শ্রদ্ধাঞ্জলি-রাজপথের আমৃত্যু সংগ্রামী by সুমন মোল্লা
২০০৪ সাল। বন্যায় পানিতে ভাসছে দেশ। মানুষের দুর্ভোগ বাড়ছে। ঘুমানোর কষ্ট, খাওয়ার কষ্ট—সবকিছুতে বেশ কষ্টে ছিল মানুষ। বিবেকবান মানুষজন নানাভাবে দুর্গত মানুষের পাশে। এ রকম পরিস্থিতিতে আইভি রহমান যে ঘরে বসে থাকার মানুষ নন, সেটি তাঁর রাজনৈতিক সহকর্মী থেকে শুরু করে ঘনিষ্ঠ লোকজনের অজানা নয়।
ত্রাণ নিয়ে, সান্ত্বনা নিয়ে জলাবদ্ধ মানুষের পাশে দাঁড়াবেন—এটাই আইভির জীবনদর্শন।
আইভি রহমানের জন্মভূমি মেঘনা ও ব্রহ্মপুত্রবেষ্টিত জনপদ ভৈরবে। সে বছরের বন্যা আঘাত হেনেছিল ভৈরবেও। এ সুযোগে ভৈরবের দুর্গত মানুষ কাছ থেকে আইভির গণমুখিতার বিষয়টি স্পষ্টভাবে দেখার সুযোগ পায়। বিপদগ্রস্ত মানুষের কাছে যেতে সেদিন নোংরা পানি বাধা হতে পারেনি তাঁর। নেমে গেছেন হাঁটুপানিতে। মানুষের দুয়ারে গিয়ে বলেছেন, ‘আমি আইভি, আপনাদের আইভি। জানি, ভালো নেই আপনারা, দেশের কেউ ভালো নেই, এমন দুর্যোগে ভালো থাকার কথাও নয়। তবে এ জন্য ভয় পাওয়ার কিছু নেই। আমরা আছি আপনাদের পাশে’—এ রকম নানা উদ্দীপনা ও সান্ত্বনাসূচক কথা বলে সাহস জুগিয়ে গেছেন আইভি রহমান। সাধারণ মানুষের সঙ্গে মিশে যাওয়া মানুষটিকে কেড়ে নিল মৌলবাদীদের গ্রেনেড হামলা। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট ঢাকার বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আওয়ামী লীগের জনসভায় ঘাতকদের হামলার শিকার হয়ে চিরজীবনের জন্য হারিয়ে গেলেন তিনি।
এর আগে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে তিন দিন মৃত্যুর সঙ্গে যুদ্ধ করেন। মৃত্যুর সময় তাঁর বয়স হয়েছিল ৬০ বছর এক মাস ১৭ দিন।
সেদিনের গ্রেনেড হামলা দেশের মানুষ মেনে নিতে পারেনি। এর চেয়ে বেশি মেনে নিতে পারেনি আইভির আকস্মিক মৃত্যু।
আজ আইভি রহমানের সপ্তম মৃত্যুবার্ষিকী। আইভি রহমান ছিলেন বঙ্গবন্ধুর স্নেহধন্য। দেশপ্রেম, সাহস আর কিছু করে দেখানোর তাগিদ বঙ্গবন্ধুর স্নেহের তালিকায় তাঁকে স্থান করে দেয়।
আইভি রহমান নিজের বাড়ি ভৈরবে ছিলেন জনপ্রিয় এক ব্যক্তিত্ব। ভৈরবের যুবসমাজের সঙ্গে ছিল তাঁর সখ্য। এ ক্ষেত্রে রাজনৈতিক সংগঠন আওয়ামী লীগের মধ্যে নিজেকে আটকে রাখেননি তিনি। ইতিবাচক কাজে বিচরণ ছিল সর্বত্র। বিশেষ করে, তৃতীয় বিশ্বের এ দেশের নারীদের জন্য কিছু করার তাগিদ অনুভব করতেন তিনি। মৃত্যুর আগে পর্যন্ত জাতীয় মহিলা সমিতির চেয়ারম্যান পদে থেকে সারা দেশ ঘুরে বেড়িয়েছেন। নারীদের ঘর থেকে বের করে আনতে নিয়েছিলেন নানা উদ্যোগ। তিনি বিশ্বাস করতেন, শিক্ষা আর অর্থনৈতিক মুক্তি ছাড়া নারীরা শৃঙ্খলমুক্ত হতে পারে না। সেই বিশ্বাস থেকে সংগঠনটির মাধ্যমে নানা কর্মমুখী উদ্যোগ নিয়েছিলেন। মাঠপর্যায়ে তাঁর এই উদ্যোগ দেশ-বিদেশে প্রশংসিত হয়। শিশুদের বেলায় তিনি ছিলেন অনেকটা শিশুসুলভ। এ ক্ষেত্রে তাঁর কিছু উদ্যোগ সমাজে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। আর অন্ধজনে আলো জ্বালাতে তাঁর চেষ্টা ব্যক্তি আইভিকে মানুষের কাছে মানবিক গুণসম্পন্ন এক ব্যক্তিত্ব হিসেবে পরিচিতি এনে দেয়।
