বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর পরিবেশ ঠিক হওয়া দরকার-আত্মঘাতী আক্রোশ
রাজধানীর বনানীর অভিজাত এলাকার দুটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা যে আক্রোশে পরস্পরের ওপর হামলে পড়েছেন, পরস্পরের শিক্ষাভবনের ক্ষতিসাধন করেছেন, তার সঙ্গে চর দখলের বিশেষ প্রভেদ নেই। তাঁদের এই ক্রোধ যতটা না ন্যায্য, এর থেকে তার প্রকাশ অতি কদর্য।
সেই ক্রোধের সাক্ষী হয়ে আছে ওই এলাকার অনেক ভবন এবং ভাঙচুর করা গাড়িগুলো। ঘটনার এক দিন পর নিজেদের কৃতকর্মের পুরো চিত্রটা দেখে কি তাঁদের লজ্জা লাগছে? যদি তাঁরা লজ্জিত ও অনুতপ্ত হন, তাহলে সেটা শুভলক্ষণ।
সংঘর্ষের পর ওই দুই বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষিত হয়েছে, আহত হয়েছেন অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী; ভাঙচুর করা হয়েছে বেশ কয়েকটি ভবন ও বিপণিবিতানের কাচ এবং ব্যক্তিগত গাড়ি। এক প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের দিয়ে অন্য প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীর বাদানুবাদ থেকে এ ‘মহাযুদ্ধের’ সূত্রপাত। প্রথমে অল্প কজনই জড়িত ছিলেন, বাকিদের দায়িত্ব ছিল শান্তিপূর্ণ মীমাংসা করা অথবা নিজেরা তাতে জড়িত না হওয়া। কিন্তু দেখা গেল, দুই গোষ্ঠীর দ্বন্দ্ব দুই প্রতিষ্ঠানের সব শিক্ষার্থীর সার্বিক যুদ্ধে পরিণত হলো। পরে যা ঘটল, তার সঙ্গে দুই গ্রামের অধিবাসীদের লাঠালাঠিরই তুলনা চলে। শনিবার নবীনগরেও দুই ইউপি চেয়ারম্যানের অনুসারীদের মধ্যে সংঘর্ষে একজনের মৃত্যু ঘটেছে, আহত হয়েছেন ৩০ জন। শহরে বা গ্রামে, শিক্ষিত বা অশিক্ষিত, রাজনৈতিক-অরাজনৈতিক, দল-নির্দল—সবার মধ্যে উন্মত্ত আক্রোশের এই প্রবণতা যে কতটা আত্মঘাতী, সেই বোধ আজ বড় জরুরি।
তারুণ্যের আন্দোলন-প্রতিবাদ এটা নয়। কোনো বৃহত্তর স্বার্থে বা অধিকার আদায়ের জন্যও এই দলবদ্ধতা নয়। নিছক প্রাতিষ্ঠানিক গোষ্ঠীবাজিতাকে মহত্ত্ব বা বৈধতা দেওয়ার সুযোগ নেই। এতে আখেরে পুলিশের হস্তক্ষেপ বাড়ে, প্রশাসন আরও কঠোর হয় এবং শিক্ষার্থীদের মধ্যে নেমে আসে অবিশ্বাস ও ভয়।
এ ঘটনায় পুলিশ ও প্রশাসনের ভূমিকাও খতিয়ে দেখা দরকার, তাদের ত্বরিত হস্তক্ষেপে হয়তো সমস্যাটা সূচনাতেই স্তিমিত হতো। নিজস্ব ক্যাম্পাসহীন বাজারি শিক্ষাভবনও সম্ভবত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর এ রকম হালচালের একটি কারণ। এদিকেও নজর দেওয়া চাই। ঘটনার সুষ্ঠু সমাধান হোক, শিক্ষার্থীদের হয়রানিও বন্ধ হোক।
সংঘর্ষের পর ওই দুই বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষিত হয়েছে, আহত হয়েছেন অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী; ভাঙচুর করা হয়েছে বেশ কয়েকটি ভবন ও বিপণিবিতানের কাচ এবং ব্যক্তিগত গাড়ি। এক প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের দিয়ে অন্য প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীর বাদানুবাদ থেকে এ ‘মহাযুদ্ধের’ সূত্রপাত। প্রথমে অল্প কজনই জড়িত ছিলেন, বাকিদের দায়িত্ব ছিল শান্তিপূর্ণ মীমাংসা করা অথবা নিজেরা তাতে জড়িত না হওয়া। কিন্তু দেখা গেল, দুই গোষ্ঠীর দ্বন্দ্ব দুই প্রতিষ্ঠানের সব শিক্ষার্থীর সার্বিক যুদ্ধে পরিণত হলো। পরে যা ঘটল, তার সঙ্গে দুই গ্রামের অধিবাসীদের লাঠালাঠিরই তুলনা চলে। শনিবার নবীনগরেও দুই ইউপি চেয়ারম্যানের অনুসারীদের মধ্যে সংঘর্ষে একজনের মৃত্যু ঘটেছে, আহত হয়েছেন ৩০ জন। শহরে বা গ্রামে, শিক্ষিত বা অশিক্ষিত, রাজনৈতিক-অরাজনৈতিক, দল-নির্দল—সবার মধ্যে উন্মত্ত আক্রোশের এই প্রবণতা যে কতটা আত্মঘাতী, সেই বোধ আজ বড় জরুরি।
তারুণ্যের আন্দোলন-প্রতিবাদ এটা নয়। কোনো বৃহত্তর স্বার্থে বা অধিকার আদায়ের জন্যও এই দলবদ্ধতা নয়। নিছক প্রাতিষ্ঠানিক গোষ্ঠীবাজিতাকে মহত্ত্ব বা বৈধতা দেওয়ার সুযোগ নেই। এতে আখেরে পুলিশের হস্তক্ষেপ বাড়ে, প্রশাসন আরও কঠোর হয় এবং শিক্ষার্থীদের মধ্যে নেমে আসে অবিশ্বাস ও ভয়।
এ ঘটনায় পুলিশ ও প্রশাসনের ভূমিকাও খতিয়ে দেখা দরকার, তাদের ত্বরিত হস্তক্ষেপে হয়তো সমস্যাটা সূচনাতেই স্তিমিত হতো। নিজস্ব ক্যাম্পাসহীন বাজারি শিক্ষাভবনও সম্ভবত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর এ রকম হালচালের একটি কারণ। এদিকেও নজর দেওয়া চাই। ঘটনার সুষ্ঠু সমাধান হোক, শিক্ষার্থীদের হয়রানিও বন্ধ হোক।
No comments