ঐতিহাসিক সফরে লাওসে হিলারি

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন গতকাল বুধবার ঐতিহাসিক সফরে লাওস গেছেন। তিনি সেখানে ছিলেন চার ঘণ্টা। ৫৭ বছর পর যুক্তরাষ্ট্রর কোনো পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এটাই প্রথম লাওস সফর। ১৯৫৫ সালে তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন ফস্টার ডালাস সর্বশেষ লাওস সফর করেন।


ভিয়েতনাম যুদ্ধের কারণে দুই দেশের ভঙ্গুর সম্পর্ক মেরামত এবং মেকং নদীর ওপর বিতর্কিত বাঁধ নির্মাণ প্রকল্প নিয়ে আলোচনাই হিলারির এ 'ঝড়ো' সফর বেশি গুরুত্ব পেয়েছে। এ ছাড়া দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরো জোরদার নিয়েও উভয় পক্ষে আলোচনা হয়েছে। লাওস থেকে হিলারির কম্বোডিয়ায় অনুষ্ঠেয় আসিয়ান সম্মেলনে যোগ দেওয়ার কথা।
গতকাল লাওসের রাজধানী ভিয়েনতিয়েনের ওয়াটারি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পেঁৗছার পর হিলারিকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জনানো হয়। সেখানে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের অর্থায়নে নির্মিত অর্থোটিক ও প্রোসথেটিক সেন্টার (পুনর্বাসন কেন্দ্র) পরিদর্শন করেন। এরপর তিনি বলেন, দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক মজবুত ও বিস্তৃত করতে চায় যুক্তরাষ্ট্র। এ সময় তিনি ১৯৫৫ থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত চলা ভিয়েতনাম যুদ্ধকে 'বেদনাবিধুর' ঘটনা বলে উল্লেখ করেন। এ যুদ্ধে লাওস ও কম্বোডিয়াও যোগ দিয়েছিল। যুক্তরাষ্ট্র এ যুদ্ধ চলাকালীন ১৯৬৪ সালে থেকে ১৯৭৩ সাল পর্যন্ত লাওসে ২০ লাখ টন গোলা ফেলে। যার ৩০ শতাংশ অবিস্ফোরিত রয়ে যায়।
স্বল্প সময়ের সফরে হিলারি লাওসের প্রধানমন্ত্রী থংসিং থামাভংয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। বৈঠকের পর এক যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, ওয়াশিংটন-ভিয়েনতিয়েনের মধ্যকার দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতার সম্পর্ক আরো জোরদার করা নিয়ে দুই নেতা আলোচনা করেছেন। এ ছাড়া ইন্দোচীন (১৯৪৬-৭৯) যুদ্ধের সময় নিখোঁজ আমেরিকান সেনাদের উদ্ধারে এবং ভিয়েতনাম যুদ্ধের সময় ফেলা অবিস্ফোরিত গোলা উদ্ধারে দুই দেশ একযোগে কাজ করার ব্যাপারেও সম্মত হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী থামাভং ছাড়াও হিলারি লাওসের পররাষ্ট্রমন্ত্রী থংলুয়ান সিসিউলিথের সঙ্গে বৈঠক করেন।
সূত্র : বিবিসি, এএফপি।

No comments

Powered by Blogger.