‘২৪ ঘণ্টায়’ উচ্ছেদের নির্দেশ নয় দিনেও কার্যকর হয়নি by সেলিম জাহিদ
ফুটপাত ও সরকারি জায়গা দখলে নিয়ে তৈরি করা রাজনৈতিক সংগঠনের অবৈধ কার্যালয় ২৪ ঘণ্টার মধ্যে উচ্ছেদের নির্দেশ গত নয় দিনেও পালিত হয়নি। ভাঙা হয়নি রাস্তার ওপর তৈরি করা তোরণও। তবে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন এই নয় দিনে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার ফুটপাতে অবৈধ দোকানপাট উচ্ছেদ অভিযান চালিয়েছে।
তবে পরদিনই ওই সব ফুটপাত আবার দখল হয়ে গেছে।
গত রোববার ঢাকার নিউমার্কেট থেকে সায়েন্স ল্যাবরেটরি মোড় পর্যন্ত রাস্তার পশ্চিম ধারে অভিযান চালিয়ে ফুটপাতের অবৈধ দোকানপাট উচ্ছেদ করে ঢাকা সিটি করপোরেশন (ডিসিসি) দক্ষিণ। গতকাল বুধবার বিকেলে ওই এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, ওই ফুটপাতে আবার নতুন করে সব দোকান বসেছে। নিউমার্কেটের কোনায় সড়কদ্বীপে বসানো আমের দোকানটিও আছে আগের মতোই।
নিউমার্কেট এলাকায় গতকাল আবারও অভিযান চালানোর সিদ্ধান্ত ছিল। ডিসিসির কর্মকর্তারা জানান, চাহিদা মোতাবেক পুলিশ না পাওয়াতে গতকাল অভিযান চালানো যায়নি।
এর আগে গুলিস্তান, জিপিও, দিলকুশা, মতিঝিল এলাকায় ফুটপাতে উচ্ছেদ অভিযান চালায় ডিসিসি দক্ষিণ। গতকাল বিকেলে এসব এলাকায় গিয়েও আগের অবস্থা দেখা যায়। উচ্ছেদের পরপর আবার ফুটপাত দখল হওয়ার কথা স্বীকার করেছেন ডিসিসি দক্ষিণের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সুলতান উল ইসলাম চৌধুরীও।
২ জুলাই রাজধানীর যানজট নিরসন-সংক্রান্ত এক বৈঠকে নগরে রাজনৈতিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের অবৈধ সব কার্যালয় পরদিন দুপুর ১২টার মধ্যে উচ্ছেদের নির্দেশ দেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক। অবশ্য ওই দিন রাতে পাঠানো সরকারি তথ্য বিবরণীতে বলা হয়, রাজধানীকে পরিচ্ছন্ন ও যানজটমুক্ত করতে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে যেখানে-সেখানে লাগানো ব্যানার, তোরণ, ফেস্টুন, ফুটপাতে স্থাপিত আমের দোকানসহ অবৈধ দোকান উচ্ছেদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে রাজনৈতিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের অবৈধ কার্যালয় নিজ নিজ সংগঠনকে নিজ উদ্যোগে উচ্ছেদের নির্দেশ দেওয়া হয়। অন্যথায় সিটি করপোরেশন ও ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) যৌথভাবে এসব কার্যালয় অপসারণ করবে বলে তথ্য বিবরণীতে বলা হয়।
সরকারি জায়গা দখল করে আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী বিভিন্ন সংগঠন ঢাকা মহানগরের বিভিন্ন এলাকায় অবৈধ কার্যালয় স্থাপন করে। শ্যামলীতে পঙ্গু হাসপাতালের পাশে বিএনপিরও এ রকম একটি কার্যালয় রয়েছে। ডিসিসি উত্তর ও দক্ষিণের অন্তত ২৫টি জায়গায় অবৈধ কার্যালয় স্থাপনের বিবরণ ৩ জুলাই প্রথম আলোয় ছাপা হয়। সর্বশেষ গতকাল ওই সব জায়গায় গিয়ে ও খবর নিয়ে জানা গেছে, এসব অবৈধ কার্যালয় উচ্ছেদ করা হয়নি।