আইভি রহমানের পুরো নাম জেবুন্নাহার আইভি। ১৯৪৪ সালের ৭ জুলাই কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরবে ঐতিহ্যবাহী সম্ভ্রান্ত পরিবার চণ্ডীবের কামাল সরকারের বাড়িতে তাঁর জন্ম। বাবা জালাল উদ্দিন আহমেদ ছিলেন ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ, প্রথিতযশা এক শিক্ষাবিদ। মা হাসিনা বেগম ছিলেন একজন আদর্শ গৃহিণী। আট বোন ও চার ভাইয়ের মধ্যে আইভির অবস্থান পঞ্চম। ভাইবোনেরাও নিজ নিজ ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠা পান।
১৯৫৮ সালের ২৭ জুন আওয়ামী লীগের সে সময়ের তরুণ নেতা জিল্লুর রহমানের (বর্তমানে রাষ্ট্রপতি) সঙ্গে আইভির বিয়ে হয়। তখন তিনি ঢাকার একটি স্কুলে নবম শ্রেণীর ছাত্রী। জিল্লুর রহমানের সঙ্গে বিয়ে হওয়ার পর তাঁর নাম হয় আইভি রহমান। স্কুলছাত্রী অবস্থায় বিয়ে হলেও শিক্ষার পাট চুকিয়ে ফেলেননি। সংসার সামলেছেন, পড়ালেখা করেছেন আবার রাজনীতিতেও যুক্ত হয়ে সবার কাছে অসাধারণ হয়ে উঠেছেন তিনি।
এ ক্ষেত্রে নিজ ঘরে স্বামী জিল্লুর রহমান আর বাইরে বঙ্গবন্ধুর পরিবার ছিল আইভির আদর্শ। রাজনৈতিক সম্পর্ক ছাড়াও বঙ্গবন্ধুর পরিবারের সঙ্গে তাঁর ছিল পারিবারিক সম্পর্ক। তাঁর বড় বোন শামসুন্নাহার সিদ্দিক বঙ্গবন্ধুর মেয়ে শেখ রেহানার শাশুড়ি। সেই সূত্রে আইভি রহমান শেখ রেহানার খালাশাশুড়ি। এক ছেলে নাজমুল হোসেন পাপন, দুই মেয়ে তানিয়া ও ময়না এবং স্বামী জিল্লুর রহমানকে নিয়ে পারিবারিক জীবন ভালো যাচ্ছিল তাঁর।
স্বাধীনতার আগে আইভি রহমান ছাত্রলীগের রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হন। ছাত্ররাজনীতির মধ্য দিয়ে তাঁর অসাম্প্রদায়িক ও গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক বর্ণাঢ্য জীবন শুরু। ছাত্রজীবনে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে শোষিত বাংলা এবং বাঙালি জাতির অধিকার আদায়ের সংগ্রামী ভূমিকা পালন করেন তিনি। আইভি তখন ছাত্রলীগের প্রথম সারির নেত্রী ও নীতিনির্ধারক। এরপর রাজনৈতিক জীবনে একে একে বিভিন্ন পদের দায়িত্ব পান। সদালাপী বিশাল ব্যক্তিত্বের অধিকারী আইভি রহমান ১৯৬৯ সালে প্রতিষ্ঠিত মহিলা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭১ সালে বাঙালির স্বাধিকার আদায়ের লক্ষ্যে মহান মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েন। তিনি ভারতে গিয়ে সশস্ত্র ট্রেনিং নেন। ১৯৭৫ সালে মহিলা আওয়ামী লীগের সদস্য হন। ১৯৭৮ সালে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের মহিলাবিষয়ক সম্পাদক ছিলেন। ১৯৮০ সালে কেন্দ্রীয় মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেন। এর আগে মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে ছিলেন। জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত বাংলাদেশ মহিলা সমিতির সভানেত্রী ও জাতীয় অন্ধ কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত মহিলা সংস্থা ও জাতীয় মহিলা সমিতির চেয়ারম্যান ছিলেন তিনি।
