স্বেচ্ছাসেবক লীগের সম্মেলন-পুরনো নেতৃত্বেই নতুন কমিটি হতাশ তরুণরা by পাভেল হায়দার চৌধুরী
তৃণমূলের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটেনি ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন স্বেচ্ছাসেবক লীগের দ্বিতীয় জাতীয় সম্মেলনে। তরুণ নেতৃত্বকে হতাশ করে পুরনো নেতৃত্ব বহাল রেখেই স্বেচ্ছাসেবক লীগের নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে।
সভাপতি পদে মোল্লা মো. আবু কাওছার ও সাধারণ সম্পাদক পদে পংকজ দেবনাথকে পুনর্নির্বাচিত করা হয়েছে। রাজধানীর শেরে বাংলানগরে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে গতকাল বুধবার রাতে সংগঠনের জাতীয় সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে তাঁরা পুনর্নির্বাচিত হয়েছেন।
দীর্ঘ ৯ বছর পর সম্মেলন হলেও শীর্ষ দুটি পদে কোনো চমক বা পরিবর্তন আসেনি। অথচ সংগঠনে গতিশীলতা আনতে এবং নবীনদের সংশ্লিষ্ট করতে অপেক্ষাকৃত তরুণ ও উদ্যমীদের দিয়ে আগামী কমিটি গঠনের দাবি ছিল সারা দেশ থেকে আসা স্বেচ্ছাসেবক লীগের তৃণমূল নেতাদের।
সন্ধ্যা ৬টা ৭ মিনিটে পংকজ দেবনাথের প্রস্তাবে সাড়া দিয়ে সব কাউন্সিলর নতুন নেতা নির্বাচনে সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিমের সিদ্ধান্ত মেনে নেওয়ার ঘোষণা দেন। ৬টা ১১ মিনিটে মাইক হাতে বাহাউদ্দিন নাছিম কঠিন এই দায়িত্ব পালনে সবার সহযোগিতা কামনা করেন। ৬টা ২২ মিনিটে মোল্লা মো. আবু কাওছার বৈঠক মুলতবি ঘোষণা করেন।
দফায় দফায় আওয়ামী লীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের বিভিন্ন নেতার সঙ্গে বৈঠক করে রাত ৯টায় বাহাউদ্দিন নাছিম ও আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস সম্মেলন কক্ষে আসেন।
মুলতবি সভা শুরু হলে পংকজ দেবনাথ বাহাউদ্দিন নাছিমকে নতুন কমিটির নাম ঘোষণা করার অনুরোধ জানান। বাহাউদ্দিন নাছিম বর্তমান কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককেই নতুন করে সংগঠনের দায়িত্ব দেন। রাত ৯টা ১০ মিনিটে কাউন্সিল অধিবেশন শেষে আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম এ দুজনের নাম ঘোষণা করেন। ১৫১ সদস্যবিশিষ্ট কেন্দ্রীয় কমিটির বাকিদের নাম পরে ঠিক করা হবে।
এদিকে পুরনোরাই নেতৃত্বে বহাল থাকায় সাবেক ছাত্রলীগ নেতাদের অন্যান্য সহযোগী সংগঠনে জায়গা করে দেওয়ার যে ঘোষণা প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা দিয়েছিলেন, সে জায়গাও সংকুচিত হলো। শেষ পর্যন্ত হতাশাগ্রস্ত হয়েই সভাস্থল ত্যাগ করেন সাবেক ছাত্রলীগ নেতারা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সিলেট ও কুমিল্লা জেলার দুই কাউন্সিলর বলেন, 'এ যেন নতুন বোতলে পুরনো মদ।'
এর আগে সম্মেলনের উদ্বোধনী অধিবেশন শেষে বিকেল ৫টায় কাউন্সিল অধিবেশন শুরু হয়। এতে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক পংকজ দেবনাথ সাংগঠনিক প্রতিবেদন পেশ শেষে গঠনতন্ত্রের সংশোধনী প্রস্তাব উপস্থাপন করেন। সারা দেশের কাউন্সিলরদের সর্বসম্মতিতে তা অনুমোদিত হয়।
সংশোধিত গঠনতন্ত্রে সংগঠনের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের কলেবর বাড়িয়ে ১০১ সদস্যের স্থলে ১৫১ সদস্যবিশিষ্ট করা হয়েছে। কমিটিতে সহসভাপতির পদ ১৪টি থেকে বাড়িয়ে ২১টি করা হয়েছে। নতুন বেশ কিছু সম্পাদকের পদও যুক্ত করা হয়েছে। এগুলো হলো : মানবাধিকার, মুক্তিযুদ্ধ, তথ্য, যোগাযোগ ও প্রযুক্তি, সমবায় ও পল্লী উন্নয়ন, পানিসম্পদ, পাট ও বস্ত্র, গ্রন্থাগার ও প্রকাশনা, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ, জনসংখ্যা, মহিলা ও শিশু এবং নাট্য ও সাহিত্যবিষয়ক সম্পাদক।
