বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মেয়র মন্জুর-নেতা-কর্মীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া by একরামুল হক
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র মোহাম্মদ মন্জুর আলমকে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ দেওয়ায় দলের নেতা-কর্মীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। কেউ বলছেন, অভিজ্ঞতা না থেকেও তিনি দ্রুত দলের গুরুত্বপূর্ণ পদে আসীন হয়েছেন।
আবার কেউ বলছেন, মেয়র এখন দলের সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডে সক্রিয় হবেন। সংগঠন থেকে গত ২৬ জুন রাতে এ সংক্রান্ত ঘোষণা দেওয়া হয়।
দলীয় সূত্র জানায়, মেয়র মন্জুর আলম বছর দুয়েক আগেও বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন না। তিনি আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত ছিলেন। বিগত চারদলীয় জোট সরকারের সময়ও বিভিন্ন আন্দোলন-সংগ্রামে তিনি তৎকালীন মেয়র এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরীর সঙ্গে ছিলেন।
নেতা-কর্মীদের জানান, দুই বছর আগে অনুষ্ঠিত চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপির সমর্থন নিয়ে মেয়র পদে জয়ী হন মন্জুর আলম। এরপর খালেদা জিয়া চট্টগ্রাম সফরে এলেই কেবল তিনি দলের কর্মকাণ্ডে অংশ নিয়ে আসছিলেন। আন্দোলন-সংগ্রামে তাঁকে নেতা-কর্মীরা কাছে পাননি বলে অভিযোগ করেন।
মেয়র মন্জুর আলম উপদেষ্টা হওয়া প্রসঙ্গে জানতে চাইলে নগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘কেন্দ্র থেকে যে সিদ্ধান্ত ম্যাডাম নিয়ে থাকেন সেটাকে অবশ্যই সম্মান ও শ্রদ্ধা জানাতে বাধ্য। কারণ তিনি হলেন সংগঠনের চেয়ারপারসন এবং তাঁর সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত।’
নগর বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এম এ সবুর বলেন, ‘মোহাম্মদ মন্জুর আলমকে ম্যাডাম তাঁর উপদেষ্টা বানিয়েছেন। তাঁর যোগ্যতা নিয়ে আমি কিছু বলতে চাই না। তবে দলের কর্মকাণ্ডে তিনি নিজেকে সম্পৃক্ত করবেন বলে আমরা প্রত্যাশা করি। যদিও তিনি আগে নানা ছুতোয় দলের কর্মকাণ্ডে অংশ নিতেন না। এবার থেকে তিনি কোনো ছুতো দেখাতে পারবেন না। দলের কাছে তাঁকে এবার থেকে জবাবদিহি করতে হবে।’
নগর ছাত্রদলের এক নেতা নাম প্রকাশ না করে প্রথম আলোকে বলেন, ‘সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিনের কাতারে নিয়ে আসা হয়েছে মেয়র মন্জুর আলমকে। এই দুই নেতার রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা অনেক গভীরে। সেই তুলনায় মেয়রের অভিজ্ঞতা অনেক কম। তিনি দ্রুত গুরুত্বপূর্ণ পদ পেয়েছেন। অথচ রাজনৈতিক কোনো কর্মসূচিতে তাঁকে আমরা পাই না।’
দলীয় নেতাদের অভিযোগের জবাবে মেয়র মোহাম্মদ মন্জুর আলম বলেন, ‘ইনশাআল্লাহ, আমি প্রস্তুত। দলের সব কর্মসূচিতে আমি অংশ নেব।’
জানা যায়, পাহাড়ধসে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের সমবেদনা জানাতে গত ২৪ জুন দুই দিনের সফরে এসেছিলেন বেগম খালেদা জিয়া। পরদিন ২৫ জুন তিনি ঢাকায় ফিরে যান। এর মধ্যে স্থানীয় নেতা-কর্মীরা তাঁর সঙ্গে ছিলেন। ২৫ জুন সকালে সার্কিট হাউজের ডাইনিং কক্ষে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামের কাছে মেয়র মন্জুর আলমের বিরুদ্ধে নালিশ দেন নগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন। অভিযোগ করে শাহাদাৎ হোসেন বলেন, ‘রাজনৈতিক কর্মসূচিতে মেয়র মন্জুর আলমকে পাওয়া যায় না। ম্যাডাম চট্টগ্রামে এলেই মেয়র সাহেব কেবল তৎপরতা দেখান।’
শাহাদাৎ হোসেন এ প্রসঙ্গে বলেন, রাজনৈতিক কর্মসূচিতে মেয়রকে পাওয়া যায় না বলে আমি দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিবকে জানাই।
এই বক্তব্য দেওয়ার সময় মেয়রও সেখানে ছিলেন। আমার বক্তব্যের জবাবে মেয়র মন্জুর আলম মহাসচিবকে বলেন, ‘আমি তো বিএনপির কোনো পদে নেই। দলের জন্য কীভাবে কাজ করব? দলের যেকোনো একটি জায়গায় আমাকে স্থান করে দিলে আমি দলীয় কর্মসূচিতে অংশ নিতে পারব।’
