'সেনকাকু' নিয়ে নতুন বিবাদে চীন-জাপান

পূর্ব চীন সাগরে অবস্থিত বিরোধপূর্ণ সেনকাকু দ্বীপপুঞ্জ নিয়ে চীন ও জাপানের মধ্যে নতুন উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। গতকাল বুধবার সকালে জাপানের নিয়ন্ত্রণে থাকা দ্বীপপুঞ্জের জলসীমায় চীনা টহল নৌকা প্রবেশ করে। এ ঘটনার নিন্দা জানাতে টোকিওতে নিয়োজিত চীনা রাষ্ট্রদূতকে ডেকে পাঠায় জাপান।


তবে চীন তাদের সার্বভৌমত্বের প্রতি জাপানকে সম্মান দেখাতে বলেছে।
প্রাকৃতিক সম্পদে সমৃদ্ধ দ্বীপপুঞ্জটি ১৮৯৫ সালে জাপান দখল করে নেয়। তবে, চীন ও তাইওয়ান উভয়ই দ্বীপটির মালিকানা দাবি করে। বিরোধপূর্ণ এ দ্বীপপুঞ্জটি জাপানে সেনকাকু নামে পরিচিত থাকলেও চীনে এটি দিয়াওইউ নামে পরিচিত। তাইওয়ানের উত্তর-পূর্বে এবং চীনের মূল ভূ-খণ্ড থেকে পূর্বে এ দ্বীপপুঞ্জের অবস্থান।
জাপানের উপকূলরক্ষীরা জানান, গতকাল সকালে দ্বীপপুঞ্জের কাছে চীনের তিনটি টহল নৌকা প্রবেশ করে। তাদের ফিরে যেতে বললে প্রথমে তারা অস্বীকৃতি জানায়। পরে চলে যায়। এ প্রসঙ্গে চীনা কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে চীনা বার্তা সংস্থা সিনহুয়া জানায়, ওই নৌকাগুলো মাছ শিকারের এলাকা রক্ষার মিশনে নিয়োজিত ছিল।
জাপানের মন্ত্রিসভার প্রধান সচিব ওসামু ফুজিমুরা সাংবাদিকদের বলেন, 'ঐতিহাসিক দিক থেকে এবং আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী সেনকাকু দ্বীপপুঞ্জ জাপানের অন্তুর্ভুক্ত_এ বিষয়টি স্পষ্ট।'
চীন পাল্টা বিবৃতিতে বলেছে, 'প্রাচীনকাল থেকেই দিয়াওইউ দ্বীপপুঞ্জের এবং এর আশপাশের দ্বীপ চীনা ভূ-খণ্ডের মধ্যে পড়েছে এ বিষয়ের ওপরই জোর দেবেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এসব এলাকা চীনের অখণ্ড সার্বভৌমত্বের অংশ।'
বিবিসি জানিয়েছে, জাপান দ্বীপপুঞ্জটি জাতীয়করণের চেষ্টা করেছিল। গত শনিবার জাপানের প্রধানমন্ত্রী ইয়োশিহিকো নোদা বলেন, তাঁর সরকার দ্বীপপুঞ্জটি কিনে নেওয়ার বিষয়ে আলাপ-আলোচনা করছে। এ থেকেই দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা তৈরি হয়। এ প্রসঙ্গে চীন ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেছে, 'চীনের পবিত্র ভূমি কখনই বিক্রির জন্য নয়।'
আজ বৃহস্পতিবার কম্বোডিয়ায় আসিয়ান সম্মেলন শুরু হওয়ার কথা। ওই সম্মেলনে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়ান জেইচি এবং জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী কইচিরো গেমবা যোগ দেবেন। সম্মেলনের ফাঁকে দুই নেতার বৈঠক করার কথা। তবে সাম্প্রতিক ঘটনাপ্রবাহে আসিয়ান সম্মেলনে প্রভাব পড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সূত্র : বিবিসি, এএফপি।

No comments

Powered by Blogger.