গঠনতন্ত্রের সংশোধনী শেষে নতুন কেন্দ্রীয় কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হলে সারা দেশের সাংগঠনিক জেলাগুলো থেকে আসা কাউন্সিলরদের মত জানতে চাওয়া হয়। এ সময় প্রায় সব বক্তাই কমিটি গঠনের পুরো দায়িত্ব আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিমের ওপর ছেড়ে দেন। এ অবস্থায় কাউন্সিল অধিবেশন মুলতবি ঘোষণা করে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শুরু হয়। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা থেকে শুরু হওয়া মুলতবি অধিবেশনে কেবল সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পুনর্নির্বাচিত করা হয়।
দীর্ঘ ৯ বছর পর সম্মেলন হলেও শীর্ষ দুটি পদে কোনো চমক বা পরিবর্তন আসেনি। অথচ সংগঠনে গতিশীলতা আনতে এবং নবীনদের সংশ্লিষ্ট করতে অপেক্ষাকৃত তরুণ ও উদ্যমীদের দিয়ে আগামী কমিটি গঠনের দাবি ছিল সারা দেশ থেকে আসা স্বেচ্ছাসেবক লীগের তৃণমূল নেতাদের।
সন্ধ্যা ৬টা ৭ মিনিটে পংকজ দেবনাথের প্রস্তাবে সাড়া দিয়ে সব কাউন্সিলর নতুন নেতা নির্বাচনে সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিমের সিদ্ধান্ত মেনে নেওয়ার ঘোষণা দেন। ৬টা ১১ মিনিটে মাইক হাতে বাহাউদ্দিন নাছিম কঠিন এই দায়িত্ব পালনে সবার সহযোগিতা কামনা করেন। ৬টা ২২ মিনিটে মোল্লা মো. আবু কাওছার বৈঠক মুলতবি ঘোষণা করেন।
দফায় দফায় আওয়ামী লীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের বিভিন্ন নেতার সঙ্গে বৈঠক করে রাত ৯টায় বাহাউদ্দিন নাছিম ও আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস সম্মেলন কক্ষে আসেন।
মুলতবি সভা শুরু হলে পংকজ দেবনাথ বাহাউদ্দিন নাছিমকে নতুন কমিটির নাম ঘোষণা করার অনুরোধ জানান। বাহাউদ্দিন নাছিম বর্তমান কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককেই নতুন করে সংগঠনের দায়িত্ব দেন। রাত ৯টা ১০ মিনিটে কাউন্সিল অধিবেশন শেষে আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম এ দুজনের নাম ঘোষণা করেন। ১৫১ সদস্যবিশিষ্ট কেন্দ্রীয় কমিটির বাকিদের নাম পরে ঠিক করা হবে।
এদিকে পুরনোরাই নেতৃত্বে বহাল থাকায় সাবেক ছাত্রলীগ নেতাদের অন্যান্য সহযোগী সংগঠনে জায়গা করে দেওয়ার যে ঘোষণা প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা দিয়েছিলেন, সে জায়গাও সংকুচিত হলো। শেষ পর্যন্ত হতাশাগ্রস্ত হয়েই সভাস্থল ত্যাগ করেন সাবেক ছাত্রলীগ নেতারা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সিলেট ও কুমিল্লা জেলার দুই কাউন্সিলর বলেন, 'এ যেন নতুন বোতলে পুরনো মদ।'
এর আগে সম্মেলনের উদ্বোধনী অধিবেশন শেষে বিকেল ৫টায় কাউন্সিল অধিবেশন শুরু হয়। এতে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক পংকজ দেবনাথ সাংগঠনিক প্রতিবেদন পেশ শেষে গঠনতন্ত্রের সংশোধনী প্রস্তাব উপস্থাপন করেন। সারা দেশের কাউন্সিলরদের সর্বসম্মতিতে তা অনুমোদিত হয়।
সংশোধিত গঠনতন্ত্রে সংগঠনের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের কলেবর বাড়িয়ে ১০১ সদস্যের স্থলে ১৫১ সদস্যবিশিষ্ট করা হয়েছে। কমিটিতে সহসভাপতির পদ ১৪টি থেকে বাড়িয়ে ২১টি করা হয়েছে। নতুন বেশ কিছু সম্পাদকের পদও যুক্ত করা হয়েছে। এগুলো হলো : মানবাধিকার, মুক্তিযুদ্ধ, তথ্য, যোগাযোগ ও প্রযুক্তি, সমবায় ও পল্লী উন্নয়ন, পানিসম্পদ, পাট ও বস্ত্র, গ্রন্থাগার ও প্রকাশনা, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ, জনসংখ্যা, মহিলা ও শিশু এবং নাট্য ও সাহিত্যবিষয়ক সম্পাদক।
গঠনতন্ত্রের সংশোধনী শেষে নতুন কেন্দ্রীয় কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হলে সারা দেশের সাংগঠনিক জেলাগুলো থেকে আসা কাউন্সিলরদের মত জানতে চাওয়া হয়। এ সময় প্রায় সব বক্তাই কমিটি গঠনের পুরো দায়িত্ব আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিমের ওপর ছেড়ে দেন। এ অবস্থায় কাউন্সিল অধিবেশন মুলতবি ঘোষণা করে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শুরু হয়। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা থেকে শুরু হওয়া মুলতবি অধিবেশনে কেবল সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পুনর্নির্বাচিত করা হয়।
No comments