নির্বাচন আ. লীগ সরকারের অধীনেই : শেখ হাসিনা
বিএনপির তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহালের দাবিকে পুনরায় উড়িয়ে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আগামী সাধারণ নির্বাচন আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনেই হবে। তাঁর সরকারের অধীনে এই নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে। নির্বাচন কমিশন সম্পূর্ণ স্বাধীন ও নিরপেক্ষভাবে নির্বাচন পরিচালনা করবে। এ লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশনকে আরো শক্তিশালী করা হবে।
আওয়ামী লীগের প্রধান বলেন, 'কিভাবে উনি (খালেদা জিয়া) ওয়ান-ইলেভেনের তত্ত্বাবধায়ক সরকার চান? কী করে ভুলে গেলেন ওই সরকারের সীমাহীন অত্যাচার-নির্যাতনের কথা? তত্ত্বাবধায়ক সরকার ওনার দুই ছেলেকে পিটিয়ে দেশের বাইরে বের করে দিয়েছে। কিভাবে তিনি ভুলে যান?' ওয়ান-ইলেভেন সৃষ্টির জন্য বিরোধী দলকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপির ভোট কারসাজির জন্য তত্ত্ববাধায়ক সরকার এসেছিল।
গতকাল শনিবার দুপুরে গণভবনে মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনগুলোর সঙ্গে মতবিনিময় সভার শুরুতে শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন। সভায় উপস্থিত নেতারা জানান, আওয়ামী লীগের প্রধান তাঁর ভাষণে বলেছেন, বর্তমান সরকার পাঁচ হাজার ১৭৫টি নির্বাচন যখন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে পেরেছে, তাহলে জাতীয় নির্বাচনও অবশ্যই করতে পারবে। সংবিধান সংশোধনের ফলে তত্ত্বাবধায়ক পদ্ধতি বিলোপ হওয়ায় আগামী জাতীয় নির্বাচন নির্বাচিত অর্থাৎ বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনেই হবে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, 'নির্বাচন কমিশন স্বাধীন ও সম্পূর্ণ নিরপেক্ষভাবে কাজ করবে। নির্বাচনের সময় প্রশাসনসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নির্বাচন কমিশনের অধীনে থাকবে। সরকারের কোনো হস্তক্ষেপ থাকবে না। আমরা জনগণের ক্ষমতায়নে বিশ্বাস করি, জনগণ যাকে ভোট দেবে, তারাই ক্ষমতায় আসবে।'
বিরোধী দলের নেতাদের কারাগারে পাঠানোর প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, 'সুনির্দিষ্ট তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতেই বিরোধী দলের নেতাদের বিরুদ্ধে মামলা ও কারাগারে পাঠানো হয়েছে। কারা হুকুম দিয়েছে, কাদের নির্দেশে মানুষ পুড়িয়ে মারা হয়েছে, গুম-খুন হয়েছে, টেলিফোনে কে কাকে কী বলেছে, সব রেকর্ডই সরকারের কাছে আছে। যারা আন্দোলনের নামে অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চাচ্ছে, তাদের আইনের আওতায় আনা হচ্ছে।'
সরকার সংবিধান সংশোধন করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা পুনঃপ্রতিষ্ঠাসহ অসাংবিধানিক পথে ক্ষমতা দখলের পথ বন্ধ করেছে দাবি করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'সংবিধান লঙ্ঘন করে এখন কেউ অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করলে জনগণই বিচার করবে। এ দেশের জনগণের ভাগ্য নিয়ে অনেক খেলা হয়েছে। আর কোনো খেলা আমরা চাই না।'
বিরোধী দলের নেতাদের কারাবন্দি করার ঘটনায় মানবাধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে বলে যে সমালোচনা চলছে, এর জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, 'যারা বাসে আগুন দিচ্ছে, তাদের বিচার করতে গেলে বলা হচ্ছে, মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে। পুড়িয়ে মানুষ হত্যা বা গাড়ি ভাঙচুর কি মানবাধিকার লঙ্ঘন নয়? আন্দোলনের নামে বাসে আগুন ও রিকশা ভাঙচুর করা হলে ওই সব বাস ও রিকশাচালকের মানবাধিকার কি লঙ্ঘন হয় না?'