জানতে চাইলে স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব আবু আলম মো. শহিদ খান বলেন, ‘আমরা নিজ নিজ সংগঠনকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অবৈধ কার্যালয় সরিয়ে ফেলতে বলেছিলাম। না সরালে আমরা নিজেরাই সরিয়ে ফেলব। এই অভিযান ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে।’
ডিসিসি উত্তর মঙ্গলবার বিকেলে ফার্মগেট ফুট ওভারব্রিজ থেকে মানিক মিয়া এভিনিউমুখী মূল সড়ক ধরে পশ্চিমে টিঅ্যান্ডটি অফিস পর্যন্ত এলাকায় অভিযান চালায়। এ সময় ফুটাপাতে বসা কিছু দোকান উচ্ছেদ করা হয়। কিন্তু মূল সড়কের দক্ষিণ পাশে অভিযান চালানো হলেও ইন্দিরা রোডে অভিযান চালানো হয়নি। এটি তেজগাঁও কলেজে যাতায়াতের মূল পথ। এই সড়কের দুই পাশের ফুটপাতে অবৈধ দোকানপাট এমনভাবে গড়ে উঠেছে যে পায়ে হেঁটে চলাও কষ্টকর।
ডিসিসি উত্তরের আঞ্চলিক (অঞ্চল-৫) নির্বাহী কর্মকর্তা প্রণব কুমার ঘোষের নেতৃত্বে মঙ্গলবারের ওই অভিযানে ২২ জন পুলিশ সদস্য ও ডিসিসির ৪৮ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী অংশ নেন। ইন্দিরা রোডে উচ্ছেদ অভিযান না চালানোর বিষয়ে জানতে চাইলে প্রণব কুমার ঘোষ এই প্রতিবেদককে বলেন, ‘অভিযান চলাকালে প্রায় দেড় শ দোকানদার বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় সেনাবাহিনীর দেওয়া কার্ড দেখান। এ জন্য উচ্ছেদ করা হয়নি।’ ওই সব কার্ডে কী লেখা আছে, এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ভিড়ের মধ্যে আমি ভালো করে দেখতে পারিনি।’
গতকাল দেখা যায় ফার্মগেট ফুট ওভারব্রিজ থেকে মানিক মিয়া এভিনিউমুখী সড়কে আগের দিন উচ্ছেদ হওয়া দোকানপাট আবার বসেছে।
সিটি করপোরেশনের উভয় এলাকায় বিভিন্ন সড়কে ও অলিগলিতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের অসংখ্য ব্যানার, ফেস্টুন ঝুলছে। এর বেশির ভাগই ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতাদের নামে। বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের সম্মেলন উপলক্ষে গুলিস্তানে বঙ্গবন্ধু এভিনিউ, বিজয়সরণি, শেরেবাংলানগর, পুরানা পল্টন, মতিঝিল, কাকরাইল, মৎস্য ভবনের আশপাশসহ বিভিন্ন এলাকায় বহু তোরণ দেখা যায়। বিএনপির নেতা-কর্মীদের নামেও বেশ কিছু ব্যানার ও ফ্যাস্টুন দেখা যায় নয়াপল্টনসহ বিভিন্ন এলাকায়।
ডিসিসি দক্ষিণের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সুলতান উল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ‘দিনে-রাতে ২৪ ঘণ্টা অভিযান চালানো আমাদের পক্ষে কষ্টকর। এখন আমরা দিনে অভিযান চালাচ্ছি। রাতের অভিযানের সময় তোরণ, রাজনৈতিক সংগঠনের কার্যালয় ভাঙব। দিনে এগুলো ভাঙতে গেলে রাস্তা বন্ধ হয়ে যাবে।’
