স্মরণ-সাইদুরের জাদুঘর কি চালু হবে? by সাইফুল হক মোল্লা
৪ মার্চ ছিল নিভৃতচারী, আপন ঐতিহ্যের শিকড়সন্ধানী লোক-ঐতিহ্যের সংগ্রাহক মোহাম্মদ সাইদুরের পঞ্চম মৃত্যুবার্ষিকী। কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার বিন্নগাঁও গ্রামে ১৯৪০ সালের ২৮ জানুয়ারি তিনি জন্মগ্রহণ করেন। মোহাম্মদ সাইদুর ছিলেন বাংলাদেশের লোক-সংস্কৃতির প্রধানতম সংগ্রাহক ও বিশিষ্ট লোকতত্ত্ববিদ।
জীবদ্দশায় সাইদুরের একটাই ভাবনা ছিল, তাঁর সংগৃহীত বিভিন্ন লোক-ঐতিহ্য নিয়ে গ্রামের বাড়িতে একটি লোকজ জাদুঘর গড়ে তোলা। ২০০৭ সালের ৯ মার্চ মোহাম্মদ সাইদুরের মৃত্যুর পর প্রথম স্মরণসভায় জাতীয় জাদুঘরের সাবেক মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খান বলেছিলেন, ‘দেশের লোক-ঐতিহ্যের রূপানুসন্ধান, তথ্য সংগ্রহ, সংরক্ষণ ও প্রসারে নিবেদিতপ্রাণ সাধক মোহাম্মদ সাইদুরের স্বপ্ন ছিল গ্রামের বাড়ি কিশোরগঞ্জের বিন্নগাঁওয়ে (বগাদিয়া) একটি লোক-ঐতিহ্য জাদুঘর প্রতিষ্ঠার। সবাই মিলে এ কাজটি করা উচিত বলে মনে করি।’ সাইদুরের পঞ্চম মৃত্যুবার্ষিকীতেও জাদুঘরের নির্মাণকাজ শুরুই হয়নি।
বাবা মোহাম্মদ কুতুব উদ্দিন আহমেদ, মা আনোয়ারা খাতুন (ফুল বানু), পিতামহ আসমত আলী ব্যাপারী তাঁদের পরিবারে লোক-সংস্কৃতির একটি আবহ সৃষ্টি করেন। পিতামহ ছিলেন লোকগীতি গায়েন। বাবা কুতুব উদ্দিন ছিলেন গান বাঁধিয়ে। তাঁদের অনুসরণ করে মোহাম্মদ সাইদুরের এ অভ্যাসটা গড়ে উঠেছিল ছোটবেলা থেকেই।
সাইদুর কিশোর বয়সেই বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে গিয়েছেন। লালনের নাম তিনি জানতেন। তাঁর আখড়ায় যেতে মনস্থ করলেন। পকেটে কেবল কুষ্টিয়া যাওয়ার ভাড়া আছে। কী হবে না হবে, এসব চিন্তা না করেই পঞ্চাশের দশকের শেষের দিকে কুষ্টিয়ার ছেঁউড়িয়া থেকে বাউলসম্রাট লালনের সংগ্রহের মাধ্যমে শুরু হয় তাঁর পথচলা। এভাবেই শিকড়সন্ধানী সংগ্রাহক সাইদুর বড় হয়ে ওঠেন।
বাংলা একাডেমীতে ১৯৬২ সালের জুলাই মাসে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগপত্র নিয়ে লোকসাহিত্য সংগ্রাহক পদে যোগ দেন। আগস্ট মাসে তিনি প্রথম লোকসাহিত্য সংগ্রহ একাডেমিতে জমা দেন। সেই থেকে শুরু। বাংলা একাডেমীতে লোকসাহিত্য সংগ্রহগুলো বিন্যস্ত করা, বাঁধাই করে ইনডেক্স নম্বর দেওয়া, র্যাকে ক্রমানুসারে সাজিয়ে রাখা, লোকসাহিত্য সংগ্রহ থেকে বিষয় নির্বাচন করে পাণ্ডুলিপি তৈরি করাসহ যাবতীয় কাজ তাঁকে করতে হতো।
সাইদুর কেবল লোকসাহিত্য সংগ্রাহক ছিলেন না, বাংলা একাডেমীতে একটি সমৃদ্ধ লোকশিল্প জাদুঘর গড়ে তোলার মূলে তাঁর সংগ্রহগুলোর অবদান উল্লেখযোগ্য। এখানে বাংলা একাডেমীর ফোকলোর ডিপার্টমেন্টের আর্কাইভস ও লোকশিল্প জাদুঘরে তাঁর সংশ্লিষ্ট কর্মকাণ্ডের স্পর্শ পাওয়া যায়। তিনি কলাবাড়িয়ার ওপরে কাজ করেছেন। জামদানী গ্রন্থটি নিবিড় ফিল্ড ওয়ার্কভিত্তিক। এমন একটি তথ্যভিত্তিক গ্রন্থ ইংরেজিতেই অনূদিত হয়ে প্রকাশের অপেক্ষায় আছে। লোকসাহিত্য বা ফোকলোর সংকলন সিরিজে তাঁর কয়েকটি উল্লেখযোগ্য বিষয় (যেমন—বেড়াভাসান, মুহররম অনুষ্ঠান, লোকনাট্য, আনুষ্ঠানিক লোকগীতি, শিয়ালের কিস্সা প্রভৃতি) সংযোজিত হওয়ার ফলে আধুনিক ফোকলোর-চর্চায় সহায়ক ভূমিকা পালন করছে।