গত নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিশাল বিজয়ের জন্য তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে দলটির সভাপতি বলেন, 'আমাদের দলের তৃণমূল নেতা-কর্মীরা সব সময় ঠিক সিদ্ধান্ত নেয়। নেতৃত্বে যারা আছে, তাদের মাথাই বারবার গুলিয়ে যায়। বেতালা হয়ে যায়। এটা অতীতেও অনেকবার দেখা গেছে। কিন্তু তৃণমূল নেতা-কর্মীরা কখনো ভুল সিদ্ধান্ত নেয় না। তাদের কেউ বিভ্রান্ত করতে পারে না।'
২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত, আধুনিক ও মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করে শেখ হাসিনা বলেন, 'আমরা দেশকে উন্নত ও সমৃদ্ধ করতে চাই। বাংলাদেশ যে অসাধ্য সাধন করতে পারে, সেটি অতীতেও অনেকবার প্রমাণিত হয়েছে।' তিনি এভারেস্ট জয়ের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে বলেন, 'এ দেশের মেয়ে নিশাতের পর এবার আসফিয়াও এভারেস্ট জয় করেছে। দেশের সব ছেলেমেয়েই এভারেস্টের চূড়ায় উঠতে পারে। আমরা মিয়ানমারের সঙ্গে সমুদ্র জয় করেছি। আমরা কেন পারব না জনগণের অর্থনৈতিক মুক্তি আনতে?'
শেখ হাসিনার বক্তব্যের পর দলের মেহেরপুর জেলা, উপজেলা, থানা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড নেতারা, দল সমর্থিত সংসদ সদস্য ও জনপ্রতিনিধি, জেলা পরিষদ প্রশাসক এবং সহযোগী সংগঠনের নেতারা আলোচনায় অংশ নেন। বৈঠকে জেলার সাংগঠনিক প্রতিবেদন তুলে ধরেন জেলা সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মিয়া জান আলী। এ সময় জেলা সভাপতি জয়নাল আবেদীন এমপিসহ উপজেলা-থানার সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক ও মহিলা আওয়ামী লীগ নেতারা বক্তব্য দেন। মতবিনিময় সভা পরিচালনা করেন দলের খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক।
শেখ হাসিনা সরকারের তিন বছরের সাফল্য জনগণের মধ্যে প্রচার করতে তৃণমূল নেতা-কর্মীদের নির্দেশ দেন। সভায় আওয়ামী লীগ নেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী, কাজী জাফরউল্যাহ, আখতারুজ্জামান বাবু, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, ইয়াফেস ওসমান, ফজিলাতুন্নেছা ইন্দিরা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন নয় : তরিকুল
গতকাল শনিবার দুপুরে গণভবনে মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনগুলোর সঙ্গে মতবিনিময় সভার শুরুতে শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন। সভায় উপস্থিত নেতারা জানান, আওয়ামী লীগের প্রধান তাঁর ভাষণে বলেছেন, বর্তমান সরকার পাঁচ হাজার ১৭৫টি নির্বাচন যখন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে পেরেছে, তাহলে জাতীয় নির্বাচনও অবশ্যই করতে পারবে। সংবিধান সংশোধনের ফলে তত্ত্বাবধায়ক পদ্ধতি বিলোপ হওয়ায় আগামী জাতীয় নির্বাচন নির্বাচিত অর্থাৎ বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনেই হবে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, 'নির্বাচন কমিশন স্বাধীন ও সম্পূর্ণ নিরপেক্ষভাবে কাজ করবে। নির্বাচনের সময় প্রশাসনসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নির্বাচন কমিশনের অধীনে থাকবে। সরকারের কোনো হস্তক্ষেপ থাকবে না। আমরা জনগণের ক্ষমতায়নে বিশ্বাস করি, জনগণ যাকে ভোট দেবে, তারাই ক্ষমতায় আসবে।'
