বিরোধী দলের প্রতি প্রধানমন্ত্রীঃ ১২ মার্চ উল্টাপাল্টা করার চেষ্টা হলে খবর আছে
বিরোধী দলকে শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি পালনের আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর পাশাপাশি কোনো ধরনের অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির চেষ্টা করা হলে সমুচিত জবাব দেওয়া হবে বলেও হুঁশিয়ার করেছেন তিনি। গতকাল শুক্রবার রাতে গণভবনে আওয়ামী লীগের এক যৌথ সভায় শেখ হাসিনা এ আহ্বান ও হুঁশিয়ারি করেছেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘১২ মার্চ মহাসমাবেশের নামে কোনো উল্টাপাল্টা করার চেষ্টা করা হলে খবর আছে। শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি পালন করলে আমাদের করার কিছু নেই। কিন্তু কর্মসূচির নামে ১৮ ডিসেম্বরের মতো বোমাবাজি, অগ্নিসংযোগ, মানুষ হত্যার চেষ্টা করা হলে তার জবাব দেওয়া হবে।’ তিনি বলেন, ‘১২ মার্চ কর্মসূচি পালন করতে গিয়ে বিরোধী দলের কোনো দুরভিসন্ধি থাকলে আমরা আগেই জানতে পারব। সেই অনুযায়ী কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
১২ মার্চ ঢাকায় মহাসমাবেশ করবে বিএনপির নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট। এর আগে-পরে ৭ মার্চ ঢাকায় আওয়ামী লীগের গণশোভাযাত্রা আর ১৪ দলের ব্যানারে ১১ মার্চ রাজধানীতে মানববন্ধন ও ১৪ মার্চ মহাসমাবেশ কর্মসূচি রয়েছে।
এসব কর্মসূচি সামনে রেখে গত রাতে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ, সব সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন এবং নারায়ণগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, গাজীপুর, সাভারসহ রাজধানীর আশপাশের জেলার দলীয় নেতাদের নিয়ে যৌথ সভা করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি এসব কর্মসূচিসহ ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ও ছাব্বিশে মার্চ স্বাধীনতা দিবসের কর্মসূচি সর্বাত্মকভাবে সফল করার জন্য নেতা-কর্মীদের নির্দেশ দেন।
যৌথ সভায় কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন তোফায়েল আহমেদ, আব্দুল জলিল, আবদুল লতিফ সিদ্দিকী, মতিয়া চৌধুরী, সাহারা খাতুন, ওবায়দুল কাদের, মাহবুব উল আলম হানিফ, ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, সতীশ চন্দ্র রায়, রহমত আলী প্রমুখ।
সভায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, মার্চ মাস স্বাধীনতার সংগ্রামের মাস। আর এই স্বাধীনতার মাসকেই বিরোধীদলীয় নেত্রী স্বাধীনতাবিরোধী ও যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষার জন্য বেছে নিয়েছেন। মার্চ মাসকেই তিনি টার্গেট করলেন কেন? ১২ মার্চ মহাসমাবেশের পেছনে কী রহস্য রয়েছে?