ইতিহাস-সচেতনতা তাঁকে কিশোরগঞ্জের ইতিহাস রচনা ও সম্পাদনায় উদ্যোগী করেছে। লোকসাহিত্য যেমন, তেমনি লোকশিল্প সংগ্রহেও তাঁর অবদান শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণযোগ্য হয়ে থাকবে। বাংলা একাডেমী ছাড়াও তিনি লোকশিল্প সংগ্রহে সোনারগাঁ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশন এবং বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরে একটি উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছেন। শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনের সাহচর্যে থেকে নকশি কাঁথার এক বিশাল ভান্ডার গড়ে তোলেন। পটুয়া শিল্পী কামরুল হাসানও ছিলেন তাঁর গুণগ্রাহী।
তিনি নিজস্ব একটি লোকশিল্প জাদুঘর গড়ে তুলেছেন তাঁর নিজ বাড়ি কিশোরগঞ্জের বিন্নগাঁওয়ে। ১৯৭৪ সালে বাংলা একাডেমীতে তাঁর একক লোকশিল্প সংগ্রহ প্রদর্শনী হয়। ১৯৮৮ সালে লন্ডনের হোয়াইট চ্যাপেল আর্ট গ্যালারিতে ওপেন এয়ার প্রদর্শনীতে তাঁর নিজস্ব লোকশিল্প প্রদর্শনী হয়েছে। ১৯৮৯ সালে শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনের সঙ্গে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমী আয়োজিত যৌথভাবে ‘নকশি কাঁথা প্রদর্শনী’ করেছেন। এ সময় তাঁর কয়েকটি লোকশিল্পের বিষয়ভিত্তিক ইংরেজি প্রবন্ধ সচিত্র প্রদর্শিত হয়েছে।
তাঁর সাধনার ফলস্বরূপ দেশ-বিদেশে সংবর্ধিত ও পুরস্কৃত হয়েছেন। তাঁর কর্মের স্বীকৃতি হিসেবে ২০০১ সালে বাংলা একাডেমী ফেলোশিপ এবং ২০০২ সালে কারুশিল্পী পরিষদের সম্মাননা লোক ও কারুশিল্পী, লোকসংগীতশিল্পীদের তথ্য প্রদানকারী উৎস হিসেবে তাঁর নামটি সর্বাগ্রে আসে।
মোমেনশাহী গীতিকার পালাগানগুলোর সংগ্রাহক ছিলেন মোহাম্মদ সাইদুর। সেখান থেকে মাধব মালঞ্চী কইন্যা শীর্ষক পালাগানটি নাট্যরূপ দিয়ে কলকাতার অন্য থিয়েটারের কর্ণধার বিভাস চক্রবর্তী শিশির মঞ্চ থেকে মঞ্চস্থ করান। এর শত রজনী মঞ্চ উপলক্ষে কলকাতায় মোহাম্মদ সাইদুরকে মাধব মালঞ্চী কইন্যার সংগ্রাহক হিসেবে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। জাপানের ফুকুওয়াকা এশিয়ান আর্ট গ্যালারি থেকে ২০০১ সালে তাঁকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। ১৯৮৮ সালে আরণ্যক নাট্যগোষ্ঠী লোক নাটক সংগ্রহের স্বীকৃতিস্বরূপ তাঁকে সম্মাননা দেয়।
বিদেশি যাঁরা লোকসাহিত্য এবং লোকশিল্প সম্পর্কে গবেষণা করতে আসেন, মোহাম্মদ সাইদুরই তাঁদের একমাত্র কান্ডারি ছিলেন। আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন লোকসাহিত্যবিদ ডক্টর হেনরি গ্লাসির মন্তব্য থেকেও মোহাম্মদ সাইদুরের স্থানটি নির্ণয় করা যায়। তিনি ট্র্যাডিশনাল আর্ট অব ঢাকা গ্রন্থে তাঁর সম্পর্কে লিখেছেন, ‘মোহাম্মদ সাইদুর রহমান ফ্রম কিশোরগঞ্জ, নর্থ অব ঢাকা, ইজ দ্য বাংলা একাডেমী’স ম্যান ইন দ্য ফিল্ড। ইটস ফকলোর কালেক্টর। হিজ ক্লোজ নলেজ অব দ্য ফকলোর ফো বাংলাদেশ ইজ আনরাইভলড।’
