টয়া-‘দারুণ লাগে স্বপ্ন দেখতে’ by কিঙ্কর আহ্সান
মেয়েটার শৈশব কেটেছে রাঙামাটিতে। পাহাড় তাঁর বড় প্রিয়, আর প্রিয় স্বপ্ন দেখা। মায়ের কোলে মাথা রেখে ঘুমোতে ঘুমোতে স্বপ্ন দেখা তাঁর প্রিয় কাজ। ছোটবেলায় ঠিক করেছিলেন মায়ের মতো শিক্ষক হবেন। কিন্তু একটু বড় হতে না-হতেই সেই পরিকল্পনা যায় ভেস্তে। তখন তিনি মজেছেন নাচের প্রেমে। নাচতে খুবই ভালো লাগে এই মেয়ের।
পড়াশোনার চাপে নাচ নিয়ে ভাবনাগুলোও চাপা পড়তে দেরি হয় না খুব একটা। অবশেষে নিয়তি মেনে নিয়ে অল্প একটু মন খারাপ করে পড়াশোনায় মন দেন তিনি। ঢাকায় এসে পড়াশোনা শুরু হয় কলেজে। কলেজের গণ্ডি পেরোনোর পর ব্যবসায় প্রশাসনে পড়ার জন্য ভর্তি হন ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটিতে। তখনই সুযোগ আসে মিডিয়ায় কাজ করার। ২০১০ সালের দিকে পরিবারের কাউকে না জানিয়েই নাম লেখান লাক্স-চ্যানেল আই সুপার স্টার ২০১০-এ। শুরুতে শখ আর একটু মজার জন্যই কাজ শুরু করেন তিনি। কিন্তু প্রতিযোগিতায় একের পর এক প্রতিযোগীকে টপকে সামনে যেতে না-যেতেই টনক নড়ে মেয়েটার। পরিবারকে জানিয়ে তাদের উৎসাহে শুরু করেন কঠোর পরিশ্রম। আনকোরা এক মেয়ে খুব সহজেই খাপ খাওয়ান নিজেকে নতুন পরিবেশের সঙ্গে। মিষ্টি হাসি দিয়ে প্রিয় হয়ে ওঠেন সবার। নিজের পরিশ্রম আর সঙ্গে ভাগ্যটা সহায় হতেই জায়গা করে নেন সেরা পাঁচে। লাক্স-চ্যানেল আই ২০১০-এর এই আয়োজনে পঞ্চম স্থানটি বাগিয়ে নেন মুমতাহিনা টয়া। মিডিয়ায় কাজ করার স্বপ্ন এই আয়োজন শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই হয়তো মিলিয়ে যাবে—এমনটাই ভেবেছিলেন তিনি। এ জগতের কেউ-ই তাঁর পরিচিত নন, তাই কাজ পাওয়ার ব্যাপারে খুব একটা আশাবাদী ছিলেন না তিনি। কিন্তু ঘটনা ঘটল অন্য রকম। আয়োজন শেষ হওয়ার কিছুদিন পরই অভিনেত্রী রুমানা রশিদ ঈশিতার পরিচালনায় অদেখা মেঘের কাব্য নাটকে কাজের সুযোগ হলো তাঁর। প্রথম কাজেই বাজিমাত। মন জয় করলেন দর্শকদের এবং এখন পুরোদস্তুর এক অভিনেত্রী তিনি। ওয়াহিদ আনামের ভার্সিটি এবং আফসানা মিমির পরিচালনায় পৌষ ফাগুনের পালা ধারাবাহিকে কাজ করে আলোচনায় উঠে আসেন নবীন তারকা মুমতাহিনা টয়া। দ্য ফাইনাল চ্যাপ্টার, বন্ধু-গল্প-ভালোবাসা, অনেস্টি ইজ দ্য বেস্ট পলিসি—এসব নাটকের কাজগুলো তাঁর পরিচিতি বাড়িয়ে দিয়েছে কয়েক গুণ। সম্প্রতি তৌকীর আহমেদের পরিচালনায় করা নাটক ছায়াপ্রীতা, জাহিদ হাসানের ধারাবাহিক নাটক টো টো কোম্পানি এবং এজাজ মুন্নার ধারাবাহিক জেনারেশন মিক্স ডট-এ কাজ করেছেন টয়া। সামনের ঈদের জন্যও কাজ করা হয়েছে অনেক নাটকে। প্রচারের অপেক্ষায় থাকা এসব নাটকের মাধ্যমে দর্শকদের কাছ থেকে ভালো সাড়া পাওয়া যাবে বলে ধারণা তাঁর।
