়ন এবং সাভার উপজেলার তিনটি ইউনিয়ন যুক্ত রয়েছে। কমিশন এ আসনের সীমানা পুনর্বিন্যাস করে ঢাকা মহানগর এলাকা থেকে বাদ রাখতে আগ্রহী। এতে অবশ্য ঢাকা জেলার আসনসংখ্যার কোনো পরিবর্তন হবে না। ঢাকা-১ আসনেও কিছুটা পরিবর্তন আনা হতে পারে।
যশোর-৬ আসনে রয়েছে অভয়নগর, কেশবপুর ও মণিরামপুর উপজেলার মনোহরপুর ইউনিয়ন। একেবারে বিচ্ছিন্ন ওই ইউনিয়নকে এ আসনে রাখা যুক্তিসংগত নয় বলেই মনে করছে কমিশন।
কমিশন সূত্রে জানা যায়, কোনো জেলার আসনসংখ্যা পরিবর্তন না করে ১০টি আসনের আংশিক পরিবর্তন আনা হতে পারে।
যেসব আসনের ব্যাপারে আবেদন এসেছে সেগুলো হচ্ছে- কুড়িগ্রাম-২ ও ৩, সিরাজগঞ্জ-২, সিরাজগঞ্জ-৬, সিরাজগঞ্জ-৭ (এ আসনটির সীমানা অক্ষুণ্ন রাখার দাবি জানানো হয়েছে), চুয়াডাঙ্গা-১ ও ২, যশোর-৪ ও ৬, খুলনা-৬, সাতক্ষীরা-৩, ৪ ও ৫, বরগুনা-১, ২ ও ৩, পিরোজপুর-১, ২ ও ৩, জামালপুর-৫, শেরপুর-৩, ময়মনসিংহ-৩, মানিকগঞ্জ-১, ২ ও ৪, মুন্সীগঞ্জ-১, ২ ও ৩, ঢাকা-১, ২, ৩, ১৪, ১৫ ও ১৬, গাজীপুরের পাঁচটি, নরসিংদী-৫, নারায়ণগঞ্জ-৩, ৪ ও ৫, রাজবাড়ী-১ ও ২, ফরিদপুর-৪, গোপালগঞ্জের তিনটি আসন, সুনামগঞ্জ-৫, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১, ২, ৩ ও ৫, কুমিল্লা-১, ২, ৭, ৮, ৯ ও ১১, চাঁদপুর-৩, নোয়াখালী-১, লক্ষ্মীপুর-২, চট্টগ্রাম-৭ ও ১৪।
আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য মেজর জেনারেল (অব.) সুবিদ আলী ভূঁইয়া তাঁর কুমিল্লা-১ আসনটি অপরিবর্তিত রাখার জন্য নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছেন। তিনি কালের কণ্ঠের প্রশ্নের জবাবে বলেন, 'আমার আসনে উপজেলা বিভক্তির ঘটনা নেই। দাউদকান্দি ও মেঘনা এ দুই উপজেলা নিয়ে কুমিল্লা-১ আসন। আমরা চাই এ সীমানা অপরিবর্তিত থাকুক।'
নির্বাচন কমিশনার মোহাম্মদ আবদুল মোবারক সীমানা পুনর্বিন্যাস সম্পর্কে কালের কণ্ঠকে বলেন, 'আমরা এখনো সার্বিক বিষয়গুলো খতিয়ে দেখছি। সিদ্ধান্তে উপনীত হতে আরো কিছুদিন সময় লাগবে।'
ইসি সচিবালয় সূত্রে জানা যায়, স্বাধীনতার পর ১৯৭৩ সালে প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচন ১৯৭০ সালের আগে পাকিস্তানের প্রাদেশিক পরিষদের সীমানা অনুসারে সম্পন্ন হয়। নির্বাচন কমিশন অপরিবর্তিত এই সীমানাসংক্রান্ত গেজেট ১৯৭২ সালের ২০ ডিসেম্বর প্রকাশ করে। এরপর দেশের প্রথম আদমশুমারি প্রতিবেদন প্রকাশিত হলে নির্বাচন কমিশন ১৯৭৬ সালের ১৯ মার্চ ৩০০ আসনের সীমানা নির্ধারণ সম্পর্কিত দাবি, আপত্তি ও পরামর্শ চায়। দাবি-আপত্তির শুনানি শেষে জনসংখ্যার আলোকে কয়েকটি জেলার আসনসংখ্যা হ্রাস-বৃদ্ধি করে ১৯৭৮ সালের ২৭ নভেম্বর গেজেট প্রকাশিত হয়। এই সীমানা অনুসারে ১৯৭৯ সালে দ্বিতীয় জাতীয় সংসদ নির্বাচন