জেরায় সাক্ষী শহীদুল হক-পরিচিতরা বলেছেন হত্যাকাণ্ডের নেতৃত্বে ছিলেন কাদের মোল্লা
জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আবদুল কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ শহীদুল হক গতকাল বুধবার জেরায় বলেছেন, একাত্তরে মা-ভাইসহ কবি মেহেরুননিসা ও বাঙলা কলেজের ছাত্র পল্লব হত্যাকাণ্ডের নেতৃত্বে কাদের মোল্লার থাকার কথা তিনি পরিচিত ও সাধারণ মানুষের কাছে শুনেছেন।
শহীদুল হক ওরফে মামা এই মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের দ্বিতীয় সাক্ষী। তিনি গত মঙ্গলবার জবানবন্দি দেন। বিচারপতি এ টি এম ফজলে কবীরের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২-এ গতকাল সাক্ষীকে দ্বিতীয় দিনের মতো জেরা করেন আসামিপক্ষের আইনজীবী একরামুল হক।
শারীরিক কারণে গতকালও কাদের মোল্লাকে কারাগার থেকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়নি। একাত্তরের ২৬ মার্চ মিরপুরে গিয়ে তিনি কী দেখলেন—একরামুল হকের এই প্রশ্নের জবাবে সাক্ষী বলেন, মিরপুরে গিয়ে দেখেন, বাঙালিদের ঘরে ঘরে আগুন জ্বলছে। মানুষের কাছে শোনেন, পাকিস্তানি সেনা, বিহারি ও জামায়াতের লোকজন এ ঘটনা ঘটিয়েছে। সে সময় কাদের মোল্লা সেখানে উপস্থিত ছিলেন। সাক্ষী ভারতে কত দিন প্রশিক্ষণ নেন এবং এরপর কোথায় যান—এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এক মাসের প্রশিক্ষণ শেষে তিনি ১২, ১৩ ও ১৪ নম্বর প্লাটুনের কমান্ডার হন। পরে অক্টোবরের শেষ দিকে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ৩৯-৪০ জন যোদ্ধা নিয়ে বাংলাদেশে ফেরেন। তাঁর নাম মামা হলো কীভাবে—এই প্রশ্নের জবাবে সাক্ষী বলেন, প্রশিক্ষণ ক্যাম্পে এক ভাগনে তাঁকে মামা ডাকত। সেই সূত্রে ক্যাম্পের সবাই তাঁকে মামা ডাকা শুরু করেন। তখন থেকে তাঁর নেতৃত্বাধীন বাহিনীকে ‘মামা বাহিনী’ ডাকা হতো।
একাত্তরের ১৬ ডিসেম্বর মোহাম্মদপুরের গ্রাফিক্স আর্ট ইনস্টিটিউটে কখন অভিযান চালান, সেখানে কতক্ষণ যুদ্ধ হয়েছিল এবং কী ঘটেছিল—এসব প্রশ্নের জবাবে শহীদুল হক বলেন, আনুমানিক বিকেল পাঁচটায় তাঁরা পাকিস্তানি সেনাদের দুর্গ গ্রাফিক্স আর্ট ইনস্টিটিউটে আক্রমণ করেন। প্রায় এক ঘণ্টা যুদ্ধ হয়। যুদ্ধে পাকিস্তানি সেনারা পেরে না ওঠায় তাদের একটি অংশ মোহাম্মদপুরের বিহারিদের সঙ্গে মিশে যায়, অপর অংশ যায় মিরপুরে। যুদ্ধ শেষে তাঁরা ইনস্টিটিউটে ঢুকে বিভিন্ন কক্ষে জমাটবাঁধা রক্ত দেখেন।
একাত্তরের ২৭ মার্চ কবি মেহেরুননিসা, তাঁর ভাই ও মাকে টুকরো টুকরো করে হত্যা এবং মিরপুর বাঙলা কলেজের ছাত্র পল্লবকে হত্যার ঘটনায় কাদের মোল্লার জড়িত থাকার ঘটনা কার কাছে শুনেছেন—এই প্রশ্নের জবাবে সাক্ষী বলেন, এগুলো তিনি পরিচিতজন ও মিরপুরের মানুষের কাছে শুনেছেন। তিনি বলেন, ‘সে সময় তো আমার কাছে কোনো নোটবুক ছিল না যে আমি যার কাছে শুনেছি, তার নাম লিখে রাখব।’
আইনজীবী জানতে চান, যুদ্ধের সময় তিনি অভিযান চালাতে মিরপুরে কতবার যান? সাক্ষী বলেন, ‘অসংখ্যবার গেছি। যখন আমার মনে হতো যে তারা এই দেশকে পাকিস্তান বানানোর চেষ্টা করছে, তখন কি আমি ঘরের মধ্যে মোমবাতি জ্বালিয়ে বসে থাকব? তারা স্লোগান দিত, নও মাহিনা মে তুমলোক বাংলাদেশ বানায়া, ইসকো হামলোক দোবারা পাকিস্তান বানায়েগা—এ কথা আমার যখনই মনে হতো, তখনই আমি অস্ত্র ঝালাই করতাম, কখন কাদের মোল্লা গংদের পাব। মনে হতো, আমি তাদের গলা টিপে হত্যা করি।’