শাহাদাৎ হোসেন আরও বলেন, ‘সার্কিট হাউজের ডাইনিং কক্ষে মেয়রের বক্তব্য শুনে মহাসচিব হেসে বলেন, আপনাকে (মেয়র) উপদেষ্টা করলে খুশি হবেন? এর দুদিন পর মন্জুর আলমকে ম্যাডামের উপদেষ্টা হিসেবে ঘোষণা দেওয়া হয়।’
দলীয় সূত্র জানায়, মেয়র মন্জুর আলম বছর দুয়েক আগেও বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন না। তিনি আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত ছিলেন। বিগত চারদলীয় জোট সরকারের সময়ও বিভিন্ন আন্দোলন-সংগ্রামে তিনি তৎকালীন মেয়র এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরীর সঙ্গে ছিলেন।
নেতা-কর্মীদের জানান, দুই বছর আগে অনুষ্ঠিত চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপির সমর্থন নিয়ে মেয়র পদে জয়ী হন মন্জুর আলম। এরপর খালেদা জিয়া চট্টগ্রাম সফরে এলেই কেবল তিনি দলের কর্মকাণ্ডে অংশ নিয়ে আসছিলেন। আন্দোলন-সংগ্রামে তাঁকে নেতা-কর্মীরা কাছে পাননি বলে অভিযোগ করেন।
মেয়র মন্জুর আলম উপদেষ্টা হওয়া প্রসঙ্গে জানতে চাইলে নগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘কেন্দ্র থেকে যে সিদ্ধান্ত ম্যাডাম নিয়ে থাকেন সেটাকে অবশ্যই সম্মান ও শ্রদ্ধা জানাতে বাধ্য। কারণ তিনি হলেন সংগঠনের চেয়ারপারসন এবং তাঁর সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত।’
নগর বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এম এ সবুর বলেন, ‘মোহাম্মদ মন্জুর আলমকে ম্যাডাম তাঁর উপদেষ্টা বানিয়েছেন। তাঁর যোগ্যতা নিয়ে আমি কিছু বলতে চাই না। তবে দলের কর্মকাণ্ডে তিনি নিজেকে সম্পৃক্ত করবেন বলে আমরা প্রত্যাশা করি। যদিও তিনি আগে নানা ছুতোয় দলের কর্মকাণ্ডে অংশ নিতেন না। এবার থেকে তিনি কোনো ছুতো দেখাতে পারবেন না। দলের কাছে তাঁকে এবার থেকে জবাবদিহি করতে হবে।’
নগর ছাত্রদলের এক নেতা নাম প্রকাশ না করে প্রথম আলোকে বলেন, ‘সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিনের কাতারে নিয়ে আসা হয়েছে মেয়র মন্জুর আলমকে। এই দুই নেতার রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা অনেক গভীরে। সেই তুলনায় মেয়রের অভিজ্ঞতা অনেক কম। তিনি দ্রুত গুরুত্বপূর্ণ পদ পেয়েছেন। অথচ রাজনৈতিক কোনো কর্মসূচিতে তাঁকে আমরা পাই না।’
দলীয় নেতাদের অভিযোগের জবাবে মেয়র মোহাম্মদ মন্জুর আলম বলেন, ‘ইনশাআল্লাহ, আমি প্রস্তুত। দলের সব কর্মসূচিতে আমি অংশ নেব।’
জানা যায়, পাহাড়ধসে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের সমবেদনা জানাতে গত ২৪ জুন দুই দিনের সফরে এসেছিলেন বেগম খালেদা জিয়া। পরদিন ২৫ জুন তিনি ঢাকায় ফিরে যান। এর মধ্যে স্থানীয় নেতা-কর্মীরা তাঁর সঙ্গে ছিলেন। ২৫ জুন সকালে সার্কিট হাউজের ডাইনিং কক্ষে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামের কাছে মেয়র মন্জুর আলমের বিরুদ্ধে নালিশ দেন নগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন। অভিযোগ করে শাহাদাৎ হোসেন বলেন, ‘রাজনৈতিক কর্মসূচিতে মেয়র মন্জুর আলমকে পাওয়া যায় না। ম্যাডাম চট্টগ্রামে এলেই মেয়র সাহেব কেবল তৎপরতা দেখান।’
শাহাদাৎ হোসেন এ প্রসঙ্গে বলেন, রাজনৈতিক কর্মসূচিতে মেয়রকে পাওয়া যায় না বলে আমি দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিবকে জানাই।
এই বক্তব্য দেওয়ার সময় মেয়রও সেখানে ছিলেন। আমার বক্তব্যের জবাবে মেয়র মন্জুর আলম মহাসচিবকে বলেন, ‘আমি তো বিএনপির কোনো পদে নেই। দলের জন্য কীভাবে কাজ করব? দলের যেকোনো একটি জায়গায় আমাকে স্থান করে দিলে আমি দলীয় কর্মসূচিতে অংশ নিতে পারব।’
শাহাদাৎ হোসেন আরও বলেন, ‘সার্কিট হাউজের ডাইনিং কক্ষে মেয়রের বক্তব্য শুনে মহাসচিব হেসে বলেন, আপনাকে (মেয়র) উপদেষ্টা করলে খুশি হবেন? এর দুদিন পর মন্জুর আলমকে ম্যাডামের উপদেষ্টা হিসেবে ঘোষণা দেওয়া হয়।’
No comments