ডিসিসির কর্মকর্তাদের দাবি, এই সময়ে উচ্ছেদ অভিযানে তাঁদের সফলতাও রয়েছে। উদাহরণ হিসেবে পুরান ঢাকার চানখাঁরপুল এলাকায় ডিসিসির ৩০ শতাংশ জায়গা অবৈধ দখলমুক্ত, কাপ্তানবাজারে পাঁচটি অবৈধ দোকান ও বনানী কাঁচাবাজারের পাশে একটি সংগঠনের অবৈধ কার্যালয় ভেঙে দেওয়ার কথা বলেন।
গত রোববার ঢাকার নিউমার্কেট থেকে সায়েন্স ল্যাবরেটরি মোড় পর্যন্ত রাস্তার পশ্চিম ধারে অভিযান চালিয়ে ফুটপাতের অবৈধ দোকানপাট উচ্ছেদ করে ঢাকা সিটি করপোরেশন (ডিসিসি) দক্ষিণ। গতকাল বুধবার বিকেলে ওই এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, ওই ফুটপাতে আবার নতুন করে সব দোকান বসেছে। নিউমার্কেটের কোনায় সড়কদ্বীপে বসানো আমের দোকানটিও আছে আগের মতোই।
নিউমার্কেট এলাকায় গতকাল আবারও অভিযান চালানোর সিদ্ধান্ত ছিল। ডিসিসির কর্মকর্তারা জানান, চাহিদা মোতাবেক পুলিশ না পাওয়াতে গতকাল অভিযান চালানো যায়নি।
এর আগে গুলিস্তান, জিপিও, দিলকুশা, মতিঝিল এলাকায় ফুটপাতে উচ্ছেদ অভিযান চালায় ডিসিসি দক্ষিণ। গতকাল বিকেলে এসব এলাকায় গিয়েও আগের অবস্থা দেখা যায়। উচ্ছেদের পরপর আবার ফুটপাত দখল হওয়ার কথা স্বীকার করেছেন ডিসিসি দক্ষিণের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সুলতান উল ইসলাম চৌধুরীও।
২ জুলাই রাজধানীর যানজট নিরসন-সংক্রান্ত এক বৈঠকে নগরে রাজনৈতিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের অবৈধ সব কার্যালয় পরদিন দুপুর ১২টার মধ্যে উচ্ছেদের নির্দেশ দেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক। অবশ্য ওই দিন রাতে পাঠানো সরকারি তথ্য বিবরণীতে বলা হয়, রাজধানীকে পরিচ্ছন্ন ও যানজটমুক্ত করতে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে যেখানে-সেখানে লাগানো ব্যানার, তোরণ, ফেস্টুন, ফুটপাতে স্থাপিত আমের দোকানসহ অবৈধ দোকান উচ্ছেদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে রাজনৈতিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের অবৈধ কার্যালয় নিজ নিজ সংগঠনকে নিজ উদ্যোগে উচ্ছেদের নির্দেশ দেওয়া হয়। অন্যথায় সিটি করপোরেশন ও ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) যৌথভাবে এসব কার্যালয় অপসারণ করবে বলে তথ্য বিবরণীতে বলা হয়।
সরকারি জায়গা দখল করে আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী বিভিন্ন সংগঠন ঢাকা মহানগরের বিভিন্ন এলাকায় অবৈধ কার্যালয় স্থাপন করে। শ্যামলীতে পঙ্গু হাসপাতালের পাশে বিএনপিরও এ রকম একটি কার্যালয় রয়েছে। ডিসিসি উত্তর ও দক্ষিণের অন্তত ২৫টি জায়গায় অবৈধ কার্যালয় স্থাপনের বিবরণ ৩ জুলাই প্রথম আলোয় ছাপা হয়। সর্বশেষ গতকাল ওই সব জায়গায় গিয়ে ও খবর নিয়ে জানা গেছে, এসব অবৈধ কার্যালয় উচ্ছেদ করা হয়নি।
