অদম্য মেধাবী রুবেল ডাক্তার হতে চায় by রূপক আইচ
রুবেলের জন্মের আগে থেকেই মা বুলবুলি খাতুন মানসিক ভারসাম্যহীন। বাবা আবু তালেব দীর্ঘদিন ধরে পক্ষাঘাতগ্রস্ত অবস্থায় বেকার জীবন যাপন করছেন। এ কারণে দারিদ্র্যপীড়িত সংসারে কখনো কখনো অনাহারেই স্কুলে যেতে হয়েছে রুবেলকে।
শুধু তাই নয়, বিদ্যুৎবিহীন বাড়িতে রাতের বেলা আলোর জন্য রয়েছে একটিমাত্র হারিকেন। ভাগাভাগি করে সেই আলোতেই রাত জেগে লেখাপড়া করে ছোট্ট শিশু রুবেল। ইচ্ছে, বড় হয়ে চিকিৎসক হওয়ার। আর চিকিৎসায় ভালো করে তুলতে চায় মা ও বাবাকে।
সেই লক্ষ্য পূরণের প্রথম ধাপ সফলভাবেই পার করেছে রুবেল। এবারের প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষায় মাগুরা সদর উপজেলার শ্রীমন্তপুর হৃদয়পুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে বৃত্তি পেয়েছে সে।
শ্রীমন্তপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক বাসনা রায় বাংলানিউজকে জানান, ‘১০ ভাই-বোনের মধ্যে রুবেল সবার ছোট। অন্য ভাই-বোনেরা দারিদ্র্যের কারণে তেমন লেখাপড়া করতে পারেননি। ছোটখাট ব্যবসা বা চাকরি করেই অন্য ভাইদের কোনোমতে দিন চলে। রুবেল মাঝে মাঝেই না খেয়ে স্কুলে এসেছে। দারিদ্র্য ও পরিবারের নানা সমস্যা থাকা সত্ত্বেও রুবেল নিয়মিত স্কুলে আসতো।’
তার স্কুলের প্রধান শিক্ষক সুফিয়া খাতুন বাংলানিউজকে বলেন, ‘রুবেল খুবই মেধাবী। আত্মসম্মানবোধের জন্যে কারও কাছে সে হয়তো হাত পাতবে না। তবে ভবিষ্যতে তার লেখাপড়া চালানোর জন্যে যদি কোনো হৃদয়বান ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান এগিয়ে আসে, তাহলে হয়তো তার স্বপ্ন পূরণ সম্ভব হবে। তা না হলে সবার অলক্ষ্যে মাঝ পথেই তার লেখাপড়ার জীবন শেষ হয়ে যেতে পারে।’
জীবনের লক্ষ্য সম্পর্কে জানতে চাইলে রুবেল বাংলানিউজকে বলে, ‘বাড়িতে আমার মা অসুস্থ। বাবাও অসুস্থতার কারণে কাজ করতে পারেন না। আমরা গরিব, তাই ঠিকমতো চিকিৎসা করাতে পারি না। আমি বড় হয়ে আমার মাকে চিকিৎসা করে সুস্থ করে তুলতে চাই। আমার স্বপ্ন পূরণ করার জন্য আমি সবার কাছে দোয়া চাই, যেন আল্লাহ আমার মনে সাহস ও শক্তি দেন।’
রুবেলের বাবা মো. আবু তালেব মোল্যা বলেন, ‘একমাত্র আল্লাহর ইচ্ছা ও মানুষের দোয়ায়ই রুবেল এ ফলাফল করেছে। আমার দ্বারা তার জন্যে তেমন কিছুই করা সম্ভব হয়নি। আমি তার পড়ার জন্যে আলাদা একটা হারিকেনও কিনে দিতে পারিনি। রাতের বেলা সংসারের কাজ শেষ হলে সে পড়তে বসতো। হাই স্কুলে ভর্তি হয়েছে। তার সামনের দিনগুলো কিভাবে কাটবে তা নিয়েই চিন্তায় আছি। আমি অসুস্থ, যেকোনো সময় মারা যেতে পারি। তার মা মানসিক প্রতিবন্ধী। আমার অন্য ছেলেরাও তেমন কিছু করে না, যে ছোট ভাইকে সুন্দরভাবে মানুষ করতে পারে। আমি ওর জন্যে সবার কাছে দোয়া চাই।’
সেই লক্ষ্য পূরণের প্রথম ধাপ সফলভাবেই পার করেছে রুবেল। এবারের প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষায় মাগুরা সদর উপজেলার শ্রীমন্তপুর হৃদয়পুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে বৃত্তি পেয়েছে সে।
শ্রীমন্তপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক বাসনা রায় বাংলানিউজকে জানান, ‘১০ ভাই-বোনের মধ্যে রুবেল সবার ছোট। অন্য ভাই-বোনেরা দারিদ্র্যের কারণে তেমন লেখাপড়া করতে পারেননি। ছোটখাট ব্যবসা বা চাকরি করেই অন্য ভাইদের কোনোমতে দিন চলে। রুবেল মাঝে মাঝেই না খেয়ে স্কুলে এসেছে। দারিদ্র্য ও পরিবারের নানা সমস্যা থাকা সত্ত্বেও রুবেল নিয়মিত স্কুলে আসতো।’
তার স্কুলের প্রধান শিক্ষক সুফিয়া খাতুন বাংলানিউজকে বলেন, ‘রুবেল খুবই মেধাবী। আত্মসম্মানবোধের জন্যে কারও কাছে সে হয়তো হাত পাতবে না। তবে ভবিষ্যতে তার লেখাপড়া চালানোর জন্যে যদি কোনো হৃদয়বান ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান এগিয়ে আসে, তাহলে হয়তো তার স্বপ্ন পূরণ সম্ভব হবে। তা না হলে সবার অলক্ষ্যে মাঝ পথেই তার লেখাপড়ার জীবন শেষ হয়ে যেতে পারে।’
জীবনের লক্ষ্য সম্পর্কে জানতে চাইলে রুবেল বাংলানিউজকে বলে, ‘বাড়িতে আমার মা অসুস্থ। বাবাও অসুস্থতার কারণে কাজ করতে পারেন না। আমরা গরিব, তাই ঠিকমতো চিকিৎসা করাতে পারি না। আমি বড় হয়ে আমার মাকে চিকিৎসা করে সুস্থ করে তুলতে চাই। আমার স্বপ্ন পূরণ করার জন্য আমি সবার কাছে দোয়া চাই, যেন আল্লাহ আমার মনে সাহস ও শক্তি দেন।’
রুবেলের বাবা মো. আবু তালেব মোল্যা বলেন, ‘একমাত্র আল্লাহর ইচ্ছা ও মানুষের দোয়ায়ই রুবেল এ ফলাফল করেছে। আমার দ্বারা তার জন্যে তেমন কিছুই করা সম্ভব হয়নি। আমি তার পড়ার জন্যে আলাদা একটা হারিকেনও কিনে দিতে পারিনি। রাতের বেলা সংসারের কাজ শেষ হলে সে পড়তে বসতো। হাই স্কুলে ভর্তি হয়েছে। তার সামনের দিনগুলো কিভাবে কাটবে তা নিয়েই চিন্তায় আছি। আমি অসুস্থ, যেকোনো সময় মারা যেতে পারি। তার মা মানসিক প্রতিবন্ধী। আমার অন্য ছেলেরাও তেমন কিছু করে না, যে ছোট ভাইকে সুন্দরভাবে মানুষ করতে পারে। আমি ওর জন্যে সবার কাছে দোয়া চাই।’
No comments