সাহারা গ্রুপের বিনিয়োগ প্রস্তাব-দেশীয় স্বার্থ যেন প্রাধান্য পায়
ভারতের বৃহৎ ব্যবসায়ী গোষ্ঠী 'সাহারা গ্রুপ' বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী এবং সে লক্ষ্যে তারা এগিয়ে যাচ্ছে। ইতিমধ্যে এ-সম্পর্কিত দুটি প্রস্তাব বাংলাদেশ বিনিয়োগ বোর্ডের চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের কাছে জমা দেওয়া হয়েছে।
প্রাথমিকভাবে এ গ্রুপ ১২ কোটি ডলার বিনিয়োগের প্রস্তাব দিলেও পর্যায়ক্রমে তা বাড়বে বলে সাহারা পরিবারের চেয়ারম্যান এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন। তবে তারা বাংলাদেশে 'সাহারা মাতৃভূমি উন্নয়ন করপোরেশন লি.' নামে পৃথক কম্পানির মাধ্যমে কাজ করবে এবং এরই মধ্যে নতুন কম্পানিটির নিবন্ধনপ্রক্রিয়া চলছে। সাহারা গ্রুপের চেয়ারম্যান সুব্রত রায় সাহারার সঙ্গে বাংলাদেশের বৃহৎ ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান 'বসুন্ধরা গ্রুপ'-এর চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহানের একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় ২৫ মে, ২০১২ তারিখে ঢাকার রূপসী বাংলা হোটেলে। বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান এ দেশে সাহারা গ্রুপের বিনিয়োগকে অত্যন্ত ইতিবাচক দৃষ্টিতে মূল্যায়ন করেন এবং পারস্পরিক সহযোগিতার বিভিন্ন ক্ষেত্র নিয়েও তাঁরা আলোচনা করেন।
বাংলাদেশের আর্থসামাজিক প্রেক্ষাপটে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ নিঃসন্দেহে অত্যধিক গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু অপ্রিয় হলেও সত্য, এ দেশে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে এখনো নানা প্রতিকূলতা বিদ্যমান। তবে আশার কথা হলো, বিদ্যমান প্রতিবন্ধকতাগুলো দূরীকরণে সরকারের প্রয়াস অব্যাহত আছে। আবাসন খাতে সাহারা গ্রুপের বিনিয়োগ ভবিষ্যতের জন্য অনেক সুফল বয়ে আনবে বলে এ দেশের শীর্ষ ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন। তিনি এও বলেন, সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোক্তারা সহায়তা করলে সাহারা গ্রুপের মাধ্যমে এখানে বড় বিনিয়োগ সম্ভব। বসুন্ধরার সঙ্গে সাহারার কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ অত্যন্ত ইতিবাচক বলে আমরা মনে করি। কারণ দুই দেশের দুটি বৃহৎ ব্যবসায়ী গ্রুপ সম্মিলিতভাবে কাজ করলে দেশ ও জাতির নানা কল্যাণ সাধন যেমন সম্ভব, পাশাপাশি উন্নয়ন-অগ্রগতির পথও প্রশস্ত হওয়ার সম্ভাবনা অত্যন্ত উজ্জ্বল। আমরা এও মনে করি, সাহারা গ্রুপের চেয়ারম্যান সুব্রত রায় সাহারার সফরের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ এবং এ গ্রুপটির মধ্যে নতুন সেতুবন্ধ প্রতিষ্ঠিত হলো। আমাদের প্রত্যাশা, ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে সব রকম প্রতিবন্ধকতা দূর করে সার্বিক পরিবেশ নিশ্চিত করতে সরকার যথাযথ কার্যকর পদক্ষেপ নেবে। বলে রাখা ভালো, বিদেশি বিনিয়োগ-সংক্রান্ত আমাদের অতীত অভিজ্ঞতা সুখকর নয়। এ ক্ষেত্রে বিনিয়োগ চুক্তি করেও তা প্রত্যাহার, কারখানা স্থাপনের সূচনা করেও চলে যাওয়ার মতো নেতিবাচক দৃষ্টান্ত রয়েছে আমাদের সামনে। এও বলে রাখা দরকার, বিদেশি বিনিয়োগ আসাটা দেশের জন্য ভালো। তবে সর্বাগ্রে বিবেচনায় রাখতে হবে, আমরা কোন কোন খাতে বিদেশি বিনিয়োগকে স্বাগত জানাব। দেশীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায় এমন প্রসঙ্গ অবশ্যই পরিত্যাজ্য হওয়া উচিত। বাংলাদেশের আবাসিক শিল্প খাতে বিপুল অঙ্কের বিনিয়োগ রয়েছে এবং এই খাত কঠিন সময় পার করছে। বিদ্যুৎ, গ্যাস সংযোগ দেওয়া যাচ্ছে না বিধায় এর বিরূপ প্রভাব পড়েছে এ খাতে। কাজেই দেশীয় স্বার্থ যাতে প্রাধান্য পায় সে বিবেচনা করতে হবে গুরুত্ব সহকারে।