গত ১৮ ডিসেম্বর বিএনপির মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনার নামে সারা দেশে বোমাবাজি, গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে মানুষ খুনের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা যদি গণতন্ত্রে বিশ্বাসী না হতাম, তবে ১৮ ডিসেম্বরের ওই ঘৃণ্য ঘটনার পর বিরোধী দল আর শান্তিপূর্ণ কার-র্যালি, সভা-সমাবেশ করতে পারত না।’
পুলিশ ছেড়ে মাঠে নেমে মোকাবিলার বিএনপির নেতাদের হুমকির জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আওয়ামী লীগ কখনোই পুলিশ বা প্রশাসনকে নিয়ে রাজনীতি করে না। আওয়ামী লীগের মূল শক্তি হচ্ছে দেশের জনগণ। যাদের জন্মই অবৈধভাবে, অস্ত্র হাতে ক্ষমতা দখলের মাধ্যমে জেনারেলের পকেট থেকে, তারাই জনগণের শক্তিকে ভয় পায়।’
বিরোধীদলীয় নেত্রীর তত্ত্বাবধায়ক সরকার দাবি প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আসলে তিনি (খালেদা জিয়া) একেক সময় একেক কথা বলেন। তাঁর কোন কথা দেশের মানুষ বিশ্বাস করবে? আজ বিরোধীদলীয় নেত্রী তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কথা বলছেন। আগে তিনি বলতেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার মানি না, বুঝি না, মানব না। পাগল আর শিশু ছাড়া কেউ নিরপেক্ষ নয়। এখন কি তিনি পাগল ও শিশু খুঁজে পেয়েছেন?’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এখন তিনি তত্ত্বাবধায়ক চান, সেটা ভালো কথা। কিন্তু তত্ত্বাবধায়ক সরকার এলেই যে তাঁকে কোলে তুলে নিয়ে গিয়ে ক্ষমতায় বসাবে, তার গ্যারান্টি কী।’
১২ মার্চ ঢাকায় মহাসমাবেশ করবে বিএনপির নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট। এর আগে-পরে ৭ মার্চ ঢাকায় আওয়ামী লীগের গণশোভাযাত্রা আর ১৪ দলের ব্যানারে ১১ মার্চ রাজধানীতে মানববন্ধন ও ১৪ মার্চ মহাসমাবেশ কর্মসূচি রয়েছে।
এসব কর্মসূচি সামনে রেখে গত রাতে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ, সব সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন এবং নারায়ণগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, গাজীপুর, সাভারসহ রাজধানীর আশপাশের জেলার দলীয় নেতাদের নিয়ে যৌথ সভা করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি এসব কর্মসূচিসহ ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ও ছাব্বিশে মার্চ স্বাধীনতা দিবসের কর্মসূচি সর্বাত্মকভাবে সফল করার জন্য নেতা-কর্মীদের নির্দেশ দেন।
যৌথ সভায় কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন তোফায়েল আহমেদ, আব্দুল জলিল, আবদুল লতিফ সিদ্দিকী, মতিয়া চৌধুরী, সাহারা খাতুন, ওবায়দুল কাদের, মাহবুব উল আলম হানিফ, ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, সতীশ চন্দ্র রায়, রহমত আলী প্রমুখ।
সভায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, মার্চ মাস স্বাধীনতার সংগ্রামের মাস। আর এই স্বাধীনতার মাসকেই বিরোধীদলীয় নেত্রী স্বাধীনতাবিরোধী ও যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষার জন্য বেছে নিয়েছেন। মার্চ মাসকেই তিনি টার্গেট করলেন কেন? ১২ মার্চ মহাসমাবেশের পেছনে কী রহস্য রয়েছে?
গত ১৮ ডিসেম্বর বিএনপির মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনার নামে সারা দেশে বোমাবাজি, গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে মানুষ খুনের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা যদি গণতন্ত্রে বিশ্বাসী না হতাম, তবে ১৮ ডিসেম্বরের ওই ঘৃণ্য ঘটনার পর বিরোধী দল আর শান্তিপূর্ণ কার-র্যালি, সভা-সমাবেশ করতে পারত না।’
পুলিশ ছেড়ে মাঠে নেমে মোকাবিলার বিএনপির নেতাদের হুমকির জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আওয়ামী লীগ কখনোই পুলিশ বা প্রশাসনকে নিয়ে রাজনীতি করে না। আওয়ামী লীগের মূল শক্তি হচ্ছে দেশের জনগণ। যাদের জন্মই অবৈধভাবে, অস্ত্র হাতে ক্ষমতা দখলের মাধ্যমে জেনারেলের পকেট থেকে, তারাই জনগণের শক্তিকে ভয় পায়।’
বিরোধীদলীয় নেত্রীর তত্ত্বাবধায়ক সরকার দাবি প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আসলে তিনি (খালেদা জিয়া) একেক সময় একেক কথা বলেন। তাঁর কোন কথা দেশের মানুষ বিশ্বাস করবে? আজ বিরোধীদলীয় নেত্রী তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কথা বলছেন। আগে তিনি বলতেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার মানি না, বুঝি না, মানব না। পাগল আর শিশু ছাড়া কেউ নিরপেক্ষ নয়। এখন কি তিনি পাগল ও শিশু খুঁজে পেয়েছেন?’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এখন তিনি তত্ত্বাবধায়ক চান, সেটা ভালো কথা। কিন্তু তত্ত্বাবধায়ক সরকার এলেই যে তাঁকে কোলে তুলে নিয়ে গিয়ে ক্ষমতায় বসাবে, তার গ্যারান্টি কী।’
No comments