পার্লামেন্ট পুনর্বহালে মুরসির ফরমান বাতিল করলেন আদালত
পার্লামেন্ট পুনর্বহালে মিসরের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসির জারি করা এক ফরমান বাতিল করেছেন দেশটির সর্বোচ্চ আদালত। আদালতের নির্দেশে সামরিক বাহিনী মিসরের নির্বাচিত পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়ায় ওই ফরমান জারি করেছিলেন সদ্য ক্ষমতা গ্রহণকারী প্রেসিডেন্ট মুরসি।
গত মঙ্গলবার পার্লামেন্টের এক সংক্ষিপ্ত অধিবেশন শেষ হওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই সর্বোচ্চ সাংবিধানিক আদালত ওই আদেশটি জারি করেন বলে জানিয়েছে বিবিসি।
আদালতের নতুন এই আদেশের প্রতিবাদে হাজার হাজার জনতা কায়রোর তাহরির স্কয়ার জড়ো হয়। প্রতিবাদকারীরা আদালতের আদেশকে 'বেআইনি' অভিহিত করে এবং সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে স্লোগান দেয়।
বিশ্লেষকদের ধারণা, দেশের সর্বোচ্চ কর্তৃত্ব কার হাতে তা নিয়ে মিসরের প্রেসিডেন্ট ও সেনাবাহিনীর মধ্যে অঘোষিত প্রতিযোগিতা চলছে। দুটি প্রতিষ্ঠানই দেখাতে চাইছে তারাই দেশের মূল কর্তৃত্বে।
গত ১৪ জুন একই আদালত নির্বাচিত পার্লামেন্টকে অবৈধ ঘোষণা করেন। আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগেই পার্লামেন্ট ভেঙে দেয় ক্ষমতাসীন সর্বোচ্চ সামরিক পরিষদ। গত বছর ক্ষমতা থেকে হোসনি মুবারকের বিদায়ের পর মিসরের ক্ষমতা গ্রহণ করে এই পরিষদ। তাদের তত্ত্বাবধানে আয়োজিত পার্লামেন্ট নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পান মুবারক আমলে নিষিদ্ধ ঘোষিত মুসলিম ব্রাদারহুডের প্রার্থীরা। পরবর্তী সময়ে সেনা পরিষদের তত্ত্বাবধানে আয়োজিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনেও জয়লাভ করেন মুসলিম ব্রাদারহুডের প্রার্থী মোহাম্মদ মুরসি।
প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে মুরসির বিজয় অনুমান করতে পেরে কয়েকটি ফরমান জারির মাধ্যমে ক্ষমতা সংহত করে নেয় সামরিক পরিষদ। বিজয় লাভের পর মুরসির কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করলেও সামরিক পরিষদসহ মুবারক আমলের প্রশাসন প্রেসিডেন্টের ক্ষমতার রাশ টেনে ধরার চেষ্টা করছে।
প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে পার্লামেন্ট বিলুপ্ত করে দেওয়ায় ও মুবারক-পরবর্তী নতুন কোনো সংবিধান রচিত না হওয়ায় মিসরের প্রেসিডেন্টের ক্ষমতার রাশ টেনে ধরার কোনো নিয়মতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান নেই।
এ অবস্থায় একদিকে সর্বোচ্চ আদালত ও সামরিক পরিষদ এবং আরেকদিকে নির্বাচিত প্রেসিডেন্টের পাল্টাপাল্টি সিদ্ধান্তে মিসরের রাজনৈতিক পরিস্থিতি ক্রমে ঘোলাটে হয়ে উঠছে। সূত্র : রয়টার্স।
আদালতের নতুন এই আদেশের প্রতিবাদে হাজার হাজার জনতা কায়রোর তাহরির স্কয়ার জড়ো হয়। প্রতিবাদকারীরা আদালতের আদেশকে 'বেআইনি' অভিহিত করে এবং সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে স্লোগান দেয়।
বিশ্লেষকদের ধারণা, দেশের সর্বোচ্চ কর্তৃত্ব কার হাতে তা নিয়ে মিসরের প্রেসিডেন্ট ও সেনাবাহিনীর মধ্যে অঘোষিত প্রতিযোগিতা চলছে। দুটি প্রতিষ্ঠানই দেখাতে চাইছে তারাই দেশের মূল কর্তৃত্বে।
গত ১৪ জুন একই আদালত নির্বাচিত পার্লামেন্টকে অবৈধ ঘোষণা করেন। আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগেই পার্লামেন্ট ভেঙে দেয় ক্ষমতাসীন সর্বোচ্চ সামরিক পরিষদ। গত বছর ক্ষমতা থেকে হোসনি মুবারকের বিদায়ের পর মিসরের ক্ষমতা গ্রহণ করে এই পরিষদ। তাদের তত্ত্বাবধানে আয়োজিত পার্লামেন্ট নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পান মুবারক আমলে নিষিদ্ধ ঘোষিত মুসলিম ব্রাদারহুডের প্রার্থীরা। পরবর্তী সময়ে সেনা পরিষদের তত্ত্বাবধানে আয়োজিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনেও জয়লাভ করেন মুসলিম ব্রাদারহুডের প্রার্থী মোহাম্মদ মুরসি।
প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে মুরসির বিজয় অনুমান করতে পেরে কয়েকটি ফরমান জারির মাধ্যমে ক্ষমতা সংহত করে নেয় সামরিক পরিষদ। বিজয় লাভের পর মুরসির কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করলেও সামরিক পরিষদসহ মুবারক আমলের প্রশাসন প্রেসিডেন্টের ক্ষমতার রাশ টেনে ধরার চেষ্টা করছে।
প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে পার্লামেন্ট বিলুপ্ত করে দেওয়ায় ও মুবারক-পরবর্তী নতুন কোনো সংবিধান রচিত না হওয়ায় মিসরের প্রেসিডেন্টের ক্ষমতার রাশ টেনে ধরার কোনো নিয়মতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান নেই।
এ অবস্থায় একদিকে সর্বোচ্চ আদালত ও সামরিক পরিষদ এবং আরেকদিকে নির্বাচিত প্রেসিডেন্টের পাল্টাপাল্টি সিদ্ধান্তে মিসরের রাজনৈতিক পরিস্থিতি ক্রমে ঘোলাটে হয়ে উঠছে। সূত্র : রয়টার্স।
No comments