সাইদুরের আজীবনের স্বপ্ন তাঁর গ্রামের বাড়িতে প্রতিষ্ঠিত লোকশিল্প জাদুঘরটি উদ্বোধন করেছিলেন হেনরি গ্লাসি। কিন্তু এর সফল বাস্তবায়ন এখনো হয়নি।
কিশোরগঞ্জবাসীর দাবি, সরকারিভাবে যেন তাঁর সংগৃহীত দুর্লভ লোক-ঐতিহ্য ও নকশি কাঁথা নিয়ে জাদুঘরটি পুরোপুরিভাবে চালু করার ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
সাইফুল হক মোল্লা
বাবা মোহাম্মদ কুতুব উদ্দিন আহমেদ, মা আনোয়ারা খাতুন (ফুল বানু), পিতামহ আসমত আলী ব্যাপারী তাঁদের পরিবারে লোক-সংস্কৃতির একটি আবহ সৃষ্টি করেন। পিতামহ ছিলেন লোকগীতি গায়েন। বাবা কুতুব উদ্দিন ছিলেন গান বাঁধিয়ে। তাঁদের অনুসরণ করে মোহাম্মদ সাইদুরের এ অভ্যাসটা গড়ে উঠেছিল ছোটবেলা থেকেই।
সাইদুর কিশোর বয়সেই বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে গিয়েছেন। লালনের নাম তিনি জানতেন। তাঁর আখড়ায় যেতে মনস্থ করলেন। পকেটে কেবল কুষ্টিয়া যাওয়ার ভাড়া আছে। কী হবে না হবে, এসব চিন্তা না করেই পঞ্চাশের দশকের শেষের দিকে কুষ্টিয়ার ছেঁউড়িয়া থেকে বাউলসম্রাট লালনের সংগ্রহের মাধ্যমে শুরু হয় তাঁর পথচলা। এভাবেই শিকড়সন্ধানী সংগ্রাহক সাইদুর বড় হয়ে ওঠেন।
বাংলা একাডেমীতে ১৯৬২ সালের জুলাই মাসে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগপত্র নিয়ে লোকসাহিত্য সংগ্রাহক পদে যোগ দেন। আগস্ট মাসে তিনি প্রথম লোকসাহিত্য সংগ্রহ একাডেমিতে জমা দেন। সেই থেকে শুরু। বাংলা একাডেমীতে লোকসাহিত্য সংগ্রহগুলো বিন্যস্ত করা, বাঁধাই করে ইনডেক্স নম্বর দেওয়া, র্যাকে ক্রমানুসারে সাজিয়ে রাখা, লোকসাহিত্য সংগ্রহ থেকে বিষয় নির্বাচন করে পাণ্ডুলিপি তৈরি করাসহ যাবতীয় কাজ তাঁকে করতে হতো।
সাইদুর কেবল লোকসাহিত্য সংগ্রাহক ছিলেন না, বাংলা একাডেমীতে একটি সমৃদ্ধ লোকশিল্প জাদুঘর গড়ে তোলার মূলে তাঁর সংগ্রহগুলোর অবদান উল্লেখযোগ্য। এখানে বাংলা একাডেমীর ফোকলোর ডিপার্টমেন্টের আর্কাইভস ও লোকশিল্প জাদুঘরে তাঁর সংশ্লিষ্ট কর্মকাণ্ডের স্পর্শ পাওয়া যায়। তিনি কলাবাড়িয়ার ওপরে কাজ করেছেন। জামদানী গ্রন্থটি নিবিড় ফিল্ড ওয়ার্কভিত্তিক। এমন একটি তথ্যভিত্তিক গ্রন্থ ইংরেজিতেই অনূদিত হয়ে প্রকাশের অপেক্ষায় আছে। লোকসাহিত্য বা ফোকলোর সংকলন সিরিজে তাঁর কয়েকটি উল্লেখযোগ্য বিষয় (যেমন—বেড়াভাসান, মুহররম অনুষ্ঠান, লোকনাট্য, আনুষ্ঠানিক লোকগীতি, শিয়ালের কিস্সা প্রভৃতি) সংযোজিত হওয়ার ফলে আধুনিক ফোকলোর-চর্চায় সহায়ক ভূমিকা পালন করছে।