সম্পন্ন হয়। ১৯৮১ সালে দেশে দ্বিতীয় আদমশুমারির প্রতিবেদন প্রকাশিত হলে তৃতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ১৯৮৪ সালে বৃহত্তর ছয়টি জেলায় ছয়টি আসন কমিয়ে বৃহত্তর তিন জেলায় পাঁচটি ও পার্বত্য এলাকায় একটি আসন বাড়ানো হয়। সে সময় আগের বৃহত্তর জেলাগুলো ভেঙে ৬৪টি জেলা করা হয়। এরপর ১৯৯১ সালে আদমশুমারির প্রতিবেদন প্রকাশিত হলেও পঞ্চম, ষষ্ঠ, সপ্তম ও অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সেই আদমশুমারির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে কোনো জেলার আসন কমানো বা বাড়ানো হয়নি। তবে ১৯৯১ সালে পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে দুটি আন্তজেলা নির্বাচনী এলাকা সৃষ্টি করা হয়। ২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ২০০১ সালের আদমশুমারির চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এ প্রতিবেদন অনুসারে জনসংখ্যার ভিত্তিতে ব্যাপকভাবে সীমানা পুনর্বিন্যাস করা হয়। এতে ৩৩ জেলার ১২৫টি নির্বাচনী এলাকার পরিবর্তন ঘটে।
নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা যায়, কমিশন ঢাকা-২ ও যশোর-৬ আসনের সীমানা পুনর্বিন্যাসের পক্ষে।
আইন প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম ঢাকা-২ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য। তিনি নিজে এ আসনের সীমানা পরিবর্তনের পক্ষে। আসনটিতে কেরানীগঞ্জের আংশিক, ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকার কামরাঙ্গীরচর ও হাজারীবাগ থানার সুলতানগঞ্জ ইউনিয়ন এবং সাভার উপজেলার তিনটি ইউনিয়ন যুক্ত রয়েছে। কমিশন এ আসনের সীমানা পুনর্বিন্যাস করে ঢাকা মহানগর এলাকা থেকে বাদ রাখতে আগ্রহী। এতে অবশ্য ঢাকা জেলার আসনসংখ্যার কোনো পরিবর্তন হবে না। ঢাকা-১ আসনেও কিছুটা পরিবর্তন আনা হতে পারে।
যশোর-৬ আসনে রয়েছে অভয়নগর, কেশবপুর ও মণিরামপুর উপজেলার মনোহরপুর ইউনিয়ন। একেবারে বিচ্ছিন্ন ওই ইউনিয়নকে এ আসনে রাখা যুক্তিসংগত নয় বলেই মনে করছে কমিশন।
কমিশন সূত্রে জানা যায়, কোনো জেলার আসনসংখ্যা পরিবর্তন না করে ১০টি আসনের আংশিক পরিবর্তন আনা হতে পারে।
যেসব আসনের ব্যাপারে আবেদন এসেছে সেগুলো হচ্ছে- কুড়িগ্রাম-২ ও ৩, সিরাজগঞ্জ-২, সিরাজগঞ্জ-৬, সিরাজগঞ্জ-৭ (এ আসনটির সীমানা অক্ষুণ্ন রাখার দাবি জানানো হয়েছে), চুয়াডাঙ্গা-১ ও ২, যশোর-৪ ও ৬, খুলনা-৬, সাতক্ষীরা-৩, ৪ ও ৫, বরগুনা-১, ২ ও ৩, পিরোজপুর-১, ২ ও ৩, জামালপুর-৫, শেরপুর-৩, ময়মনসিংহ-৩, মানিকগঞ্জ-১, ২ ও ৪, মুন্সীগঞ্জ-১, ২ ও ৩, ঢাকা-১, ২, ৩, ১৪, ১৫ ও ১৬, গাজীপুরের পাঁচটি, নরসিংদী-৫, নারায়ণগঞ্জ-৩, ৪ ও ৫, রাজবাড়ী-১ ও ২, ফরিদপুর-৪, গোপালগঞ্জের তিনটি আসন, সুনামগঞ্জ-৫, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১, ২, ৩ ও ৫, কুমিল্লা-১, ২, ৭, ৮, ৯ ও ১১, চাঁদপুর-৩, নোয়াখালী-১, লক্ষ্মীপুর-২, চট্টগ্রাম-৭ ও ১৪।
আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য মেজর জেনারেল (অব.) সুবিদ আলী ভূঁইয়া তাঁর কুমিল্লা-১ আসনটি অপরিবর্তিত রাখার জন্য নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছেন। তিনি কালের কণ্ঠের প্রশ্নের জবাবে বলেন, 'আমার আসনে উপজেলা বিভক্তির ঘটনা নেই। দাউদকান্দি ও মেঘনা এ দুই উপজেলা নিয়ে কুমিল্লা-১ আসন। আমরা চাই এ সীমানা অপরিবর্তিত থাকুক।'
নির্বাচন কমিশনার মোহাম্মদ আবদুল মোবারক সীমানা পুনর্বিন্যাস সম্পর্কে কালের কণ্ঠকে বলেন, 'আমরা এখনো সার্বিক বিষয়গুলো খতিয়ে দেখছি। সিদ্ধান্তে উপনীত হতে আরো কিছুদিন সময় লাগবে।'
ইসি সচিবালয় সূত্রে জানা যায়, স্বাধীনতার পর ১৯৭৩ সালে প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচন ১৯৭০ সালের আগে পাকিস্তানের প্রাদেশিক পরিষদের সীমানা অনুসারে সম্পন্ন হয়। নির্বাচন কমিশন অপরিবর্তিত এই সীমানাসংক্রান্ত গেজেট ১৯৭২ সালের ২০ ডিসেম্বর প্রকাশ করে। এরপর দেশের প্রথম আদমশুমারি প্রতিবেদন প্রকাশিত হলে নির্বাচন কমিশন ১৯৭৬ সালের ১৯ মার্চ ৩০০ আসনের সীমানা নির্ধারণ সম্পর্কিত দাবি, আপত্তি ও পরামর্শ চায়। দাবি-আপত্তির শুনানি শেষে জনসংখ্যার আলোকে কয়েকটি জেলার আসনসংখ্যা হ্রাস-বৃদ্ধি করে ১৯৭৮ সালের ২৭ নভেম্বর গেজেট প্রকাশিত হয়। এই সীমানা অনুসারে ১৯৭৯ সালে দ্বিতীয় জাতীয় সংসদ নির্বাচন সম্পন্ন হয়। ১৯৮১ সালে দেশে দ্বিতীয় আদমশুমারির প্রতিবেদন প্রকাশিত হলে তৃতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ১৯৮৪ সালে বৃহত্তর ছয়টি জেলায় ছয়টি আসন কমিয়ে বৃহত্তর তিন জেলায় পাঁচটি ও পার্বত্য এলাকায় একটি আসন বাড়ানো হয়। সে সময় আগের বৃহত্তর জেলাগুলো ভেঙে ৬৪টি জেলা করা হয়। এরপর ১৯৯১ সালে আদমশুমারির প্রতিবেদন প্রকাশিত হলেও পঞ্চম, ষষ্ঠ, সপ্তম ও অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সেই আদমশুমারির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে কোনো জেলার আসন কমানো বা বাড়ানো হয়নি। তবে ১৯৯১ সালে পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে দুটি আন্তজেলা নির্বাচনী এলাকা সৃষ্টি করা হয়। ২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ২০০১ সালের আদমশুমারির চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এ প্রতিবেদন অনুসারে জনসংখ্যার ভিত্তিতে ব্যাপকভাবে সীমানা পুনর্বিন্যাস করা হয়। এতে ৩৩ জেলার ১২৫টি নির্বাচনী এলাকার পরিবর্তন ঘটে।
No comments