বিদেশি বিনিয়োগের ব্যাপারে সরকারের নীতি হতে হবে অবশ্যই দেশের স্বার্থকে অগ্রাধিকার দিয়ে। দেশের স্বার্থ রক্ষা করে বিদেশি বিনিয়োগ চুক্তিতে উপনীত হওয়া উচিত। সাহারা গ্রুপ প্রতিযোগিতা নয়, বাংলাদেশের বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে মর্যাদাপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রেখে মিলেমিশে কাজ করবে_এটাই আমাদের প্রত্যাশা। যেকোনো দেশের ব্যবসায়ী কিংবা শিল্প-উদ্যোক্তারাই একটি দেশের জাতীয় অর্থনীতিতে ব্যাপক প্রাণসঞ্চার করতে পারেন। সরকার ব্যবসায়ীদের দিকে ইতিবাচক দৃষ্টি রাখলে এর সুফল অবশ্যই সর্বব্যাপী পরিলক্ষিত হবে।
বাংলাদেশের আর্থসামাজিক প্রেক্ষাপটে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ নিঃসন্দেহে অত্যধিক গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু অপ্রিয় হলেও সত্য, এ দেশে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে এখনো নানা প্রতিকূলতা বিদ্যমান। তবে আশার কথা হলো, বিদ্যমান প্রতিবন্ধকতাগুলো দূরীকরণে সরকারের প্রয়াস অব্যাহত আছে। আবাসন খাতে সাহারা গ্রুপের বিনিয়োগ ভবিষ্যতের জন্য অনেক সুফল বয়ে আনবে বলে এ দেশের শীর্ষ ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন। তিনি এও বলেন, সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোক্তারা সহায়তা করলে সাহারা গ্রুপের মাধ্যমে এখানে বড় বিনিয়োগ সম্ভব। বসুন্ধরার সঙ্গে সাহারার কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ অত্যন্ত ইতিবাচক বলে আমরা মনে করি। কারণ দুই দেশের দুটি বৃহৎ ব্যবসায়ী গ্রুপ সম্মিলিতভাবে কাজ করলে দেশ ও জাতির নানা কল্যাণ সাধন যেমন সম্ভব, পাশাপাশি উন্নয়ন-অগ্রগতির পথও প্রশস্ত হওয়ার সম্ভাবনা অত্যন্ত উজ্জ্বল। আমরা এও মনে করি, সাহারা গ্রুপের চেয়ারম্যান সুব্রত রায় সাহারার সফরের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ এবং এ গ্রুপটির মধ্যে নতুন সেতুবন্ধ প্রতিষ্ঠিত হলো। আমাদের প্রত্যাশা, ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে সব রকম প্রতিবন্ধকতা দূর করে সার্বিক পরিবেশ নিশ্চিত করতে সরকার যথাযথ কার্যকর পদক্ষেপ নেবে। বলে রাখা ভালো, বিদেশি বিনিয়োগ-সংক্রান্ত আমাদের অতীত অভিজ্ঞতা সুখকর নয়। এ ক্ষেত্রে বিনিয়োগ চুক্তি করেও তা প্রত্যাহার, কারখানা স্থাপনের সূচনা করেও চলে যাওয়ার মতো নেতিবাচক দৃষ্টান্ত রয়েছে আমাদের সামনে। এও বলে রাখা দরকার, বিদেশি বিনিয়োগ আসাটা দেশের জন্য ভালো। তবে সর্বাগ্রে বিবেচনায় রাখতে হবে, আমরা কোন কোন খাতে বিদেশি বিনিয়োগকে স্বাগত জানাব। দেশীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায় এমন প্রসঙ্গ অবশ্যই পরিত্যাজ্য হওয়া উচিত। বাংলাদেশের আবাসিক শিল্প খাতে বিপুল অঙ্কের বিনিয়োগ রয়েছে এবং এই খাত কঠিন সময় পার করছে। বিদ্যুৎ, গ্যাস সংযোগ দেওয়া যাচ্ছে না বিধায় এর বিরূপ প্রভাব পড়েছে এ খাতে। কাজেই দেশীয় স্বার্থ যাতে প্রাধান্য পায় সে বিবেচনা করতে হবে গুরুত্ব সহকারে।
বিদেশি বিনিয়োগের ব্যাপারে সরকারের নীতি হতে হবে অবশ্যই দেশের স্বার্থকে অগ্রাধিকার দিয়ে। দেশের স্বার্থ রক্ষা করে বিদেশি বিনিয়োগ চুক্তিতে উপনীত হওয়া উচিত। সাহারা গ্রুপ প্রতিযোগিতা নয়, বাংলাদেশের বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে মর্যাদাপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রেখে মিলেমিশে কাজ করবে_এটাই আমাদের প্রত্যাশা। যেকোনো দেশের ব্যবসায়ী কিংবা শিল্প-উদ্যোক্তারাই একটি দেশের জাতীয় অর্থনীতিতে ব্যাপক প্রাণসঞ্চার করতে পারেন। সরকার ব্যবসায়ীদের দিকে ইতিবাচক দৃষ্টি রাখলে এর সুফল অবশ্যই সর্বব্যাপী পরিলক্ষিত হবে।
No comments