জানতে চাইলে স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব আবু আলম মো. শহিদ খান বলেন, ‘আমরা নিজ নিজ সংগঠনকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অবৈধ কার্যালয় সরিয়ে ফেলতে বলেছিলাম। না সরালে আমরা নিজেরাই সরিয়ে ফেলব। এই অভিযান ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে।’
ডিসিসি উত্তর মঙ্গলবার বিকেলে ফার্মগেট ফুট ওভারব্রিজ থেকে মানিক মিয়া এভিনিউমুখী মূল সড়ক ধরে পশ্চিমে টিঅ্যান্ডটি অফিস পর্যন্ত এলাকায় অভিযান চালায়। এ সময় ফুটাপাতে বসা কিছু দোকান উচ্ছেদ করা হয়। কিন্তু মূল সড়কের দক্ষিণ পাশে অভিযান চালানো হলেও ইন্দিরা রোডে অভিযান চালানো হয়নি। এটি তেজগাঁও কলেজে যাতায়াতের মূল পথ। এই সড়কের দুই পাশের ফুটপাতে অবৈধ দোকানপাট এমনভাবে গড়ে উঠেছে যে পায়ে হেঁটে চলাও কষ্টকর।
ডিসিসি উত্তরের আঞ্চলিক (অঞ্চল-৫) নির্বাহী কর্মকর্তা প্রণব কুমার ঘোষের নেতৃত্বে মঙ্গলবারের ওই অভিযানে ২২ জন পুলিশ সদস্য ও ডিসিসির ৪৮ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী অংশ নেন। ইন্দিরা রোডে উচ্ছেদ অভিযান না চালানোর বিষয়ে জানতে চাইলে প্রণব কুমার ঘোষ এই প্রতিবেদককে বলেন, ‘অভিযান চলাকালে প্রায় দেড় শ দোকানদার বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় সেনাবাহিনীর দেওয়া কার্ড দেখান। এ জন্য উচ্ছেদ করা হয়নি।’ ওই সব কার্ডে কী লেখা আছে, এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ভিড়ের মধ্যে আমি ভালো করে দেখতে পারিনি।’
গতকাল দেখা যায় ফার্মগেট ফুট ওভারব্রিজ থেকে মানিক মিয়া এভিনিউমুখী সড়কে আগের দিন উচ্ছেদ হওয়া দোকানপাট আবার বসেছে।
সিটি করপোরেশনের উভয় এলাকায় বিভিন্ন সড়কে ও অলিগলিতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের অসংখ্য ব্যানার, ফেস্টুন ঝুলছে। এর বেশির ভাগই ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতাদের নামে। বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের সম্মেলন উপলক্ষে গুলিস্তানে বঙ্গবন্ধু এভিনিউ, বিজয়সরণি, শেরেবাংলানগর, পুরানা পল্টন, মতিঝিল, কাকরাইল, মৎস্য ভবনের আশপাশসহ বিভিন্ন এলাকায় বহু তোরণ দেখা যায়। বিএনপির নেতা-কর্মীদের নামেও বেশ কিছু ব্যানার ও ফ্যাস্টুন দেখা যায় নয়াপল্টনসহ বিভিন্ন এলাকায়।
ডিসিসি দক্ষিণের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সুলতান উল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ‘দিনে-রাতে ২৪ ঘণ্টা অভিযান চালানো আমাদের পক্ষে কষ্টকর। এখন আমরা দিনে অভিযান চালাচ্ছি। রাতের অভিযানের সময় তোরণ, রাজনৈতিক সংগঠনের কার্যালয় ভাঙব। দিনে এগুলো ভাঙতে গেলে রাস্তা বন্ধ হয়ে যাবে।’
ডিসিসির কর্মকর্তাদের দাবি, এই সময়ে উচ্ছেদ অভিযানে তাঁদের সফলতাও রয়েছে। উদাহরণ হিসেবে পুরান ঢাকার চানখাঁরপুল এলাকায় ডিসিসির ৩০ শতাংশ জায়গা অবৈধ দখলমুক্ত, কাপ্তানবাজারে পাঁচটি অবৈধ দোকান ও বনানী কাঁচাবাজারের পাশে একটি সংগঠনের অবৈধ কার্যালয় ভেঙে দেওয়ার কথা বলেন।
No comments