গুলি ও র‌্যাবের পোশাকসহ গ্রেপ্তার ৩-র‌্যাবের পোশাক পরে ছিনতাইয়ের চেষ্টা

গাজীপুর সদর উপজেলার মীরের বাজার এলাকায় গতকাল বুধবার র‌্যাবের পোশাক পরে ছিনতাইয়ের প্রস্তুতিকালে পুলিশ ও ছিনতাইকারীদের মধ্যে গুলিবিনিময় হয়েছে। এ সময় তিন ছিনতাইকারীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় রাইফেলের পাঁচটি গুলি, চার সেট হাতকড়া, চারটি মুঠোফোন, একটি ওয়াকিটকি, র‌্যাবের চারটি পোশাক ও একটি মাইক্রোবাস।


গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা হলেন ভোলা জেলার বাপতা গ্রামের শাহজাহান মিয়া (৩৫), কুমিল্লার তিতাস উপজেলার দক্ষিণ নারিন্দা গ্রামের রফিকুল ইসলাম (৩৫) ও পটুয়াখালীর বরুণবাড়িয়া এলাকার শাহ আলম (৩০)। তাঁদের বিরুদ্ধে জয়দেবপুর থানায় মামলা করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্র জানায়, গাজীপুরের টঙ্গী-ঘোড়াশাল সড়কের পুবাইলের মীরের বাজার ও নরসিংদীর পাঁচদোনা এলাকার মাঝামাঝি সড়কে একটি মাইক্রোবাস নিয়ে কয়েকজন সশস্ত্র যুবক র‌্যাবের পোশাক পরে ছিনতাইয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছিল। এই খবর পেয়ে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে পুলিশের কয়েকটি দল ওই সড়কে অবস্থান নেয়। বেলা তিনটার দিকে মীরের বাজার তালটিয়া এলাকায় ছিনতাইকারীদের বহনকারী মাইক্রোবাসটির (ঢাকা মেট্রো-চ-৫১-৮১৩১ ) সন্ধান পায় পুলিশ। এ সময় সড়কে গাড়ি রেখে পুলিশ মাইক্রোবাসের গতিরোধের চেষ্টা করে। ছিনতাইকারীরা পুলিশ-সদস্যদের লক্ষ্য করে ছয়টি গুলি ছোড়ে। পুলিশও ছিনতাইকারীদের লক্ষ্য করে ১২টি গুলি চালায়। এ সময় ছিনতাইকারী শাহজাহানের বাঁ-পায়ের হাঁটুর নিচে গুলি লাগে। পুলিশ তিন ছিনতাইকারীকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হলেও মাইক্রোবাসের চালকসহ অন্য তিন ছিনতাইকারী পালিয়ে গেছে।
এদিকে ছিনতাইকারীদের ধরতে গিয়ে তাদের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে গাজীপুর গোয়েন্দা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) সজীব দত্ত, আবদুস সালাম ও জহিরুল ইসলাম আহত হন। তাঁরা চিকিৎসা নিয়েছেন।
গ্রেপ্তার হওয়া তিনজনকে বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সামনে হাজির করা হয়। গ্রেপ্তার হওয়া শাহজাহান সাংবাদিকদের বলেন, তিনি ঢাকা-গাজীপুর সড়কে বলাকা সার্ভিসের বাসের চালক। আট-নয় দিন আগে বাস চালানো ছেড়ে সাভার এলাকার বাসিন্দা মো. শরিফের প্রলোভনে পড়ে ছিনতাই করতে নামেন।
গ্রেপ্তার হওয়া রফিকুল ইসলাম নারায়ণগঞ্জের আদমজী এলাকার একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করতেন। তিনি জানান, শাহজাহান তাঁকে বেশি আয়ের লোভ দেখিয়ে এই কাজে নামান।
ঢাকার গাউছিয়া মার্কেটে বড় ভাইয়ের চায়ের দোকানে শাহজাহান ও রফিকুলের সঙ্গে পরিচয় হয় বলে জানান গ্রেপ্তার হওয়া শাহ আলম।
পুলিশ সুপার আবদুল বাতেন সাংবাদিকদের বলেন, গাজীপুরে প্রায়ই র‌্যাব ও পুলিশের পোশাক পরে ছিনতাই করার খবর পাওয়া যায়। এ কারণে বেশ কিছুদিন ধরে মহাসড়কগুলোতে নজরদারি বাড়ানো হয়।

No comments

Powered by Blogger.