লালমনিরহাট-বুড়িমারী রুট-মহাসড়কটির গুরুত্ব বোঝেনি সওজ ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান by হায়দার আলী বাবু
তিন সপ্তাহ ধরে সরাসরি যান চলাচল বন্ধ রয়েছে লালমনিরহাট-বুড়িমারী আঞ্চলিক মহাসড়কে। ফলে বুড়িমারী স্থলবন্দর দিয়ে ভারত, নেপাল ও ভুটানের সঙ্গে পণ্য আমদানি-রপ্তানি মারাত্মকভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে। চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে বন্দর ব্যবহারকারী পাসপোর্টধারী যাত্রীসহ তিনটি উপজেলার সাধারণ মানুষ।
মহাসড়কে একটি ব্রিজ নির্মাণের কাজ বর্ষাকালে শুরু করায় এবং যেনতেনভাবে তৈরি করা ডাইভারশনটি (বিকল্প সড়ক) পানির তোড়ে ভেসে যাওয়ায় এই অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। আর বিকল্প হিসেবে কিছু যানবাহন ১০ কিলোমিটার ঘুরে গ্রামীণ সড়ক দিয়ে চলাচল করায় প্রতিনিয়তই ঘটছে দুর্ঘটনা।
অভিযোগ উঠেছে, মহাসড়কটির ভাকারী খালের ওপর নতুন করে নির্মাণাধীন ব্রিজটি তৈরির জন্য শুকনো মৌসুমে কার্যাদেশ দেওয়া হলেও তিন ঠিকাদার কাজ শুরু করেছেন চলতি বর্ষা মৌসুমে এসে। সড়কটির গুরুত্ব আমলে না নিয়েই ঠিকাদাররা শুধু মাটি দিয়ে ব্রিজের পাশে ডাইভারশন তৈরি করেন। ফলে বর্ষার প্রথম ধাক্কায়ই ভেসে যায় ডাইভারশনটি। আবার এ রকম ডাইভারশন নির্মাণ মেনে নেওয়ায় সড়ক ও জনপথ বিভাগের (সওজ) সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।
জানা গেছে, আঞ্চলিক মহাসড়কটির কালীগঞ্জ উপজেলার ভোটমারী এলাকার ভাকারী ব্রিজ নতুন করে তৈরির জন্য দরপত্রের মাধ্যমে কাজটি পায় রংপুরের মিঠু, রাজু ও দুলু নামের তিন ব্যক্তির ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এমআরডি। পরে গত ফেব্রুয়ারিতে এর কার্যাদেশ দেয় সওজ। কিন্তু ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি কাজ শুরু করে মে মাসের মাঝামাঝি সময়ে। কাজ শুরুর আগে তারা ব্রিজের পাশে শুধু মাটি দিয়ে একটি দায়সারা গোছের ডাইভারশন সড়ক তৈরি করে। ফলে এটি দিয়ে যাতায়াত করতে গিয়ে যাত্রীবাহী বাসসহ একাধিক যানবাহন দুর্ঘটনায় পড়ে। গত ১৬ জুন ডাইভারশন দিয়ে যাওয়ার সময় এর নরম মাটিতে চাকা আটকে একটি যাত্রীবাহী বাস উল্টে পানিতে পড়ে গেলে বাসযাত্রী দুই শিশু মারা যায়। এ ছাড়া ট্রাকসহ একাধিক যানবাহন সেখানে দুর্ঘটনায় পড়েছে গত কয়েক মাসে। সর্বশেষ বর্ষা নামার পর সপ্তাহ তিনেক আগে পানির তোড়ে ডাইভারশনটি পুরোপুরি ভেঙে যায়। এতে এই সড়ক দিয়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে। কিছু যানবাহন প্রায় ১০ কিলোমিটার পথ ঘুরে গ্রামের রাস্তা দিয়ে চলাচল করলেও মাঝেমধ্যেই দুর্ঘটনায় পড়ছে। এই অবস্থায় অনেক পরিবহন মালিক এ সড়কে নিজেদের যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেন।
সরেজমিনে ভাকারীর ব্রিজ এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, ট্রাক, মাইক্রো বাসসহ বিভিন্ন যানবাহন না জেনে ব্রিজের কাছে এসে আবার ঘুরে যাচ্ছে। এ সময় নামকরা শিল্পপ্রতিষ্ঠানের কাভার্ড ভ্যানের চালক দেলওয়ার হোসেন বলেন, 'অনিবার্য কারণে রাস্তা বন্ধ থাকতেই পারে। কিন্তু এ জন্য এই সড়কের কোথাও কোনো নোটিশ দেয়নি কর্তৃপক্ষ। ফলে আমরা না জেনে এখানে এসে আবার ঘুরে যেতে বাধ্য হচ্ছি।' নিয়মিত যাতায়াতকারী ব্যাংক কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম বলেন, '১০ মিটার জায়গার জন্য আমাদের প্রায় ১০ কিলোমিটার পথ ঘুরে যেতে হচ্ছে। তিন সপ্তাহ ধরে এই অবস্থা চললেও ঠিকাদার বা সওজ কর্তৃপক্ষ সমস্যা সমাধানে কোনো উদ্যোগ নিচ্ছে না।'
বর্তমান পরিস্থিতিতে লালমনিরহাট মোটর মালিক সমিতির কোষাধ্যক্ষ অনুপ কুমার বাপ্পী জানান, দুই-এক দিনের মধ্যে ডাইভারশন সড়কটি মেরামত করা না হলে তাঁরা অনির্দিষ্টকালের জন্য এ সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেবেন।