অকুতোভয় আমৃত্যু সংগ্রামী এ মানুষটির আকস্মিক মৃত্যু বাঙালি জাতি মেনে নিতে পারেনি। তেমনি পারেনি ভৈরবের সর্বস্তরের মানুষও। আন্দোলন-সংগ্রামে আইভি রহমানের অবদানের কথা বাঙালি জাতি গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ রাখবে।
সুমন মোল্লা
sumon.mollah@yahoo.com
আইভি রহমানের জন্মভূমি মেঘনা ও ব্রহ্মপুত্রবেষ্টিত জনপদ ভৈরবে। সে বছরের বন্যা আঘাত হেনেছিল ভৈরবেও। এ সুযোগে ভৈরবের দুর্গত মানুষ কাছ থেকে আইভির গণমুখিতার বিষয়টি স্পষ্টভাবে দেখার সুযোগ পায়। বিপদগ্রস্ত মানুষের কাছে যেতে সেদিন নোংরা পানি বাধা হতে পারেনি তাঁর। নেমে গেছেন হাঁটুপানিতে। মানুষের দুয়ারে গিয়ে বলেছেন, ‘আমি আইভি, আপনাদের আইভি। জানি, ভালো নেই আপনারা, দেশের কেউ ভালো নেই, এমন দুর্যোগে ভালো থাকার কথাও নয়। তবে এ জন্য ভয় পাওয়ার কিছু নেই। আমরা আছি আপনাদের পাশে’—এ রকম নানা উদ্দীপনা ও সান্ত্বনাসূচক কথা বলে সাহস জুগিয়ে গেছেন আইভি রহমান। সাধারণ মানুষের সঙ্গে মিশে যাওয়া মানুষটিকে কেড়ে নিল মৌলবাদীদের গ্রেনেড হামলা। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট ঢাকার বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আওয়ামী লীগের জনসভায় ঘাতকদের হামলার শিকার হয়ে চিরজীবনের জন্য হারিয়ে গেলেন তিনি।
এর আগে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে তিন দিন মৃত্যুর সঙ্গে যুদ্ধ করেন। মৃত্যুর সময় তাঁর বয়স হয়েছিল ৬০ বছর এক মাস ১৭ দিন।
সেদিনের গ্রেনেড হামলা দেশের মানুষ মেনে নিতে পারেনি। এর চেয়ে বেশি মেনে নিতে পারেনি আইভির আকস্মিক মৃত্যু।
আজ আইভি রহমানের সপ্তম মৃত্যুবার্ষিকী। আইভি রহমান ছিলেন বঙ্গবন্ধুর স্নেহধন্য। দেশপ্রেম, সাহস আর কিছু করে দেখানোর তাগিদ বঙ্গবন্ধুর স্নেহের তালিকায় তাঁকে স্থান করে দেয়।
আইভি রহমান নিজের বাড়ি ভৈরবে ছিলেন জনপ্রিয় এক ব্যক্তিত্ব। ভৈরবের যুবসমাজের সঙ্গে ছিল তাঁর সখ্য। এ ক্ষেত্রে রাজনৈতিক সংগঠন আওয়ামী লীগের মধ্যে নিজেকে আটকে রাখেননি তিনি। ইতিবাচক কাজে বিচরণ ছিল সর্বত্র। বিশেষ করে, তৃতীয় বিশ্বের এ দেশের নারীদের জন্য কিছু করার তাগিদ অনুভব করতেন তিনি। মৃত্যুর আগে পর্যন্ত জাতীয় মহিলা সমিতির চেয়ারম্যান পদে থেকে সারা দেশ ঘুরে বেড়িয়েছেন। নারীদের ঘর থেকে বের করে আনতে নিয়েছিলেন নানা উদ্যোগ। তিনি বিশ্বাস করতেন, শিক্ষা আর অর্থনৈতিক মুক্তি ছাড়া নারীরা শৃঙ্খলমুক্ত হতে পারে না। সেই বিশ্বাস থেকে সংগঠনটির মাধ্যমে নানা কর্মমুখী উদ্যোগ নিয়েছিলেন। মাঠপর্যায়ে তাঁর এই উদ্যোগ দেশ-বিদেশে প্রশংসিত হয়। শিশুদের বেলায় তিনি ছিলেন অনেকটা শিশুসুলভ। এ ক্ষেত্রে তাঁর কিছু উদ্যোগ সমাজে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। আর অন্ধজনে আলো জ্বালাতে তাঁর চেষ্টা ব্যক্তি আইভিকে মানুষের কাছে মানবিক গুণসম্পন্ন এক ব্যক্তিত্ব হিসেবে পরিচিতি এনে দেয়।