ক্যারিয়ারের অন্যতম এক দারুণ সুযোগ কী? এমন প্রশ্নের জবাবে টয়া জানান, ‘লা রিভ’-এর সঙ্গে কাজ করতে পারা তাঁর জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ এবং ভালো একটি সুযোগ। সবচেয়ে আনন্দের বিষয় হলো, এখানে তিনি কাজ করছেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানের সঙ্গে। দুজনে মিলে করবেন এ ফ্যাশন হাউসের পণ্যের প্রচারণার কাজ। তবে এসব কাজের ভিড়েও পড়াশোনাকে ছুটি দিতে নারাজ তিনি। নাচ, অভিনয়, ফ্যাশন হাউসে কাজ করা—এসব তাঁর শখ। পড়াশোনা শেষ করে একজন ‘করপোরেট লেডি’ হতে চান তিনি। সে লক্ষ্যেই করে যাচ্ছেন কাজ, কিন্তু মিডিয়ার রঙিন দুনিয়ার হাতছানি কিছুতেই ছাড়ে না পিছু। কাজের জন্য ছুটতে হয় তাই টয়াকে, চৌপর দিন।
রাত বুড়ো হলেও ব্যস্ত শহরটায় এর গভীরতা ঠাওর করা যায় না এখন আর। পথে পথে আলোর রোশনাই আর মাথার ওপরের আকাশ তারায় ভর্তি। কাজ শেষে ক্লান্ত মেয়েটা ফেরেন বাড়িতে। দিনভর কাজের শেষে কাছে পাওয়া যায় মাকে। তাঁর কোলে মাথা রেখে ঘুমান মুমতাহিনা টয়া। মায়ের শরীরের গন্ধ নিতে নিতে ঘুমজড়ানো কণ্ঠে বলেন, ‘এখন আমি স্বপ্ন দেখব, মা। ঘুম পাচ্ছে খুব। কেউ যেন বিরক্ত না করে আমাকে। ঠিকমতো পাহারা দিয়ো কিন্তু তুমি, কেমন?’
ক্যারিয়ারের অন্যতম এক দারুণ সুযোগ কী? এমন প্রশ্নের জবাবে টয়া জানান, ‘লা রিভ’-এর সঙ্গে কাজ করতে পারা তাঁর জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ এবং ভালো একটি সুযোগ। সবচেয়ে আনন্দের বিষয় হলো, এখানে তিনি কাজ করছেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানের সঙ্গে। দুজনে মিলে করবেন এ ফ্যাশন হাউসের পণ্যের প্রচারণার কাজ। তবে এসব কাজের ভিড়েও পড়াশোনাকে ছুটি দিতে নারাজ তিনি। নাচ, অভিনয়, ফ্যাশন হাউসে কাজ করা—এসব তাঁর শখ। পড়াশোনা শেষ করে একজন ‘করপোরেট লেডি’ হতে চান তিনি। সে লক্ষ্যেই করে যাচ্ছেন কাজ, কিন্তু মিডিয়ার রঙিন দুনিয়ার হাতছানি কিছুতেই ছাড়ে না পিছু। কাজের জন্য ছুটতে হয় তাই টয়াকে, চৌপর দিন।
রাত বুড়ো হলেও ব্যস্ত শহরটায় এর গভীরতা ঠাওর করা যায় না এখন আর। পথে পথে আলোর রোশনাই আর মাথার ওপরের আকাশ তারায় ভর্তি। কাজ শেষে ক্লান্ত মেয়েটা ফেরেন বাড়িতে। দিনভর কাজের শেষে কাছে পাওয়া যায় মাকে। তাঁর কোলে মাথা রেখে ঘুমান মুমতাহিনা টয়া। মায়ের শরীরের গন্ধ নিতে নিতে ঘুমজড়ানো কণ্ঠে বলেন, ‘এখন আমি স্বপ্ন দেখব, মা। ঘুম পাচ্ছে খুব। কেউ যেন বিরক্ত না করে আমাকে। ঠিকমতো পাহারা দিয়ো কিন্তু তুমি, কেমন?’
No comments