ইতিহাস-সচেতনতা তাঁকে কিশোরগঞ্জের ইতিহাস রচনা ও সম্পাদনায় উদ্যোগী করেছে। লোকসাহিত্য যেমন, তেমনি লোকশিল্প সংগ্রহেও তাঁর অবদান শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণযোগ্য হয়ে থাকবে। বাংলা একাডেমী ছাড়াও তিনি লোকশিল্প সংগ্রহে সোনারগাঁ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশন এবং বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরে একটি উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছেন। শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনের সাহচর্যে থেকে নকশি কাঁথার এক বিশাল ভান্ডার গড়ে তোলেন। পটুয়া শিল্পী কামরুল হাসানও ছিলেন তাঁর গুণগ্রাহী।
তিনি নিজস্ব একটি লোকশিল্প জাদুঘর গড়ে তুলেছেন তাঁর নিজ বাড়ি কিশোরগঞ্জের বিন্নগাঁওয়ে। ১৯৭৪ সালে বাংলা একাডেমীতে তাঁর একক লোকশিল্প সংগ্রহ প্রদর্শনী হয়। ১৯৮৮ সালে লন্ডনের হোয়াইট চ্যাপেল আর্ট গ্যালারিতে ওপেন এয়ার প্রদর্শনীতে তাঁর নিজস্ব লোকশিল্প প্রদর্শনী হয়েছে। ১৯৮৯ সালে শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনের সঙ্গে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমী আয়োজিত যৌথভাবে ‘নকশি কাঁথা প্রদর্শনী’ করেছেন। এ সময় তাঁর কয়েকটি লোকশিল্পের বিষয়ভিত্তিক ইংরেজি প্রবন্ধ সচিত্র প্রদর্শিত হয়েছে।
তাঁর সাধনার ফলস্বরূপ দেশ-বিদেশে সংবর্ধিত ও পুরস্কৃত হয়েছেন। তাঁর কর্মের স্বীকৃতি হিসেবে ২০০১ সালে বাংলা একাডেমী ফেলোশিপ এবং ২০০২ সালে কারুশিল্পী পরিষদের সম্মাননা লোক ও কারুশিল্পী, লোকসংগীতশিল্পীদের তথ্য প্রদানকারী উৎস হিসেবে তাঁর নামটি সর্বাগ্রে আসে।
মোমেনশাহী গীতিকার পালাগানগুলোর সংগ্রাহক ছিলেন মোহাম্মদ সাইদুর। সেখান থেকে মাধব মালঞ্চী কইন্যা শীর্ষক পালাগানটি নাট্যরূপ দিয়ে কলকাতার অন্য থিয়েটারের কর্ণধার বিভাস চক্রবর্তী শিশির মঞ্চ থেকে মঞ্চস্থ করান। এর শত রজনী মঞ্চ উপলক্ষে কলকাতায় মোহাম্মদ সাইদুরকে মাধব মালঞ্চী কইন্যার সংগ্রাহক হিসেবে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। জাপানের ফুকুওয়াকা এশিয়ান আর্ট গ্যালারি থেকে ২০০১ সালে তাঁকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। ১৯৮৮ সালে আরণ্যক নাট্যগোষ্ঠী লোক নাটক সংগ্রহের স্বীকৃতিস্বরূপ তাঁকে সম্মাননা দেয়।
বিদেশি যাঁরা লোকসাহিত্য এবং লোকশিল্প সম্পর্কে গবেষণা করতে আসেন, মোহাম্মদ সাইদুরই তাঁদের একমাত্র কান্ডারি ছিলেন। আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন লোকসাহিত্যবিদ ডক্টর হেনরি গ্লাসির মন্তব্য থেকেও মোহাম্মদ সাইদুরের স্থানটি নির্ণয় করা যায়। তিনি ট্র্যাডিশনাল আর্ট অব ঢাকা গ্রন্থে তাঁর সম্পর্কে লিখেছেন, ‘মোহাম্মদ সাইদুর রহমান ফ্রম কিশোরগঞ্জ, নর্থ অব ঢাকা, ইজ দ্য বাংলা একাডেমী’স ম্যান ইন দ্য ফিল্ড। ইটস ফকলোর কালেক্টর। হিজ ক্লোজ নলেজ অব দ্য ফকলোর ফো বাংলাদেশ ইজ আনরাইভলড।’
সাইদুরের আজীবনের স্বপ্ন তাঁর গ্রামের বাড়িতে প্রতিষ্ঠিত লোকশিল্প জাদুঘরটি উদ্বোধন করেছিলেন হেনরি গ্লাসি। কিন্তু এর সফল বাস্তবায়ন এখনো হয়নি।
কিশোরগঞ্জবাসীর দাবি, সরকারিভাবে যেন তাঁর সংগৃহীত দুর্লভ লোক-ঐতিহ্য ও নকশি কাঁথা নিয়ে জাদুঘরটি পুরোপুরিভাবে চালু করার ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
সাইফুল হক মোল্লা
No comments