ব্রিজ নির্মাণ তদারকির দায়িত্বে থাকা লালমনিরহাট সড়ক ও জনপথ বিভাগের (সওজের) উপসহকারী প্রকৌশলী আনোয়ার হোসেন দাবি করেন, কার্যাদেশ দেওয়ার পর থেকেই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটিকে কাজ শুরুর জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছিল। কিন্তু তারা খামখেয়ালি করে অনেক দেরিতে কাজ শুরু করায় বর্ষা চলে আসে।
এদিকে কথা বলতে ওই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মালিকদের পাওয়া যায়নি। প্রতিষ্ঠানটির ম্যানেজার মকবুল খান বলেন, তিনি এখানে নতুন এসেছেন। তাই এ বিষয়ে কিছু জানেন না।
অভিযোগ উঠেছে, মহাসড়কটির ভাকারী খালের ওপর নতুন করে নির্মাণাধীন ব্রিজটি তৈরির জন্য শুকনো মৌসুমে কার্যাদেশ দেওয়া হলেও তিন ঠিকাদার কাজ শুরু করেছেন চলতি বর্ষা মৌসুমে এসে। সড়কটির গুরুত্ব আমলে না নিয়েই ঠিকাদাররা শুধু মাটি দিয়ে ব্রিজের পাশে ডাইভারশন তৈরি করেন। ফলে বর্ষার প্রথম ধাক্কায়ই ভেসে যায় ডাইভারশনটি। আবার এ রকম ডাইভারশন নির্মাণ মেনে নেওয়ায় সড়ক ও জনপথ বিভাগের (সওজ) সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।
জানা গেছে, আঞ্চলিক মহাসড়কটির কালীগঞ্জ উপজেলার ভোটমারী এলাকার ভাকারী ব্রিজ নতুন করে তৈরির জন্য দরপত্রের মাধ্যমে কাজটি পায় রংপুরের মিঠু, রাজু ও দুলু নামের তিন ব্যক্তির ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এমআরডি। পরে গত ফেব্রুয়ারিতে এর কার্যাদেশ দেয় সওজ। কিন্তু ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি কাজ শুরু করে মে মাসের মাঝামাঝি সময়ে। কাজ শুরুর আগে তারা ব্রিজের পাশে শুধু মাটি দিয়ে একটি দায়সারা গোছের ডাইভারশন সড়ক তৈরি করে। ফলে এটি দিয়ে যাতায়াত করতে গিয়ে যাত্রীবাহী বাসসহ একাধিক যানবাহন দুর্ঘটনায় পড়ে। গত ১৬ জুন ডাইভারশন দিয়ে যাওয়ার সময় এর নরম মাটিতে চাকা আটকে একটি যাত্রীবাহী বাস উল্টে পানিতে পড়ে গেলে বাসযাত্রী দুই শিশু মারা যায়। এ ছাড়া ট্রাকসহ একাধিক যানবাহন সেখানে দুর্ঘটনায় পড়েছে গত কয়েক মাসে। সর্বশেষ বর্ষা নামার পর সপ্তাহ তিনেক আগে পানির তোড়ে ডাইভারশনটি পুরোপুরি ভেঙে যায়। এতে এই সড়ক দিয়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে। কিছু যানবাহন প্রায় ১০ কিলোমিটার পথ ঘুরে গ্রামের রাস্তা দিয়ে চলাচল করলেও মাঝেমধ্যেই দুর্ঘটনায় পড়ছে। এই অবস্থায় অনেক পরিবহন মালিক এ সড়কে নিজেদের যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেন।
সরেজমিনে ভাকারীর ব্রিজ এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, ট্রাক, মাইক্রো বাসসহ বিভিন্ন যানবাহন না জেনে ব্রিজের কাছে এসে আবার ঘুরে যাচ্ছে। এ সময় নামকরা শিল্পপ্রতিষ্ঠানের কাভার্ড ভ্যানের চালক দেলওয়ার হোসেন বলেন, 'অনিবার্য কারণে রাস্তা বন্ধ থাকতেই পারে। কিন্তু এ জন্য এই সড়কের কোথাও কোনো নোটিশ দেয়নি কর্তৃপক্ষ। ফলে আমরা না জেনে এখানে এসে আবার ঘুরে যেতে বাধ্য হচ্ছি।' নিয়মিত যাতায়াতকারী ব্যাংক কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম বলেন, '১০ মিটার জায়গার জন্য আমাদের প্রায় ১০ কিলোমিটার পথ ঘুরে যেতে হচ্ছে। তিন সপ্তাহ ধরে এই অবস্থা চললেও ঠিকাদার বা সওজ কর্তৃপক্ষ সমস্যা সমাধানে কোনো উদ্যোগ নিচ্ছে না।'
বর্তমান পরিস্থিতিতে লালমনিরহাট মোটর মালিক সমিতির কোষাধ্যক্ষ অনুপ কুমার বাপ্পী জানান, দুই-এক দিনের মধ্যে ডাইভারশন সড়কটি মেরামত করা না হলে তাঁরা অনির্দিষ্টকালের জন্য এ সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেবেন।
ব্রিজ নির্মাণ তদারকির দায়িত্বে থাকা লালমনিরহাট সড়ক ও জনপথ বিভাগের (সওজের) উপসহকারী প্রকৌশলী আনোয়ার হোসেন দাবি করেন, কার্যাদেশ দেওয়ার পর থেকেই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটিকে কাজ শুরুর জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছিল। কিন্তু তারা খামখেয়ালি করে অনেক দেরিতে কাজ শুরু করায় বর্ষা চলে আসে।
এদিকে কথা বলতে ওই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মালিকদের পাওয়া যায়নি। প্রতিষ্ঠানটির ম্যানেজার মকবুল খান বলেন, তিনি এখানে নতুন এসেছেন। তাই এ বিষয়ে কিছু জানেন না।
No comments