আইভি রহমানের পুরো নাম জেবুন্নাহার আইভি। ১৯৪৪ সালের ৭ জুলাই কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরবে ঐতিহ্যবাহী সম্ভ্রান্ত পরিবার চণ্ডীবের কামাল সরকারের বাড়িতে তাঁর জন্ম। বাবা জালাল উদ্দিন আহমেদ ছিলেন ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ, প্রথিতযশা এক শিক্ষাবিদ। মা হাসিনা বেগম ছিলেন একজন আদর্শ গৃহিণী। আট বোন ও চার ভাইয়ের মধ্যে আইভির অবস্থান পঞ্চম। ভাইবোনেরাও নিজ নিজ ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠা পান।
১৯৫৮ সালের ২৭ জুন আওয়ামী লীগের সে সময়ের তরুণ নেতা জিল্লুর রহমানের (বর্তমানে রাষ্ট্রপতি) সঙ্গে আইভির বিয়ে হয়। তখন তিনি ঢাকার একটি স্কুলে নবম শ্রেণীর ছাত্রী। জিল্লুর রহমানের সঙ্গে বিয়ে হওয়ার পর তাঁর নাম হয় আইভি রহমান। স্কুলছাত্রী অবস্থায় বিয়ে হলেও শিক্ষার পাট চুকিয়ে ফেলেননি। সংসার সামলেছেন, পড়ালেখা করেছেন আবার রাজনীতিতেও যুক্ত হয়ে সবার কাছে অসাধারণ হয়ে উঠেছেন তিনি।
এ ক্ষেত্রে নিজ ঘরে স্বামী জিল্লুর রহমান আর বাইরে বঙ্গবন্ধুর পরিবার ছিল আইভির আদর্শ। রাজনৈতিক সম্পর্ক ছাড়াও বঙ্গবন্ধুর পরিবারের সঙ্গে তাঁর ছিল পারিবারিক সম্পর্ক। তাঁর বড় বোন শামসুন্নাহার সিদ্দিক বঙ্গবন্ধুর মেয়ে শেখ রেহানার শাশুড়ি। সেই সূত্রে আইভি রহমান শেখ রেহানার খালাশাশুড়ি। এক ছেলে নাজমুল হোসেন পাপন, দুই মেয়ে তানিয়া ও ময়না এবং স্বামী জিল্লুর রহমানকে নিয়ে পারিবারিক জীবন ভালো যাচ্ছিল তাঁর।
স্বাধীনতার আগে আইভি রহমান ছাত্রলীগের রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হন। ছাত্ররাজনীতির মধ্য দিয়ে তাঁর অসাম্প্রদায়িক ও গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক বর্ণাঢ্য জীবন শুরু। ছাত্রজীবনে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে শোষিত বাংলা এবং বাঙালি জাতির অধিকার আদায়ের সংগ্রামী ভূমিকা পালন করেন তিনি। আইভি তখন ছাত্রলীগের প্রথম সারির নেত্রী ও নীতিনির্ধারক। এরপর রাজনৈতিক জীবনে একে একে বিভিন্ন পদের দায়িত্ব পান। সদালাপী বিশাল ব্যক্তিত্বের অধিকারী আইভি রহমান ১৯৬৯ সালে প্রতিষ্ঠিত মহিলা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭১ সালে বাঙালির স্বাধিকার আদায়ের লক্ষ্যে মহান মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েন। তিনি ভারতে গিয়ে সশস্ত্র ট্রেনিং নেন। ১৯৭৫ সালে মহিলা আওয়ামী লীগের সদস্য হন। ১৯৭৮ সালে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের মহিলাবিষয়ক সম্পাদক ছিলেন। ১৯৮০ সালে কেন্দ্রীয় মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেন। এর আগে মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে ছিলেন। জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত বাংলাদেশ মহিলা সমিতির সভানেত্রী ও জাতীয় অন্ধ কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত মহিলা সংস্থা ও জাতীয় মহিলা সমিতির চেয়ারম্যান ছিলেন তিনি।
অকুতোভয় আমৃত্যু সংগ্রামী এ মানুষটির আকস্মিক মৃত্যু বাঙালি জাতি মেনে নিতে পারেনি। তেমনি পারেনি ভৈরবের সর্বস্তরের মানুষও। আন্দোলন-সংগ্রামে আইভি রহমানের অবদানের কথা বাঙালি জাতি গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ রাখবে।
সুমন মোল্লা
sumon.mollah@yahoo.com
No comments