বিকেলে জেরা অসমাপ্ত অবস্থায় এই মামলার কার্যক্রম আজ বৃহস্পতিবার পর্যন্ত মুলতবি করা হয়। আজ সাক্ষীকে আবারও জেরা করবেন আসামিপক্ষের আইনজীবী।
শারীরিক কারণে গতকালও কাদের মোল্লাকে কারাগার থেকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়নি। একাত্তরের ২৬ মার্চ মিরপুরে গিয়ে তিনি কী দেখলেন—একরামুল হকের এই প্রশ্নের জবাবে সাক্ষী বলেন, মিরপুরে গিয়ে দেখেন, বাঙালিদের ঘরে ঘরে আগুন জ্বলছে। মানুষের কাছে শোনেন, পাকিস্তানি সেনা, বিহারি ও জামায়াতের লোকজন এ ঘটনা ঘটিয়েছে। সে সময় কাদের মোল্লা সেখানে উপস্থিত ছিলেন। সাক্ষী ভারতে কত দিন প্রশিক্ষণ নেন এবং এরপর কোথায় যান—এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এক মাসের প্রশিক্ষণ শেষে তিনি ১২, ১৩ ও ১৪ নম্বর প্লাটুনের কমান্ডার হন। পরে অক্টোবরের শেষ দিকে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ৩৯-৪০ জন যোদ্ধা নিয়ে বাংলাদেশে ফেরেন। তাঁর নাম মামা হলো কীভাবে—এই প্রশ্নের জবাবে সাক্ষী বলেন, প্রশিক্ষণ ক্যাম্পে এক ভাগনে তাঁকে মামা ডাকত। সেই সূত্রে ক্যাম্পের সবাই তাঁকে মামা ডাকা শুরু করেন। তখন থেকে তাঁর নেতৃত্বাধীন বাহিনীকে ‘মামা বাহিনী’ ডাকা হতো।
একাত্তরের ১৬ ডিসেম্বর মোহাম্মদপুরের গ্রাফিক্স আর্ট ইনস্টিটিউটে কখন অভিযান চালান, সেখানে কতক্ষণ যুদ্ধ হয়েছিল এবং কী ঘটেছিল—এসব প্রশ্নের জবাবে শহীদুল হক বলেন, আনুমানিক বিকেল পাঁচটায় তাঁরা পাকিস্তানি সেনাদের দুর্গ গ্রাফিক্স আর্ট ইনস্টিটিউটে আক্রমণ করেন। প্রায় এক ঘণ্টা যুদ্ধ হয়। যুদ্ধে পাকিস্তানি সেনারা পেরে না ওঠায় তাদের একটি অংশ মোহাম্মদপুরের বিহারিদের সঙ্গে মিশে যায়, অপর অংশ যায় মিরপুরে। যুদ্ধ শেষে তাঁরা ইনস্টিটিউটে ঢুকে বিভিন্ন কক্ষে জমাটবাঁধা রক্ত দেখেন।
একাত্তরের ২৭ মার্চ কবি মেহেরুননিসা, তাঁর ভাই ও মাকে টুকরো টুকরো করে হত্যা এবং মিরপুর বাঙলা কলেজের ছাত্র পল্লবকে হত্যার ঘটনায় কাদের মোল্লার জড়িত থাকার ঘটনা কার কাছে শুনেছেন—এই প্রশ্নের জবাবে সাক্ষী বলেন, এগুলো তিনি পরিচিতজন ও মিরপুরের মানুষের কাছে শুনেছেন। তিনি বলেন, ‘সে সময় তো আমার কাছে কোনো নোটবুক ছিল না যে আমি যার কাছে শুনেছি, তার নাম লিখে রাখব।’
আইনজীবী জানতে চান, যুদ্ধের সময় তিনি অভিযান চালাতে মিরপুরে কতবার যান? সাক্ষী বলেন, ‘অসংখ্যবার গেছি। যখন আমার মনে হতো যে তারা এই দেশকে পাকিস্তান বানানোর চেষ্টা করছে, তখন কি আমি ঘরের মধ্যে মোমবাতি জ্বালিয়ে বসে থাকব? তারা স্লোগান দিত, নও মাহিনা মে তুমলোক বাংলাদেশ বানায়া, ইসকো হামলোক দোবারা পাকিস্তান বানায়েগা—এ কথা আমার যখনই মনে হতো, তখনই আমি অস্ত্র ঝালাই করতাম, কখন কাদের মোল্লা গংদের পাব। মনে হতো, আমি তাদের গলা টিপে হত্যা করি।’
বিকেলে জেরা অসমাপ্ত অবস্থায় এই মামলার কার্যক্রম আজ বৃহস্পতিবার পর্যন্ত মুলতবি করা হয়। আজ সাক্ষীকে আবারও জেরা করবেন আসামিপক্ষের আইনজীবী।
No comments