আগুনে পুড়ল কেবল ছাত্রাবাস নয়, রবীন্দ্রস্মৃতিও-সিলেটে এমসি কলেজ বন্ধের দায় কার?
খেলার মাঠের তুচ্ছ বিষয় নিয়ে সিলেটের এমসি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ ছাত্রাবাস পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনা কেবল দুঃখজনক নয়, দেশেরও অপূরণীয় ক্ষতি। এ ঘটনা যারা ঘটিয়েছে, তারা সরকার-সমর্থক ছাত্রসংগঠন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মী বলে অভিযোগ রয়েছে।
১৯২১ সালে প্রতিষ্ঠিত এমসি কলেজের এ ছাত্রাবাসটি তৈরি করা হয়েছিল ভূমিকম্পের ঝুঁকিমুক্ত সেমিপাকা ‘আসাম টাইপ’ কাঠামোয়। ১৯২৬ সালে এই ছাত্রাবাসে এসেছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। তাঁর স্মৃতিবিজড়িত ছাত্রাবাসটি পুড়িয়ে দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বিশ্বকবির স্মৃতিও পুড়ে গেল।
ঘটনার সূত্রপাত ফুটবল খেলার মাঠে ছাত্রলীগ ও ছাত্রশিবিরের হাতাহাতিকে কেন্দ্র করে। ঘটনার জের ধরে ছাত্রলীগের কর্মী ও অর্থনীতি বিভাগের স্নাতক (সম্মান) দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র মোহাম্মদ উজ্জ্বলকে মারধর করেন শিবিরের কর্মীরা। কাজটি ঘৃণ্য নিঃসন্দেহে। এর প্রতিকারে ছাত্রলীগের কর্মীরা শিবিরের কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা করতে পারতেন, চূড়ান্ত সময়সীমা বেঁধে দিয়ে তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানাতে পারতেন। কিন্তু সেসব আইনি পথে না গিয়ে ছাত্রাবাসের ৪২টি কক্ষ পুড়িয়ে দেওয়া হলো! কারা এই জঘন্য অপরাধ করল? তারা যে সংগঠনেরই হোক না কেন, তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।
এ ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ভূমিকাও রহস্যজনক। কলেজ কর্তৃপক্ষ সঙ্গে সঙ্গে বিষয়টি তাদের জানালেও ত্বরিত ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। ঘটনার তদন্তে ইতিমধ্যে দুটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। মামলাও হয়েছে। প্রশ্ন হলো, সেই কমিটি প্রকৃত অপরাধীদের চিহ্নিত করতে পারবে কি না? ছাত্রাবাস পুড়িয়ে যে ক্ষতি করা হয়েছে, তা পূরণ হওয়ার নয়। কিন্তু অপরাধীরা ধরা পড়লে ও শাস্তি পেলে ভবিষ্যতে এই ধরনের কাজ করতে কেউ সাহস পাবে না। আর তদন্তের নামে কারও অপরাধ আড়াল করলে এর পুনরাবৃত্তি ঘটতে থাকবে।
ছাত্রাবাস ও শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা দিতে না পেরে কর্তৃপক্ষ কলেজটি অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে। এটি সমাধান নয়। কোনো অজুহাতেই ঐতিহ্যবাহী এই কলেজের হাজার হাজার শিক্ষার্থীর শিক্ষাজীবন নষ্ট হতে দেওয়া যায় না। যত দ্রুত সম্ভব কলেজটি খুলে দেওয়ার ব্যবস্থা নিতে হবে।
ঘটনার সূত্রপাত ফুটবল খেলার মাঠে ছাত্রলীগ ও ছাত্রশিবিরের হাতাহাতিকে কেন্দ্র করে। ঘটনার জের ধরে ছাত্রলীগের কর্মী ও অর্থনীতি বিভাগের স্নাতক (সম্মান) দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র মোহাম্মদ উজ্জ্বলকে মারধর করেন শিবিরের কর্মীরা। কাজটি ঘৃণ্য নিঃসন্দেহে। এর প্রতিকারে ছাত্রলীগের কর্মীরা শিবিরের কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা করতে পারতেন, চূড়ান্ত সময়সীমা বেঁধে দিয়ে তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানাতে পারতেন। কিন্তু সেসব আইনি পথে না গিয়ে ছাত্রাবাসের ৪২টি কক্ষ পুড়িয়ে দেওয়া হলো! কারা এই জঘন্য অপরাধ করল? তারা যে সংগঠনেরই হোক না কেন, তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।
এ ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ভূমিকাও রহস্যজনক। কলেজ কর্তৃপক্ষ সঙ্গে সঙ্গে বিষয়টি তাদের জানালেও ত্বরিত ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। ঘটনার তদন্তে ইতিমধ্যে দুটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। মামলাও হয়েছে। প্রশ্ন হলো, সেই কমিটি প্রকৃত অপরাধীদের চিহ্নিত করতে পারবে কি না? ছাত্রাবাস পুড়িয়ে যে ক্ষতি করা হয়েছে, তা পূরণ হওয়ার নয়। কিন্তু অপরাধীরা ধরা পড়লে ও শাস্তি পেলে ভবিষ্যতে এই ধরনের কাজ করতে কেউ সাহস পাবে না। আর তদন্তের নামে কারও অপরাধ আড়াল করলে এর পুনরাবৃত্তি ঘটতে থাকবে।
ছাত্রাবাস ও শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা দিতে না পেরে কর্তৃপক্ষ কলেজটি অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে। এটি সমাধান নয়। কোনো অজুহাতেই ঐতিহ্যবাহী এই কলেজের হাজার হাজার শিক্ষার্থীর শিক্ষাজীবন নষ্ট হতে দেওয়া যায় না। যত দ্রুত সম্ভব কলেজটি খুলে দেওয়ার ব্যবস্থা নিতে হবে।
No comments