বিরোধী দলের নেতাদের কারাগারে পাঠানোর প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, 'সুনির্দিষ্ট তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতেই বিরোধী দলের নেতাদের বিরুদ্ধে মামলা ও কারাগারে পাঠানো হয়েছে। কারা হুকুম দিয়েছে, কাদের নির্দেশে মানুষ পুড়িয়ে মারা হয়েছে, গুম-খুন হয়েছে, টেলিফোনে কে কাকে কী বলেছে, সব রেকর্ডই সরকারের কাছে আছে। যারা আন্দোলনের নামে অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চাচ্ছে, তাদের আইনের আওতায় আনা হচ্ছে।'
সরকার সংবিধান সংশোধন করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা পুনঃপ্রতিষ্ঠাসহ অসাংবিধানিক পথে ক্ষমতা দখলের পথ বন্ধ করেছে দাবি করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'সংবিধান লঙ্ঘন করে এখন কেউ অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করলে জনগণই বিচার করবে। এ দেশের জনগণের ভাগ্য নিয়ে অনেক খেলা হয়েছে। আর কোনো খেলা আমরা চাই না।'
বিরোধী দলের নেতাদের কারাবন্দি করার ঘটনায় মানবাধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে বলে যে সমালোচনা চলছে, এর জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, 'যারা বাসে আগুন দিচ্ছে, তাদের বিচার করতে গেলে বলা হচ্ছে, মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে। পুড়িয়ে মানুষ হত্যা বা গাড়ি ভাঙচুর কি মানবাধিকার লঙ্ঘন নয়? আন্দোলনের নামে বাসে আগুন ও রিকশা ভাঙচুর করা হলে ওই সব বাস ও রিকশাচালকের মানবাধিকার কি লঙ্ঘন হয় না?'
গত নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিশাল বিজয়ের জন্য তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে দলটির সভাপতি বলেন, 'আমাদের দলের তৃণমূল নেতা-কর্মীরা সব সময় ঠিক সিদ্ধান্ত নেয়। নেতৃত্বে যারা আছে, তাদের মাথাই বারবার গুলিয়ে যায়। বেতালা হয়ে যায়। এটা অতীতেও অনেকবার দেখা গেছে। কিন্তু তৃণমূল নেতা-কর্মীরা কখনো ভুল সিদ্ধান্ত নেয় না। তাদের কেউ বিভ্রান্ত করতে পারে না।'
২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত, আধুনিক ও মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করে শেখ হাসিনা বলেন, 'আমরা দেশকে উন্নত ও সমৃদ্ধ করতে চাই। বাংলাদেশ যে অসাধ্য সাধন করতে পারে, সেটি অতীতেও অনেকবার প্রমাণিত হয়েছে।' তিনি এভারেস্ট জয়ের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে বলেন, 'এ দেশের মেয়ে নিশাতের পর এবার আসফিয়াও এভারেস্ট জয় করেছে। দেশের সব ছেলেমেয়েই এভারেস্টের চূড়ায় উঠতে পারে। আমরা মিয়ানমারের সঙ্গে সমুদ্র জয় করেছি। আমরা কেন পারব না জনগণের অর্থনৈতিক মুক্তি আনতে?'
শেখ হাসিনার বক্তব্যের পর দলের মেহেরপুর জেলা, উপজেলা, থানা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড নেতারা, দল সমর্থিত সংসদ সদস্য ও জনপ্রতিনিধি, জেলা পরিষদ প্রশাসক এবং সহযোগী সংগঠনের নেতারা আলোচনায় অংশ নেন। বৈঠকে জেলার সাংগঠনিক প্রতিবেদন তুলে ধরেন জেলা সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মিয়া জান আলী। এ সময় জেলা সভাপতি জয়নাল আবেদীন এমপিসহ উপজেলা-থানার সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক ও মহিলা আওয়ামী লীগ নেতারা বক্তব্য দেন। মতবিনিময় সভা পরিচালনা করেন দলের খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক।
শেখ হাসিনা সরকারের তিন বছরের সাফল্য জনগণের মধ্যে প্রচার করতে তৃণমূল নেতা-কর্মীদের নির্দেশ দেন। সভায় আওয়ামী লীগ নেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী, কাজী জাফরউল্যাহ, আখতারুজ্জামান বাবু, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, ইয়াফেস ওসমান, ফজিলাতুন্নেছা ইন্দিরা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন নয় : তরিকুল
No comments